ঢাকা ৬ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাজেট ঘিরে ৬৪ শতাংশ মানুষের কোনো প্রত্যাশা নেই: সিপিডি

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ১২:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৫ মে ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
বাজেট ঘিরে ৬৪ শতাংশ মানুষের কোনো প্রত্যাশা নেই: সিপিডি
ছবি : খবরের কাগজ

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাজেট ঘিরে দেশের ৬৪ শতাংশ অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের কোনো প্রত্যাশা নেই। এর কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, বাজেটে জনগণের চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন ঘটে না।

রবিবার (৫ মে) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উক্ত সমীক্ষার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

ড. দেবপ্রিয় জানান, অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পরিচালিত ওই সমীক্ষায় চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ জনগণ মনে করেন, দেশে নতুন কর্মসংস্থান খুব দরকার।

এ ছাড়া ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শিক্ষার মান উন্নয়নে ও ১২ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা বাজেট সম্প্রসারণের দরকার আছে বলে মনে করেন।

মনিরুল/জোবাইদা/অমিয়/

 

অর্ন্তবর্তী সরকার মব জাস্টিস সমর্থন করে না: উপদেষ্টা নাহিদ

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম
আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ এএম
অর্ন্তবর্তী সরকার মব জাস্টিস সমর্থন করে না: উপদেষ্টা নাহিদ
নোয়াখালীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

মব জাস্টিস (উচ্ছৃঙ্খল জনতার বিচার) অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে একপক্ষ বর্তমান সরকারকে বিব্রত করতে চায়। এ ঘটনায় জড়িত সকলকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্যাদূর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে এসে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও বন্যাদূর্গত এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। জনগণের জানমালের রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালালেও তার প্রেতাত্মারা এখনো অনেক ক্ষেত্রে সক্রিয়। আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে দেশের জনগণ যাতে কোনো অবস্থায় কষ্ট না করে। সকল সমস্যার সমাধানে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

পরে তিনি বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আলাওল কবির, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, মেজর নাফিস, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইকবাল হোসেন/ইসরাত চৈতী/

পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে নিহত ৪

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ এএম
পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে নিহত ৪
পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের সময় দুর্বৃত্তরা কয়েকটি দোকানে ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে। ছবি: খবরের কাগজ

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে রাঙামাটিতেও। দুই পক্ষের সংঘর্ষে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত এই দুই পাহাড়ি জেলায় চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়িতে নিহত হয়েছেন তিনজন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় বেলা ২টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায়ের সই করা আদেশে গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকার কথা বলা হয়।

এদিকে গতকাল সকাল থেকে রাঙামাটিতে সংঘর্ষ ও একজন নিহত হওয়ার ঘটনার পর পৌর এলাকায় বেলা একটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আমাদের খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও টাঙ্গাইল প্রতিনিধির পাঠানো বিস্তারিত খবর:

খাগড়াছড়িতে নিহত ৩
খাগড়াছড়িতে তিনজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ। 
নিহত ব্যক্তিরা হলেন দীঘিনালার ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), খাগড়াছড়ি সদরের জুনান চাকমা (২০) ও রুবেল ত্রিপুরা (২১)।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শালবন এলাকা থেকে মোহাম্মদ মামুন (৩৪) নামের এক ব্যক্তিকে গত মঙ্গলবার রাতে নোয়াপাড়া এলাকায় নেওয়া হয়। হাত-পা বেঁধে তাকে নির্যাতন করেন কয়েকজন পাহাড়ি যুবক। একপর্যায়ে মামুন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বৈদ্যুতিক খাম্বার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে চোট পান। গত বুধবার ভোরে পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সহযোগিতায় মামুনকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে খাগড়াছড়ি সদরে বিক্ষোভ করে বাঙালিরা। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবিতে দীঘিনালা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বাঙালি ছাত্ররা। মিছিল নিয়ে তারা লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে ওই সময় পাহাড়িরা তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে তা রূপ নেয় সংঘাতে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। 

সংঘর্ষ চলাকালে দীঘিনালা বাসস্টেশন ও লারমা স্কয়ার এলাকার ১০২টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন দীঘিনালার ইউএনও মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া ভাঙচুর এবং লুটপাট করা হয়েছে চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে।

