ঢাকা ২০ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে ট্রেনের সামনে সিসি ক্যামেরা বসানোর সুপারিশ

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে ট্রেনের সামনে সিসি ক্যামেরা বসানোর সুপারিশ
ছবি : সংগৃহীত

রেলপথে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে ট্রেনের সামনে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানোর সুপারিশ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন যাতে বন্ধ হয়ে যায় সেজন্য সেন্সর সিস্টেম চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও সুপারিশ করা হয়েছে।  

বুধবার (২০ মার্চ) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এসব সুপারিশ কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর কাছে উত্থাপন করা হয়।  

সভায় ট্রেনের অনলাইন টিকেটিংয়ে সহজ ডট কমের সঙ্গে নেওয়া চুক্তি অনুযায়ী যন্ত্রপাতি সরবরাহের কাজ কত শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, তার হালনাগাদ তথ্য আগামী বৈঠকে দেওয়া এবং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাকি কাজ আগামী ২ মাসের মধ্যে শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া রেলের জমির পরিমাণ, লিজ করা জমির পরিমাণ এবং জমিগুলো কীভাবে ও কার মাধ্যমে ব্যবহৃত হচ্ছে তার হালনাগাদ তথ্য আগামী বৈঠকে দেওয়া এবং সম্প্রতি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশনের কাছে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা সরেজমিনে পরিদর্শনের সুপারিশ করা হয়।  

এর আগে সংসদ ভবনে চলতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় সভায় সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম, শফিকুল ইসলাম শিমুল, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মো. শফিকুর রহমান ও মোছা. নুরুন নাহার বেগম অংশ নেন। বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।    

সভার শুরুতে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেলওয়ের কার্যক্রম, যাত্রী সেবা ও টিকিট ব্যবস্থাপনা এবং ধীরাশ্রম কন্টেইনার ডিপো নির্মাণের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া রাজশাহী রেলস্টেশনে একতলা ভবনের পাইলিং পরবর্তী নির্মাণকাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি তদন্তের লক্ষ্যে কমিটির সদস্য মো. শফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও মোছা. নুরুন নাহার বেগমকে সদস্য করে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়। 

এলিস/সালমান/

ইসকনের আর্থিক উৎস প্রকাশের দাবি ইনকিলাব মঞ্চের

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ পিএম
ইসকনের আর্থিক উৎস প্রকাশের দাবি ইনকিলাব মঞ্চের
ইনকিলাব মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: খবরের কাগজ

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) এনজিও প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে তাদের আয়ের উৎস প্রকাশের দাবি তুলেছে ইনকিলাব মঞ্চ।

সোমবার (৪ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি এই দাবি তোলেন।

হাদি বলেন, ‘ইসকনের প্রতিষ্ঠা হয় আমেরিকায়। নানা দেশে তাদের কার্যক্রম আছে, সেই হিসেবে তারা একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এনজিও কখনো পলিটিক্স করতে পারবে না। এনজিও না হলে ইসকন রাজনৈতিক নাকি ধর্মীয় সংগঠন এটা তাদেরকে পরিষ্কার করতে হবে, তাদের সব অর্থনৈতিক উৎস জনসম্মুখে জানাতে হবে।’

এ ছাড়াও ইসকনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে জানতে চাই, ইসকন কোন আইনে কোন মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে কাজ করার সুযোগ পেল! সরকারকে অবিলম্বে স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে ইসকন নিয়ে। আর সরকার যদি এসব পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আমরা আইনের পথে হাঁটব, আদালতে রিট করা হবে।’

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/অমিয়/

ট্রাফিক পক্ষে সড়কে শৃঙ্খলায় ছিলেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৯ এএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২১ এএম
ট্রাফিক পক্ষে সড়কে শৃঙ্খলায় ছিলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও কাজ করেছেন। ছবিটি গত রবিবার পলাশী মোড় থেকে তোলা। মাসুদ মিলন

ঘড়ির কাঁটায় তখন সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা। রাজধানীর শাহবাগ থানার সামনে রিকশা আটকে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী। কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে রিকশা চলাচলের নিয়ম নেই; তাই চালক ও যাত্রীদের করজোড়ে অনুরোধ করছিলেন সেখানেই যাত্রা সমাপ্ত করতে। কিন্তু নিয়মভঙ্গের যে ধারা চলে এসেছে এতদিন, সেটি কী আর সহজে থামে! 

