ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

সুবিধা কাজে লাগিয়ে অসুবিধা দূর করতে ‘এআই আইন’ দ্রুত প্রয়োজন

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
সুবিধা কাজে লাগিয়ে অসুবিধা দূর করতে ‘এআই আইন’ দ্রুত প্রয়োজন
ছবি : সংগৃহীত

ফেইক ছবি, ডিপফেইক ভিডিও ও ভয়েস ক্লোনিং এর মতো ঝুঁকি মোকাবেলা করতে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিতে চায় সরকার। তারই অংশ হিসেবে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘কনস্টিটিউশন জিপিটি’র মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় সেবায় এআই টুল ব্যবহার করে জাতীয় নিরাত্তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনের সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন ২০২৪’ প্রণয়নের জন্য বহুপক্ষীয় অংশীজনের উপস্থিতিতে সংলাপ অনুষ্ঠানে এমনটাই জানানো হয়েছে। 

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে এআই-কে উদ্ভাবন, অনুশাসন ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে’ বলে জানান জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, আমরা এআই এর অসৎ ব্যবহার রোধ করতে চাই। ইথিক্যাল চার্চার মাধ্যমে এআই দিয়ে স্বয়ংক্রিয় সেবার বহর বাড়াতে চাই। সে জন্য এরই মধ্যে আমরা এআই ব্যবহার করে কিছু দিন হলো একটি কনস্টিটিউশন জিপিটি তৈরি করেছি। রেগুলেটরের মাধ্যমে আমরা সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেব।

প্রধান অতিথি আনিসুল হক বললেন, সুবিধা কাজে লাগিয়ে অসুবিধা দূর করতে এই আইন করতে হচ্ছে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অত্যন্ত প্রয়োজন। অংশীজনদের নিয়েই আমরা এই খসড়া চূড়ান্ত করবো। এআই আইন তৈরি করতে পলিসির সঙ্গে আইনের সমন্বয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকবো। শিগগরিই একটি ড্রাফট আউটলাইন করবো। এরপর আবার অংশীজন সভা হবে। সেই ড্রাফটে মতামত কতটা অন্তর্ভূক্ত হলো তা দেখা যাবে।

অংশীজন সভায় নৈতিকতা, সাংস্কৃতি, ধর্মীয় ও জাতীয় মূল্যবোধে ভিত্তিতে ‘এআই আইন’ প্রণয়ণের পরামর্শ দেন বিটিআরসি মহাপরিচালক খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, এআই আমার কাছে ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’। তাই, নৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় মূল্যবোধ বিবেচনায় নিয়ে এআই আইন করা দরকার।

মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুপ ফারুক বলেন, আমাদের শিল্পের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে এআই আইন করা উচিত হবে। বৈশ্বিক বিবেচনায় দায়িত্বশীল এআই জরুরি। ফান্ডামেন্টাল জেনারেল ইউজের ক্ষেত্রে সুযোগ রাখতে হবে। বৈশ্বিক যে ৬টি প্রিন্সিপাল রয়েছে সে বিষয়টি নিশ্চিত করে এআই আইন করতে হবে। পাঠ্যক্রমেও এআই অন্তর্ভূক্ত করা দরকার।

টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী বলেন, এআই একটি কম্পোজিট বিষয়। তাই এই আইন অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইন বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা দরকার। বেশিরভাগ ডিপফেইক হয় করপোরেট লেভেলে। এক্ষেত্রে নির্দেশ দাতা না কোডার- দায় কার হবে প্রশ্ন রাখেন তিনি। তাই আইন করার আগে ইউজ কেইস ও অপরাধকে আগে চিহ্নিত করে এর অপপ্রোয়গ না হওয়ার বিষয়ে যুক্ত করেন এই গণমাধ্যম কর্মী।

