ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

শরীয়তপুরে খবরের কাগজের সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২১ এএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
শরীয়তপুরে খবরের কাগজের সাংবাদিকের ওপর হামলা
খবরের কাগজের সাংবাদিক রাজিব হোসেন রাজন। ছবি: খবরের কাগজ

শরীয়তপুরে খবরের কাগজের সাংবাদিক রাজিব হোসেন রাজন ও তার স্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে এই ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিক রাজিব হোসেন রাজন খবরের কাগজের শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি।

এ ঘটনায় রাতে ডামুড্যা থানায় হত্যাচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

মামালা সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী সাংবাদিক এবং সাবেক তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান আলমগীর ও তার পরিবারের সঙ্গে জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার রাতে সামান্য কথা কাটাকাটি নিয়ে আলমগীর ও তার স্ত্রী শান্তা সাংবাদিক রাজনের অনুপস্থিতে তার স্ত্রীকে মারধর করতে যায়। পরে স্থানীয়দের বাধার মুখে তারা চলে যায়।

এ ঘটনার রেশ ধরে আলমগীরের ছোট ভাই বোরহান উদ্দিন পরের দিন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় সাংবাদিক রাজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজনের কাছে গালিগালাজের বিষয়ে জানতে চাইলে আলমগীরের ভাই বোরহান, বাবা ইচাহাক আকন, বোন লিপি ও মা সেলিনা বেগম এসে আলমগীরের নির্দেশে রাজন ও তার স্ত্রীর ওপর হামলা চালায়।

স্থানীরা জানান, সাংবাদিক রাজিব হোসেন রাজন তার স্ত্রীকে গালিগালাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তাকে মারধর করে জখম করে। এছাড়া তার স্ত্রীকেও বেদম মারধর করে।

খবর পেয়ে ও স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, সাংবাদিক রাজিব হোসেন রাজন ও তার স্ত্রীর উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন ইউনিটের সাংবাদিক নেতারা।

মেহেদী/অমিয়/

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক মাসুমা মারা গেছেন

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক মাসুমা মারা গেছেন
মাসুমা আক্তার

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বেসরকারি টেলিভিশনে কর্মরত সাংবাদিক মাসুমা আক্তার মারা গেছেন। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, মাসুমাকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মিরপুরে নেওয়া হয়েছে। সেখানে গোসলসহ লাশ সংরক্ষণের যাবতীয় কার্যক্রম শেষে নাটোরের গুরুদাসপুর নারায়ণপুরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে রওনা হবেন তার স্বজনরা। সেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। 

এর আগে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাসুমা আক্তার তার শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায় যাচ্ছিল। পথে নূরজাহান হোটেলের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় মাসুমা ও তার স্বামী আহত হন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ নিউরো সার্জারি বিভাগের ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার আইসিইউর প্রয়োজন হয়। সেখান থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

মাসুমা ২০২৪ সালে এখন টিভির রিপোর্টার হিসেবে রাজশাহীতে যোগ দেন। এর আগে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন বাংলার জনপদ নামের  রাজশাহীর একটি অনলাইনে।

তুলি/অমিয়/

কুমিল্লার ফটো সাংবাদিক সাদেক আর নেই

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
কুমিল্লার ফটো সাংবাদিক সাদেক আর নেই
এম সাদেক

দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র ফটো সাংবাদিক, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সদস্য এম সাদেক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার গোমতী নদীতে মাছ ধরার উৎসবের ছবি তুলতে যান তিনি। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুমিল্লার সিডি প্যাথ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বেলা ২টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রথম আলোর কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি আবদুর রহমান। তিনি জানান, সিনিয়র ফটো সাংবাদিক এম সাদেক প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কুমিল্লা অঞ্চলের আলোকচিত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছেন কুমিল্লার প্রবীণ সাংবাদিক সাপ্তাহিক অভিবাদনের সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুল, দৈনিক কুমিল্লার কাগজের সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয়, প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসানসহ কুমিল্লার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।



ডিজিটাল রিপোর্টার্স ফোরামের যাত্রা শুরু

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৭ এএম
ডিজিটাল রিপোর্টার্স ফোরামের যাত্রা শুরু
মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ডিজিটাল রিপোর্টার্স ফোরাম’-এর সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