তরুণদের অনুরোধ উপেক্ষা করে এগিয়ে গেলেন বেশ কয়েকজন চালক। এদের মধ্যে আবার ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশাও রয়েছে। উপায়ান্তর না দেখে এগিয়ে এলেন আরও কয়েক তরুণ। তাদের সম্মিলিত প্রয়াসে থামানো হলো বেশ কয়েকজন চালককে। সেখানে বাদানুবাদ চলল যাত্রী-চালক আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বরত শিক্ষার্থীদের কিছু দূরে পুলিশ বক্সে বিশ্রাম নিতে দেখা গেল।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির উদ্যোগে শুরু হওয়া পনের দিনের ট্রাফিক পক্ষের গতকাল ছিল শেষ দিন। ট্রাফিক পক্ষ চলাকালে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় পথে নেমেছিল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ঢাকার সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রতিদিন ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা তারা সড়কে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছেন। গত ৬ আগস্ট থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে তৎপরতার ধারাবাহিকতা রাখতে চান শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, পড়াশোনার পাশাপাশি স্বেচ্ছাশ্রমে এই কাজ করতে অনীহা নেই তাদের। 

সোমবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে নিয়োজিত তরুণদের একজন ছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস-ইউআইটিএসের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের শিক্ষার্থী আফরিন আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার বন্ধুরা এতদিন রামপুরা ব্রিজ এলাকায় দায়িত্ব পালন করেছি।

 আজ আমরা শাহবাগ মোড়ে এসেছি। আজ যাদের ক্লাস নেই, কেবল তারাই ডিউটি করেছি। যেদিন আমাদের ক্লাস থাকবে, সেদিন আমার অন্য বন্ধুরা এসে যুক্ত হবেন।’ ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিশাম মো. নাকিব জানান, তিনি ৬ আগস্ট থেকে সড়ক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। শুধু যানবাহন নিয়ন্ত্রণ নয়; সড়কে রোড ডিভাইডারগুলো মেরামত করা, স্পিড ব্রেকারগুলো রাঙিয়ে দেওয়া, সড়কের পাশ থেকে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোও করেছেন তারা। এসব কাজ করতে গিয়ে রামপুরা এলাকায় তরুণরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে নিজেদের মধ্যে সখ্য বাড়িয়ে নিয়েছেন। এতে একই এলাকার তরুণদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতার ক্ষেত্র বেড়েছে বলে জানান নাকিব। ৩০ বন্ধুর দল তারা, ট্রাফিকপক্ষ চলাকালে দলে ভাগ হয়ে রাজধানীর নানা মোড়ে কাজ করেছেন তারা।

এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দেবেন রামপুরার বাসিন্দা ফাতেমা জান্নাত ঋতু। তিনি জানান, রাজধানীর যুব উন্নয়ন কেন্দ্র ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ট্রাফিক নিরাপত্তা নিয়ে পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন রামপুরার এই তরুণরা। সেখানে ট্রাফিক পুলিশের বেশকিছু নিয়মকানুন ও নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশদ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন বলে জানান তিনি। সড়ক বাতির ব্যবহার, জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারের নিয়মকানুন নতুন করে শিখেছেন।

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেহেদী হুসাইন বলেন, কোন সিগন্যালে কখন ছেড়ে দিতে হয় জানতে চাইলে দেখি ঢাকার ট্রাফিক সিস্টেম চলে অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ। এটি একেবারেই নতুন লেগেছে আমার কাছে। ঢাকার রোডে ট্রাফিক কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় সেই সিস্টেমটা শিখেছি। এখন সড়কে যেখানেই আমাদের নিয়োজিত করা হোক, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণটা ভালোভাবেই করতে পারব। 

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজটি করতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলেন ঋতু। তিনি বলেন, ‘যখন আমরা মূল সড়কে রিকশা আটকে দিয়েছি, তখন যাত্রীরা হইচই করেছেন। আমাদের পরিচয় জানতে চেয়েছেন, বলেছেন- ‘তোমরা কোথা থেকে এসেছ, পড়াশোনা বাদ দিয়া রাস্তায় কী কর।’ আমরা তাদের সঙ্গে যতই ভদ্রোচিত আচরণ করার চেষ্টা করেছি, তারা ততই উত্তেজিত হয়েছেন। অটোরিকশা চালকরা বলেছেন- ‘মামা রিকশা চালাতে না দিলে আমরা খামু কী।’ এমন তিক্ততার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সিনিয়র নাগরিক আমাদের কাজের প্রশংসা করেছেন, সহযোগিতা করেছেন। তাদের আগ্রহেই আমরা উৎসাহ পেয়েছি।
 