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, আইন করার আগে এর দর্শনটা ঠিক করা জরুরি। এআই এখন আস্ত একটা সফটওয়্যার বানিয়ে দেয়। ১০ জন সফটওয়্যারের ৩০ দিনের কাজ ৩ দিনে করে দেয় এআই। এটা আমাদের চিন্তার বিষয়। এআই এর অগ্রগতি দৌড়ের সঙ্গে আমরা কতটা এগিয়েছি তা ভাবতে হবে। তাই আশঙ্কা না সম্ভাবনা তা নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট করা প্রয়োজন। বিশ্বজুড়েই তাই যেমন ভাবে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা নির্ণয় বন্ধ আছে ঠিক তেমই এআই নিয়ন্ত্রণ করার কথা এখন ভাবা হচ্ছে।

সভায় ‘এআই এর জন্য চাকরি হারানো ব্যক্তিদের জন্য সরকারি ভাতার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান বিটিআরসি’র সাবেক মহাপরিচালক মো. রাকিবুল হাসান। তিনি বলেন, এআই এর কারণে যখন কেউ চাকরি হারাবে তখন পরবর্তী চাকরি না পাওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারকে তাকে ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও ডেটা লিক হলে ব্যাড অ্যাক্টররা অ্যাক্টিভ হয়। তাই তথ্য সুরক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে বিদ্যমান আইনের সঙ্গে নতুন এআই আইন যেন সাংঘর্ষিক না হয় সে বিষয়টি এখনই নিশ্চিত করা দরকার।

ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার বলেন, কৃ্ত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার করছে শিক্ষার্থীরা। তাই এটা আমাদেরকে গ্রহণ করতেই হবে। একইসঙ্গে এর ঝুঁকিকে বিবেচনায় নিয়ে সেখানে আগাম ব্যবস্থা থাকতে হবে।

ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইম রেজা বলেন, নতুন এআই আইন আসন্ন ওটিটি’র মতো আইনের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া দরকার। শিক্ষার ক্ষেত্রে সমন্বয় জরুরি।

ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ডস কমিশন সদস্য সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, এআই এর ইথিক্যাল ইস্যু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই ইউজিসি-তে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী বলেন, ওভার রেগুলেশন করতে গিয়ে যেনো আমরা এআই এর সুযোগ হাতছাড়া না করি। এটা কোনো দেশের সরকারের অধীনে নেই। এটা বিগ টেকের হাতে। তাই তাদের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে।

সভায় ২৬ জনের মতো সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতারা এআই আইন নিয়ে নিজেদের মত তুলে ধরেন।

সময় এবং প্রয়োজনে যেনো দ্রুত আইনটি পরিবর্তন রাখা যায় সেই সুযোগ খসড়া আইনে রাখার আহ্বান জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রতিটি প্রযুক্তির গুড অ্যান্ড ব্যাড সাইড রয়েছে। তাই ভালোটি গ্রহণ করে খারাপটি মোকাবেলার সক্ষমতা আমাদের অর্জন করতে হবে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ইডিজি প্রকল্প পরিচালক আব্দুল বারী জানান, দুই মাসের মধ্যে এই আইনের খসড়া তৈরি করা হয়। এসময় দেশে-বিদেশের এআই অনুশাসন ও আইনের ওপর আলোকপাত করেন তিনি। জানালেন, এ বছরের মার্চে পাশ হয় ইইউ এআই আইন। এরই মধ্যে ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ করেছে। জুন-জুলাই মাসে ভারতে এআই আইন পাশ হতে পারে। বাংলাদেশের আইনে আমরা ডিজিটাল ডেটা, ডিপফেইক, বায়োমেট্রিক, নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি বিষয় সংবিধানের আলোকে করা হচ্ছে। আইনে নাগরিকের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করাও ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।

তিথি/এমএ/

মাহমুদুর রহমানকে ক্ষমা চাইতে বলল ইসকন

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
মাহমুদুর রহমানকে ক্ষমা চাইতে বলল ইসকন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরছেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’র অ্যাজেন্ট, জঙ্গি সংগঠন উল্লেখ করে নিষিদ্ধ করার কথা বলায় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে সাত দিনের মধ্যে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।

