ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসী হামলা-গুলিতে খবরের কাগজের সাংবাদিক রফিকুলসহ আহত ৪

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০১ পিএম
আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০২ পিএম
লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসী হামলা-গুলিতে খবরের কাগজের সাংবাদিক রফিকুলসহ আহত ৪
হাসপাতালে আহত দৈনিক খবরের কাগজের লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম

লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসীদের হামলা ও গুলিতে খবরের কাগজের সাংবাদিকসহ চারজন আহত হয়েছেন। আহতরা হচ্ছেন দৈনিক খবরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম, চন্দ্রগঞ্জ থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আমার সংবাদের প্রতিনিধি আলাউদ্দিন, প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক ও আলোকিত সকালের প্রতিনিধি ফয়সাল মাহমুদ ও অনলাইন পোর্টাল ন্যাশনাল প্রেসের প্রতিনিধি নীরব হোসেন। আহত সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, আলাউদ্দিন ও ফয়সাল মাহমুদকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রফিকুলের অবস্থায় গুরুতর।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার গণেশ শ্যামপুর এলাকায় এই হামলা হয়। হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব ও লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

আহত সাংবাদিক ও পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার গণেশ শ্যামপুর এলাকায় মারামারি ও জমি দখলের সংবাদ সংগ্রহের জন্য লক্ষ্মীপুর থেকে দুটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন সাংবাদিকরা। এ সময় দত্তপাড়া কলেজ থেকে কিছু দূর সামনে গেলে সাতজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। রফিকুল ইসলাম বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে তার মাথা ফেটে যায়। অন্য সাংবাদিকরা বাধা দিলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় ফয়সাল মাহমুদের কানে ও পায়ে গুলি লাগে। সাংবাদিকদের ক্যামেরা, মোবাইল ও নগদ টাকা-পয়সা লুটে নেয় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে ছুটে যান সাংবাদিকরা। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. কমলাশীষ জানান, তিনজনকে আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজনের অবস্থা গুরুতর। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অপর আহত ফয়সাল মাহমুদের কানে ও পায়ে গুলি লেগেছে।

পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকের ওপর হামলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।’

হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন লক্ষীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাভেল ও লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জহির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্বাছ হোসেন। তারা সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।



সংবাদপত্রশিল্পের ঈদের ছুটি ৫ দিন ঘোষণার দাবি

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৭ পিএম
সংবাদপত্রশিল্পের ঈদের ছুটি ৫ দিন ঘোষণার দাবি
ছবি: সংগৃহীত

সংবাদপত্রশিল্পের কর্মীদের ঈদের ছুটি সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী পাঁচ দিনে উন্নীত করার জন্য নোয়াবের প্রতি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বাসস এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের যৌথ সভায় এই দাবি জানানো হয়। খবর বাসসের।

সংগঠনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্সের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন খানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান তালুকদার। সভায় দুই ফেডারেশনের নেতারা আলোচনা করেন।

সভায় নেতারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি পাঁচ দিন নির্ধারিত হয়েছে। তবে দুঃখজনকভাবে সংবাদপত্রশিল্পের জন্য ছুটি মাত্র তিন দিন নির্ধারিত করেছে ‘নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)’, যা সাংবাদিক ও শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং তাদের অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। 

বক্তারা বলেন, কর্মচারী, প্রেস শ্রমিক এবং সাংবাদিকরা সমাজের আয়না ও কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করেন। তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে জনগণকে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য দেন। অন্য সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যখন ঈদের পূর্ণাঙ্গ ছুটি পাচ্ছে, তখন সংবাদকর্মীদের তিন দিনের মধ্যে কাজে ফিরতে বাধ্য করা অন্যায়।

বক্তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংবাদপত্রশিল্পের কর্মীদের ঈদের ছুটি পাঁচ দিনে উন্নীত করা হোক। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার অধিকার সব কর্মীর সমানভাবে পাওয়া উচিত। আমরা আশা করি, নোয়াব এই বৈষম্যমূলক নীতির পুনর্বিবেচনা করবে এবং সাংবাদিক ও শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যায্য ছুটি নিশ্চিত করবে।

মাহফুজ/

সাংবাদিকদের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা: কাদের গনি চৌধুরী

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
সাংবাদিকদের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা: কাদের গনি চৌধুরী
সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বিএফইউজে মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, প্রতিটি দিন দুটি সূর্য উদিত হয়, একটি হচ্ছে প্রভাত সূর্য অন্যটি হচ্ছে সংবাদ। সূর্যের আলোতে আমরা দেখি আর সংবাদ মাধ্যম আমাদের বিশ্ব দেখায় বা জানায়।

