ঢাকা ২১ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৩৯ বাংলাদেশি

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪০ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৪ এএম
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৩৯ বাংলাদেশি
ছবি : সংগৃহীত

লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা ঢাকায় আসেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় লিবিয়ার বেনগাজি শহরের বিভিন্ন স্থানে আটক ১৩৯ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে বৃহস্পতিবার ভোরে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকায় প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এই পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা দেশটির ত্রিপলি ও বেনগাজি শহরের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারসহ বিচ্ছিন্ন স্থানে আটক ছিলেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রত্যাবাসনকৃত অসহায় বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে আইওএমের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেটমানি হিসেবে ৬ হাজার টাকা ও কিছু খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান ফিরে আসা অভিবাসীদের খোঁজখবর নেন। তিনি অভিবাসীদের লিবিয়ায় তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বাড়িতে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন। কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায়, সে বিষয়ে পরিচিত সবাইকে সচেতন করতে অভিবাসীদের অনুরোধ করেন তিনি। 

লিবিয়ায় বিপদগ্রস্তসহ বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইওএম একযোগে নিরলসভাবে কাজ করছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আটটি গোপন ‘আটক কেন্দ্রের’ সন্ধান

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ এএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ এএম
আটটি গোপন ‘আটক কেন্দ্রের’ সন্ধান
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন আটটি গোপন আটক কেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছে। এসব কেন্দ্রে বছরের পর বছর ধরে আটক ব্যক্তিদের নির্যাতন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে গুম কমিশনের প্রধান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান। 

কমিশন সভাপতি বলেন, ‘এ পর্যন্ত গুমের প্রায় ১ হাজার ৬০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে এবং ৪০০টি অভিযোগের তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘অভিযোগের বেশির ভাগই র‌্যাবের বিরুদ্ধে। পুলিশের বিশেষায়িত এই ইউনিটের (র‌্যাব) বিরুদ্ধে ১৭২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এ ছাড়া কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বিরুদ্ধে ৩৭টি, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে ৫৫টি, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) বিরুদ্ধে ২৬টি, পুলিশের বিরুদ্ধে ২৫টি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে ৬৮টি অভিযোগ। 

বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আসামিদের কীভাবে গ্রেপ্তার করবে, তার বিস্তারিত দিক-নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সেটা অনুসরণ করা হয়নি। আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে নেওয়ার কথা থাকলেও মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর আইনের তোয়াক্কা না করে আটক রাখা হতো।

রাজনৈতিক কারণেই বেশির ভাগ ব্যক্তিকে গুম করা হয়েছে জানিয়ে কমিশন সভাপতি বলেন, রাজনৈতিক কারণ ছাড়া স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগের বাইরেও অনেককে গুম করা হয়েছে।

গুমের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতজন সদস্য জড়িত এমন প্রশ্নে কমিশন সভাপতি বলেন, ‘সেই সংখ্যাটা এখনো বলা যাবে না। ৭ নভেম্বর থেকে বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। আমরা সমন ইস্যু করে দিয়েছি। প্রথম দিন সাতজনকে ডাকা হয়েছে। তারপর তিনজন, সাতজন, পাঁচজন এভাবে পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত অন্যদেরও ডাকা হবে। 

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৬০০-এর বেশি গুম হওয়া মানুষকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি বলেও জানান তিনি। কমিশন সভাপতি বলেন, ‘আমরা স্বাধীন হয়েছি ৫৩ বছর হলো। কিন্তু দেশে সুশাসন এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’

অভিযোগ দেওয়ার সময় ৩১ অক্টোবর শেষ হয়েছে। তবে এখনো যদি কেউ যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে অভিযোগ জমা দিতে চান, সেগুলো দেখা হবে বলে জানান কমিশনের সভাপতি।

কমিশন অভিযোগ করে, গুম হওয়া ব্যক্তিদের যেসব গোপন বন্দিশালায় রেখে নির্যাতন করা হতো, সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আলামত নষ্ট করা হয়েছে। তবে যারা আলামত নষ্ট করছেন, তাদের সতর্ক করেছে কমিশন। যারা আলমত ধ্বংস করছেন, তারা গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে সতর্ক করা হয়েছে। আলামত ধ্বংস না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিশন গঠন করে সরকার। গত ২৭ আগস্ট কমিশন গঠন করা হয়।

শমী কায়সার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ এএম
শমী কায়সার গ্রেপ্তার
শমী কায়সার

গ্রেপ্তার হয়েছেন এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ই-ক্যাবের সাবেক সভাপতি শমী কায়সার।

সোমবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উওরার ৪নং সেক্টরের ৬নং রোডের ৫৩ নং বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। 

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান।

গত ১৪ অক্টোবর মাগুরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন সময় কটূক্তি করার অভিযোগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা হয়।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন শমী কায়সার।

অমিয়/

ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ ভর্তির রেকর্ড, ৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ ভর্তির রেকর্ড, ৬ জনের মৃত্যু
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৩৭০ জন ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর এক দিনে এটাই সর্বোচ্চ হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ছয়জনের। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৩২৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম জানায়, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ১৩৮ জন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একজন করে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের দুজন পুরুষ ও চারজন নারী। পুরুষদের একজনের বয়স ৫৬ থেকে ৬০ বছর, আরেকজনের বয়স ৬১ থেকে ৬৫ বছর। নারীদের একজনের বয়স ৩৬ থেকে ৪০ বছর, একজনের ৪৬ থেকে ৫০, একজনের ৫৬ থেকে ৬০ এবং আরেকজনের ৬৬ থেকে ৭০ বছর।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৩৬৮ জন, ঢাকা উত্তরে ২৫৯ জন, ঢাকা দক্ষিণে ২৪৮ জন, বরিশাল বিভাগে ১২২ জন, চট্টগ্রামে ১৪৪ জন, খুলনায় ১৩৫ জন, ময়মনসিংহে ৩৯ জন, রাজশাহীতে ২৪ জন এবং রংপুর ২৭ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৫ জন। এ নিয়ে ৬২ হাজার ৬১০ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। 