দীঘিনালার ঘটনার জের ধরে রাতে আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পানছড়ি উপজেলা। বৃহস্পতিবার সাড়ে ১০টার পর থেকে জেলা শহরের নারানখাইয়া, স্বনির্ভর ও খবংপুড়িয়া এলাকায় থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ গুলির শব্দ।

সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেন, ‘রাতে খবংপুড়িয়া এলাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করলে যৌথবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়।’

খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, দীঘিনালা থেকে সন্ধ্যায় কয়েকজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত ধনঞ্জয় চাকমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে পথেই তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও রাতে জেলা সদরের আহত ৬ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুনান চাকমা ও  রুবেল ত্রিপুরার মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ অপর তিনজনসহ মোট চারজন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন সোহেল চাকমা, মানব ত্রিপুরা, বিজয় চাকমা ও নলেজ চাকমা।

সংঘাত ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পাহাড়ি-বাঙালি উভয় পক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করছে। পাহাড়িরা বলছেন, অতর্কিতভাবে পাহাড়িদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের দোকানপাট ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে বাঙালিদের অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিজেদের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে পাহাড়িরা।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন ও যৌথ বাহিনী কাজ করছে। এ ছাড়া স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি আইনশৃঙ্খলা সভা করা হয়েছে। সবাই মিলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমরা।’ 

রাঙামাটিতে নিহত ১, আহত ৫৮
রাঙামাটির বনরূপা ও কলেজগেট এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৮ জন। সংঘর্ষ চলাকালে দুর্বৃত্তরা কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালায় ও  আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় সড়েক বেশ কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর চালানো হয় এবং আগুন দেওয়া হয়। সংঘর্ষের জেরে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। এ পরিস্থিতিতে শহরে চলাচলকারী একমাত্র গণপরিবহন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকে। তবে রাঙামাটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। 

খাগড়াছড়ি মধুপুর ও দীঘিনালায় হামলার প্রতিবাদে গতকাল সকাল ১০টায় রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি বনরূপায় পৌঁছালে বনরূপা মসজিদে হামলা ও পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলে সংঘর্ষ শুরু হয়। 

সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে।

রাঙামাটি শহরের বাণিজ্যিক এলাকা বনরূপা থেকে সংঘর্ষের শুরু হয়। পরে তা বনরূপা কাঁচাবাজার, হ্যাপিরমোড়, দক্ষিণ কালিন্দিপুর, আঞ্চলিক পরিষদ, পাবলিক হেলথ এবং এর আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দুর্বৃত্তরা ভাসমান দোকানপাট ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং অফিসে ভাঙচুর চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়। আতঙ্কে সব দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। 

এ ছাড়া সড়ক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে পার্কিং করা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকে ভাঙচুর চালানো হয়।

এ সময় বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল। এতে দুই দিকে আটকা পড়েন যাত্রীরা। সংঘর্ষের জেরে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে সেনাবাহিনী। 

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে বিকেল ৪টার দিকে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। 

মূলত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপরই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনী অবস্থান নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও শওকত আকবর খান জানিয়েছেন, সংঘর্ষে ৫৮ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।  এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, রাঙামাটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। 

বান্দরবানে বিক্ষোভ মিছিল 
বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল সকালে পাহাড়ি ছাত্রসমাজের উদ্যোগে সমাবেশ করা হয়। এর আগে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে স্থানীয় রাজার মাঠে এসে জড়ো হন পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে যোগ দেয়। 

সমাবেশে মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সভাপতি অংশৈসিং মারমার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিটন তঞ্চঙ্গ্যা, টনায়া ম্রো, জন ত্রিপুরা, মাখাই মারমা, অনন্ত প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, ‘দীঘিনালায় চোর অভিযোগে বাঙালি ভাই মামুনকে যারা হত্যা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালিরা মিলেমিশে থাকতে চাই। কিন্তু বাঙালি হত্যার অভিযোগে পাহাড়িদের দোকান-ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাহাড়িদের ওপর হামলা-অগ্নিসংযোগে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘আমাদেরও স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে। কিন্তু একটি মহল সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যদি এই সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ করা না হয়, তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে লংমার্চ করব।’ 

