ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

রমজানে ন্যায্যমূল্যে মাংস-ডিম-দুধ বিক্রি করবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:২২ এএম
রমজানে ন্যায্যমূল্যে মাংস-ডিম-দুধ বিক্রি করবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন রমজান মাসে প্রান্তিক মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। 

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘উৎপাদন ও মজুত থাকার পরও তুলনামূলক বিচারে কিছু ক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।’ এর কারণগুলো প্রধানমন্ত্রী নিজেই খতিয়ে দেখছেন এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়েও তিনি মতবিনিময় করবেন। 

আব্দুর রহমান বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত ডিমের উৎপাদন আছে, মাছের উৎপাদনও যথেষ্ট। এগুলো ঠিক কী কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকছে না, সেটি খতিয়ে দেখার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের বিবেচনায় রয়েছে। আগামী রমজান মাস সামনে রেখে ট্রাকে করে বিভিন্ন জায়গায় ন্যায্যমূল্যে চাল-ডাল-তেল দেওয়ার মতো করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষত বস্তিনির্ভর এলাকা, দরিদ্রতর মানুষের বসবাসের জায়গায় ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে বিক্রয়ের পরিকল্পনা করেছে। বাজারের চেয়ে কম মূল্যে এসব জায়গায় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম পাওয়া যাবে। সব মানুষকেই ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস আর ডিম দেওয়া সম্ভব হবে না। যাদের ক্রয়ক্ষমতা আছে, তাদের এভাবে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এর চেয়ে বেশি দূরে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য। আমাদের অবস্থান আরও উন্নততর জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য ডেইরি খাতে আরও কিছু কাজ করা প্রয়োজন। এ বিষয়টিও আমাদের বিবেচনায় আছে। মা-ইলিশ এবং বাচ্চা ইলিশ (জাটকা) ধরার প্রবণতা বন্ধে একটি নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরা নিষেধ থাকে, যার ফলে আমরা সুফল পাই, এটি চলমান রাখা হবে। জেলেদের প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এর পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।’ 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জড়িত সিন্ডিকেট বন্ধ করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সিন্ডিকেটকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আইনগত কাঠামোর মধ্যে এদের একটি ব্যবস্থায় নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধে একটি সামাজিক ক্যাম্পেইনও তৈরি করতে হবে। সিন্ডিকেটের ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স। এটি কোন জায়গায় কীভাবে হয়, সেটি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ডেঙ্গুতে চলতি বছর ৩০০ জনের প্রাণহানি, একদিনে আরও ৩ মৃত্যু

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পিএম
ডেঙ্গুতে চলতি বছর ৩০০ জনের প্রাণহানি, একদিনে আরও ৩ মৃত্যু

ডেঙ্গু জ্বরে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের ১২ জন, চট্টগ্রামে ৬৩, ঢাকা বিভাগে ৩৫, ঢাকা উত্তরে ১৪৮, ঢাকা দক্ষিণে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৫, রাজশাহী বিভাগে ২০ এবং সিলেট বিভাগের ৫ জন রয়েছেন। এ নিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬২ হাজার ১৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এবং অন্যজন ময়মনসিংহ জেলার। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৬২ জন। এ নিয়ে ৫৭ হাজার ৯৩৮ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

 

জাতীয় পার্টির সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা ছাত্র অধিকার পরিষদের

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
জাতীয় পার্টির সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা ছাত্র অধিকার পরিষদের
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। ছবি: খবরের কাগজ।

পার্টি অফিসে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে শনিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির দেওয়া কর্মসূচি প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ষোষণা দেন। 

বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘শনিবার জাতীয় পার্টির সমাবেশ রয়েছে। এই সমাবেশে আওয়ামী লীগ তাদের সহযোগিতা করছে এবং ‘র’ (ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী) তাদের পরিকল্পনা ও মাস্টার প্ল্যান সাজাচ্ছে। আমরা বারবার আলটিমেটাম দিচ্ছি যেন ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিষিদ্ধ করা হয়। তারা বিভিন্নরূপে ফেরার চেষ্টা করেছে। এ ফ্যাসিবাদকে সমূলে উৎপাটন করতে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছি’

তিনি আরও বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার কীভাবে মানুষ হত্যাকারী দোসরদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয় সেটা আমরা জানতে চাই। জাতীয় পার্টিকে আগামীকাল (২ নভেম্বর) সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টিকে সমাবেশ করতে দেওয়া মানে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার আরেকটি চক্রান্ত।’

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মশাল মিছিলকারীদের ওপর জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ যৌথভাবে হামলা করে বলে অভিযোগ করছেন আরেক ছাত্রনেতা মশিউর রহমান। 

তিনি বলেন, ‘ বৃহস্পতিবার আমাদের ওপর জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ একত্রে হামলা করে। আমার হাতে এখনও ব্যান্ডেজ করা। তারা নাকি আবার আগামীকাল সমাবেশ করবে। এটা কি মগের মুল্লুক পেয়েছে? তারা হামলাও করবে, আবার সমাবেশও করবে!’

