ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

ঈদসংখ্যা এখন বাজারে সর্বজনীন লেখকগোষ্ঠী তৈরি করতে চায় খবরের কাগজ

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
সর্বজনীন লেখকগোষ্ঠী তৈরি করতে চায় খবরের কাগজ
রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে খবরের কাগজ আয়োজিত লেখক প্রীতি সম্মিলন অনুষ্ঠানে পত্রিকার ঈদ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন (বাঁ থেকে) মাসুদুজ্জামান, ইফতেখারুল ইসলাম, শিহাব সরকার, মাসুদ আহমেদ, ইসহাক খান, আনজীর লিটন, শেলী সেনগুপ্তা, ফারুক হোসেন, খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল, মুহম্মদ নুরুল হুদা, আতা সরকার, মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন ও মনি হায়দার। ছবি: খবরের কাগজ

খবরের কাগজের এবারের ঈদ সংখ্যাটি সত্যিই ব্যতিক্রম! বাংলা কথাসাহিত্যে এখন যারা রাজত্ব করছেন, তাদের প্রায় সবার লেখাই ছাপা হয়েছে এতে। মোড়ক উল্টে ভেতরে যেতেই চোখে পড়ল ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর এক মননশীল প্রবন্ধ। প্রবন্ধ অধ্যায় পেরিয়ে যেতেই হরিশংকর জলদাসের উপন্যাস আর প্রিয় কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, নাসির আহমেদের কবিতা পাওয়া গেল। এবারের সংখ্যায় রয়েছে ভৌতিক গল্প, প্রকৃতিবিষয়ক লেখাও। 

সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বর্ণাঢ্য এক আয়োজনে প্রকাশিত হয়েছে খবরের কাগজের এবারের ঈদসংখ্যা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বই পড়তে এসে এক তরুণী অংশ নিয়েছিলেন এ আয়োজনে। ঈদসংখ্যার একটি কপি হাতে পেতে মিনিট দশেক চোখ বুলিয়ে গেলেন এ পাতায়, ও পাতায়। তারপর প্রিয় লেখকদের, প্রিয় কবিদের দেখাও মিলে গেল এই আয়োজনে এসে।

সোমবার বিকেলে খবরের কাগজের ‘লেখক প্রীতি সম্মিলনে’ এসেছিলেন প্রাবন্ধিক ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। উপস্থিত ছিলেন ঔপন্যাসিক ইসহাক খান, মাসুদ আহমেদ, রেজানুর রহমান, শাহনাজ মুন্নী, মনি হায়দার, আতা সরকার, মোহিত কামাল, দীপু মাহমুদ, ড. রকিবুল হাসান, সারওয়ার-উল-ইসলাম, স্বকৃত নোমান, মাসউদ আহমাদ, মোজাফফর হোসেন, শেলী সেনগুপ্তা। 

কবিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুহম্মদ নুরুল হুদা, শিহাব সরকার, মাসুদুজ্জামান, ফারুক মাহমুদ, নাসির আহমেদ, বিমল গুহ, সোহরাব হাসান, মিনার মনসুর, মারুফ রায়হান, গোলাম কিবরিয়া পিনু, মারুফুল ইসলাম, শিহাব শাহরিয়ার, তপন বাগচী, সেলিম মাহমুদ, ফারুক হোসেন, আনজীর লিটন। ভ্রমণ লেখক ইফতেখারুল ইসলাম, প্রকৃতিবিষয়ক লেখক মৃত্যুঞ্জয় রায়, চিত্রশিল্পী রেজা আসাদ আল হুদা অনুপমও যোগ দেন এই আয়োজনে। তাদের প্রত্যেকের লেখা প্রকাশিত হয়েছে এবারের ঈদসংখ্যায়। 

