দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া সংশ্লিষ্ট দলের মনোননয়নকারীর নাম ও স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হওয়ার পর ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার উপ-সচিব মো. মাহবুব আলম শাহ্ নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী দলীয় মনোনয়ন সংশ্লিষ্ট দল থেকে কোন পদধারী দেবেন, তা নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নাম ও স্বাক্ষরসহ জানাতে হয়। এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় সেই তথ্য মিলিয়ে দেখার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এজন্যই নির্দেশনাটি পাঠানো হয়েছে, যেন মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া নির্দেশনায় যেসব দল প্রার্থী মনোনয়নকারী নাম ও স্বাক্ষরের তথ্য ইসিকে দিয়েছিল, সেই সংযুক্তিও দেওয়া হয়েছে।
দলগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি (জাপা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু), জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ)।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, গণফোরাম, গণতন্ত্রী পার্টি, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল), মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ইসিকে প্রার্থী মনোনয়নকারীর নাম ও স্বাক্ষরের তথ্য দিয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো কোনো দল কেবল রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও প্রার্থী মনোনয়নকারীর নাম ও স্বাক্ষর জানাতে পারে। এক্ষেত্রে ভোটে অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, কোন দল থেকে কোথায় কত প্রার্থী, কতটি দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তা শুক্রবারের (১ ডিসেম্বর) মধ্যে বিস্তারিত জানানো যাবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাছাই করবেন ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তির সময় ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রবিবার)।
এলিস/সালমান/