ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান-চাল কিনবে সরকার

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান-চাল কিনবে সরকার
ছবি : সংগৃহীত

এবার বোরো মৌসুমে সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান-চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ৪৫ টাকা কেজি দরে ১১ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল, ৪৪ টাকা দরে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ৩২ টাকা কেজি দরে ৫ লাখ মেট্রিক টন ধান। আগামী ৭ মে এই কার্যক্রম শুরু হবে। শেষ হবে ৩১ আগস্ট। 

রবিবার (২১ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এসব তথ্য জানান কমিটির সভাপতি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। 

তিনি বলেন, আসন্ন বোরো সংগ্রহ মৌসুমে (২০২৪ সাল) ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল, ১ লাখ টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা। এ ছাড়া সেদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা এবং প্রতি কেজি গমের সংগ্রহ মূল্য ৩৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল যথাক্রমে ধান ৩০ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা।

দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখন ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গমের মজুত রয়েছে। আরও ৩ লাখ মেট্রিক টন পাইপলাইনে রয়েছে। তবে সরকার সতর্কাবস্থায় আছে। তাই সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সে জন্যই কৌশলগত কারণে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. মহিবুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বেগম রোকেয়া সুলতানা। 

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় দফার শুল্ক আলোচনা শুরু হচ্ছে আজ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:০২ পিএম
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় দফার শুল্ক আলোচনা শুরু হচ্ছে আজ
প্রতীকী ছবি

পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর)। এ আলোচনা বুধবার (৯ জুলাই) শুরু হয়ে ১১ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প গত ৭ জুলাই ১৪টি দেশের সরকার প্রধানের কাছে চিঠি পাঠানোর পর বাংলাদেশ নতুন দফায় আলোচনা শুরু করা প্রথম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।

আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন, যিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে উপস্থিত থেকে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেবেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন।

এ ছাড়া বাণিজ্য সচিব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন।

শফিকুল আলম আরও বলেন, বাংলাদেশ আশা করছে গত ২৭ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম দফার ফলপ্রসূ আলোচনার অগ্রগতির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক চুক্তিটি দ্রুত সম্পন্ন করা যাবে।

মেহেদী/

গুলি চালানোর নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা, ফাঁস হওয়া ফোনালাপ নিশ্চিত করল বিবিসি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০৮ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:১৪ পিএম
গুলি চালানোর নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা, ফাঁস হওয়া ফোনালাপ নিশ্চিত করল বিবিসি
খবরের কাগজ (ফাইল ফটো)

গত বছরের ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি দায়ী - এমন অভিযোগ উঠেছে একটি ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং থেকে, যেটি বিবিসি আই (BBC Eye) ও বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি বিভাগ যাচাই করেছে।

এই অডিওটি গত মার্চে অনলাইনে ফাঁস হয়। তাতে হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, তিনি তার নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের’ অনুমতি দিয়েছেন এবং বলেন- ‘তাদের যেখানে পাবে, সেখানেই গুলি করবে।’

বাংলাদেশের সরকারি কৌঁসুলিরা এই রেকর্ডিংটিকে হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন।

জাতিসংঘের তদন্তকারীদের মতে, এই সহিংসতায় প্রায় এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন।

তবে ভারত পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ও তার দল এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আওয়ামী লীগের এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, অডিওটিতে কোনো ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ বা ‘বাড়তি বল প্রয়োগের’ প্রমাণ নেই।

অজ্ঞাত এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে হাসিনার কথোপকথনের ফাঁস হওয়া এই অডিও এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জোরালো প্রমাণ যে, তিনিই সরাসরি সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর অনুমোদন দিয়েছেন।

এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সন্তানদের জন্য সরকারি চাকরির কোটা বাতিলের দাবিতে। পরে এটি একটি গণআন্দোলনে রূপ নেয়। যার ফলে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। এটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা।

সবচেয়ে রক্তাক্ত ঘটনা ঘটে ৫ আগস্ট - যেদিন হাসিনা হেলিকপ্টারে পালিয়ে যান, আর বিক্ষোভকারীরা ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢুকে পড়েন।

বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের তদন্তে ঢাকার এক বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে গণহত্যার আগে অজানা অনেক তথ্য পাওয়া গেছে - এবং নিহতের সংখ্যা ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।

১৮ জুলাই এই ফোন কলের সময় শেখ হাসিনা গণভবনে অবস্থান করছিলেন বলে একটি সূত্র বিবিসিকে জানায়।

এই সময়টিতে আন্দোলন এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পুলিশের গুলিতে নিহত বিক্ষোভকারীদের ভিডিও ঘিরে তৈরি জনরোষের জবাব দিচ্ছিলেন। ফোন কলের পরদিনই সামরিক মানের অস্ত্র ঢাকায় মোতায়েন ও ব্যবহার করা হয় - এমনটি পুলিশের নথিপত্র থেকে বিবিসি নিশ্চিত করেছে।