পুরো আয়োজন সঞ্চালনা করেন খবরের কাগজের কপি এডিটর মাসুদুজ্জামান। 

শুরুতে শাহনাজ মুন্নী বলেন, “আমি প্রতিবছর উপন্যাস লিখি। কিন্তু এবার যেটি লিখেছি খবরের কাগজের ঈদ সংখ্যায় সেটিকে আমি ‘নভেলা’ বলছি।” 

ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘চলতি সময়ে আমরা মুখে বলছি এক আর করছি আরেক। এই স্ববিরোধিতার কথা রয়েছে আমার প্রবন্ধে।’ রেজানুর রহমান তার বক্তব্যে খবরের কাগজকে একটি সাহিত্য সম্মেলন বা গল্প-উৎসব আয়োজন করার অনুরোধ জানান। 

কবি বিমল গুহ বলেন, ‘এ পৃথিবী, এই সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বাংলাদেশের লেখকরা সে জন্য লিখে চলেছেন।’
 
দীপু মাহমুদ বলেন, ‘খবরের কাগজের এবারের ঈদ সংখ্যাটি আমার জন্য বিশেষ কিছু। কারণ আমার শিক্ষক, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার স্যারের লেখার পরেই আমার লেখাটি ছাপা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, স্যার যেন আমাকে আদর করছেন।’ 

কবি শেলী সেনগুপ্তা বলেন, ‘আমি অন্তরালের মানুষ। আমার লেখা এর আগে অনেক ঈদসংখ্যায় ছাপা হয়েছে। কিন্তু কেউ আমাকে এমন করে ডেকে এনে ঈদসংখ্যাটি হাতে তুলে দেয়নি। এই স্মৃতি অম্লান থাকবে। এ উৎসাহে হয়তো আমি আরও কিছু লিখতে পারব।’

ছড়াকার ফারুক হোসেন বলেন, ‘বিভাজনের এ সময়ে কেবল অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ভয় আমাদের।’ এ সময়ে বেসপুক রাইটার এনভায়রমেন্টটা জাগিয়ে রেখেছেন মোস্তফা কামাল। এর মধ্য দিয়ে তো ভালো সৃষ্টি আসবে।’

খবরের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা লেখকদেরও আমাদের পরিবারের অংশ বলে মনে করি। অনেকে আছেন যাদের নিজস্ব লেখক গোষ্ঠী আছে, যাদের কাগজে ওই লেখকরা লেখেন ঘুরে-ফিরে। আমরা কোনো গোষ্ঠীবদ্ধ লেখক তৈরি করতে চাই না। আমরা চাই সার্বজনীন একটা লেখক গোষ্ঠী। যারা প্রকৃত লেখক তারা লিখবেন শুধু।’

সামাজিক অবক্ষয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে বড়দের প্রতি শ্রদ্ধার জায়গা ক্ষয়ে যাচ্ছে। সে জায়গাটা যদি আমরা পড়ার মধ্যে রাখতে পারি। আমার ইচ্ছা ছিল আমাদের পত্রিকায় সাহিত্যের জন্য চার পাতা বরাদ্দ রাখব। কিন্তু ১৬ পৃষ্ঠার পত্রিকায় অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয়।’

একজন লেখককে পূর্ণাঙ্গ কথাসাহিত্যিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়ায় সংবাদপত্রের ভূমিকার কথাও বলেন মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘লেখকগোষ্ঠী তৈরি হয় একটি পত্রিকার ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায়। ধারাবাহিকভাবে যদি একজন লেখককে গড়ে তোলা যায়, এর মানে তাকে লেখা দিতে বলা- একটা কবিতা দেন, একটা গল্প দেন, এইভাবে। পত্রিকার অফিস থেকে ফোন পেলে, একটু চাপ দিলে তার ভেতরে একটা অনুপ্রেরণা কাজ করে যে, আমাকে লেখা দিতে হবে।’ 