চলতি বছরে অসময়েই চলছে ডেঙ্গুর পিক সিজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই বছরের জানুয়ারি মাসে ১ হাজার ৫৫ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ১৪ জনের; ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৩৯ জন ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ৩ জনের; মার্চে ৩১১ জন ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ৫ জনের; এপ্রিলে ভর্তি হন ৫০৪ জন, মৃত্যু ২ জনের; মে মাসে ভর্তি হন ৬৪৪ জন, মারা যান ১২ জন। জুন মাসে ৭৯৮ জন ভর্তি হন, ৮ জন মারা যান; জুলাই মাসে ভর্তি হন ২ হাজার ৬৬৯ জন, মৃত্যু হয় ১২ জনের। 

আগস্টে এসে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। জুলাইয়ের তুলনায় অনেক বেশি রোগী শনাক্ত হন। এই মাসে ভর্তি হন ৬ হাজার ৫২১ জন, মৃত্যু হয় ২৭ জনের; সেপ্টেম্বরে ভর্তি হন ১৮ হাজার ৯৭ জন, মৃত্যু ৮০ জনের এবং অক্টোবরে ভর্তি হন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন ও মৃত্যু হয় ১৩৪ জনের। আর চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ৫ দিনে ডেঙ্গু নিয়ে ৫ হাজার ৩২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।

ডেঙ্গু জ্বরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ২০২৩ সালে। সে বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা যান। এর আগে ২০২২ সালে মারা যান ২৮১ জন। ২০২১ সালে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে তেমন একটা ডেঙ্গুর প্রভাব বোঝা যায়নি। 

পরিকল্পনা কমিশনের চেয়ারপারসন ড. ইউনূস

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
পরিকল্পনা কমিশনের চেয়ারপারসন ড. ইউনূস
ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের চেয়ারপারসন হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিকল্প চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

গতকাল সোমবার (৪ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কমিটি ও অর্থনৈতিক) জাহেদা পারভীন স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার ‘বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন’ গঠন করেছে। 

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে ভাইস চেয়ারপারসন ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যদের এ কমিশনের সদস্য এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিবকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

কমিশনের কার্যপরিধিতে বলা হয়, রুলস অব বিজনেস-১৯৯৬ অনুযায়ী কমিশনের কার্যপরিধি হচ্ছে, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের অনুমোদনের লক্ষ্যে উপস্থাপনের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করা; জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে উপস্থাপনের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন পর্যালোচনা ও হালনাগাদকরণের নির্দেশনা প্রদান; জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি পর্যালোচনা এবং জাতীয় পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বিষয়াবলি সম্পর্কে আন্তমন্ত্রণালয় মতপার্থক্য দূরীকরণ।

এতে আরও বলা হয়, প্রয়োজনে ভাইস চেয়ারপারসনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভা করা যাবে। এ জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব/সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব এবং গুরুত্বপূর্ণ আন্তমন্ত্রণালয় মতপার্থক্যের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি/প্রতিনিধিদের বর্ধিত সভায় যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ কমিশনে ‘সচিব’ বলতে সিনিয়র সচিবও অন্তর্ভুক্ত হবেন।

এ ছাড়া কমিশনের বৈঠক প্রয়োজন অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে কমিশন নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। পরিকল্পনা বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে। পাশাপাশি পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভা খসড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও খসড়া সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদনের লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করবে। তবে এ-সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৮ জানুয়ারি জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাতিল বলে গণ্য হবে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অচিরেই স্বাভাবিক হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অচিরেই স্বাভাবিক হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন।

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী  বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। অচিরেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। 

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ শেষে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পুলিশ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘কাজে যোগ না দেওয়া পুলিশের সংখ্যা অনেক কম। বিভিন্ন পদে পুলিশের নিয়োগ চলমান রয়েছে। পুলিশের মনোবল চাঙা করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান আছে। পুলিশের সংস্কারে নরওয়ে সহযোগিতায় আগ্রহী বলে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। এ বিষয়ে পুলিশ সংস্কার কমিশনকে বলা হবে, তারা যেন যোগাযোগ করে।’

সাক্ষাৎকালে খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু, বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি, দেশের আইনশৃঙ্খলা, পুলিশ ও রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত হয়।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। নরওয়ের বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী।’

রাষ্ট্রদূত জলবায়ুজনিত অভিযোজন, শস্যের বহুমুখীকরণ, এক ফসলি জমিতে দুই বা ততধিক ফসল চাষ ও মৎস্য খাতে একযোগে কাজ করার বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহের কথা জানান।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত নাইট্রোজেন সার রপ্তানিতে তার দেশের আগ্রহের কথা জানালে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে সারের চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা নিয়মিত সার আমদানি করছি। নরওয়েও চাইলে জিটুজি বা বেসরকারি খাতের মাধ্যমে সার রপ্তানি করতে পারে।’ 

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। এ সময় কৃষি উপদেষ্টা নরওয়েতে কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।