এই অডিও রেকর্ডটি জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি) কর্তৃক রেকর্ড করা ফোনকলগুলোর একটি, যারা সরকারিভাবে যোগাযোগ পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে।

অডিওটি কে ফাঁস করেছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। আন্দোলনের পর থেকে শেখ হাসিনার অনেক ফোনকলের ক্লিপ অনলাইনে ছড়িয়েছে, তবে অনেকগুলো যাচাই হয়নি।

১৮ জুলাইয়ের কলটি বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) শেখ হাসিনার পরিচিত কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিলিয়ে নিশ্চিত করেছে।

বিবিসি স্বাধীনভাবে এই অডিওর সত্যতা যাচাই করেছে ব্রিটিশ অডিও ফরেনসিক প্রতিষ্ঠান ইয়ারশটের (Earshot) মাধ্যমে। তারা নিশ্চিত করেছে অডিওটি এডিট বা বিকৃত করা হয়নি। তাছাড়া এটি কৃত্রিমভাবে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ‘অত্যন্ত কম’।

ইয়ারশট জানায়, কলটি সম্ভবত কোনো কক্ষে স্পিকারে বাজিয়ে রেকর্ড করা হয়, কারণ অডিওতে ফোনের ফ্রিকোয়েন্সি এবং  ব্যাকগ্রাউন্ডে শব্দ রয়েছে। অডিওটিতে ইলেকট্রিক নেটওয়ার্ক ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্ত করা গেছে, যা প্রমাণ করে রেকর্ডিংটি আসল এবং বিকৃত করা হয়নি।

তারা শেখ হাসিনার কথা বলার ছন্দ, স্বর এবং নিঃশ্বাসের শব্দ বিশ্লেষণ করে বলেছে, অডিওটিতে কৃত্রিমতা বা কোনো অস্বাভাবিকতা নেই।

ব্রিটিশ মানবাধিকার আইনজীবী টোবি ক্যাডম্যান, যিনি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পরামর্শ দিচ্ছেন, তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এই রেকর্ডিংগুলো তার ভূমিকা প্রমাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো পরিষ্কার, সঠিকভাবে যাচাই করা হয়েছে এবং অন্যান্য প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত।’

আওয়ামী লীগের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বিবিসি যে রেকর্ডিংয়ের কথা বলছে, তা আসল কি না তা আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না।’

শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক সরকার ও পুলিশের বহু কর্মকর্তাকে বিক্ষোভ দমনে দায়ী করা হয়েছে। মোট ২০৩ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৩ জন কারাগারে রয়েছেন।

বিবিসি আই ৩৬ দিনের বিক্ষোভে পুলিশের হামলা-সংক্রান্ত শত শত ভিডিও, ছবি ও নথি বিশ্লেষণ করেছে। তদন্তে দেখা যায়, ৫ আগস্ট ঢাকার ব্যস্ত এলাকা যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ পুলিশি সহিংসতা। সে সময় প্রাথমিক প্রতিবেদনে মৃতের সংখ্যা ৩০ বলা হয়েছিল।

বিবিসির অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড শুরু এবং শেষ হয়। ভিডিও, সিসিটিভি ও ড্রোন ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেনাবাহিনী যে স্থান বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে আলাদা রেখেছিল, সেখান থেকে চলে যাওয়ার পরপরই পুলিশ নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে পুলিশ দৌড়ে পালাতে থাকা বিক্ষোভকারীদের গুলি করে। পরে পুলিশ সদস্যরাই নিকটবর্তী সেনা ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। ওইদিন রাতে বিক্ষোভকারীরা যাত্রাবাড়ী থানায় আগুন দিলে ছয় পুলিশ সদস্য নিহত হন।

বাংলাদেশ পুলিশের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘গত বছরের জুলাই ও আগস্টের সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬০ জন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিছু দুঃখজনক ঘটনায় তৎকালীন পুলিশের কিছু সদস্য অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত চালাচ্ছে।’

গত মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যার নির্দেশ, সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে সহিংসতা, উসকানি, ষড়যন্ত্র ও গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ সত্ত্বেও ভারত এখনো হাসিনার প্রত্যর্পণে রাজি হয়নি। হাসিনা দেশে ফিরে বিচারে অংশ নেবেন না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ দাবি করে, দলীয় নেতারা এই সহিংসতার জন্য দায়ী নন।

দলের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘দলের কোনো শীর্ষ নেতা, এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন এই অভিযোগ আওয়ামী লীগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তগুলো ছিল অনুপাতিক, সদ্বিচারে গৃহীত এবং প্রাণহানি কমানোর লক্ষ্যেই নেওয়া।’