বক্তারা বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি বিভেদ তৈরি করে পার্বত্য চট্টগ্রামে নীলনকশা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র আগেও সফল হয়নি, এখনো সফল হবে না। পাহাড়ের ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাবে না।

পার্বত্য ৩ জেলায় ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় পাহাড়িদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে শাহবাগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা। এ সময় তারা আধা ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন। পরে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা শাহবাগ মোড় ত্যাগ করেন। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু। 

‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা একে একে জড়ো হতে থাকেন। পরে সেখান সমাবেশ শেষে দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন। এতে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।

পরে সাড়ে ১২টার দিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলায় ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দিয়ে শাহবাগ ত্যাগ করেন তারা। এ সময় কর্মসূচি ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র নবাংশু চাকমা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্মদের ওপর চলমান সাম্প্রদায়িক হামলা-অগ্নিসংযোগ-গুলিবর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একই সঙ্গে শনিবার থেকে ৭২ ঘণ্টার জন্য পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ ঘোষণা করছি।’

পরে ছাত্র-জনতার সমাবেশ থেকে ৭ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, দীঘিনালায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় আক্রান্ত জুম্মরাসহ খাগড়াছড়ি ও ৩ পার্বত্য জেলার জুম্ম জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ জানমাল রক্ষা; জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত কমিশন গঠন করে এ ঘটনার তদন্ত করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ; আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা; জুম্মদের ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধবিহার, দোকানপাট ও বাড়িঘরের মালিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ; স্থানীয়ভাবে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের দায় অনুসন্ধান করে দায়ী ব্যক্তিদের বরখাস্ত এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ; পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সেনা ও সেটলারদের প্রত্যাহার।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালির ওপর হামলা, ঢাবিতে প্রতিবাদ  
পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিকে হত্যা, মসজিদে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ বন্ধ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ এর ব্যানারে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

এ সময় তারা সমতলে খবর দে, ‘জুমল্যান্ডের কবর দে’; ‘আমরা সবাই বাংলাদেশি, কেউ নয় আদিবাসী’; ‘আদিবাসী বলে যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা’; ‘মামুন ভাই মরল কেন প্রশাসন জবাব চাই’; ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, সেনাবাহিনীর বিকল্প নাই’- স্লোগান দেন। এ ছাড়া চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থানরত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা; সব ধরনের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকরী পদক্ষেপ; পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে সেনাবাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা জায়গাগুলোতে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি; পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির অসাংবিধানিক ধারাগুলো বাতিল।

মাভাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মাভাবিপ্রবির ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।

শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করা হয়। 

বিক্ষোভ মিছিল থেকে ‘পাহাড় থেকে সমতলে, লড়াই হবে সমান তালে’, সাম্প্রদায়িকতার কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘পার্বত্য চুক্তি, বাস্তবায়ন করতে হবে’, ‘অবিলম্বে ভূমি অধিকার, ফিরিয়ে দাও দিতে হবে’, ‘দীঘিনালায় আগুন কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার বাড়ি পুড়ছে কেন? প্রশাসন জবাব চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। 

মাভাবিপ্রবি আদিবাসী ছাত্র সংগঠনের সভাপতি প্রজ্ঞা রেমা বলেন, ‘এ ঘটনার তীব্র নিন্দা, ধিক্কার জানাই এবং আজকে পাহাড়ে যে আদিবাসী পরিবারগুলো ঘরছাড়া, সেই সব পরিবার ছাড়াও পাহাড়ি এবং সমতলের সব আদিবাসীর নিরাপত্তা প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।’

বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বার্থেই ছাত্ররাজনীতি চালু রাখতে হবে: আনু মুহাম্মদ

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বার্থেই ছাত্ররাজনীতি চালু রাখতে হবে: আনু মুহাম্মদ
ছবি: খবরের কাগজ

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের যদি রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি না হয়, তাহলে কী করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ তৈরি হতে পারে? বৈষম্যহীন বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে, দখলদারত্বমুক্ত করতে হবে। ছাত্ররাজনীতি অবশ্যই সেখানে সক্রিয়ভাবে রাখতে হবে।’ 

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘জাতি-ধর্ম-লিঙ্গ-শ্রেণি বৈষ্যমহীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও বাংলাদেশের বিনির্মাণের দাবি’ শিরোনামে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। 

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজাহাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। দেশের বুদ্ধিজীবী মহলে কেউ কেউ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্যরা এর বিরোধিতা করেন। 