জাতীয় পার্টির অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার কোনও সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতাই তাদের কর্মকাণ্ডের ফলস্বরূপ তাদের অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে।’

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/এমএ/

কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ

রাজধানীর কাকরাইল ও এর আশপাশের এলাকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

গণ-বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং- III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল শনিবার রাজধানীর পাইওনিয়ার রোডের ৬৬নং ভবন, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।

শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর কাকরাইলে মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি। চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ দলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ছাড়াও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ওই সমাবেশে ডেকেছে জাতীয় পার্টি। 

একই দিন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গণপ্রতিরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। এ অবস্থায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি।

তুলি/এমএ/

অভ্যুত্থানের পরও উপেক্ষিত জনগণ: ফরহাদ মজহার

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
অভ্যুত্থানের পরও উপেক্ষিত জনগণ: ফরহাদ মজহার
‘দুর্নীতি ও রাষ্ট্রপতি বা সংস্কার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার। ছবি: সংগৃহীত

লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি, তবে জনগণকে উপেক্ষা করে। আমরা অভ্যুত্থানের পরও জনগণকে উপেক্ষা করি, এটা অদ্ভুত ব্যাপার। এতগুলো মানুষ শহিদ হয়ে গেল, এতগুলো মানুষ পঙ্গু হয়ে পড়ে আছে, তার পরও কিন্তু আমরা জনগণকে উপেক্ষা করেছি।’

শুক্রবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ আয়োজিত ‘দুর্নীতি ও রাষ্ট্রপতি বা সংস্কার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘অনেকে বলেন বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম করতে হলে ফরহাদ মজহারকে নাকি কতল (হত্যা) করতে হবে। আমি কিন্তু বিষয়টি জেনে গেছি। আমাকে যেখানে বলবেন আমি যাব, আমাকে কতল করে ফেলবেন। আমাকে কতল করলে যদি ইসলাম কায়েম হয়, তবে ইন্‌শাআল্লাহ আল্লাহর নামে কতল হয়ে যাব। আমাকে ভয় দেখাবেন না। কিন্তু ফ্যাসিজমকে ইসলাম বলে প্রচার করবেন না। আপনারা কোথা থেকে আসেন, সেটা আমরা জানি।’ 

সংবিধান ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘আপনি যাদের (আওয়ামী লাগী) পাকিস্তানের গঠনতন্ত্র বানানোর জন্য ভোট দিয়েছেন, তারাই ফিরে এসে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করল। তারা শাসন করতে যেটা চেয়েছে, সেটাই করেছে। তারা সমাজতন্ত্র ঢুকিয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতা ঢুকিয়েছে। ওদের যে মতাদর্শ, যেটাকে আমরা ফ্যাসিজম বলি। এটা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে এতটা বছর শাসন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বোঝানোর চেষ্টা করেছে, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধারণ করেছি। অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্য মানবিক মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার।’

রাষ্ট্র সংস্কার ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটা রাষ্ট্র চাই, যেটা আমাদের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করবে। আমার জীবন, ব্যক্তির স্বাধীনতা ও মর্যাদা হরণ করতে পারবে না। একটা গঠনতন্ত্র তৈরি করা খুব কঠিন কাজ না।’ 

রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘বিএনপি কেন চুপ্পুকে ক্ষমতায় রাখতে চায়, আমি কোনো যুক্তি খুঁজে পাই না। এটার কোনো সাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক যুক্তি নেই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যখন আমাদের বললেন তার কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নেই। তিনি (রাষ্ট্রপতি) তখনই আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তার ওই পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।’

চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিল সরকার

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিল সরকার
ফাইল ছবি

চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ ও রেগুলেটরি শুল্ক ৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিয়েছে সরকার। আর মোট শুল্ক-কর মাত্র দুই শতাংশ (অগ্রিম আয়কর) রাখা হয়েছে। 

শুক্রবার (১ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২০ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনে চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং রেগুলেটরি শুল্ক বা আরডি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার পাশাপাশি আগাম কর ৫ শতাংশ পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এবার ওই শুল্কও প্রত্যাহার করা হলো।

এ বিষয়ে এনবিআরের পরিচালক সৈয়দ এ মুমেন বলেন, ‘বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি করে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে এনবিআর চালের ওপর সমুদয় আমদানি শুল্ক এবং রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ৯ দশমিক ৬০ টাকা কমবে। ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, ভোক্তা পর্যায়ে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে এবং সাধারণ ক্রেতার জন্য তা সহজলভ্য হবে।’