ঢাকা ১ আষাঢ় ১৪৩২, রোববার, ১৫ জুন ২০২৫

তিন দিনের মধ্যে আসবে ভারতীয় পেঁয়াজ: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৮ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪, ১০:১১ পিএম
তিন দিনের মধ্যে আসবে ভারতীয় পেঁয়াজ: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ছবি : খবরের কাগজ

ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে এর কোন প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। ভারতে যে পেঁয়াজ কেনা হয়েছে সেগুলো তিনদিনের মধ্যে রেলযোগে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। 

শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রতিমন্ত্রী এবং সকল এমপিদের সংবর্ধনা ও ক্লাবের কার্যকরী সদস্যদের পরিচিতি সভায় এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বাজার তার আপন গতিতেই চলবে। ৫/১০ টাকা বাড়লে সেটা নিয়ে কিছু না করা হলেও কেউ যদি মজুদদারি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাভাবিক বাজারে বেচা কেনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনরকম পুলিশি তৎপরতা বা ম্যাজিষ্ট্রেসি তৎপরতা প্রয়োজন নেই। তিনি মনে করেন, বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ পণ্যের সরবরাহ আছে এবং দামও যৌক্তিক পর্যায়ে আছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু আরও বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আজ কিংবা আগামীকাল ট্রেনে উঠবে। আগামীতিন দিনের মধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা নিয়ে কোনরকম সমস্যা আছে বলে আমার জানা নেই। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে কী না তা আমার জানা নেই।

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ড.আব্দুর রাজ্জাক এমপি, সদর আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। 

ধুঁকছে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১১:৪২ এএম
আপডেট: ১৫ জুন ২০২৫, ১১:৪২ এএম
ধুঁকছে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে। শেষ হয় ২০১৯ সালে। এরপর শুরু হয় এর চিকিৎসা কার্যক্রম। কিন্তু কয়েক বছর না যেতেই ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালটি ধুঁকতে শুরু করেছে। রোগীদের অনেকেই ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাক্তার, নার্সসহ শূন্য পদ রয়েছে ১৫৪টি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক প্রতিবেদন ও সরেজমিন ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। 

এ ব্যাপারে পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের সময় নির্ধারণ করা থাকলেও জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টা রোগী দেখা হয়। এখানে সরকারের নির্ধারিত ফির বাইরে কোনো অর্থ নেওয়া হয় না। এখানে সরকারিভাবে যে ওষুধ সরবরাহ করা হয় তার পুরোটাই রোগীদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। সরকারিভাবে সরবরাহকৃত লেন্স বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। সক্ষমতার মধ্যেই রোগীদের ভালো চিকিৎসা দেওয়া হয়।’ 

বাংলাদেশে চক্ষু চিকিৎসার অন্যতম প্রধান এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের ৭০ বছরের ব্যক্তি মো. আবদুল সাত্তার। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য এখানে ছুটে আসেন। সাত মাস চিকিৎসাও নিয়েছেন। তার দুই চোখে তিনবার অপারেশন করা হয়েছে। তার পরও ডান চোখ সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে। বাম চোখে এখনো চিকিৎসা চলছে। আবদুল সাত্তারের অভিযোগ, জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা নিতে এলেও চিকিৎসকদের সিরিয়াল পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা 
করতে হয়। পরীক্ষা ও অপারেশনের জন্য দীর্ঘ লাইন ধরতে হয়। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা কম। 

শুধু প্রবীণরা নন, শিশুরাও পর্যাপ্ত এবং উন্নত সেবা পাচ্ছে না। ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার নবীনগর গ্রামের তিন বছরের রিফাত। সিলিং ফ্যান পড়ে তার চোখ ও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় রিফাত। ফ্যানের পাখা (ব্লেড) তার চোখে লাগে। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটি আসে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। দুই দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ি যাওয়ার পাঁচ দিন পর রিফাতের চোখে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যরা রিফাতকে আউটডোরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। পরিবারের অভিযোগ, সেবা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়; যা শিশুদের জন্য বিরক্তিকর ও ক্লান্তিকর। 

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়ার ইসমত আরা বেগম লিপি চোখের ছানি অপারেশন করতে আসেন চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। সেখানে ডান চোখের অপারেশনও করা হয়। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি। বাধ্য হয়ে রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত পাড়ি জমান। শুধু লিপিই নন, সম্প্রতি হাসপাতালের বিভিন্ন তলায় ঘুরে বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা অভিযোগ করেন, উন্নত চক্ষু চিকিৎসার সেবা নিতে এসে এই হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলার কারণে অনেকেই ভুগছেন। 