যাত্রা শুরু করেছে দেশের প্রথম সারির পত্রিকা, অনলাইন ও টেলিভিশনের ডিজিটালে কর্মরত রিপোর্টারদের সংগঠন ‘ডিজিটাল রিপোর্টার্স ফোরাম’ (ডিআরএফ)।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি ) রাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকদের ‘আড্ডা ভোজ ৩.০’ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সংগঠনের কার্যক্রম শুরু হয়।

এ সময় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন যায় যায় দিনের ডিজিটাল ইনচার্জ তানভীর আহম্মেদ এবং সদস্য সচিব হয়েছেন ডিবিসির ডিজিটালের রিপোর্টার মোহাম্মদ আল হাসিব পান্থ।

এ ছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছে যথাক্রমে এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার আলী আজগর ইমন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ডিজিটালের বিনোদন বিভাগের ইনচার্জ শিবলী আহমেদ ও বাংলাভিশন ডিজিটালের রিপোর্টার শুভ খান।

১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে আরও রয়েছেন- আমাদের সময়ের যাকারিয়া, কালের কণ্ঠের আব্দুল্লাহ আল নোমান, চ্যানেল আইয়ের তানবির লিমন, দেশ রূপান্তরের অংকুর নেহার সরকার, জাগো নিউজের রাকিব, এটিএন নিউজের সোহাগ বিশ্বাস, মানবজমিনের হুমায়ুন মাসুদ, কালবেলার ইলিয়াস, সকালের সময়ের রিয়াজ উদ্দিন ও ঢাকা জার্নালের হাকিম মাহি।

সুমন/

অন্ধকার ঘুচাতে চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ: কাদের গনি চৌধুরী

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম
অন্ধকার ঘুচাতে চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ: কাদের গনি চৌধুরী
‘স্বাধীন শিল্প সংস্কৃতি চর্চা’ শীর্ষক আলোচনায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, অন্ধকার ঘুচাতে চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ। সমাজের অন্যায়-অপরাধ নির্মূল করতে হলে বিশেষ করে তরুণদের সাংস্কৃতিক জাগরণ প্রয়োজন। তরুণদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাবতে হচ্ছে। আমাদের তরুণদের এক আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করতে হলে তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। তাহলে তারা মননে ও আচরণে আলোকিত মানুষ হতে পারবে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে মুক্ত বাংলাদেশে ‘স্বাধীন শিল্প সংস্কৃতি চর্চা’ শীর্ষক আলোচনা এবং জুলাই ২০২৪ ছাত্র আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দ্যা রিমান্ড’ এর টিজার প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

অ্যাডভোকেট কে এম জাবিরের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, এনটিভির পরিচালক নুরুদ্দীন আহমেদ, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সাংবাদিক এরফানুল হক নাহিদ, কামরুল হাসান দর্পণ, সাদিক আল আরমান, নায়ক মারুফ আকিব ও আবির পারভেজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সংস্কৃতি মানবসভ্যতার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। জীবনের পরতে পরতে সংস্কৃতির উপাদান জড়িয়ে রয়েছে। বিশ্বায়ন, শিল্পায়ন ও ডিজিটালাইজেশনের কারণে সংস্কৃতির উপাদানগুলো বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিনিময় হয়। সঙ্গত কারণে সংস্কৃতির সঙ্গে উপসংস্কৃতির একটি যোগসাজশ থাকে। উপসংস্কৃতির ও অপসংস্কৃতির প্রভাব যখন আধিক্য বিস্তার করে তখনই মূলত সাংস্কৃতিক সংকট তৈরি হয়, বিদেশনির্ভরতা চলে আসে অনেকের মধ্যে। বাংলাদেশে একটা সাংস্কৃতিক জাগরণের বড্ড প্রয়োজন। এ জাগরণের মধ্য দিয়ে সকল প্রকার অনিয়ম, অন্যায়, নৈরাজ্য চিরতরে রুখে দেওয়া সম্ভব। এ জাগরণের মধ্য দিয়ে অনাবিষ্কৃত সভ্যতার নিদর্শনগুলো জাতীয় সম্পদে পরিচিতি পাবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ করে পর্যটন খাতে অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে।

সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, সারা দুনিয়া সাংস্কৃতিক জাগরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। তারা অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছেন অনিয়ম, অসঙ্গতি, অপরাধ, নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িকতা থেকে জাতিকে সুরক্ষিত করার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হতে পারে সাংস্কৃতিক জাগরণ। একমাত্র সাংস্কৃতিক জাগরণই পারে সব পেশা-শ্রেণির মানুষকে একসূত্রে, এক কাঠামোয়, সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকারে দাঁড় করাতে।

সাংস্কৃতিক জাগরণের জন্য একটি আলোড়ন জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি শ্রেণি রয়েছে যারা দেশি সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গ বয়কট করে বিজাতীয় সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে এবং বিজাতীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী শ্রেণিটি সামগ্রিকভাবে বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়। এদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি আবদুল হাকিম বলেছিলেন, ‘দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুরায়, নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশ ন যায়’। তিনি যথার্থই বলেছিলেন এবং বর্তমান সময়েও তার ভাষ্য প্রাসঙ্গিক। যারা এ দেশে থেকে, এ দেশের আলো-বাতাসে বড় হচ্ছে কিন্তু দেশি সংস্কৃতির ওপর আস্থা নেই, উপরন্তু তারা বিদেশি সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে নিজেদের আলাদা পরিচয় প্রদানে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে তাদের বাংলাদেশে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিলেতে ইংরেজি ভাষায় তার কবিগুণ প্রকাশ করতে সেখানে থিতু হয়েছিলেন। পরে বিদেশি ভাষায় ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরে দেশি ভাষায় কাব্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন এবং সফল হন। তিনি তার কবিতায় বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করে বিদেশি ভাষায় খ্যাতি অর্জনের ভুল সিদ্ধান্তের বিষয়ে তার পাঠকসমাজকে অবহিত করেন। এ ধরনের বহু ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে রয়েছে। নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা, কৃষ্টি অবজ্ঞা করে অন্য সংস্কৃতিতে থিতু হয়ে প্রতিষ্ঠা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। সে কারণেই সাংস্কৃতিক জাগরণ অত্যন্ত প্রয়োজন যে জাগরণের মাধ্যমে দেশি গান, নৃত্য, কবিতা, নাটক, পুঁথি, দেশি ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র ইত্যাদিকে ভালোবেসে স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় তরুণ প্রজন্মের শামিল হওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, সংস্কৃতির উপাদান যত বেশি সমৃদ্ধ, সভ্যতার বিকাশেও ওই জাতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব। সংস্কৃতি ও সভ্যতার পরিচর্যা মূলত একটি অন্যটিকে প্রভাবিত করতে পারে।

সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, পূর্বপুরুষের হাত ধরে আবহমানকাল ধরে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যে আচারাদিগুলো বাঙালির জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে তা বাঙালির সংস্কৃতি। বাংলার গান, কবিতা, চলচ্চিত্র, সংলাপ, নাটক, উৎসব, পার্বণ ইত্যাদি উৎস মানবজীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছে। কাজেই এ বিষয়গুলোই বাঙালির জীবনের সংস্কৃতি। সংস্কৃতির ওপর ভর করেই সামাজিক কাঠামোগুলো স্থিতিশীল হয়, গতিশীলতা পায় সামাজিক কর্মকাণ্ডগুলো। নিজস্ব সংস্কৃতিতে যে জাতি যত বেশি শক্তিশালী এবং নিজস্ব সংস্কৃতির ওপর অব্যাহত চর্চায় অনুশীলন করে সে জাতি কৃষ্টি-কালচারের দিক দিয়ে সমৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ।