শিক্ষার্থীরা সড়কে যতই তৎপরতা দেখান; সাধারণ পথচারী ও যাত্রীদের মধ্যে যদি ট্রাফিক আইন মানার প্রবণতা না থাকে তাহলে সব উদ্যোগ বৃথা যাবে বলে মনে করেন এই তরুণরা 

শাহবাগে দায়িত্বরত ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মেহেদী হাসান শাকিল জানান, ট্রাফিক পক্ষ চলাকালে শিক্ষার্থীরা মাঝেমধ্যে এসেছেন। কখনো এক বেলা, কখনো দুই বেলা চার ঘণ্টা করে সড়কে শৃঙ্খলার কাজ করেছেন তারা। এ সময়ে ভিআইপি সড়কে রিকশা চলাচল করতে না দেওয়া, মোড়ের একশ গজের মধ্যে বাস থামতে না দেওয়া, পথচারীদের ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার নিশ্চিত করা, যত্রতত্র পার্কিং না করার বিষয়ে তরুণরা আমাদের সহযোগিতা করেছেন।

গত ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবসের আয়োজনে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুল মোমেন জানিয়েছিলেন, সড়ক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত তরুণদের মধ্যে ৩০০ জন তরুণকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার। তারা দ্রুত কাজ শুরু করবে ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে। এ সংখ্যা ক্রমে বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীদের মাসোহারা দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। 

এ বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নাজমুল হাসান খবরের কাগজে বলেন, ‘ট্রাফিক পক্ষের আগে আমরা ৬৫ জন তরুণকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাদের মধ্য থেকে ৩০ জনকে নিয়েছি এবার। সামনের পর্বে আরও কিছু তরুণ যুক্ত হবে। এভাবে ৩০০ জনই সড়কে শৃঙ্খলার কাজে যুক্ত হবেন। আমাদের টার্গেট ৬০০ শিক্ষার্থীকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যুক্ত করা।’ এখন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তরুণদের নিয়োজিত করলেও তাদের মাসোহারা দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। 

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তবে দেশে যে বিপুল সংখ্যক তরুণ বেকার রয়েছেন, তাদের কিছু দিন প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে নিয়োজিত করা যেতে পারে। প্রথমে অস্থায়ী ভিত্তিতে তাদের যাচাই করা হবে, পরে যারা ভালো কাজ করবে তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।’

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ-ডিটিসিএর হিসাব অনুযায়ী, ঢাকার সড়কে এখন সাড়ে ৩ হাজারের মতো বাস চলাচল করে। বুয়েটের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান গবেষণা করে জানিয়েছেন, ঢাকার সড়কের মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ জায়গা পায় গণপরিবহন। এর বাইরে অধিকাংশ জায়গাজুড়ে চলছে ব্যক্তিগত যানবাহন; চলছে রিকশা-অটোরিকশা। এর সমাধান করতে হলে আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থায় জোর দেওয়ার কথা বলেন হাদিউজ্জামান। তিনি বলেন, ‘হাতিরঝিলের চক্রাকার বাসের মতো বাস সার্ভিস চালু করতে হবে দ্রুত। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত পরিবহন চালু করতে হবে সরকারি ব্যবস্থাপনায়। এগিয়ে আসতে হবে বিআরটিসিকে। বেসরকারি খাতকে দায়িত্ব দিলে ভালো কিছু আশা করা যাবে না। সরকারকে একটি কোম্পানি গঠন করে দিতে হবে এই বিশেষায়িত পরিবহন ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য। আমরা যখন আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব, তখন নগরে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা কমে আসবে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জোবায়েরপন্থিদের সমাবেশে আলেম-ওলামাদের ঢল

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ এএম
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জোবায়েরপন্থিদের সমাবেশে আলেম-ওলামাদের ঢল

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাবলিগ জামাতের মাওলানা জোবায়ের হাসানের অনুসারীদের মহাসমাবেশে ঢল নেমেছে আলেম-ওলামা ও জনতার।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হতে থাকেন তারা।

সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দীনের হেফাজতের লক্ষ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে হেটে, নিজস্ব পরিবহন, বাস ও মেট্রোরেলে যে যেভাবে পারছেন সমাবেশস্থলের দিকে আসছেন।

ঢাকার বাইরে থেকে বিপুল মানুষের আগমনে রাজধানীর প্রায় প্রতিটি স্থানেই ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অফিসগামী মানুষজন অনেক ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেককেই দীর্ঘ পথ হেটে অফিসে যেতে দেখা গেছে।

