ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

মুক্তির উৎসবে মানবিক দেশ গড়ার শপথ তারুণ্যের

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৬ এএম
মুক্তির উৎসবে মানবিক দেশ গড়ার শপথ তারুণ্যের
ছবি : খবরের কাগজ

সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হাতে হাত রেখে কাজ করার শপথ নিয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। অন্যায়-অবিচার দূর করে বিজ্ঞানমনস্ক এক আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার শপথ নিয়েছে তারা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের এই নির্মাতারা দৃপ্তকণ্ঠে শপথ নিয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পাঠ করে একাত্তরের চেতনাকে প্রজন্মান্তরে বয়ে নিয়ে যাবে।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত ‘মুক্তির উৎসব’-এ এসে তারা এ শপথ নেয়। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী মুক্তির উৎসবে অংশ নেয়।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের শিক্ষা কর্মসূচির অধীনে বিগত বছরে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ২২তমবারের মতো এ উৎসব আয়োজন করা হয়। এবারের উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য- ‘আমরা সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করব।’

বীর বিক্রম আশালতা বৈদ্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান। 

এদিন সকাল ৯টায় ছায়ানটের শিল্পীদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টিরা। পরে অনিক বোসের দল স্পন্দন, পল্লীবাংলার ব্রতচারী সংঘ, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, স্পর্শ ফাউন্ডেশন, ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজের খুদে শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয়।

শপথবাক্য পাঠ করানোর পর বীর বিক্রম আশালতা বৈদ্য তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজকের অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সামনে রেখে তোমরা কাজ করে যাবে। সব সময় মনে রাখবে, এ দেশ আমার, মাটি আমার, মানুষ আমার। তোমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসবে।’

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত করতে গেলে তার ইতিহাস সঠিকভাবে পাঠ করার আহ্বান জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর ইমাম বলেন, ‘আজ ইতিহাস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখি। কারণ দেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো চর্চা নাই, গবেষণা নাই। দেশটা তো হাওয়ায় স্বাধীন হয় নাই, রাতারাতিও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়নি। আমরা দলমত নির্বিশেষে দেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে একতাবদ্ধ ছিলাম সেটি নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।’ রাজনৈতিক বিভেদের কারণে যারা জাতির জনক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্বীকার করেন, তাদের এ দেশে থাকার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

তরুণদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ দেশে যদি বঙ্গবন্ধুই না থাকে, তবে দেশটা পাকিস্তানি ভাবধারায় চলে যেতে পারে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সারওয়ার আলী বলেন, ‘আমরা যখন যুদ্ধ করেছিলাম, স্বপ্ন দেখেছিলাম সমঅধিকারের ভিত্তিতে এ রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। তোমরা সেই সমাজে মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করবে। এখানে কেউ যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি সারা যাকের মঞ্চে এসে কবি শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’, কবি রবিউল হুসাইনের ‘প্রিয়তমা বাংলাদেশ’ কবিতা থেকে পাঠ করেন। 

এ সময় সারা যাকের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ দেশ সবার। এখানে হিন্দু-মুসলমানরা যেভাবে ধর্ম পালন করেন, ঠিক সেভাবে বৌদ্ধরাও তাদের ধর্ম পালন করেন। আমরা যারা সমতলে বাস করি তাদের, যারা পাহাড়ে বসবাস করে তাদের সংস্কৃতি একেক রকম। আমরা সবাই মিলে বাঙালি। আমাদের উচিত সবাইকে সম্মান করা, সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করব।’

শেষে কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘তোমরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভালোমতো পড়বে। তা হলে দেখবে তোমাদের বুক একশ হাত ফুলে উঠবে। পৃথিবীর আর কোনো দেশ আমাদের মতো এত দাম দিয়ে স্বাধীনতা কেনে নাই। একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন দেখে গিয়েছিলেন এ দেশের জন্য, তা তোমরা পূরণ করবে। তা হলে তাদের প্রতি সম্মান দেখানো হবে।’

কথন ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শেষে ছিল বাপ্পা মজুমদারের পরিবেশনা।

মুক্তির উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত র‍্যাফেল ড্রয়ে ১০০ জন বিজয়ীকে ল্যাপটপ, ট্যাব, মুক্তিযুদ্ধের বই, টি-শার্ট পুরস্কার দেওয়া হয়।