তিনি বলেন, সংস্কৃতি একটি জাতির সুস্থির তথা সমৃদ্ধ অবস্থা তুলে ধরতে সহায়তা করে। আঞ্চলিক ভাষাগুলো বিশেষ করে আদিবাসী ভাষাগুলো টিকিয়ে রাখতে হবে, সেজন্য পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, জারি, সারি, প্রবাদবাক্য প্রভৃতি বিষয়ের ব্যবহার ও অনুশীলন পর্যায়ক্রমে কমে আসছে। এ জায়গাগুলোয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে যেমন জাতীয় পর্যায়ে লোকসংগীত, পুরোনো দিনের গান এবং উল্লিখিত গানসমূহ উপজীব্য করে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে। কেননা সংস্কৃতির চর্চা যত বেশি হবে সভ্যতার বিকাশমান ধারা তত বেশি পরিমাণে আলোড়িত হবে এবং আবিষ্কৃত হবে।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সংস্কৃতিকর্মীদের মহড়ার জায়গা নেই, প্রদর্শনের মঞ্চ নেই। পড়াশোনার পাঠাগার নেই, আলোচনার জন্য নেই ফ্রি সেমিনার হল। অন্যদিকে জায়গা, ভবন ও মঞ্চ বেশুমার পতিত হয়ে আছে। অব্যবহৃত জেলা ও উপজেলা সদরের টাউন হলগুলো, পৌর মার্কেট, উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবনগুলো। নদী, পুকুর, পার্ক ও হাট উৎসবহীন।

শিল্পীরা না খেয়ে মরেন, যাপন করেন অসম্মানিত জীবন। বই পড়ার সুযোগ নেই। শিল্পীদের পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। চিত্রশিল্পীদের ছবি প্রদর্শনের গ্যালারি নেই, সিনেমা দেখার সুযোগ নেই। ব্যক্তিমালিকানার হলগুলো বন্ধ হওয়ায় সিনেমা দেখাও প্রায় বন্ধ।

টাউন হলগুলোর ডিজাইন দেখলেই বোঝা যায়, হাসিনা সরকার টাউন হল চিনত না, কমিউনিটি সেন্টার চেনে। প্রত্যেক স্বৈরাচারের মতো তারাও চায়নি সংস্কৃতিচর্চার বিকাশ। এগুলোর টাইলস উঠিয়ে কিছু ইট ধাপে ধাপে বসালেই সত্যিকারের টাউন হলে পরিণত হবে। টাইলস বসানোর সংস্কৃতি থেকে বের হলে লাখখানেক টাকাতেই এটি সম্ভব। সে টাকাও স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিরা দেবেন, যদি কোথাও দাতা হিসেবে তার নাম থাকে।

টাউন হল এলাকা সংস্কৃতিকর্মীদের এলাকা বলে চিহ্নিত করতে হবে। চত্বরের জমিতে ঘর তুলে সাংস্কৃতিক সংগঠনের জন্য বরাদ্দ করলেই সংগঠন গড়ে তোলার জোয়ার ওঠবে। ঘর তুলে দেবেন স্থানীয় ধনাঢ্যরা। শ্বেতপাথরের ফলকে শত বছর ধরে দাতাদের নাম-পরিচয় জ্বলজ্বল করবে। এখনো কারমাইকেল কলেজে ১৯০৮ সালের দাতাদের নাম আমরা পড়তে পাই। ইউএনওরা ডাক দিলে তারা এগিয়ে আসবেন।

মাহফুজ

চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সংবাদকর্মীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ পিএম
চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সংবাদকর্মীর মৃত্যু
নিহত সাংবাদিক নিলয়।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাস চাপায় নুরুন্নবী চৌধুরী প্রকাশ জসীমউদ্দীন চৌধুরী নিলয় (৪০) নামে এক সংবাদকর্মী মারা গেছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত আটটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জগন্নাথদিঘি ফকির বাজার এলাকায় মোটর সাইকেল নিয়ে রাস্তা পার হওয়ায় সময় চট্টগ্রামগামী অজ্ঞাতনামা গাড়ি চাপায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত সংবাদকর্মী উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের পরিকোট গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি এশিয়ান টেলিভিশনের নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নিহতের চাচাত ভাই ও চৌদ্দগ্রাম সরকারি হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে,  মহাসড়কের ফকির বাজার হয়ে বাড়ি আসার পথে চট্টগ্রামগামী অজ্ঞাত বাস চাপায় মাথায় আঘাত পায় নিলয়। এ সময় তাৎক্ষণিক এক সিএনজিচালক তাকে চৌদ্দগ্রাম সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মিয়া বাজার হাইওয়ে ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীমউদ্দীন জানান,  খবর পেয়ে আমরা মরদেহের প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।

জহিরুল/মেহেদী/