ঢাকা ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
English

সাংবাদিক নেতাদের বিবৃতি নোয়াবের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের সঙ্গে চরম নিষ্ঠুরতা

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১১:০৪ এএম
নোয়াবের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের সঙ্গে চরম নিষ্ঠুরতা
ঈদুল ফিতরের ছুটির বিষয়ে নোয়াবের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সাংবাদিক সংগঠনগুলো। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ‘নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সংবাদপত্রে তিন দিন বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি)।

বুধবার (২৬ মার্চ) বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আহসান সোহেল, ইআরএফের সভাপতি দৌলত আখতার মালা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এবং ডিএসইসির সভাপতি মোক্তাদির অনীক ও সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন। এতে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো নোয়াবের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে ঈদের ছুটি বৃদ্ধির দাবি জানান। কিন্তু নোয়াব এখনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করায় ও সাংবাদিকদের দাবি আমলে না নেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ এবং নিন্দা জানানো হয়েছে। 

এর আগে নোয়াবের ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ ও ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল ছুটি থাকবে। তবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতর ১ এপ্রিল হলে সে ক্ষেত্রে পরদিন ২ এপ্রিল সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে।

নোয়াবের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, এবার ঈদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘ ছুটি পাচ্ছেন। ঈদে টানা পাঁচ দিন সরকারি ছুটির সঙ্গে এবার আগে-পরে মিলছে স্বাধীনতা দিবস, শবেকদর ও সাপ্তাহিক ছুটি। সবকিছু মিলিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মার্চের শেষ সপ্তাহ ও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ যাবে ছুটির মধ্যে। অথচ সংবাদকর্মীদের কথা বিবেচনায় না নিয়ে নোয়াবের মাত্র ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা চরম নিষ্ঠুরতা ছাড়া কিছু নয়। আমরা নোয়াবের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ছুটি বৃদ্ধির দাবি করছি। কারণ, সারা জাতি যখন বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন নোয়াব গণমাধ্যমকর্মীদের নতুন কর বৈষম্যের দিকে ঠেলে দেওয়া অমানবিক নিষ্ঠুরতা বৈ কিছু নয়। সাংবাদিক সমাজের যৌক্তিক দাবিকে আমলে নিয়ে ছুটি বৃদ্ধির পুনঃদাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।

বিজাতীয় সংস্কৃতিকে ছুঁড়ে ফেলে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে: কাদের গনি চৌধুরী

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
আপডেট: ২৩ মে ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
বিজাতীয় সংস্কৃতিকে ছুঁড়ে ফেলে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে: কাদের গনি চৌধুরী
শিল্পকলা একাডেমিতে কাদের গনি চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সংস্কৃতি একটি জাতির পরিচিতির মৌলিক উপাদান। এর মাধ্যমে কোনো জাতির জাতিসত্তা আলাদারূপে প্রস্ফুটিত হয়। তাই সংস্কৃতিকে বলা হয়, একটি সমাজের আয়না। কিন্তু সেই আয়নায় সমাজের চিত্র না ফুটে সমাজের বিপরীত কিছু যদি ফুটে ওঠে, তবে সমাজের অসঙ্গতি দেখা দেবে।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শিশু কিশোর সংগঠন ‘আমরা কুঁড়ি’র ৩৪ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ বলেন।

তিনি বলেন, অপসংস্কৃতি মানুষকে কলুষিত করে এবং জীবনের সৌন্দর্যের বিকাশকে স্তব্ধ করে দিয়ে শ্রীহীনতার দিকে ঠেলে দেয়। কোনো জাতির স্বকীয়তা, জাতীয়তা, সামাজিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ তার সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। তেমনি সংস্কৃতিতে বিজাতীয় আগ্রাসন একটি জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়। জাতির উন্নয়নে শিক্ষা আমদানি করা যায় বটে, কিন্তু সংস্কৃতি আমদানি করলে জাতিসত্তা হারিয়ে যায়।

কাদের গনি বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ; যাদের সংস্কৃতির আছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। যুগে যুগে এই দেশের সংস্কৃতি হয়েছে সমৃদ্ধ। অথচ গত কয়েক বছর ধরে এই দেশের সংস্কৃতিতে বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন চোখে পড়ার মতো। এই আগ্রাসন এতোটাই ভয়াবহ হয়ে উঠছে যে, দেশীয় সংস্কৃতিকে ভুলে যাচ্ছে অনেকে।

