ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

সাংবাদিক পরিচয়ে গেস্টহাউজে তল্লাশি, যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১০:০৯ এএম
সাংবাদিক পরিচয়ে গেস্টহাউজে তল্লাশি, যুবক গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে একটি গেস্টহাউজে তল্লাশি,  চাঁদাবাজি ও ফেসবুক আইডিতে অভিযান হিসেবে উল্লেখ করে পোস্ট করার ঘটনায় এম হান্নান রহিম তালুকদার নামে কথিত এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।

সোমবার (১৬ জুন) রাত ১০টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ওই ব্যক্তি কথিত একটি অনলাইন টিভির বুম নিয়ে বহদ্দারহাট এলাকায় এক গেস্টহাউজে তল্লাশি চালায়। যা নিজের আইডিতে অভিযান উল্লেখ করে পোস্ট করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সোমবার দিনভর চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সমালোচনা তৈরি হয়। 

গ্রেপ্তার হান্নান রহিম তালুকদার চট্টগ্রামের আনোয়ারার পরৈকোড়া ইউনিয়নের মাহাতা গ্রামের হাজী মফজল আহমদের ছেলে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতার বলেন, বহদ্দারহাট এলাকায় একটি গেস্টহাউজে সাংবাদিক পরিচয়ে তল্লাশি চালিয়ে রুমে রুমে অতিথিদের পরিচয় চান ওই যুবক। এমনকি যুগলদের কাছে বিয়ের কাবিননামা চান তিনি। চাঁদাবাজির অভিযোগে হান্নান রহিম তালুকদার নামের ওই কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গেস্টহাউজের স্টাফ জাকির হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এরপর রাত ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে মঙ্গলবার সকালে আদালতে হাজির করা হবে।

গ্রেপ্তার হান্নান রহিমের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় দ্রুত বিচার আইনে এবং চান্দগাঁও থানায় ২০১৭ সালে একটি চুরির মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জুন রাত ১১টার দিকে হান্নান রহিম তালুকদারসহ কয়েকজন অপরাধী এক হয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া পপুলার গেস্ট হাউজে তল্লাশি চালান। হান্নান রহিম তালুকদার ওই তল্লাশির ১৫ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও নিজের ফেসবুকে আপলোড দেন। 

ভিডিওতে দেখা যায়, হান্নান রহিম নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গেস্ট হাউসের কক্ষে কক্ষে গিয়ে অতিথিদের পরিচয় জানতে চান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ভিডিওটি প্রকাশের পর তা দ্রুত ভাইরাল হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। ফেসবুক আইডিতে হান্নানকে নিজেকে চট্টগ্রাম সংবাদ-এর সম্পাদক ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য দাবি করেন।

তবে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এই নামে কোনো সদস্য নেই এবং হান্নান রহিমের সঙ্গে প্রেস ক্লাবের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানানো হয়।

প্রেস ক্লাবের নেতারা জানান, প্রেস ক্লাবের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি কোনো অপকর্ম করে তাকে আইনের কাছে সোপর্দ করুন। 

অমিয়/

গণমাধ্যমকে হুমকির প্রতিবাদ ও সাংবাদিকদের জামিন দাবিতে অর্ধশতাধিক সাংবাদিকের বিবৃতি

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
গণমাধ্যমকে হুমকির প্রতিবাদ ও সাংবাদিকদের জামিন দাবিতে অর্ধশতাধিক সাংবাদিকের বিবৃতি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমকে হুমকি, কারাবন্দি সাংবাদিকদের জামিনের দাবি ও সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত অর্ধশতাধিক সাংবাদিক। 

সোমবার (৭ জুলাই) ৫১ জন সাংবাদিকের সাক্ষরিত এ বিবৃতিতে সাংবাদিকদের নামে হত্যা মামলা, চাকরিচ্যুতি, সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ১১ মাস ধরে তালাবদ্ধ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) কার্যালয় খুলে দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। 

গণমাধ্যমে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন বেঙ্গল নিউজ টোয়েন্টিফোরের সম্পাদক তৈমুর ফারুক তুষার।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আমরা বাংলাদেশের শীর্ষ সাংবাদিক সংগঠনগুলোর বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, দেশ এখন মব সন্ত্রাসের কাছে জিম্মি।

গণমাধ্যমও এই জিম্মি দশার বাইরে নয়। সাংবাদিকদের নামে হত্যামামলা, চাকরিচ্যুতি, সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে হামলা, সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের মতো ঘটনাগুলোর কারণে সাংবাদিক সমাজ এক ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। দেশের একাধিক শীর্ষ সংবাদপত্রের কার্যালয়ের সামনে মব সন্ত্রাসীরা গরু জবাই করে জিয়াফতের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে চিহ্নিত মব সন্ত্রাসীরা এসব ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। ফলে এটি ধারণা করা অমূলক নয় যে, ক্ষমতাধর কোনো মহল এসবে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে।

দেশি বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং অধিকার কর্মীদের দাবি অনুসারে, গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গত ১১ মাসে সারা দেশে ঢালাও হত্যা মামলা-সহ নানা হয়রানিমূলক মামলার আসামি হয়েছে অন্তত ৪১২ জন সাংবাদিককে। গ্রেপ্তার করা হয় ৩৯ জন সাংবাদিককে। ১৬৮ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। জাতীয় প্রেসক্লাবসহ সারা দেশের প্রেসক্লাবগুলো থেকে ১০১ জন সাংবাদিকের সদস্যপদ স্থগিত, বাতিল কিংবা বহিষ্কার করা হয়েছে। বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছেন তিন শতাধিক সাংবাদিক। শতাধিক সাংবাদিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। গত ১১ মাসে সহস্রাধিক সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো দখল করা হয়েছে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) কার্যালয় ১১ মাস ধরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