এই সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়াসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘ইসকন সম্পর্কে প্রচারিত বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বক্তব্য ও সংবাদের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ইসকন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘আমরা সংবাদমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমে জানতে পেরেছি আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন বলেছেন। তিনি আমাদের র’র অ্যাজেন্ট বলেছেন। ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িয়েছেন। ওনাকে এসব প্রমাণ করতে হবে। আর প্রমাণ করতে না পারলে জাতির সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। ইসকন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হিন্দুধর্ম প্রচার করে। আমরা আমেরিকা, রাশিয়া বা কোনো দেশের গোয়েন্দা সংস্থা না।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পক্ষ থেকে আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও অসত্য হুমকি এবং নিষেধাজ্ঞার আহ্বানের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তার বক্তব্য শুধু আমাদের সংগঠনকেই আঘাত করেনি, বরং এটি বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, সহনশীলতা এবং সামাজিক ঐক্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আমাদের বিশ্বাস, এ ধরনের অযাচিত ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দেশের শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য ক্ষতিকর। মাহমুদুর রহমানকে অবহিত করতে চাই, তিনি যদি তার বক্তব্য পরিহার করে দুঃখ প্রকাশ করে জাতির কাছে ক্ষমা চান, তা হলে আমরা তাকে সাধুবাদ জানাব। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি বিভিন্ন মহল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইসকন বাংলাদেশকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর গুজব ছড়াচ্ছে। যেমন- সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদসমূহে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে যে ছবি বা পতাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে, ইসকনের কোনো নিজস্ব পতাকা নেই। যে পতাকাটি দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে ইসকনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ইসকন বাংলাদেশ তার সব কর্মকাণ্ডে আইন ও শৃঙ্খলা মেনে চলে এবং বাংলাদেশে শান্তি, সহনশীলতা ও ধর্মীয় ঐক্য বজায় রাখার জন্য দৃঢ়নিষ্ঠ। তাই এসব গুজবের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও আধ্যাত্মিক সংগঠনের বিরুদ্ধে জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসকন একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় আন্তর্জাতিক সংগঠন। ইসকন বাংলাদেশ বরাবরই সবার প্রতি মানবিক সহমর্মিতা ও ধর্মীয় সহনশীলতার বার্তা প্রচার করেছে এবং জাতীয় সম্প্রীতি ও ঐক্যের পক্ষে কাজ করেছে। সুতরাং, এসব মিথ্যা প্রচারণা শুধু বাংলাদেশ ইসকনের ভাবমূর্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, বরং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ইসকনের পাশাপাশি বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করছে এবং আমরা এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণার তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই যে, তারা যেন এ ধরনের ভিত্তিহীন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে সহায়তা করে।’

ইসকনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ন্যায্য আট দফা দাবির প্রতি আমরা সংহতি প্রকাশ করি। পাশাপাশি আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং সনাতনীদের প্রতিমা, বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর, লুট, অগ্নিসংযোগ, পুলিশ-শিক্ষকদের লাঞ্ছনা করে অব্যাহতি দেওয়া এবং ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে অনতিবিলম্বে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, হামলা বন্ধ করার জন্য বর্তমান প্রশাসনের নিকট সবিনয়ে অনুরোধ করছি।’

সেই সঙ্গে যারা গুজব ছড়িয়ে অথবা ইসকনকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানান তিনি।

জয়ন্ত সাহা/অমিয়/

মিরপুরে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আটক ৩

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
মিরপুরে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আটক ৩
অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আটক তিনজন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় গত বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সেনাবাহিনীর একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় এবং ভাষানটেক থেকে তাদের আটক করে।

আটকরা হলেন- রিফাত, হৃদয় ও ইয়াছিন।

পরে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি পদক্ষেপের জন্য ভাষানটেক থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, ইচ্ছাকৃত সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় পোশাকশ্রমিকরা বিক্ষোভের সময় পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এসম তারা ইট-পাথর নিক্ষেপ করে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তাদের হঠিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এতে দুই পোশাকশ্রমিক আহত হন।