'অনেকে বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেতাদের না জানলেও ভারতীয় অভিনেতা ও চলচ্চিত্রের নাম পরিচয় মুখস্থ। যেসব ছেলেরা রিয়াদ, মান্না, শাকিবদের নাম জানে না- তারা অনায়াসেই বলতে পারবে সালমান, শাহরুখ, আমির খানদের ইতিহাস। যেখানে দেশীয় চলচ্চিত্র নির্মাতারা লোকসান দিয়ে চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যেতে চাইছে, সেখানে বিদেশিরা এই দেশের হলগুলোতে তাদের চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যাবসা করতে চাইছে। কারণ, তারা জানে এই দেশের হলগুলোতে দেশীয় চলচ্চিত্রের দর্শক না থাকলেও বিদেশি চলচ্চিত্রের দর্শকের অভাব হবে না।'

তিনি আরও বলেন, এই দেশের ছেলেরা বাংলা গান না শুনলেও, হিন্দি কিংবা ইংরেজি গায়কদের ইতিহাসও জানে। তবে বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনটা সবচাইতে ভয়াবহ হচ্ছে নারীদের ক্ষেত্রে। এদের ওপর সবচাইতে বেশি আগ্রাসন চালাচ্ছে ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার গোল্ড, স্টার প্লাস, জি বাংলা, সনি আর্ট ইত্যাদি। এই চ্যানেলগুলোর সিরিয়ালের প্রতি এরা এতোটাই আকৃষ্ট যে, এইসব নারীদের সন্তান, স্বামী কিংবা অন্য যে কোন আপনজনরা অসুস্থ হয়ে কাতরায়, তবু এরা স্টার জলসা, জি বাংলা সিরিয়াল ছেড়ে উঠে আসতে চায় না।

কাদের গনি উল্লেখ করেন, আরেকটা বিষয়ে না বললেই নয়, সংগীতের বিশ্বায়নের নামে বাংলাদেশের অনেক মিডিয়ায় বিদেশি গানগুলো প্রচার করছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় শিল্পীদের বাদ দিয়ে বিদেশি শিল্পীদের দেশে এনে অনুষ্ঠান করার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। আমার বলতে দ্বিধা নেই যে, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রভাবে দেশীয় সংস্কৃতিতে আজ মহাবিপর্যয় নেমে এসেছে। আমাদের ঐতিহ্যবাহী সুরসম্ভার হারিয়ে গেছে ইংরেজি আর হিন্দি সঙ্গীতের প্রভাবে। আজ বাংলাদেশের কোথাও বাংলা সঙ্গীত শোনা যায় না, সবখানে হিন্দি আর ইংরেজি দখল করে নিয়েছে।

এই সাংবাদিক নেতা বলেন, এক সময় পোশাক পরিচ্ছদে আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ছিল। কিন্তু সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে তা আজ হারিয়ে গেছে। বিদেশি সংস্কৃতিক ব্যাপক প্রসার ও চর্চা আমাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিচ্ছদে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। আমাদের তরুণ সমাজ আজ অপসংস্কৃতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। পশ্চিমা বিশ্বের জীবনাচরণকে মডেল বা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করছে। ছেঁড়া প্যান্ট, চুলের অদ্ভুত কাটিং, অস্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গিকে তথাকথিত আধুনিক হিসেবে জাহির করছে। আমাদের মেয়েদের অনেকেই স্বল্পবসনকে আধুনিক জীবনের নমুনা বলে মনে করে এর প্রতি চরম আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে।

কাদের গনি বলেন, শিক্ষার একটা সংস্কৃতি আছে। শিক্ষার সংস্কৃতির নিহিত চাহিদা হলো মুক্ত পরিবেশ, অংশগ্রহণের অবাধ সুযোগ, প্রকাশের স্বাধীনতা। শিশুদের মেধা ও মনণের বিকাশে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। শিশুদের শুধু পাঠ্য বইয়ের মধ্যে সীমাবন্ধ রাখবেন না। তাদের জন্য অবশ্যই খেলাধুলা, বিনোদন এবং সংস্কৃতি চর্চার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এতে শিশু সামাজিক হবে এবং সহনশীল হতে শিখবে। দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে ছোটবেলা থেকেই। না হয় বড় হয়ে নিজেদেরই সন্তানদের জন্য বিপাকে পড়তে হবে।

'আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তারাই আগামী দিনে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় তারাই নেতৃত্ব দেবে। জ্ঞানচর্চা ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে তুলবে সবার জন্য কল্যাণকর নতুন বিশ্ব। তাই শিশুদের প্রতি আমাদের বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া উচিত। তারা যেন সৃজনশীল, মননশীল ও মুক্তমনের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিশ্বের প্রতিটি মানুষের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিশু সুরক্ষার জন্য কার কী দায়িত্ব, তা নির্ধারণ করে দিয়ে এই দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় পরিবার, স্কুল, মিডিয়া এবং সামাজিক সংগঠনগুলো শিশু সুরক্ষার জন্য প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ড ও ইতিবাচক চর্চাগুলো নিশ্চিত করে।'