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রকল্পটি শেষ করার কথা ছিল তিন বছরের মধ্যে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে ৪৩৩ শতাংশ ও খরচ বেড়েছে ৪১ শতাংশ। ১৬ বছরে এই কাজটি করেছেন চারজন প্রকল্প পরিচালক। প্রকল্পের শুরুতে ২০০৩-এর ১০ নভেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ডা. মো. শাহাব উদ্দিন। এরপর ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালক ছিলেন ডা. মো. রেজানুর রহমান। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য পিডির দায়িত্ব পালন করেছেন অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল মজুমদার। এরপর ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সর্বশেষ প্রকল্প পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ গোলাম রসুল।

৯৩ পদে শূন্য ১৫৪

এই হাসপাতালে ৯৩টি পদে মোট ৬১৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীসংবলিত একটি জনবল কাঠামো সরকার অনুমোদন করে। বর্তমানে কর্মরত ৪৬৫ জন। ১৫৪ জনকে এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে পরিচালক ও উপপরিচালক কর্মরত থাকলেও সহকারী ও প্রকৌশলী পদ দুটি একেবারে খালি রয়েছে। ১১ জন অধ্যাপকের বিপরীতে কর্মরত মাত্র তিনজন। ২০ জন সহযোগী অধ্যাপকের মধ্যে ১৭ জন, ২৫ জন সহকারী অধ্যাপকের মধ্যে ১৪ জন, ২১৭ জন সিনিয়র স্টাফ নার্সের মধ্যে ২১২ জন, ৩১ জন ওয়ার্ড বয়ের মধ্যে ১০ জন কাজ করছেন। এ ছাড়া ৪২ জন ক্লিনিং স্টাফের মধ্যে কাজ করছেন মাত্র একজন ও ১৬৩ জন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির স্টাফের মধ্যে কাজ করেন ১০৮ জন। এভাবে বিভিন্ন পদে ৬১৯ জনের মধ্যে কাজ করেন ৪৬৫ জন। 

এখানে শুধু সেবা দেওয়াই হয় না। এফসিপিএসসহ পাঁচ প্রকারের উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা আছে। এ পর্যন্ত ১৩৯ জন ডাক্তারকে এফসিপিএস ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। এভাবে ডিও, এমএস, ফেলোশিপ প্রশিক্ষণ ও এইচএমও- এই পাঁচ বিভাগে ১ হাজার ৬২ জনকে ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। 

প্রকল্পের টাকা সঠিকভাবে খরচ করা হয়েছে কি না, তা দেখভাল করতে ২২টি অডিট আপত্তি উত্থাপিত হয়েছিল। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৯ সালে অর্থাৎ ছয় বছর আগে শেষ হলেও একটি অডিট আপত্তি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। 

সবচেয়ে বেশি সেবা নিচ্ছেন ঢাকা বিভাগের রোগীরা

এই চক্ষু হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০২২ সালে এই হাসপাতালের আউটডোর, জরুরি বিভাগ ও ভর্তি হয়ে সেবা নিয়েছেন ৫ লাখ ৯০ হাজার ৬৮৭ জন। পরের বছরে সেবা নিয়েছেন ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৪৭২ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে চক্ষুসেবা নিয়েছেন ৭ লাখ ১ হাজার ২৫০ জন রোগী। গ্রীষ্মের শুরুর দিকে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও শীতের আগে রোগীর সংখ্যা বাড়ে। সবচেয়ে বেশি চক্ষুসেবা নিয়েছেন ঢাকা বিভাগের রোগী, ৬৬ শতাংশ। সবচেয়ে কম সেবা নিয়েছেন সিলেট বিভাগ থেকে, ১ শতাংশ। 

পাওয়া যায় না ভালো মানের লেন্স

রোগীরা প্রয়োজনীয় উন্নত চিকিৎসার জন্য এখানে এলেও পর্যাপ্ত ওষুধ পান না। বাইরে থেকে কিনতে হয়। কিছু টেস্টও বাইরে থেকে করতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, ভালো মানের লেন্স পাওয়া যায় না। রোগীদের খাবারের মানও ভালো নয় বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে অতিদ্রুত মেরামত করা হয় না। এ জন্য রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনের পর চিকিৎসা নিতে আসা আহতরা বেশ সংকটেই পড়েছেন। সম্প্রতি তাদের সঙ্গে ডাক্তার, নার্সদের সংঘর্ষ হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালটি। এতে চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। পরে অবশ্য ইমার্জেন্সি বিভাগ ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

বায়ুদূষণে ঢাকা আজ শীর্ষে

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
আপডেট: ১৫ জুন ২০২৫, ১২:২১ পিএম
বায়ুদূষণে ঢাকা আজ শীর্ষে
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদের ছুটি শেষ হতেই ঢাকার বায়ুর মানের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। এ ছাড়া একিউআই স্কোর ১২৭ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইজিপ্টের কায়রো শহর ও কাতারের দোহা, ১২৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে পাকিস্তানের লাহোর এবং ১২৫ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডি সি। 

রবিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টা ৩৮ মিনিটে বায়ুমানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী, ঢাকায় বাতাসের মান ১৩৯ স্কোর। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। 

আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদ্‌রোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।

মেহেদী/

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো মানব পাচার চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো মানব পাচার চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভালো (উচ্চ) বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাধ্যতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগে মানব পাচারকারী একটি চক্রের মূল হোতা মুহাম্মদ আলমগীর হোছাইনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মানব পাচার প্রতিরোধ (টিএইচবি) শাখা।

গত শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, গত ১২ জুন রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে চক্রের মূল হোতা আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার আমতলী মাঝেরপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ ইছহাকের ছেলে। 

পুলিশ সুপার জানান, মুহাম্মদ আলমগীর হোছাইনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মানব পাচার দমন প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা (নম্বর-০৪) ছিল। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিআইডি প্রাথমিকভাবে জানতে পারে, এই চক্রের সদস্যরা রাশিয়ায় মাসে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বেতনে চকলেট ফ্যাক্টরি, ক্লিনার অথবা বাবুর্চির কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ১০ জনকে প্রথমে ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরব পাঠায়। সেখানে তাদের ওমরাহ হজ করানোর পর রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে এক সুলতানের কাছে বিক্রি করে দেয়। সুলতান তাদের দাস হিসেবে রাশিয়ার সেনাদের কাছে হস্তান্তর করে। সেখানে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাধ্য করা হয়। এতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে ভুক্তভোগীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। তারা বাধ্য হয়ে যুদ্ধে অংশ নেয়। ওই যুদ্ধে নাটোরের সিংড়া থানার হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তি নিহত এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জের আমিনুল নামে একজন গুরুতর আহত হন বলে জানা গেছে। 

জসীম উদ্দিন খান আরও জানান, ওই ১০ জনের একজন নরসিংদীর পলাশ থানার বাসিন্দা মো. আকরাম হোসেন (২৪) প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যান। পরে তিনি নিজের চেষ্টায় গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এরপর যুদ্ধাহত আমিনুলের স্ত্রী ঝুমু আক্তার বনানী থানায় একটি মামলা করেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার সময় মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য ফাবিহা জেরিন তামান্নাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তামান্না ড্রিম হোম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস লিমিটেডের ব্যবসায়ী অংশীদার।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে শ্রমিকদের প্রতিক্রিয়া

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে শ্রমিকদের প্রতিক্রিয়া
প্রধান উপদেষ্টা ডা. মুহাম্মদ ইউনূস।

বন্দর নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ শ্রমিক-কর্মচারীদের মর্মাহত ও আশাহত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর ইসলামী শ্রমিক সংঘের নেতারা। 

শনিবার ( ১৪ জুন) দুপুরে ইসলামী শ্রমিক সংঘ কার্যালয়ে সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

সভায় বক্তারা বলেন, ঈদের আগে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বন্দর নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দরের আপামর শ্রমিক-জনতা মর্মাহত ও আশাহত হয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের সহযোগীদের পরামর্শে বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালকে (এনসিটি) বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর হবে না। দেশের স্বার্থ বিবেচনায় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থে নির্মিত ও পরিচালিত এনসিটি বিদেশিদের হাতে না দিয়ে কনটেইনার হ্যান্ডলিং অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড থেকে বন্দরকে মুক্ত করার জোর দাবি জানানো হয়। 

বক্তারা বলেন, বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে আমাদের প্রস্তাব নিয়ে সরকার আলোচনা করতে পারে। কিন্তু সরকার তা করছে না। বাংলাদেশের সব মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। দেশপ্রেম আছে বলেই এ দেশে ‘৩৬ জুলাই’ সংঘটিত হয়েছে। আর দেশদ্রোহী ফ্যাসিস্টরা দল বেঁধে দেশত্যাগ করেছে। 

সভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী শ্রমিক সংঘের সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন, সহসভাপতি রবিউল হাসান, রেজাউল করিম সেলিম, আমান উল্লাহ, আবু তালেব প্রামাণিক প্রমুখ।

ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষে অফিস শুরু

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
আপডেট: ১৫ জুন ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষে অফিস শুরু
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে রবিবার (১৫ জুন) থেকে খুলছে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস-আদালত।

গত ৬ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে টানা ছুটির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ৭ মে ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশে গত ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে। এর আগে ৫ জুন থেকে টানা ১০ দিনের ছুটি শুরু হয়। এই ছুটি শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ছুটিকালীন সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ ছিল।

তবে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে ছিলেন। পাশাপাশি হাসপাতাল ও জরুরি সেবা, এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এবং চিকিৎসকরা ছুটির আওতার বাইরে ছিলেন।