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের কর্মকাণ্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে - তবে আওয়ামী লীগ এই তদন্তের ফলাফলও প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিবিসি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর কাছে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল, তবে কোনো উত্তর পায়নি।

শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। এই সরকার এখন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আওয়ামী লীগকে এই নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। - সূত্র: বিবিসি

অমিয়/

মেট্রোরেলের পিলারে ‘ফিরে দেখা ফ্যাসিস্ট রেজিম’

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৯ এএম
মেট্রোরেলের পিলারে ‘ফিরে দেখা ফ্যাসিস্ট রেজিম’
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে মেট্রোরেল পিলারে চলছে গ্রাফিতি অঙ্কন। ছবি: খবরের কাগজ

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর। এই দিন সকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে খুন হন দর্জি দোকানদার বিশ্বজিৎ দাস। বিরোধী দলের কর্মী ভেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী রামদা, কিরিচ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চারদিক থেকে তাকে ঘিরে একের পর এক আক্রমণ করেন। মুহূর্তেই রক্তে লাল হয়ে যায় পুরো শার্ট। নির্মম নির্যাতনে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের শাসনামলে এ ঘটনাটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। সেই দিনের ঘটনার প্রতীকী চিত্রায়ণ করা হয়েছে মেট্রোরেলের কারওয়ান বাজার স্টেশন থেকে ফার্মগেটমুখী পিলারে।

শুধু বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড নয়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে পিলারগুলোতে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে দেখা যায়, পিলারগুলোতে গ্রাফিতি আঁকছেন শিল্পীরা। ২০০৯ সাল দিয়ে শুরু। প্রতিটি পিলারের মধ্যভাগে সালগুলো ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার নিচেই লেখা ‘ফিরে দেখা ফ্যাসিস্ট রেজিম’। পিলারের বাকি তিন দিকে সেই বছরের আলোচিত তিন অনিয়মের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ক্যাঙ্গারু কোর্ট, খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ, ফেলানী হত্যাকাণ্ড, শেয়ারবাজারের পতন, ইলিয়াস আলীকে গুম, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন, সন্ত্রাস, ব্লগার হত্যাকাণ্ড, রিজার্ভ চুরি, হোলি আর্টিজানে হামলা, তনু ধর্ষণসহ ঘটনাগুলো ধারাবাহিকভাবে চিত্রিত করা হচ্ছে। 

গ্রাফিতি আঁকার কাজটি তদারকি করছেন শিল্পী সোহাগ খান। তিনি দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সবাইকে। কোন চিত্রের পর কোনটা আঁকা হবে বলে দিচ্ছেন। খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘সরকার যে জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি পালন করবে, তার আগেই গ্রাফিতি আঁকা শেষ হবে। জুলাই উপলক্ষে এটি করা হচ্ছে। আশা করছি আমরা ২০ থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এটা সম্পন্ন করতে পারব। ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে প্রতিবছরের আলোচিত হৃদয়বিদারক ঘটনাগুলো আঁকা হবে। সর্বমোট ৭০ পিলারে এই গ্রাফিতি অঙ্কন করা হবে।’

এই গ্রাফিতি অঙ্কনের পরিকল্পনা এবং বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি একটি লিখিত বক্তব্য দেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে মূলত এখানে দুটি কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। ১. যেখানে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব গণহত্যা, দুর্নীতি, অনিয়মগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য সেগুলোর গ্রাফিক আর্টওয়ার্ক করা হচ্ছে। ২. জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ৩৬ দিনের সব কর্মসূচি ও কার্যক্রমকে আমরা এখানে চিত্রায়িত করব, যাতে করে জুলাইয়ের কার্যক্রমকে আমরা স্মরণীয় করতে পারি। এ কার্যক্রম পরিচালনায় উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং তারাও সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে এই কার্যক্রমের ব্যয়ভার বহনের জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে সহায়তা (স্পন্সর) নিয়েছি। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা পাওয়ার চেষ্টা চলছে।’

আরেক শিল্পী শহীদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা ৩০-৪০ জন কাজ করছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যে অন্যায়গুলো হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। মানুষ যেন সেসব দিনের কথা স্মরণ করতে পারে।’

মিরসরাই জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পানির বাড়তি দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১১:২৪ এএম
পানির বাড়তি দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা
ক্যাপশন: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে/ খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ‘গার্মেন্টস ভিলেজে’ কারখানা গড়ার আগেই উদ্যোক্তারা পানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। 

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ওয়াসা বর্তমানে যে দামে পানি সরবরাহ করছে তার চেয়ে বেশি দাম দিতে তারা রাজি নন। অন‌্যদিকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বলছে, মেঘনা নদী থেকে পানি এনে সরবরাহ করতে গেলে প্রতি এক হাজার লিটারের দাম ১২০ টাকার বেশি পড়বে। যা ওয়াসার বর্তমানের দরের চেয়ে প্রায় সোয়া তিনগুন বেশি।
 