তিনি বলেন, একজন সাংবাদিকের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা। সে জন্য গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। সাংবাদিকদেরকে বলা হয় সমাজের ওয়াচডগ। এই দর্পণে প্রতিবিম্বিত হয় সমাজের প্রতিচিত্র। অন্যায়, অনিয়ম, নিগ্রহ, শোষণ-বঞ্চনা ও অধিকার হরণের বিরুদ্ধে একজন সাংবাদিককে সোচ্চার থাকতে হয় সবসময়। চোখ রাঙানোকে তোয়াক্কা না করে নির্ভীক ও নিরলসভাবে কাজ করতে হয়। প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার চিত্র প্রত্যক্ষ করতে হয়। মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরার দায়িত্ব পালন করতে হয়। অনেক বাধা বিপত্তির মধ্যে তাদের দিন যায়। ক্ষমতাধরদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব বলেন।

সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুরের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন  বিএফইউজে'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার, জামায়াতে ইসলামীর আমির প্রফেসর জামাল উদ্দিন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী জাবেদ সাবের, বিএফইউজে নেতা আবু হানিফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের হতে হবে সাহসী। কিন্তু রাষ্ট্রের সহযোগিতা না পেয়ে সাহসী সাংবাদিকতা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা অনেকটা বিলীন হতে চলেছে।

তিনি বলেন, কথায় কথায় সাংবাদিককে হত্যা করা হয়, নিগৃহীত করা হয়, ভয় দেখানো হয়। সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করতে, কাজ ব্যাহত করতে অহরহ দমন-পীড়ন চালানো হয়। পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া, রাজনৈতিক নেতাদের হুমকি, দুর্নীতিগ্রস্ত আমলাদের অত্যাচার, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের আক্রমণ- এ সবকিছু সাংবাদিকদের সহ্য করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। তার উপর রয়েছে নিপীড়নমূলক আইন। নানারকম হয়রানি এড়িয়ে যেতে সাংবাদিকরা যখন সেলফ সেন্সরশিপের আশ্রয় নেন, তখন গণমাধ্যম আর স্বাধীন থাকে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা প্রভাবশালী মহলের চাপে পড়ে সেলফ সেন্সরশিপ অবলম্বন করেন। অনেক সময় চাকরি হারানোর ভয়ে অফিসের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ বেশি, তাদের বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। এভাবে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা মারা পড়ছে।

বিশেষ করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী আইনের সদ্য বিলুপ্ত ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন সাংবাদিকরা মামলা হওয়ার পর নানা সময়ে জটিল বিষয়গুলোতে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে গেলে আগে নিজের বিপদ এড়ানোর কথা ভাবেন বার বার। ফলে অনেক সময় অনেক তথ্য জেনেও চুপ করে থাকেন। কেননা, বিপদে পড়লে অফিস বা নেতাদের কাছ থেকে খুব বেশি সমর্থন পাওয়া যায় না।

আরেকটা বিষয়ে না বললেই নয়, বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যম’ বিষয়টি কোনো অর্থ বহন করে না। কেননা, বাস্তবতা হলো এখানে সাংবাদিকরা সেলফ সেন্সর্ড। যে ক’জন সাংবাদিক এই পরিস্থিতির বাইরে থেকে পেশাদারত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করতে চান, তারা নানা হয়রানির শিকার হন। তাদের নিয়ন্ত্রণের যে প্রক্রিয়া সেটি তাকে সাহসী হতে বাধা দেয়।। মুদ্রার অন্য পীঠও আছে। সাংবাদিকতার বিনিময়ে কিছু প্রত্যাশা করলে সঠিক সাংবাদিকতা করা যায় না। সাংবাদিকতার সঙ্গে যু্ক্তরা যখন হয় কোনো কিছু প্রত্যাশা করেন, নানা হিসাব-নিকাশের মধ্যে পড়ে যান, তখন তিনি মুক্ত সাংবাদিকতা করতে পারবেন না। বিগত সরকারের সময় এই প্রবণতা বেড়েছে। সাংবাদিকদের প্লট, ফ্ল্যাট অর্থসহ নানান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের বিবেককে কিনে নেওয়া হয়েছিল। ফলে ওইসব সাংবাদিকরা সত্যিকারের সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে ক্ষমতামূখী সাংবাদিকতার দিকে ধাবিত হন। দালালি করে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যান। কোনো কোনো সাংবাদিকের একাউন্টে হাজার কোটি টাকা লেনদেনের খবর জাতিকে বিস্মিত করেছে। সঠিক সাংবাদিকতা ছেড়ে কিছু কিছু সাংবাদিক দলদাসে পরিণত হন। যার ফলে সাংবাদিকতার বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।

সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, সাংবাদিক কোনো দলের না, কারও স্বার্থের না, এমনকি দলমতের উর্ধ্বে থেকে সঠিক ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করবেন– এটাই প্রকৃত সাংবাদিকের কাজ।