এর, আগে কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমরা একাধিক সংবাদ সম্মেলন করে সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও সাধারণ জনগণকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক বছর পর তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষ সাদপন্থি ও জোবায়েরপন্থিদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী দুই পক্ষকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান।

বৈঠক অংশ নিয়ে সমাবেশ স্থগিত করার ঘোষণা দেন সাদপন্থিরা। তবে এ বৈঠকে অংশ নেননি মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা।

জানা গেছে, ‘উলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ’ ব্যানারে এ মহাসমাবেশ করবেন মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। সম্মেলন থেকে কওমি মাদ্রাসা-মসজিদে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টার প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।

অমিয়/

ইসি গঠনে সার্চ কমিটির কাছে জমা পড়ছে নাম

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০০ এএম
ইসি গঠনে সার্চ কমিটির কাছে জমা পড়ছে নাম
নির্বাচন কমিশন

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে নাম পাঠাতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও সাধারণ মানুষ। তবে সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত সরাসরি কেউ নাম জমা দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তরে আসেননি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রথম দিন মেইলে কতটি নাম এসেছে সেই বিষয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

গত নির্বাচন কমিশনও একই পদ্ধতিতে গঠিত হয়। তখন গুরুত্বপূর্ণ দলগুলো জানিয়েই নাম জমা দিয়ে আসত। দলগুলোর প্রতিনিধিরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নাম জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলতেন।

এর আগে গতকাল রবিবার (৩ নভেম্বর) ইসি গঠনে নাম আহ্বান করে সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি। পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তসহ প্রস্তাবিত নাম সরাসরি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে বা ই-মেইলে ([email protected]) পাঠানো যাচ্ছে। 

নাম আহ্বানের পর প্রথম দিন সোমবার (৫ নভেম্বর) দেখা গেছে, ই-মেইলে অনেক নাম এসেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন সিনিয়র সহকারী সচিবকে মেইল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটির প্রথম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও কেউ ব্যক্তিগতভাবে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নাম দিতে পারবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে সার্চ কমিটি জানায়, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি আগ্রহী ব্যক্তিদের নাম আহ্বান করছে। 

এতে বলা হয়, রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠন আগামী ৭ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে সুপারিশ করার জন্য সর্বোচ্চ পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করতে পারবে। ব্যক্তিগত পর্যায়েও আগ্রহী ব্যক্তিরাও তাদের নিজ নিজ নাম প্রস্তাব করতে পারবেন।

গত ৩১ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নতুন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করে সরকার।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে ছয় সদস্যবিশিষ্ট সার্চ কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক সদস্য হলেন- বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার। এ ছাড়া আইন অনুযায়ী পদাধিকারবলে সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম এবং পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম।

অনুসন্ধান কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির কাছে দুজন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে।

এলিস/সালমান/

সাড়ে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে শাহজালালের রানওয়ে

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
সাড়ে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে শাহজালালের রানওয়ে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে। ছবি : সংগৃহীত

বিমানবন্দরের ফ্লাইট অপারেশনের নিয়মমাফিক কাজের মধ্যে একটি কাজ রানওয়ে মেইনটেন্যান্স। এই কাজের অংশ হিসেবে রানওয়ে লাইটনিং মেইনটেন্যান্স কার্যক্রম আগামী ৮ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এজন্য এই সাত দিন স্থানীয় সময় রাত ১টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অর্থাৎ ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট রানওয়ের কার্যক্রম ও ফ্লাইট অপারেশন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। 

সোমবার (৪ নভেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট সবগুলো এয়ারলাইনস ও সংস্থাকে জানাতে ইতোমধ্যেই নোটাম জারি করা হয়েছে। এই মেরামতকালে বিমানবন্দরের সব ফ্লাইটের অবতরণ ও উড্ডয়ন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। ফলে ফ্লাইট সূচিতে পরিবর্তন হতে পারে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত সব এয়ারলাইনস ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। 
তিনি আরও জানান, যাত্রীদের তাদের স্ব স্ব ফ্লাইট সম্পর্কে অগ্রিম জানাতে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসকে এবং যাত্রীদের তাদের ফ্লাইট সূচি পুনরায় নিশ্চিত হবার জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দিচ্ছে। প্রয়োজনে বিমানবন্দর কল সেন্টার ১৩৬০০-তে কল করা যেতে পারে। 

যাত্রীদের যাত্রা নির্ভিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সর্বদা বদ্ধপরিকর বলে জানান বিমানবন্দরের এই নির্বাহী পরিচালক।