বেজার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে এই শিল্প অঞ্চলে দৈনিক পানির চাহিদা হওয়ার কথা ৪৬ কোটি লিটার। ৩০ সালে ৫৯ কোটি, ৩৫ সালে ৬৫ কোটি এবং ৪০ সালে ৭০ কোটি লিটার। বর্তমানে এই শিল্প অঞ্চলে যে কয়টি কারখানা উৎপাদনে গেছে তাদেরকে গভীর নলকূপ থেকে বেজা পানি সরবরাহ করছে। যার প্রতি এক হাজার লিটারের দাম পড়ছে ৩২ টাকা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম শহরে বর্তমানে আবাসিক সংযোগে ওয়াসা প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম নেয় ১৮ টাকা। বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে ৩৭ টাকা। 

বিজিএমইএ’র পরিচালক ও চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় গার্মেন্ট শিল্প গ্রুপ ক্লিপটন’র সিইও মহিউদ্দিন চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্পের অন্যতম উপকরণ পানি। বিশেষ করে ডাইং কারখানাগুলোতে বিপুল পরিমাণ পানি লাগবে। অথচ এখানে পানি নেই। বেজা পানির যে দাম বলছে তাতে পানিনির্ভর কোনো কারখানা এখানে নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। তারা পানির দাম চাইছে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির চেয়ে কয়েকগুন বেশি। গ্যাস কখন আসবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’ 

তিনি বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন জায়গায় যে দামে পানি সরবরাহ করে এখানেও সেই দামে সরবরাহ করুক। ওয়াসার চেয়ে বেশি দামে পানি কেনার সুযোগ কারখানা মালিকদের নেই। ওয়াসার পানির দাম এমনিতেই বেশি। ব্যবসায়ীরা এর চেয়ে এক টাকাও বেশি দিতে রাজি নন। কারণ উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে।’

জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক বলেছেন, ‘মেঘনা নদী থেকে আনলে প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ১২০ টাকার উপরে পড়বে। সরকার যদি ভর্তুকি দিতে চায় দেবে। তাতে বেজার বলার কিছু নেই।’  

চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আমিন এ বিষয়ে বলেন, ‘মেঘনা থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানির সরবরাহ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই এখনো শেষ হয়নি। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পানি শোধনাগার নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে।’ 

পানি সরবরাহ খরচ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতি হাজার লিটারে ১২০ টাকার কাছাকাছি দাম পড়বে। তবে বাস্তবে পানির দাম কত নির্ধারণ করা হবে তা ঠিক করবে সরকার। এনিয়ে বেজা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে। সেখানেই পানির দর নির্ধারণ করা হবে।’

বেজার তথ্যমতে, বিজিএমইএ গার্মেন্ট ভিলেজে মোট বিনিয়োগ হবে ১১শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখানে চার লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু সময়মতো প্লট বুঝে না পাওয়ায় উদ্যোক্তারা কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি। দীর্ঘসূত্রতার কারণে কারখানার জন্য যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল তারাও পিছু হটছে। একারণে বিপাকে পড়ছেন উদ্যোক্তারা।

বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আশার জায়গা যেমন আছে, হতাশারও রয়েছে। ২০১৯ সালে প্রথম ধাপে প্লট পাওয়ার কথা অথচ এখনো কিছুই হয়নি। সবেমাত্র সড়কের কাজ চলছে। নালা নির্মাণ হয়নি। গার্মেন্টস ভিলেজের জন্য যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে তার চেয়ে কিছু প্লট প্রায় পাঁচ ফুট উঁচু। বিষয়টি বেজাকে বলা হয়েছে। তারা সদুত্তর দিতে পারেনি। বেজা বলছে আগামী বছরের শুরু থেকে প্লট দৃশ্যমান হবে। আমরা অপেক্ষায় আছি।’  

জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্লট বুঝিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। সড়ক, নালার কাজ চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো কাজ বাকি থাকলে তা হয়তো জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি লাগতে পারে। এরচেয়ে বেশি সময় লাগবে না। 

উঁচু প্লটের বিষয়ে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক জোনে ৬ দশমিক ৫ মিটার ভরাট করা হয়েছে। কোনো কোম্পানি যদি নিজ খরচে কোথাও অতিরিক্ত মাটি দিয়ে তাদের প্লট ভরাট করে তাতে বেজার কিছু করার নেই। তবে যেটুকু প্রয়োজন বেজা তা ভরাট করে দিয়েছে।

 

বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত, অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হবে

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত, অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হবে
ছবি: খবরের কাগজ

চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর  ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

অমিয়/