মাহফুজ/

আশুলিয়ায় সংবাদকর্মীর ওপর হামলা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:১৯ এএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৭ পিএম
আশুলিয়ায় সংবাদকর্মীর ওপর হামলা
সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত সংবাদকর্মী সেলিম হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

সাভারের আশুলিয়ায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুতর আহত হয়েছেন একটি পত্রিকার সংবাদকর্মী সেলিম হোসেন। আহত অবস্থায় তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাত ৮টায় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। সেলিম হোসেন দৈনিক সংবাদ বাংলাদেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জানা যায়, ইফতারের সময় সড়কে যানজটের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি হামলার শিকার হন। তার সঙ্গে ছিলেন কালের পরিবর্তন পত্রিকার সুজন আহাম্মেদ এবং প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার শরিফুজ্জামান ফাহিম। তথ্য সংগ্রহ শেষে তারা চলে গেলেও সেলিম হোসেন চাঁদাবাজদের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে তাদের আক্রমণের শিকার হন। সন্ত্রাসীরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে এবং তার মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়।

এই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের মধ্যে জামগড়া এলাকার জহিরুল ইসলাম, খোকা ভূঁইয়া, রাকিব মোল্লা, মৃদুল, রিংকু, সাব্বির, রিপন, মিলনসহ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী আক্রমণকারীর নাম তালিকায় রয়েছে।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

ইমতিয়াজ/তাওফিক/ 

ফিরে পেল ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লারেশন

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
ফিরে পেল ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লারেশন
যায়যায়দিন

দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লারেশন ফিরে পেলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক শফিক রেহমান।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের সই করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।  

ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (প্রকাশনা ও ছাপাখানা শাখা) নুসরাত নওশীন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে প্রকাশের ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় এই দৈনিকের ডিক্লরেশন বাতিল করে সরকার।

দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকাটি প্রকাশের জন্য যে অনুমোদিত প্রেস রয়েছে সেখান থেকে ছাপা হচ্ছে না, কিন্তু প্রিন্টার্স লাইনে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে– এমন অভিযোগ এনেছিলেন শফিক রেহমান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার পর এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় যায়যায়দিন পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর নামে যে ঘোষণাপত্র ছিল তা বাতিল করা হয়।

জোবাইদা/ 

খবরের কাগজের চট্টগ্রাম অফিসে সংবাদপত্র বিক্রেতাদের নিয়ে ইফতার

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩২ এএম
আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ১০:০১ এএম
খবরের কাগজের চট্টগ্রাম অফিসে সংবাদপত্র বিক্রেতাদের নিয়ে ইফতার
খবরের কাগজের চট্টগ্রাম অফিসে ইফতার করলেন সংবাদপত্র বিক্রেতারা। ছবি: খবরের কাগজ

দৈনিক খবরের কাগজ চট্টগ্রাম অফিসের উদ্যোগে শহরে স্টলে সংবাদপত্র বিক্রেতাদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় পত্রিকার নিজস্ব অফিসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এ সময় খবরের কাগজের ব্যুরোপ্রধান এস এম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘দৈনিক খবরের কাগজ মুক্তচিন্তার একটি স্বাধীন দৈনিক। আমাদের পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্নের স্লোগানও এটি। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামাল পত্রিকাটির সম্পাদক। তার দক্ষ নেতৃত্বে এ পত্রিকাটি শুরু থেকেই নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে পাঠকের মন জয় করে আসছে। পত্রিকাটির কাগজ, ছাপা, লেখা ও মান অনেক সমৃদ্ধ। পাশাপাশি পত্রিকায় ‘চট্টগ্রামের খবর’ নামে প্রতিদিন আধা পৃষ্ঠার আলাদা বিভাগ রয়েছে।’ 

ব্যুরোপ্রধান আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের পত্রিকা বিক্রেতা এবং আমরা একই পরিবারের সদস্য। পত্রিকাটি পাঠকের হাতে তুলে দিতে বিক্রেতাদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এ জন্য আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। পত্রিকাটি এগিয়ে নিতে আপনাদের আরও সহযোগিতা চাই।’ এ সময় উপস্থিত পত্রিকা বিক্রেতারা সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান গণি, স্টল দোকানদারদের মধ্যে ছিলেন, নগরের আন্দরকিল্লা এলাকার মো. মনসুর, বহদ্দারহাট এলাকার লিটন দে ও মোরশেদ, চেরাগী পাহাড় এলাকার গণি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার মো. মান্নান, লালদীঘি এলাকার মো. ওসমান, নেভী হসপিটাল গেট এলাকার মো. কাদের, আগ্রাবাদ এলাকার কালাম, চকবাজার এলাকার জাভেদ, জিইসি মোড় এলাকার রাজীব দে প্রমুখ।