দেশের প্রত্যেক নাগরিকের আইনি প্রতিকার বা জামিন পাওয়ার অধিকার রযেছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কারাগারে বন্দি সাংবাদিকরা সে অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিনা বিচারে মাসের পর মাস কারাবন্দি আছেন সাংবাদিকরা। এগুলো মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা আশা করেছিলাম, অন্তর্বর্তী সরকার দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে এই মব সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে আনবে, গণমাধ্যম কর্মীদের নানা ট্যাগ দিয়ে জুলুম, হয়রানির শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করবে, চাকরির সুরক্ষা দেবে। যাতে করে সাংবাদিকরা নির্ভয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে পারেন। কিছু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি ঘটছে না। ফলে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

আমরা সব সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার, সাংবাদিক হয়রানির নিন্দা এবং কারাবন্দি সাংবাদিকদের জামিনের দাবি জানাই। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ করুন। গণমাধ্যমকে যারা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে, ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে সাংবাদিকদের কণ্ঠ থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা পরিহার করুন।’’

 

সাংবাদিকদের মিলনমেলায় রঙিন ছিল ডিএসইসির ফ্যামিলি ডে

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
সাংবাদিকদের মিলনমেলায় রঙিন ছিল ডিএসইসির ফ্যামিলি ডে
ছবি: সংগৃহীত

বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) বহুল প্রতীক্ষিত বার্ষিক আয়োজন ফ্যামিলি ডে ২০২৫।

রবিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটি উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন।

ডিএসইসি সভাপতি মুকতাদির অনিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান এবং ফ্যামিলি ডে’র আহ্বায়ক, সংগঠনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাহিদ হাসান।

সকালের নাস্তা দিয়ে শুরু হওয়া এ আয়োজনে দিনব্যাপী ডিএসইসি সদস্য ও তাদের পরিবারের সরব উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠান। মধ্যাহ্নভোজ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানে বাড়তি মাত্রা যোগ করে।

র‌্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে গ্লোবালইডির সৌজন্যে একটি মোটরসাইকেল। দ্বিতীয় পুরস্কার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের সৌজন্যে ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা কাপল এয়ার টিকিট।

এ ছাড়াও ছিল ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা এয়ার টিকিট এবং প্রবাসীর হেলিকপ্টারের সৌজন্যে ঢাকা শহর ভ্রমণের হেলিকপ্টার রাইডের টিকিট।

পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে প্রথম পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম আজাদ। দ্বিতীয় পুরস্কারটি তুলে দেন অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত ছিল দেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্পোরেট ব্র্যান্ডসমূহ।

তাদের মধ্যে ছিল গ্রিস্টার, মমতাজ হারবাল, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, আরএকে সিরামিকস, বায়োফার্মা, ইগলু আইসক্রিম এবং খন্দকার টি।

ডিএসইসি কর্তৃপক্ষ জানায়, এই আয়োজন শুধু বিনোদনের উপলক্ষ নয়, বরং এটি সাংবাদিকদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, পারিবারিক বন্ধন ও সহমর্মিতা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত।

অমিয়/

সাংবাদিক মোস্তফা মামুনের বাবা আর নেই

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৬ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম
সাংবাদিক মোস্তফা মামুনের বাবা আর নেই
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান। ছবি: খবরের কাগজ

সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা মামুনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি দুই ছেলে, স্ত্রী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান শনিবার (৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আজ বাদ মাগরিব কুলাউড়া শহরে এবং রাত ১০টায় কুলাউড়ার ফরিদপুর গ্রামে। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

আবদুল্লাহ আল মামুন/

 

সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫, ০২:০১ পিএম
সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০
সাংবাদিকদের ওপর হামলা করছে বহিরাগতরা। ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেস ক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে মাদকাসক্তরা আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।’ 

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেস  ক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেস ক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নাজমুল শাহাদাৎ/সুমন

গণমাধ্যমের মানোন্নয়নে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন ও বিজেসির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম
গণমাধ্যমের মানোন্নয়নে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন ও বিজেসির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

বাংলাদেশে দায়িত্বশীল ও টেকসই সম্প্রচার মাধ্যমের বিকাশে একসঙ্গে কাজ করতে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)-এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সম্প্রতি (গত ২৬ জুন) ঢাকায় দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি অংশীদারিত্বমূলক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আল মামুন এবং বিজেসি‘র ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক।

এই চুক্তির আলোকে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়ন, বাস্তবায়নযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন এবং জনস্বার্থমূলক সাংবাদিকতার প্রসারে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন সহায়তা করবে। এ ছাড়া সাংবাদিকদের সুরক্ষা, বিশেষ করে নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করতে ঐকমত্য হয়েছে বিজেসি।

প্রায় ১৮শ সদস্যের সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন বিজেসি শুরু থেকেই সম্প্রচার সাংবাদিকদের কল্যাণ ও সংবাদক্ষেত্রে পেশাদারিত্বমূলক পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে চলছে। দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারিগরি ও কৌশলগত সহযোগিতার এই চুক্তি বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে আরও টেকসই এবং জনস্বার্থে অবদান রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

এলিস/সুমন/