ঢাকা ২১ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। 

সোমবার (১৮ মার্চ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তৃতীয় ধাপে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা ২৯ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আবেদনকারীর নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোন কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোন ধরণের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস, জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ব্যতীত কোন প্রকার ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা অন্যকোন কার্ড বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কোন পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে তবে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, প্রার্থীদের আবেদনে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে। ২৩ মার্চ থেকে পরীক্ষার্থীরা admit.dpe.gov.bd-ওয়েবসাইটে Username এবং Password দিয়ে অথবা এসএসসি-এর রোল, বোর্ড ও পাশের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদেরকে অবশ্যই ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এনআইডি/স্মার্ট কার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।

কবির/পপি/

আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার
আমির হোসেন আমু। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক। 

তিনি জানান, বিভিন্ন থানায় আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

সালমান/

কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।খবরের কাগজের ফাইল ছবি

কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'অপরাধী যতো প্রতাপশালী হোক না কেন, এ ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হবে না। অপরাধী সে যে দলেরই হোক তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।' 

উপদেষ্টা বলেন, 'সভায় মূলত: ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে, তবে আরও উন্নতি ঘটানোর সুযোগ রয়েছে। সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে।'

মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'মোহাম্মদপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে সফল হয়েছে, সে মডেল রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় প্রয়োগ করে ঢাকা শহরের পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ঘটানো হবে।' 

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, 'রাজধানীর ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে অন্যতম সমস্যা হলো রাস্তার ওপর অবৈধ দোকানপাট বসা। এগুলো উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিটদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'
 
তিনি বলেন, 'ঢাকার যানজট নিরসনে আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে প্রধান সড়কগুলোতে প্যাডেল ও ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সা চলে আসা। তারা যেন চার্জিং পয়েন্টগুলোর মাধ্যমে ব্যাটারিচালিত রিকশায় চার্জ দিতে না পারে, সে বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপদেষ্টা এ সময় চাঁদাবাজি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।'

সভায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত বাহিনীসমূহের মধ্যে সমন্বয় বিধান, গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিকরণ; চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ ও চাঁদাবাজি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ; দখলবাজি, বিশেষ করে মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড/ ট্রাকস্ট্যান্ডসমূহে এবং যাত্রাবাড়ি, কারওয়ান বাজার, কাপ্তান বাজারসহ ভাসমান বাজারসমূহে চাঁদাবাজি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ; মাদকের স্পটসমূহ চিহ্নিত করে মাদক বিরোধী অভিযান এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদারকরণ; মব জাস্টিস প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ; জেনেভা ক্যাম্প, বিভিন্ন বস্তিসহ অপরাধপ্রবণ এলাকা সিসিটিভি স্যার্ভিলেন্সের আওতায় আনয়ন; যে কোনো জনসভা আয়োজনের ক্ষেত্রে ডিএমপি এর অনুমতি গ্রহণ নিশ্চিত করা; শাহবাগের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা আয়োজনের ব্যবস্থা করা; কিশোর গ্যাং এর উৎপাতরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ; ফুটপাত দখলরোধ, ফুটপাতে চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ; প্রতারণা, ডিজিটাল প্রতারণা, মুদ্রাপাচার, পুঁজিবাজারের অস্থিরতার বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করা; নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিরোধে চাঁদাবাজ, মধ্যস্বত্বভোগী, বাজার কারসাজির সহিত জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ; ঢাকা শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) এর মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান এনডিসি, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় কর্মরত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

আনিসুর তপন/জোবাইদা/

আটটি গোপন ‘আটক কেন্দ্রের’ সন্ধান

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ এএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ এএম
আটটি গোপন ‘আটক কেন্দ্রের’ সন্ধান
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন আটটি গোপন আটক কেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছে। এসব কেন্দ্রে বছরের পর বছর ধরে আটক ব্যক্তিদের নির্যাতন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে গুম কমিশনের প্রধান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান। 

কমিশন সভাপতি বলেন, ‘এ পর্যন্ত গুমের প্রায় ১ হাজার ৬০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে এবং ৪০০টি অভিযোগের তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘অভিযোগের বেশির ভাগই র‌্যাবের বিরুদ্ধে। পুলিশের বিশেষায়িত এই ইউনিটের (র‌্যাব) বিরুদ্ধে ১৭২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এ ছাড়া কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বিরুদ্ধে ৩৭টি, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে ৫৫টি, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) বিরুদ্ধে ২৬টি, পুলিশের বিরুদ্ধে ২৫টি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে ৬৮টি অভিযোগ। 

বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আসামিদের কীভাবে গ্রেপ্তার করবে, তার বিস্তারিত দিক-নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সেটা অনুসরণ করা হয়নি। আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে নেওয়ার কথা থাকলেও মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর আইনের তোয়াক্কা না করে আটক রাখা হতো।

রাজনৈতিক কারণেই বেশির ভাগ ব্যক্তিকে গুম করা হয়েছে জানিয়ে কমিশন সভাপতি বলেন, রাজনৈতিক কারণ ছাড়া স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগের বাইরেও অনেককে গুম করা হয়েছে।

