ঢাকা ২৮ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

কাঁচপুরে টার্মিনাল হলে বাস চলাচল শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে: মেয়র তাপস

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:০০ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২৮ এএম
কাঁচপুরে টার্মিনাল হলে বাস চলাচল শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে: মেয়র তাপস
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘কাঁচপুর আন্তজেলা বাস টার্মিনালকে আধুনিক টার্মিনালে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। আমরা যদি এখানে ১৬ জেলার বাস স্থানান্তর করতে পারি, তাহলে রাজধানীর যানজট অনেকটাই কমে যাবে। এ ছাড়া বাস চলাচলও শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে।’

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে ঢাকা নগর আন্তজেলা বাস টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘আন্তজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আমরা চারটি স্থান নির্ধারণ করেছি। এরই মধ্যে কাঁচপুরে একটি টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে বালু ভরাট শেষ হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বসব, কী ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করলে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহজ হবে। পুরো কাজটাই আমরা নিজস্ব অর্থায়নে চালিয়ে যাচ্ছি।’

মেয়র তাপস বলেন, ‘কাঁচপুরে দীর্ঘমেয়াদি আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে পরামর্শক নিয়োগের কাজ শুরু করেছি। পরামর্শকের মাধ্যমে পূর্ণভাবে নকশা প্রণয়ন করে নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করব। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আন্তজেলা বাস টার্মিনালগুলোকে রাজধানীর বাইরে রাখতে। আর রাজধানীর মধ্যে যে টার্মিনালগুলো আছে, সেখানে শুধু নগর বাসগুলো থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘টার্মিনাল আলাদা হলে রাজধানীর যানজট অনেকটাই সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। যেকোনো পরিকল্পনা নেওয়ার আগে এটায় কেমন ধারণক্ষমতা থাকবে তারও পরিকল্পনা নিতে হয়। আশির দশকে যে পরিকল্পনা নিয়ে টার্মিনালগুলো নির্মাণ হয়েছিল, তা বর্তমানে কার্যকর না হওয়াই স্বাভাবিক। আমরা সে জন্য কাঁচপুরের পাশাপাশি আরেকটি স্থানে আন্তজেলা টার্মিনাল নির্মাণ করছি। কাঁচপুর টার্মিনালের কাজ আশা করছি আগামী বছরের মাঝামাঝিতে শেষ হবে।’

রাজধানীর যানজট নিরসন ও পরিবহনের বিশৃঙ্খলা ফেরাতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল গত ৯ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে স্থানান্তরের কাজ শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

ক্যানসার প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে  পরিচালক বিদেশে

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
ক্যানসার প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে 
পরিচালক বিদেশে
ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ‘ইলেকট্রনিক ডেটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার নির্ণয় কর্মসূচি’ প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে

 মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পে কর্মরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া মাহবুব রিপা জানান, বিএসএমএমইউতে ২০১৮ সালের জুনে ‘ইলেকট্রনিক ডেটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার নির্ণয় কর্মসূচি’ শীর্ষক প্রকল্পটি শুরু হয়। এর মেয়াদ ছিল ২০২১ সাল পর্যন্ত। পরবর্তী সময়ে ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ মেয়াদে দুবার সংশোধন ও মেয়াদ বাড়ানো হয়। বর্তমানে ২০২৪-২৫ মেয়াদের নো-কস্ট এক্সটেনশনের মাধ্যমে পুনরায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

জনবল নিয়োগকালের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক আশরাফুন্নেসা জানান, প্রকল্পের জনবলের জন্য সরকার থেকে বেতন ছাড়া অন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী দেওয়া হয় না। তবে প্রকল্প সমাপ্তিতে একটি ইনস্টিটিউট স্থাপন করে সব জনবলকে আত্তীকরণ করা হবে। কিন্তু গত ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রকল্প পরিচালক হঠাৎ করেই জানান, বর্তমান প্রশাসন তার অনুকূলে না থাকায় উনি চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যাপারে কিছু করতে পারবেন না। এরপর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিএসএমএমইউর প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেন। পরে প্রকল্পের বিভিন্ন কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন, প্রকল্পের শুরু থেকেই মূল বেতন ছাড়াও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্য ক্যাম্পে সম্মানী বাবদ প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে। তখন প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা শুরু করেন। প্রকল্পের সীমিত কিছু নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৭ কোটির অধিক টাকা প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে সরকার থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে গত ৭ অক্টোবর লিখিতভাবে প্রকল্প পরিচালককে জানিয়ে সব কর্মীর ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক প্রাপ্য প্রদানে অস্বীকার করেন। তিনি জানান, প্রকল্প পরিচালনায় নানাবিধ হিসাববহির্ভূত ব্যয় যেমন- মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ডেস্ক ‘ম্যানেজ করা’, অডিট সামলানো, গাড়ি ভাড়া ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই টাকা ব্যয় হয়েছে। এমনকি তিনি চাকরিচ্যুতির হুমকি দেন। 
কল্পোকপিস্ট সাদিয়া মাহবুব বলেন, এ বিষয়ে বিএসএমএমইউর উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে ও দেখা করে প্রাপ্য টাকা বুঝিয়ে দিতে অনুরোধ করা হয়। তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন এবং সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে সেগুলোর কিছুই হয়নি।