অমিয়/

শাহজালাল বিমানবন্দরে এপিবিএনের অফিস দখলের অভিযোগ

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ এএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ এএম
শাহজালাল বিমানবন্দরে এপিবিএনের অফিস দখলের অভিযোগ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) একটি অফিস দখলের অভিযোগ উঠেছে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের বিরুদ্ধে (অ্যাভসেক)।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশে কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন ওই জিডি করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে অ্যাভসেকে কর্মরত স্কোয়াড্রন লিডার তাসফিক তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর থেকে ফোন দিয়ে জানান, ‘অ্যাপ্রন এরিয়ার ৩৩ নম্বর গেটে আপনাদের (এপিবিএন) অফিস থেকে মালামাল সরিয়ে ৮ নম্বর হ্যাঙ্গার গেটে রাখা হয়েছে। আপনাদের পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে এগুলো নিয়ে যান।’

পরে সহকারী পুলিশ সুপার জাকির এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।

সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আগে না জানিয়ে কেন মালামালগুলো সরিয়ে অন্য জায়গায় রাখলেন, এমন প্রশ্নে অ্যাভসেকের উপপরিচালক (অপারেশন) সাইফুর রহমান জানান, বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম ও অ্যাভসেকের পরিচালক উইং কমান্ডার জাহাঙ্গীরের নির্দেশে এগুলো সরানো হয়েছে।

হানিফ ফ্লাইওভারে গাড়িচালকের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
হানিফ ফ্লাইওভারে গাড়িচালকের লাশ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভার থেকে সোহেল মিয়া (৪৮) নামের এক গাড়িচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোর ৬টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

সোহেল শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার খোকনকান্দি গ্রামের মোকলেসুর রহমানের ছেলে। তিনি সবুজবাগের বাসাবো কদমতলা এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।

সোহেল মিয়ার আত্মীয় হাবিবুর রহমান বলেন, ‘‘সোহেল নিজের প্রাইভেটকার চালাতেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি উত্তর বাসাবো ঝিলপাড় গ্যারেজে গাড়ি মেরামত করার জন্য যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরে সোহেলের খোঁজে তার স্ত্রী শারমিন ঝিলপাড় গ্যারেজে যান। এ সময় গ্যারেজমালিক রুবেল বলেন, ‘তাকে পার্টস আনতে পাঠিয়েছি।’ এ কথা শুনে শারমিন কয়েকবার সোহলের মোবাইল ফোনে কল দেন। কিন্তু তাকে তিনি ফোনে পাননি। পরে সবুজবাগ থানায় একটা জিডি করেন। এ ঘটনার পর থেকে গ্যারেজমালিক রুবেল পলাতক রয়েছেন।’’

যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. আমির হোসেন বলেন, হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার লোকজন একটি লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে ধোলাইপাড় এলাকায় ফ্লাইওভারের ওপর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সোহেল মিয়ার লাশ উদ্ধার করি। তার মাথার বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারী কোনো বস্তু ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ডেঙ্গুতে চলতি বছর ৩০০ জনের প্রাণহানি, একদিনে আরও ৩ মৃত্যু

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পিএম
ডেঙ্গুতে চলতি বছর ৩০০ জনের প্রাণহানি, একদিনে আরও ৩ মৃত্যু

ডেঙ্গু জ্বরে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের ১২ জন, চট্টগ্রামে ৬৩, ঢাকা বিভাগে ৩৫, ঢাকা উত্তরে ১৪৮, ঢাকা দক্ষিণে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৫, রাজশাহী বিভাগে ২০ এবং সিলেট বিভাগের ৫ জন রয়েছেন। এ নিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬২ হাজার ১৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এবং অন্যজন ময়মনসিংহ জেলার। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৬২ জন। এ নিয়ে ৫৭ হাজার ৯৩৮ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।