তিনি বলেন, একদিকে আমাদের সন্তানরা আছে দুধে ভাতে। ভালো কাপড় পরিধান করছে, ভালো খাচ্ছে, ভালো স্কুলে যাচ্ছে। অন্যদিকে অসংখ্য বাংলা মায়ের সন্তানকে দেখি পথশিশু বা টোকাই নামে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে। আমার সন্তান থাকবে দুধে-ভাতে আর অন্যের সন্তান থাকবে ফুটপাতে এটা বন্ধ করতে হবে। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের জেগে উঠতে হবে।

 

সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের একটি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১০:২২ পিএম
সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের একটি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর একটি ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ। ওই ধারা স্থগিত করে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে পরিষদ।

মঙ্গলবার (২০ মে) সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ ও দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১২ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১১ মে ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর গেজেট প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রকাশিত গেজেটে দেখা যায় যে অধ্যাদেশে একটি ধারা যুক্ত হয়েছে। ২০০৯ সালের ১৬ নম্বর আইনের ধারা ২০-এর (খ) উপধারা (১)-এর দফা (ঙ)তে বলা হয়েছে, ‘উক্ত সত্তা কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যেকোনো প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসমক্ষে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করিবে।’

সম্পাদক পরিষদ বলছে, অধ্যাদেশটির নতুন ধারার প্রয়োগ দেশের মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের অধিকারের ব্যাপকতাকে সীমিত করতে পারে, যা উদ্বেগজনক এবং সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শঙ্কা সৃষ্টি করবে। অপব্যবহারের সুযোগ থাকে, অধ্যাদেশে এমন একটি ধারার সংযোজন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে কাম্য নয়। ধারাটি পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

আমরা প্রজাতন্ত্রের এমন চাকর, যে মালিককে শাস্তি দিতে পারি: সাংবাদিককে ইউএনও

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ১০:১৭ পিএম
আপডেট: ১৯ মে ২০২৫, ১০:২১ পিএম
আমরা প্রজাতন্ত্রের এমন চাকর, যে মালিককে শাস্তি দিতে পারি: সাংবাদিককে ইউএনও
ছবি: সংগৃহীত

‘আমি কারও ফোন ধরাতে বাধ্য না। আমাকে চিঠি দিতে হবে। আমরা প্রজাতন্ত্রের এমন চাকর যে মালিককে জেলে ভরে দিতে পারি।’

কালের কণ্ঠের পটুয়াখালী প্রতিনিধি এবং বাউফল উপজেলার দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এ এইচ এম শহীদুল হককে (এমরান হাসান সোহেল) এভাবেই হুমকি দিয়েছেন বলে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।  

সোমবার (১৯ মে) বাউফল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রুমে এ ঘটনা ঘটে। 

সোমবার বিদ্যালয়টির দুর্নীতি দমন কমিশন পটুয়াখালী কার্যালয় ও বাউফল দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির আয়োজন ও বাস্তবায়নে স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড ছিল।

ওই কমিটির সভাপতি জানান, এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে প্রথম যাওয়া হয়। কিন্তু তিনি অফিসে ছিলেন না। এরপর শনি ও রবিবার একইভাবে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রতিরোধ কমিটির লোকজন তার কার্যালয়ে গেলে তখনও তাকে পাওয়া যায়নি। ওই তিনদিনই কমিটির সভাপতি তাকে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সর্বশেষ রবিবার সন্ধ্যার পর তাকে ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এদিকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম তাকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি অনুষ্ঠানে এসেই চটে যান।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে বিতর্ক প্রতিযোগিতার শেষ পর্বে অংশ নিতে ওই বিদ্যালয়ে আসেন ইউএনও। এ সময় তাকে দাওয়াত না দেওয়ায় কৈফিয়ত তলব করলে প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাকে বলেন, একাধিক বার অফিসে গিয়ে আপনাকে পাইনি। এমনকি আপনাকে ফোন করেছি আপনি রিসিভ করেননি। এতে হঠাৎ করে ইএনও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।

এ বিষয়ে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, ‘আমার কাছে এব্যপারে কোন তথ্য এখনও আসেনি। তথ্য পেলে মন্তব্য করতে পারব।’

মিলন/সুমন/

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ছবি: সংগৃহীত

মহান ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যে গান, সেই গানের রচয়িতা লেখক-সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২২ সালে আজকের এই দিনে তিনি লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়া গ্রামে।

তার পেশাগত জীবন শুরু হয় ১৯৪৭ সালে। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা দুর্গা মোহন সেন সম্পাদিত কংগ্রেস হিতৈষী পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি নিয়মিত গল্পও লিখতেন তিনি। ১৯৪৯ সালে সওগাত পত্রিকায় তার প্রথম গল্প ছাপা হয়।

