রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস এলাকায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের দালালবিরোধী অভিযানে এই চক্রের ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে র্যাব-২-এর সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি শিহাব করিম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি সংঘবদ্ধ একটি দালাল চক্র আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সামনে এবং পার্শ্ববর্তী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার লাইনে দাঁড়ানো পাসপোর্ট প্রার্থীদের ফরম পূরণ, ফরম সত্যায়ন, কাগজপত্র ঘাটতি, ভুল বা ভুয়া কাগজপত্র, এমনকি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় ভেরিফিকেশন ছাড়া অতি দ্রুত পাসপোর্ট তৈরির সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করে।’
পাসপোর্ট প্রার্থীরা তাদের প্রতারণায় রাজি না হওয়া পর্যন্ত নানাভাবে বিরক্ত করতেই থাকে। অল্প সময়ে পাসপোর্ট করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে পাসপোর্ট প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হওয়ার পরও চক্রটি গণ-উপদ্রব চালিয়েই যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিটি নোটিশ বোর্ড ছাড়াও মাইকিং করে দালালদের উপদ্রব সৃষ্টিকারীদের সতর্ক করা হয়।
এএসপি শিহাব করিম আরও বলেন, ‘এসব সতর্কীকরণ পদক্ষেপ গ্রহণের পরও দালাল চক্রের উপদ্রবে সাধারণ মানুষের হয়রানি বন্ধ না হওয়ায় র্যাব-২ নিয়মিত গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।’
র্যাব-২-এর একটি দল র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসানের পরিচালনায় রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসসংলগ্ন এলাকায় বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাসপোর্ট দালাল চক্রের ১২ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।