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সঞ্চালক মাসুদুজ্জামান খবরের কাগজের ঈদসংখ্যার সম্পাদনা টিমকে মঞ্চে ডেকে নেন। তার ডাকে মঞ্চে আসেন উপ সম্পাদক (সম্পাদকীয় ও সাহিত্য বিভাগ) ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন, ফিচার এডিটর খালেদ আহমেদ, সহকারী সম্পাদক ড. সারিয়া সুলতানা, হেড অব আর্ট অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ নিয়াজ চৌধুরী তুলি, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক শেহনাজ পূর্ণা ও সানজিদ সকাল, গ্রাফিকস বিভাগের নাজমুল মাসুম, মেহেদী হাসান।    

অনুষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক খালেদ ফারুকী, বার্তা সম্পাদক রোকেয়া রহমান, সিটি এডিটর আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিজিটাল মিডিয়া প্রধান কাজী গোলাম রাব্বানী, জিএম (মার্কেটিং) মাসুদুর রহমান, মানবসম্পদ ও প্রশাসন প্রধান মিন্টু ভূষণ রায় উপস্থিত ছিলেন। পুরো আয়োজন সমন্বয় করেন খবরের কাগজের ব্র্যান্ড ও ইভেন্ট প্রধান আতিয়া সুলতানা। 

৪৮০ পৃষ্ঠার খবরের কাগজের ঈদসংখ্যা আজ থেকে বাজারে পাওয়া যাবে। এর মূল্য ২৫০ টাকা। 

বিপিজেএ ভবনের একাংশ দখল ও ভাড়া দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম
বিপিজেএ ভবনের একাংশ দখল ও ভাড়া দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) মানববন্ধন। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) নামে বরাদ্দ দেওয়া ভবনের একাংশ অবৈধভাবে দখল ও ভাড়া দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সংগঠনটি।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) সদস্যরা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, কোষাধক্ষ্য আলমগীর হোসেন এবং বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহাসিন ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার এবং বিশিষ্ট আলোকচিত্র সাংবাদিক রফিকুর রহমানসহ বিপিজেএর সদস্যরা।

বিপিজেএ সভাপতি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দোসর আফরোজা হক ও তার বহিরাগত সহযোগী নিজামী গং বিপিজেএ–এর নামে সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেওয়া বাড়ির একাংশ জোরপূর্বক দখলে রেখে অবৈধভাবে ভাড়া আদায় করছেন। এছাড়াও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গত ২০ এপ্রিল রাতের আঁধারে উক্ত বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভবনের অবকাঠামো ভেঙে ফেলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় তলায় বসবাসকারী আফরোজা হক ও তার বহিরাগত সহযোগী নিজামী গং দের নিয়ে অবৈধভাবে চতুর্থ তলা নির্মাণ করেন এবং ভবনের তৃতীয় তলা ভাড়া দেন, যা সরকারি বরাদ্দ আইনে পরিপন্থী। এ কারণে তৃতীয় তলার বসবাসকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা ও বরাদ্দ বাতিলসহ উচ্ছেদের দাবি জানায় সংগঠনের নেতারা।

সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানার টানিয়ে অবৈধভাবে ভবনের দ্বিতীয় তলা তাদের কাছে ভাড়া দিয়েছে। পরবর্তীতে গত ২০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে রাতের আঁধারে দ্বিতীয় তালার অবকাঠামো হামার দিয়ে ভেঙে ফেলে। তখন নিচ তলায় অবস্থানরত ফটো সাংবাদিকরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। 

বিজ্ঞপ্তি/এমএ/

সনির আলোকচিত্রে বিপন্ন প্রকৃতি

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
সনির আলোকচিত্রে বিপন্ন প্রকৃতি
শিল্পকলা একাডেমিতে আলোকচিত্র পরিদর্শন করেছেন দর্শনার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় বিপন্ন প্রকৃতি ও পরিবেশের ছবি তুলে বেড়াচ্ছেন আলোকচিত্রী সাংবাদিক সনি রামানি। এক দশক ধরে আলোকচিত্রে তিনি তুলে ধরছেন পুরান ঢাকাবাসীর স্বাস্থ্যগত বিপর্যয় আর পরিবেশগত সংকট। তার তোলা সেসব ছবি নিয়ে শনিবার (১৯ এপ্রিল) থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার একটি গ্যালারিতে শুরু হয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘বিপন্ন প্রকৃতি ও পরিবেশ’। এটি তার প্রথম একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। 