নতুন ভোটারদের তথ্য ৩ দিনের মধ্যে সার্ভারে আপলোডের নির্দেশ

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
নতুন ভোটারদের তথ্য ৩ দিনের মধ্যে সার্ভারে আপলোডের নির্দেশ
নির্বাচন কমিশন

নতুন ভোটারদের আঙুলের ছাপ ও ছবি তুলে নিবন্ধন করার তিনদিনের মধ্যে সার্ভারে তথ্য আপলোড করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ইসির এনআইডি শাখার সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠান।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গত ২ অক্টোবরের কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন ভোটারের বায়োমেট্রিক নেওয়ার তিনদিনের মধ্যে তার ডাটা এনআইডি সিস্টেমের কেন্দ্রীয় সার্ভারে আপলোড করতে হবে। 

কত তারিখে একজন ভোটারের বায়োমেট্রিক নেওয়া হয়েছে এবং কত তারিখে কেন্দ্রীয় সার্ভারে আপলোড হয়েছে তার রেকর্ড কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থেকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেখতে পারেন এবং এর লগ সিস্টেমে থেকে যাবে। সে অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

এলিস/পপি/

দুদকে আসেননি বিটিভির মাহফুজা, চেয়েছেন সময়

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ এএম
দুদকে আসেননি বিটিভির মাহফুজা, চেয়েছেন সময়
বিটিভির সাবেক জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ও বর্তমান কন্ট্রোলার/প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সাবেক জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ও বর্তমান কন্ট্রোলার/প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হননি। ঘুষ-দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক।

নোটিশ অনুযায়ী মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তার ছেলের গুরুতর অসুস্থতার কথা জানিয়ে দুদকে হাজিরের জন্য ১৫ দিন সময় চেয়েছেন। গতকাল সকালে তিনি প্রতিনিধির মাধ্যমে দুদকে এই আবেদন পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। 

দুদক সূত্র জানায়, মাহফুজা আক্তারের বিরুদ্ধে ১৩২ পৃষ্ঠার অভিযোগ দুদকে এসেছে। অভিযোগ যাচাই ও দুদকের নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিটের মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের আমলযোগ্যতা পাওয়া গেছে। ফলে কিছুদিন আগে তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। সিদ্ধান্ত অনুসারে মাহফুজার বিরুদ্ধে জোরালোভাবে অনুসন্ধান শুরু করেন দুদক কর্মকর্তারা। তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপসহকারী পরিচালক নাঈমুল ইসলাম।

অভিযোগ অনুযায়ী, মাহফুজা আক্তারের প্রায় ৪০০ কোটি টাকার অর্থসম্পদের মধ্যে জানা যায়, কানাডার টরন্টোয় বাংলা টাউনের ৮ নম্বর রোডে ৩ মিলিয়ন ডলার দিয়ে একটি বাড়ি কিনেছেন। এ ছাড়া দেশের ঢাকা ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে প্রায় শত কোটি টাকার সম্পদ। এর মধ্যে রাজধানীর বুসন্ধরা আবাসিক এলাকার এফ ব্লক, ১১ নম্বর রোডের ৪৩০ নম্বর প্লটে আপন আঙিনা-মাহফুজাস প্যারাডাইস নামে ৮ তলা বিশিষ্ট ভবন রয়েছে। এ ছাড়া গুলশান-নিকেতনে ৩ হাজার স্কয়ার ফুটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, রামপুরা-বনশ্রীতে প্রায় আড়াই হাজার স্কয়ার ফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট, রংপুরের মিস্ত্রিপাড়ায় ৭ কাঠা জমিতে ৬ তলা বাড়ি, নিউ জুম্মা পাড়ায় আরও দুইটি একই ধরনের বাড়ি, গংগাচড়ার গজঘণ্টা এলাকায় একটি পেট্রল পাম্প ও কয়েক বিঘা জমি এবং দুইটি দামি প্রাইভেট কার রয়েছে বিটিভির শীর্ষ এই কর্মকর্তার। 

দরপত্রের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: রিজওয়ানা হাসান

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ এএম
দরপত্রের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহিত

সরকারি বিভিন্ন কাজ বাস্তবায়নে দরপত্রের মাধ্যমে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে, এটা ভাঙতে হবে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্রয় প্রক্রিয়ায় ‘পিপিএ-২০০৬’ এবং ‘পিপিআর-২০০৮’-এর বিধিবিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিতকরণ এবং করণীয় নির্ধারণবিষয়ক সভা শেষে এ কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। এ কাজগুলোকে দলীয় ও স্থানীয় প্রভাবমুক্ত করা যাচ্ছে না। যে মন্ত্রণালয়গুলোর বেশি কাজ থাকে, এখানে কোথায় কোথায় সংশোধন করা প্রয়োজন, এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সভায়।

তিনি বলেন, ‘কোনো কাজের সর্বনিম্ন একটা টাকা আমরা ঠিক করলাম। সর্বনিম্ন এ টাকার কথা গোপন থাকার কথা, কিন্তু সেটা প্রকাশ হয়ে যায়। তাই ঠিকাদাররা আর সেটার নিচে নামেন না। যেভাবে করে টেন্ডারিং চলছে, এটা একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে। এটাকে ভাঙতে হবে। পাবলিক প্রক্রিয়ুরমেন্টের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় ব্যত্যয় আছে, কোথায় কোথায় সংযোজন-বিয়োজন করলে এই সিন্ডিকেট কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হবে, এটা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম দূর করার প্রক্রিয়াটা আজকে শুরু হলো। দেখা যাক কতদূর কী করা যায়। অনেক সময় প্রকল্পের সময় এবং ব্যয় বাড়ানো হয়। এতে অনেকে লাভবান হয়। সেই বিষয়গুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

উত্তরবঙ্গ ব্লকেডের হুঁশিয়ারি রংপুর-রাজশাহী থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ এএম
রংপুর-রাজশাহী থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি
আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারে উত্তরবঙ্গ থেকে উপদেষ্টা নিয়োগসহ তিন দফা দাবি তুলেছেন উত্তরবঙ্গের সাধারণ ছাত্র-জনতা। ছবি: সংগৃহিত

আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারে রংপুর-রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো থেকে উপদেষ্টা নিয়োগসহ তিন দফা দাবি তুলেছেন উত্তরবঙ্গের সাধারণ ছাত্র-জনতা। দাবি না মানলে উত্তরবঙ্গ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

 মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনে ৩ দফা দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।


সমাবেশে ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে যারাই সরকারে এসেছিল, তারাই উত্তরবঙ্গের মানুষকে বঞ্চিত করে শোষণ করেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ স্বাধীনের পর নতুন সরকার গঠনের পরও আমাদের সঙ্গে বৈষম্যের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, এটি আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি।’


ব্লকেডের হুঁশিয়ারি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ঢাবি শিক্ষার্থী মাহিন সরকার বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে কোনো উপদেষ্টা নেই। উত্তরবঙ্গের সন্তানরা কেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আসার সুযোগ পাবেন না? সচিবালয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে মাত্র ২ জন সচিব। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করেছি কিন্তু এর পরও বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। উপদেষ্টা নিয়োগে যারা বাড়াবাড়ি করছে, তাদের বলব যমুনা সেতু ব্লকেড দিয়ে পুরো উত্তরবঙ্গ ব্লক করে দেওয়া হবে। উপদেষ্টা পরিষদে যেভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, মনে হচ্ছে এটি যেন চিটাগং ক্লাবে পরিণত হয়েছে।’


আরেক সমন্বয়ক আবু সাইদ লিয়ন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তর থেকে বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে। আমরা শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকারের তিন ছাত্র উপদেষ্টার (আসিফ-নাহিদ-মাহফুজ) সঙ্গে বসব, সেখানে সমাধান না পেলে আমরা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার কাছে সাহায্য চাইব। আগামী তিন দিনের মধ্যে যদি কোনো সমাধান না পাই, আমরা উত্তরবঙ্গ ব্লকেডে চলে যাব।’


সমাবেশে ঢাবিসহ রাজধানীর অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় তিন দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো, সুষম উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের দুই বিভাগ থেকে কমপক্ষে ২ জন করে ৪ জন উপদেষ্টা নিয়োগ করতে হবে; সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমলা ও কর্মকর্তা নিয়োগে আঞ্চলিক বৈষম্য করা যাবে না। সেই সঙ্গে প্রত্যেক উপদেষ্টার কার্যক্রমের অগ্রগতি সাপ্তাহিক জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে; বিতর্কিত ও জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে না, এমন কোনো উপদেষ্টাকে অন্তর্বর্তী সরকারে রাখা যাবে না ও পলিসি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।


প্রসঙ্গত, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। এই ২৪ জনের মধ্যে ১৪ জনের বাড়িই চট্টগ্রাম বিভাগে।