১৯৫৩ সালে মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের মাসিক সওগাত পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হন গাফ্ফার চৌধুরী। এ সময় তিনি মাসিক নকীব সম্পাদনা করেন। পরে দিলরুবা হয়ে ১৯৫৬ সালে যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাকে। তিনি এই পত্রিকার সহকারী সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন। ওই বছরই তিনি প্যারামাউন্ট প্রেসের সাহিত্য পত্রিকা মেঘনার সম্পাদক হন। ১৯৫৮ সালে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার রাজনৈতিক পত্রিকা চাবুক সম্পাদনার দায়িত্ব পান। কিন্তু কিছুদিন পর সামরিক শাসন জারি হলে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়। 

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী এরপর দৈনিক আজাদ, মাসিক মোহাম্মদী, জেহাদ, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, দৈনিক আওয়াজ ও যুগান্তর পত্রিকায় কাজ করেছেন। মাঝে একবার ইত্তেফাকে ফিরে এলেও ১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারি ইত্তেফাকের সম্পাদক মানিক মিয়া মারা গেলে তিনি আগস্ট মাসে হামিদুল হক চৌধুরীর অবজারভার গ্রুপের দৈনিক পূর্বদেশ-এ যোগ দেন।

১৯৭৪ সালে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী লন্ডনের বাসিন্দা হন। সেখানে নতুন দিন নামে একটি বাংলা পত্রিকা প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে প্রবাস থেকে বাংলাদেশের নানা পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তিনি পলাশী থেকে ধানমন্ডি নামে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। 

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী খ্যাতিমান হয়ে আছেন তার সাহিত্যকর্ম, সাংবাদিকতা আর সেই অবিস্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা হিসেবে।

২০০৯ সালে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী স্বাধীনতা পদক অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং একুশে পদক পেয়েছেন।

বিপিজেএ সিলেটের সভাপতি পাভেল-সা.সম্পাদক রাব্বী

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মে ২০২৫, ১০:৫১ এএম
বিপিজেএ সিলেটের সভাপতি পাভেল-সা.সম্পাদক রাব্বী
বিপিজেএ সিলেটের সভাপতি পাভেল-সা.সম্পাদক রাব্বী

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির (২০২৫-২০২৭) সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে নাজমুল কবির পাভেল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আশকার ইবনে আমিন লস্কর রাব্বী জয়ী হয়েছেন।

শনিবার (১৭ মে) নগরীর লামাবাজারে একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে বিজেপিএ’র দ্বি বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেটে এই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে এবারই প্রথম ব্যালেটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

বিপিজেএ সিলেটের নির্বাচনে শতভাগ ভোট প্রয়োগ করেন ভোটাররা। সভাপতি পদে নাজমুল কবির পাবেল নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন দুলাল হোসেন। সাধারণ সম্পাদক পদে আশকার ইবনে আমিন লস্কর রাব্বী জয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম।

বিপিজেএ নির্বাচনের আগে সিলেট বিভাগীয় কমিটির দ্বি বার্ষিক ২০২৩-২০২৫ সনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলামের পরিচালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় কোষাধ্যক্ষের প্রতিবেদন পেশ করেন মাহমুদ হোসেন।

এদিকে নির্বাচনে সহসভাপতি (১) পদে হুমায়ুন কবির লিটন এবং সহসভাপতি (২) শেখ আব্দুল মজিদ নির্বাচিত হন। তাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মো. নুরুল ইসলাম ও শাহ মো. কয়েস আহমদ। কোষাধ্যক্ষ পদে জাবেদ আহমদ নির্বাচিত হন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মো. শাহীন আহমদ। এছাড়াও সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে এসএম রফিকুল ইসলাম সুজন, প্রচার ও প্রকাশনা পদে আনোয়ার হোসেন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রেজা রুবেল এবং নির্বাহী সদস্য পদে আজমল আলী একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হোন।

নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈন উদ্দিন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। 

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, সিলেট প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি খালেদ আহমদ, অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতাউর রহমান আতা, আফতাব উদ্দিন, কামাল উদ্দিন আহমদ, ফয়সল আহমদ বাবলু ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত আব্দুস সালাম টিপু।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মামুন হাসান, শেখ আশরাফুল আলম নাসির, ইকবাল মুন্সি, আনিস মাহমুদ, পল্লব ভট্টাচার্য, সুব্রত দাস, আব্দুল খালিক, এইচ এম শহীদুল ইসলাম, একরাম হোসেন, মামুন হোসেন, সহযোগি সদস্য আনিস রহমান, বেলায়েত হোসেন, বিলকিছ আক্তার সুমি, রত্না আহমদ তামান্না, শিপন আহমদ প্রমুখ।

অমিয়/