গুমের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতজন সদস্য জড়িত এমন প্রশ্নে কমিশন সভাপতি বলেন, ‘সেই সংখ্যাটা এখনো বলা যাবে না। ৭ নভেম্বর থেকে বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। আমরা সমন ইস্যু করে দিয়েছি। প্রথম দিন সাতজনকে ডাকা হয়েছে। তারপর তিনজন, সাতজন, পাঁচজন এভাবে পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত অন্যদেরও ডাকা হবে। 

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৬০০-এর বেশি গুম হওয়া মানুষকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি বলেও জানান তিনি। কমিশন সভাপতি বলেন, ‘আমরা স্বাধীন হয়েছি ৫৩ বছর হলো। কিন্তু দেশে সুশাসন এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’

অভিযোগ দেওয়ার সময় ৩১ অক্টোবর শেষ হয়েছে। তবে এখনো যদি কেউ যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে অভিযোগ জমা দিতে চান, সেগুলো দেখা হবে বলে জানান কমিশনের সভাপতি।

কমিশন অভিযোগ করে, গুম হওয়া ব্যক্তিদের যেসব গোপন বন্দিশালায় রেখে নির্যাতন করা হতো, সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আলামত নষ্ট করা হয়েছে। তবে যারা আলামত নষ্ট করছেন, তাদের সতর্ক করেছে কমিশন। যারা আলমত ধ্বংস করছেন, তারা গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে সতর্ক করা হয়েছে। আলামত ধ্বংস না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিশন গঠন করে সরকার। গত ২৭ আগস্ট কমিশন গঠন করা হয়।

শমী কায়সার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ এএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
শমী কায়সার গ্রেপ্তার
শমী কায়সার

গ্রেপ্তার হয়েছেন এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ই-ক্যাবের সাবেক সভাপতি শমী কায়সার।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উওরার ৪নং সেক্টরের ৬নং রোডের ৫৩ নং বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। 

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান।

গত ১৪ অক্টোবর মাগুরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন সময় কটূক্তি করার অভিযোগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা হয়।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন শমী কায়সার।

অমিয়/

ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ ভর্তির রেকর্ড, ৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ ভর্তির রেকর্ড, ৬ জনের মৃত্যু
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৩৭০ জন ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর এক দিনে এটাই সর্বোচ্চ হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ছয়জনের। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৩২৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম জানায়, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ১৩৮ জন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একজন করে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের দুজন পুরুষ ও চারজন নারী। পুরুষদের একজনের বয়স ৫৬ থেকে ৬০ বছর, আরেকজনের বয়স ৬১ থেকে ৬৫ বছর। নারীদের একজনের বয়স ৩৬ থেকে ৪০ বছর, একজনের ৪৬ থেকে ৫০, একজনের ৫৬ থেকে ৬০ এবং আরেকজনের ৬৬ থেকে ৭০ বছর।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৩৬৮ জন, ঢাকা উত্তরে ২৫৯ জন, ঢাকা দক্ষিণে ২৪৮ জন, বরিশাল বিভাগে ১২২ জন, চট্টগ্রামে ১৪৪ জন, খুলনায় ১৩৫ জন, ময়মনসিংহে ৩৯ জন, রাজশাহীতে ২৪ জন এবং রংপুর ২৭ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৫ জন। এ নিয়ে ৬২ হাজার ৬১০ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। 

চলতি বছরে অসময়েই চলছে ডেঙ্গুর পিক সিজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই বছরের জানুয়ারি মাসে ১ হাজার ৫৫ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ১৪ জনের; ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৩৯ জন ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ৩ জনের; মার্চে ৩১১ জন ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ৫ জনের; এপ্রিলে ভর্তি হন ৫০৪ জন, মৃত্যু ২ জনের; মে মাসে ভর্তি হন ৬৪৪ জন, মারা যান ১২ জন। জুন মাসে ৭৯৮ জন ভর্তি হন, ৮ জন মারা যান; জুলাই মাসে ভর্তি হন ২ হাজার ৬৬৯ জন, মৃত্যু হয় ১২ জনের। 

আগস্টে এসে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। জুলাইয়ের তুলনায় অনেক বেশি রোগী শনাক্ত হন। এই মাসে ভর্তি হন ৬ হাজার ৫২১ জন, মৃত্যু হয় ২৭ জনের; সেপ্টেম্বরে ভর্তি হন ১৮ হাজার ৯৭ জন, মৃত্যু ৮০ জনের এবং অক্টোবরে ভর্তি হন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন ও মৃত্যু হয় ১৩৪ জনের। আর চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ৫ দিনে ডেঙ্গু নিয়ে ৫ হাজার ৩২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।

ডেঙ্গু জ্বরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ২০২৩ সালে। সে বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা যান। এর আগে ২০২২ সালে মারা যান ২৮১ জন। ২০২১ সালে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে তেমন একটা ডেঙ্গুর প্রভাব বোঝা যায়নি।