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বাহাত্তর, পঁচাত্তর, আশির দশক কিংবা নব্বইয়ের দশকে কারা সন্ত্রাস করেছে? আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ছাত্রলীগ, বিএনপি-জামায়াতের সময় ছাত্রদল-ছাত্রশিবির, জাতীয় পার্টির সময় জাতীয় ছাত্রসমাজ সন্ত্রাস করেছে। কিন্তু এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে কারা? দখলদারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে কারা? বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করল কারা?’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আপনি নিষিদ্ধ করলেন ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র কাউন্সিল। এদের ইতিহাস কী? এরা সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-শিক্ষার্থীর যে গণ-অভ্যুত্থান হলো, সেখানেও তারা অংশগ্রহণ করেছে। তারা যদি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, তাহলে সক্রিয় হবে কারা?’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনাকে আনু মুহাম্মদ উল্লেখ করেছেন ‘গ্যাং কিলিং’ বলে। হত্যাকারীরা ‘ক্ষমতার অংশীদারত্ব পেয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গ্যাং কিলিং যারা করেছে, তারা কোনো সংগঠনের নাম দিয়ে করে নাই। কিন্তু তারা কোনো না কোনো জায়গা থেকে আশীর্বাদ পেয়েছে। কোনো না কোনো জায়গা থেকে তারা ক্ষমতার অংশীদারত্ব পেয়েছে।’ 

আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর করতে গেলে সব নাগরিককে সক্রিয় করতে হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রের সব কাজে নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সকল পর্যায়ে সংগঠিত শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে।

সমাবেশে তিনি পাহাড়ে-সমতলের সব ধরনের নৈরাজ্য, আক্রমণ সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হোতারা এখনো কেন সক্রিয় রয়েছে এ প্রশ্নও তোলেন আনু মুহাম্মদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা করা হলেও তাদের ভরণপোষণের গুরুদায়িত্ব সরকারকে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

সমাবেশে অতিথি অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘এ সরকার বলছে, সংস্কার করতে আমাদের যতদিন লাগবে আমরা তত দিন থাকব। সংস্কার করতে যদি ১৫ বছর লাগে, তাহলে তাদের ১৫ বছর থাকতে দেবেন আপনারা? এসব সরকারকে মানুষ বড়জোর এক বছর সহ্য করে। এর বেশি সহ্য করবে না। কারণ মানুষ তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সরকারকে একটা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। সরকার হচ্ছে আমার অধিকার বাস্তবায়নের গ্যারান্টি। আমাদের অধিকার রক্ষা করার শক্তি যদি বর্তমান সরকারের না থাকে বা তার সঙ্গে যে উপসরকার (প্রশাসন) আছে, তারা যদি সেটা বাস্তবায়িত হতে না দেয়, তাহলে এই সরকার যে ম্যান্ডেট দাবি করছে, সেই দাবি কিন্তু বেশি দিন থাকবে না।’ 

ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমা বলেন, ‘আমরা পাহাড়িরা যদি অধিকারের প্রশ্ন তুলি, তখন আমাদের সন্ত্রাসী বলা হয়। বলা হয়, আমরা দেশটাকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছি। আজকে দীঘিনালায় যে প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে, তা নতুন কোনো ঘটনা নয়। পাহাড়ের সবচেয়ে বড় বৈষম্য সামরিক শাসন। পাহাড়ে বৈষম্য বিতাড়ন করতে হলে সেখান থেকে সামরিক শাসন প্রত্যাহার করতে হবে।’

সমাবেশের সঞ্চালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি মধ্যমেয়াদি, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়েছে।’ 

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, গবেষক মাহা মির্জা, বাম নেতা ডা. হারুন-অর-রশিদসহ অন্যরা।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/
 

আবারও লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়তে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
আবারও লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়তে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
লঘুচাপের কারণে উত্তাল সাগর (ফাইল ছবি)

বঙ্গোপসাগরে আবারও লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে আগামী চার দিনে বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। সারা দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। 

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর এসব তথ্য জানায়।

আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

 

ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯৯ জন। 

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ তথ্য অনুসারে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬৯ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৩০ জন রোগী।

চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৪ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২২ হাজার ২৬৫ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ নারী। সূত্র : ইউএনবি