জয়ন্ত/সালমান/

মাহমুদুর রহমানকে ক্ষমা চাইতে বলল ইসকন

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
মাহমুদুর রহমানকে ক্ষমা চাইতে বলল ইসকন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরছেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’র অ্যাজেন্ট, জঙ্গি সংগঠন উল্লেখ করে নিষিদ্ধ করার কথা বলায় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে সাত দিনের মধ্যে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।

এই সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়াসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘ইসকন সম্পর্কে প্রচারিত বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বক্তব্য ও সংবাদের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ইসকন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘আমরা সংবাদমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমে জানতে পেরেছি আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন বলেছেন। তিনি আমাদের র’র অ্যাজেন্ট বলেছেন। ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িয়েছেন। ওনাকে এসব প্রমাণ করতে হবে। আর প্রমাণ করতে না পারলে জাতির সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। ইসকন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হিন্দুধর্ম প্রচার করে। আমরা আমেরিকা, রাশিয়া বা কোনো দেশের গোয়েন্দা সংস্থা না।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পক্ষ থেকে আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও অসত্য হুমকি এবং নিষেধাজ্ঞার আহ্বানের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তার বক্তব্য শুধু আমাদের সংগঠনকেই আঘাত করেনি, বরং এটি বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, সহনশীলতা এবং সামাজিক ঐক্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আমাদের বিশ্বাস, এ ধরনের অযাচিত ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দেশের শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য ক্ষতিকর। মাহমুদুর রহমানকে অবহিত করতে চাই, তিনি যদি তার বক্তব্য পরিহার করে দুঃখ প্রকাশ করে জাতির কাছে ক্ষমা চান, তা হলে আমরা তাকে সাধুবাদ জানাব। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি বিভিন্ন মহল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইসকন বাংলাদেশকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর গুজব ছড়াচ্ছে। যেমন- সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদসমূহে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে যে ছবি বা পতাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে, ইসকনের কোনো নিজস্ব পতাকা নেই। যে পতাকাটি দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে ইসকনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ইসকন বাংলাদেশ তার সব কর্মকাণ্ডে আইন ও শৃঙ্খলা মেনে চলে এবং বাংলাদেশে শান্তি, সহনশীলতা ও ধর্মীয় ঐক্য বজায় রাখার জন্য দৃঢ়নিষ্ঠ। তাই এসব গুজবের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও আধ্যাত্মিক সংগঠনের বিরুদ্ধে জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসকন একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় আন্তর্জাতিক সংগঠন। ইসকন বাংলাদেশ বরাবরই সবার প্রতি মানবিক সহমর্মিতা ও ধর্মীয় সহনশীলতার বার্তা প্রচার করেছে এবং জাতীয় সম্প্রীতি ও ঐক্যের পক্ষে কাজ করেছে। সুতরাং, এসব মিথ্যা প্রচারণা শুধু বাংলাদেশ ইসকনের ভাবমূর্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, বরং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ইসকনের পাশাপাশি বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করছে এবং আমরা এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণার তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই যে, তারা যেন এ ধরনের ভিত্তিহীন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে সহায়তা করে।’

ইসকনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ন্যায্য আট দফা দাবির প্রতি আমরা সংহতি প্রকাশ করি। পাশাপাশি আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং সনাতনীদের প্রতিমা, বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর, লুট, অগ্নিসংযোগ, পুলিশ-শিক্ষকদের লাঞ্ছনা করে অব্যাহতি দেওয়া এবং ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে অনতিবিলম্বে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, হামলা বন্ধ করার জন্য বর্তমান প্রশাসনের নিকট সবিনয়ে অনুরোধ করছি।’

সেই সঙ্গে যারা গুজব ছড়িয়ে অথবা ইসকনকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানান তিনি।

জয়ন্ত সাহা/অমিয়/

মিরপুরে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আটক ৩

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
মিরপুরে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আটক ৩
অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আটক তিনজন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় গত বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সেনাবাহিনীর একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় এবং ভাষানটেক থেকে তাদের আটক করে।

