স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর নিজ এলাকায় শহিদ বুদ্ধিজীবী ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ও অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দারের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় সাংস্কৃতিক সংগঠন নতুন মুখ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে বানারীপাড়া উপজেলা মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।
যাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- শহিদ বুদ্ধিজীবী জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার মেয়ে ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা ও সুখরঞ্জন সমাদ্দারের ছেলে সলীল রঞ্জন সমাদ্দার।
উপাচার্য ড. মোহম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ৭ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত রাজাকার-আলবদরদের সঙ্গে নিয়ে কয়েকশত বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়। তারা শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি, লেখক, চিকিৎসকসহ যেখানে যাকে পেয়েছে হত্যা করেছে। লক্ষ্য ছিল বাঙালিকে মেধাশূন্য করা। যাতে জাতি হিসেবে বাংলাদেশ পঙ্গু হয়ে যায়, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।’
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশে আমাদের বুদ্ধিজীবীরা মহান অবদান রেখেছেন। এই জনপদ কতটা সমৃদ্ধ তা শহিদ বুদ্ধিজীবী ড. জ্যোর্তিময় গুহঠাকুরতা ও অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দারকে দিয়েই বোঝা যায়।
তিনি আরও বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ও অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দারের জন্মভিটা এই জনপদে হওয়ায় বরিশালের মানুষ গর্বিত। তাদের আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে দিতে এই প্রজন্মকে কাজ করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তরা হালদার, পৌরসভার মেয়র সুভাস চন্দ্র শীল প্রমুখ।
পরে শহিদ বুদ্ধিজীবী ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত ‘জ্যোতির্ময়’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মঈনুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/অমিয়/