এই প্রদর্শনীতে ৬০টিরও বেশি আলোকচিত্র এবং পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে একটি ভিডিও ইনস্টলেশন প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনীটি চারটি থিমে সাজানো হয়েছে। এগুলো হল ‘নীরব ঘাতক বায়ু দূষণ’, ‘জলাধারের মৃত্যু: নদী ও হ্রদের দূষণের ভয়াবহতা’, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা’, ‘হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ’। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত রাত ৮টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে।

আলোকচিত্র পরিদর্শন করছেন আনু মুহাম্মদ ও নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির। ছবি: খবরের কাগজ

সনি রামানি বলেন, ‘একজন ফটোসাংবাদিক হিসেবে আমি গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সামাজিক ও পরিবেশগত প্রেক্ষাপট নথিভুক্ত করেছি এবং ঢাকায় দূষণ ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের ভয়াবহ প্রভাব প্রত্যক্ষ করেছি। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমি এই গুরুতর ইস্যুগুলোকে চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই, যাতে টেকসই নগর উন্নয়ন ও পরিবেশ নীতিমালা নিয়ে সচেতনতা ও সংলাপ সৃষ্টি হয়।’

জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ

একুশে টেলিভিশনের রজতজয়ন্তী ১৪ এপ্রিল

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৭ পিএম
একুশে টেলিভিশনের রজতজয়ন্তী ১৪ এপ্রিল
একুশে টেলিভিশন (ইটিভি)

আগামীকাল ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ ও দেশের সংবাদভিত্তিক প্রথম বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (রজতজয়ন্তী)।

রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ইটিভিতে তিন দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়াও ১৪ এপ্রিল সারাদিন কারওয়ান বাজারের পেট্রোবাংলার সামনে দিনব্যাপী মেলা, কনসার্টসহ দেশজ সংস্কৃতির আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজন করা হয়েছে বর্ণিল র‍্যালির।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও সিইও আব্দুস সালাম বলেন, ‘২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল একুশের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। ২০০২ সালে ইটিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ ৫ বছর সংগ্রাম করে আমরা ফের অন-এয়ারে আসি ২০০৭ সালে। এরপর আবারও স্বৈরশাসকের রোষানলে পড়ে একুশে টেলিভিশন।’ 

তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সবার ভালোবাসা ও একুশের কর্মীদের অনুরোধে আমি আমার প্রতিষ্ঠানে আবার ফিরে আসি। ফিরে পাই একুশে টেলিভিশন।’

তিনি আরও বলেন, ‘একুশে টেলিভিশন ইতোমধ্যে আবারও তার বস্তুনিষ্ঠতা ও বৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনছে সংবাদে এবং অনুষ্ঠানে। টকশো, অনুসন্ধান, বিনোদনে নতুন নতুন চমক দিচ্ছে। সামনে আরও নতুন পরিকল্পনা আছে সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’

সালমান/

দুষ্কৃতকারীদের হামলায় আহত খবরের কাগজের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৮ এএম
আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫২ এএম
দুষ্কৃতকারীদের হামলায় আহত খবরের কাগজের প্রতিবেদক
খবরের কাগজ পত্রিকার ভাঙচুর করা গাড়ি। ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খবরের কাগজের ডিজিটাল টিমের সদস্যদের ওপর হামলা করেছে একদল দুষ্কৃতকারী। এতে আহত হয়েছেন প্রতিবেদক মো. রাকিব আলী এবং গাড়িচালক মোহাম্মদ রিপন মীর। এ সময় ভাঙচুর করা হয় তাদের বহনকারী গাড়িটি। 

বুধবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এফডিসি গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদ সংগ্রহ শেষে খবরের কাগজের ডিজিটাল টিমের প্রতিবেদক ও ক্যামেরাপারসন যখন গাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাদের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতকারীরা। তার আগে কারওয়ান বাজার রেললাইনের কাছে দুষ্কৃতকারীরা এক বৃদ্ধাকে ছুরিকাঘাত করছিল। এ অবস্থায় ক্যামেরা দেখে দুষ্কৃতকারীরা খবরের কাগজের ডিজিটাল টিমের সদস্যদের ওপর হামলা চালায় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। 

এ সময় দুষ্কৃতকারীরা খবরের কাগজের প্রতিবেদক মো. রাকিব আলীর ওপর চড়াও হয়। তাকে রক্ষার চেষ্টা করলে গাড়িচালক মোহাম্মদ রিপন মীর ছুরিকাঘাত ও মারধরের শিকার হন। দুষ্কৃতকারীরা খবরের কাগজের গাড়ি ভাঙচুর করে। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।

সত্য প্রকাশই হোক গণমাধ্যমের একমাত্র অঙ্গিকার: কাদের গনি চৌধুরী

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
সত্য প্রকাশই হোক গণমাধ্যমের একমাত্র অঙ্গিকার: কাদের গনি চৌধুরী
কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সত্য প্রকাশই হোক গণমাধ্যমের একমাত্র অঙ্গীকার। তিনি বলেন, গত ১৬ বছর গণমাধ্যম সত্য প্রকাশ করতে পারেনি। এখন ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, সত্য লিখতে আর বাধা নেই। এখন দরকার আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন।

রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।

সাংবাদিক কামাল হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন। বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল ইসলাম হেলালি, এসএম আমিনুল হক চৌধুরী, আতাহার ইকবাল, মমতাজ উদ্দিন বাহারি, আবু সিদ্দিক ওসমানি, শামসুল হক শারক ও এম আর মাহবুব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এসএম জাফর।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে সত্যের আরাধনা। তাই সাংবাদিকতা হতে হয় শতভাগ সত্য। সত্য ও মিথ্যার সংমিশ্রণে সাংবাদিকতা হয় না। একশতে একশ না পেলে যেমন দেশপ্রেমিক হওয়া যায় না, তেমনি শতভাগ সত্য না হলে নিউজ হয় না।

আমাদের মনে রাখতে হবে, সাংবাদিকের দায়িত্ব হচ্ছে সত্য উদঘাটন ও সত্যের বিকাশ ঘটানো। একজন সাংবাদিককে আত্ম সচেতনতার মাধ্যমে পেশার দায়িত্ব ও নির্দেশনা মেনে চলা আবশ্যক। তবেই দেশ ও দেশের মানুষের সেবা নিশ্চিত হবে। সাংবাদিকতার সঙ্গে যারা যুক্ত—প্রতিবেদক থেকে সম্পাদক—তাদের অবশ্যই কতগুলো মৌলিক দায়িত্ব আছে, যেগুলো এড়িয়ে গিয়ে সাংবাদিকতা করা সম্ভব নয়; অন্যার্থে সাংবাদিকতার নীতিমালার ভিত্তিগত কিছু বিষয় আছে, যা সর্বজনীন এবং দায়িত্বনির্বিশেষে সবার জন্য প্রযোজ্য। সাংবাদিকতার প্রথম বাধ্যবাধকতা বা দায়িত্ব হচ্ছে সত্যের প্রতি। বিল কোভাচ ও টম রোসেন্টিয়েল দ্য এলিমেন্টস অব জার্নালিজম গ্রন্থে একে বলেছেন ‘আ প্র্যাকটিক্যাল অ্যান্ড ফাংশনাল ফর্ম অব ট্রুথ’—বাস্তব এবং কার্যকর সত্য। এ সত্যের ভিত্তি হচ্ছে পেশাদারিভাবে তথ্য-উপাত্ত ও ঘটনার বিবরণ সংগ্রহ এবং তা যাচাই করা। সাংবাদিকতা আসলে কেবল তথ্য-উপাত্ত ও ঘটনার বিবরণ সংগ্রহের পেশা নয়; এটির ভিত্তি হচ্ছে তথ্য যাচাই করাও। ইংরেজিতে যাকে বলে ভেরিফিকেশন, একে আমরা সত্য প্রতিপাদন বলে বর্ণনা করতে পারি।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের চাকরির ঝুঁকি, জীবনের ঝুঁকিসহ নানা ঝুঁকি নিতে হয়। সাংবাদিকরা এই ঝুঁকি না নিলে সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে কীভাবে? অসহায় আত্নসমর্পণ সাংবাদিকদের মানায় না। বিগত সরকারের সময় আমাদের সাংবাদিকদের বিরাট অংশকে আমরা অসহায় আত্মসমর্পণ করতে দেখেছি সেল্ফ সেন্সরশিপের মাধ্যমে। মনে রাখবেন সত্য প্রকাশে বাধা ও বিপদের সম্মুখীন হলেও সমাজের সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়ায়।

সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, জীবনে কোনো ক্ষেত্রে মিথ্যার সঙ্গে আপস করা চলবে না।তাহলে সাংবাদিকতা হবে না। সত্যের তরে দৈত্যের সঙ্গে লড়াই করাই সাংবাদিকতা। সত্য প্রকাশই হতে হবে গণমাধ্যমের একমাত্র অঙ্গীকার।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন,সাংবাদিকতা হচ্ছে সবচেয়ে জীবন্তু ও আধুনিক পেশা। বুদ্ধিবৃত্তিক পেশা, সাংবাদিকতা কখনই মূর্খজনের পেশা নয়, পেশা হিসেবেই সাংবাদিকতা বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের পেশা। যে মানুষ অতীতকে ধারণ করে বর্তমানের সঙ্গে তা মিলিয়ে ভবিষ্যতের নির্দেশনা দিতে না পারেন, ভাষায়-ব্যাখ্যায়-উপস্থাপনায় যিনি মেধার ছোঁয়া না বুলাতে পারেন, তিনি আর যা-ই হোন সাংবাদিক হতে পারেন না। কিছু মৌলিক কাঠামোই সাংবাদিকতাকে আধুনিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পেশার শক্ত ভিত্তি দিয়েছে। সাংবাদিকতাকে দাঁড়াতে হয় এই মৌলিক ভিত্তির ওপর।। একটি সমাজে মত প্রকাশের স্বাধীনতাটি যদি নিশ্চিত না থাকে, সমাজটি যদি চিন্তা ওবিবেকের জন্য খোলা প্রান্তর অবারিত করতে না পারে, সেই সমাজে স্বাধীন বা মুক্ত সাংবাদিকতা বিকশিত হতে পারে না। সাহসী ও  বুদ্ধিবৃত্তিক সাংবাদিকতার ভিতও দৃঢ় হয় না।

তিনি বলেন, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলি কিন্তু নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতার কথা বলি না। আজকাল প্রায়শই সংবাদ মাধ্যম বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতা ও নৈতিকতার বিষয়টি উচ্চারিত হয় জোরেসোরে।

সংবাদ মাধ্যমের প্রথাগত দায়িত্বটি মানুষকে তথ্য জানানো, সেই তথ্য জানানোর মধ্য দিয়েই মানুষকে শিক্ষিত ও সচেতন করে তোলা, তথ্য এবং আলোচনার মাধ্যমে বিনোদন দেওয়া এবং সময়ের প্রয়োজনে মানুষকে উদ্দীপ্ত করে তোলা।