আটকরা হলেন- রিফাত, হৃদয় ও ইয়াছিন।

পরে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি পদক্ষেপের জন্য ভাষানটেক থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, ইচ্ছাকৃত সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় পোশাকশ্রমিকরা বিক্ষোভের সময় পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এসম তারা ইট-পাথর নিক্ষেপ করে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তাদের হঠিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এতে দুই পোশাকশ্রমিক আহত হন।

অমিয়/

শাহজালাল বিমানবন্দরে এপিবিএনের অফিস দখলের অভিযোগ

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ এএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ এএম
শাহজালাল বিমানবন্দরে এপিবিএনের অফিস দখলের অভিযোগ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) একটি অফিস দখলের অভিযোগ উঠেছে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের বিরুদ্ধে (অ্যাভসেক)।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশে কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন ওই জিডি করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে অ্যাভসেকে কর্মরত স্কোয়াড্রন লিডার তাসফিক তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর থেকে ফোন দিয়ে জানান, ‘অ্যাপ্রন এরিয়ার ৩৩ নম্বর গেটে আপনাদের (এপিবিএন) অফিস থেকে মালামাল সরিয়ে ৮ নম্বর হ্যাঙ্গার গেটে রাখা হয়েছে। আপনাদের পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে এগুলো নিয়ে যান।’

পরে সহকারী পুলিশ সুপার জাকির এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।

সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আগে না জানিয়ে কেন মালামালগুলো সরিয়ে অন্য জায়গায় রাখলেন, এমন প্রশ্নে অ্যাভসেকের উপপরিচালক (অপারেশন) সাইফুর রহমান জানান, বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম ও অ্যাভসেকের পরিচালক উইং কমান্ডার জাহাঙ্গীরের নির্দেশে এগুলো সরানো হয়েছে।

হানিফ ফ্লাইওভারে গাড়িচালকের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
হানিফ ফ্লাইওভারে গাড়িচালকের লাশ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভার থেকে সোহেল মিয়া (৪৮) নামের এক গাড়িচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোর ৬টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

সোহেল শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার খোকনকান্দি গ্রামের মোকলেসুর রহমানের ছেলে। তিনি সবুজবাগের বাসাবো কদমতলা এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।

সোহেল মিয়ার আত্মীয় হাবিবুর রহমান বলেন, ‘‘সোহেল নিজের প্রাইভেটকার চালাতেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি উত্তর বাসাবো ঝিলপাড় গ্যারেজে গাড়ি মেরামত করার জন্য যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরে সোহেলের খোঁজে তার স্ত্রী শারমিন ঝিলপাড় গ্যারেজে যান। এ সময় গ্যারেজমালিক রুবেল বলেন, ‘তাকে পার্টস আনতে পাঠিয়েছি।’ এ কথা শুনে শারমিন কয়েকবার সোহলের মোবাইল ফোনে কল দেন। কিন্তু তাকে তিনি ফোনে পাননি। পরে সবুজবাগ থানায় একটা জিডি করেন। এ ঘটনার পর থেকে গ্যারেজমালিক রুবেল পলাতক রয়েছেন।’’

যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. আমির হোসেন বলেন, হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার লোকজন একটি লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে ধোলাইপাড় এলাকায় ফ্লাইওভারের ওপর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সোহেল মিয়ার লাশ উদ্ধার করি। তার মাথার বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারী কোনো বস্তু ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ডেঙ্গুতে চলতি বছর ৩০০ জনের প্রাণহানি, একদিনে আরও ৩ মৃত্যু

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পিএম
ডেঙ্গুতে চলতি বছর ৩০০ জনের প্রাণহানি, একদিনে আরও ৩ মৃত্যু

ডেঙ্গু জ্বরে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের ১২ জন, চট্টগ্রামে ৬৩, ঢাকা বিভাগে ৩৫, ঢাকা উত্তরে ১৪৮, ঢাকা দক্ষিণে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৫, রাজশাহী বিভাগে ২০ এবং সিলেট বিভাগের ৫ জন রয়েছেন। এ নিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬২ হাজার ১৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এবং অন্যজন ময়মনসিংহ জেলার। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৬২ জন। এ নিয়ে ৫৭ হাজার ৯৩৮ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।