ঢাকা ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে: নানক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম
আপডেট: ০৭ মে ২০২৪, ১০:২৩ পিএম
স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে: নানক
ছবি : সংগৃহীত

স্বাধীনতাবিরোধীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

সরকারবিরোধী দলগুলোর দিকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ওরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা আবারও স্বাধীনতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবিলা করতে হবে।

বুধবার (৭ মে) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামে শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এর ২০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, সেই হত্যাকারীরা এখন গণতন্ত্র-মানবাধিকারের কথা বলে। সরকারের সমালোচনা করে।

বিএনপি নেতা মঈন খানের উদ্দেশ্যে নানক বলেন, এই দেশে হত্যা ক্যু'র রাজনীতি শুরু করেছে আপনাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান। সেই ধারা আপনারা বজায় রেখে চলেছেন। তাই এ দেশের জনগণ আপনাদের লাল কার্ড দেখিয়েছে। আপনারা অপরাজনীতির ভেতর থেকে বের হয়ে আসেন, না হলে আপনারা বিলীন হয়ে যাবেন।

আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্মৃতিচারণ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সেদিন নির্মমভাবে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হলো। তখন হত্যাকারীদের বিচার হলো না! কী কারণে বিচার হলো না? হত্যাকারীদের রায় কেন হচ্ছে না? আমার বোধগম্য নয়। তবে আমাদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এই হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।

তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। আল্লাহর রহমতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে যান। সেদিন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মানবদেওয়াল তৈরি করে নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়েছিল। সেই হামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ২৪টি তাজা প্রাণ চলে যায়। এই তো ছিল বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি।

শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছেলে এবং গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র আজমতউল্লাহ খান প্রমুখ। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকরর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজু/এমএ/

এডিস মশার বিস্তার রোধে দ্বিগুণ হারে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত ডিএসসিসির

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম
এডিস মশার বিস্তার রোধে দ্বিগুণ হারে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত ডিএসসিসির
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন

এডিস মশার বিস্তার রোধে তাৎক্ষণিক ফল পেতে ১৪ জুন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় দ্বিগুণ হারে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এডিস মশার বিস্তার রোধে করণীয় নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও করোনা প্রতিরোধে ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বুধবার (১১ জুন) রাজধানীর ওয়াসা ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে (ফগার মেশিন দ্বারা পরিচালিত) বর্তমানে ব্যবহৃত ৩০ লিটার কীটনাশকের পরিবর্তে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থাৎ ৬০ লিটার কীটনাশক প্রতিদিন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ ছাড়া অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠন ও জনবল ঘাটতি পূরণে উদ্যোগসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। 

সভায় মশককর্মীদের সকাল ও বিকেলে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা, সঠিক অনুপাতে কীটনাশক প্রয়োগ যাচাই, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং মশককর্মী দ্বারা বাড়ির ভেতর, আঙিনা ও ছাদের জমানো পানিসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক এবং সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। 

এ ছাড়া ডেঙ্গু ও করোনা বিষয়ে ডিএসসিসির সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফারিয়া ফয়েজকে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত করা হয়। 

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাসের মধ্যে কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে নগর ভবনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিদিনের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের হালনাগাদ তথ্য ডিএসসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। মশক নিধনে জনবল ঘাটতি পূরণে নিয়োগ-প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাসহ ডেঙ্গু ও করোনা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

সভায় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আগের সব হাসপাতালে হবে করোনা পরীক্ষা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
আগের সব হাসপাতালে হবে করোনা পরীক্ষা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও থাইল্যান্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার বাড়ছে। তবে বাংলাদেশে শনাক্তের হার বাড়েনি, আগের মতোই আছে। এর পরও সংক্রমণের হার বৃদ্ধি প্রতিরোধে দেশের যেসব জায়গায় আগে করোনা পরীক্ষা করা হতো, সেসব জায়গায় আবার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতিবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর জনসাধারণের জন্য ১১ দফা নির্দেশনা দেন।

এদিকে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল) ১০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জন, তারও আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২ থেকে ১৩ শতাংশের মধ্যে। এ হার এখনো একই রকম আছে। এ হার আশপাশের দেশের তুলনায় কম। তবে এখন পরীক্ষা কম হচ্ছে। সর্দি-কাশি হলে যখন বেশি বেশি মানুষ পরীক্ষা করাতে আসবে, তখন প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে। তখন পরিস্থিতি বুঝে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আগে দেশের যেসব জায়গায় করোনা পরীক্ষা করা হতো, এখন আবার সেসব জায়গায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখন রোগী যে সংখ্যা, তাতে ডেডিকেটেড হাসপাতাল জরুরি হয়ে পড়েনি। কারণ আক্রান্তদের বেশির ভাগই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

সবার জন্য এখন পরীক্ষার দরকার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে এলে ডাক্তাররা যদি মনে করেন তার পরীক্ষা করা লাগবে, তাহলে পরীক্ষা করতে পরামর্শ দেবেন। বৃহস্পতিবার (আজ) দেশের হাসপাতালে কিট পৌঁছে দেওয়া হবে। আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছি। তবে কোনো প্যানিক সৃষ্টি করে নয়। মানুষ যেন ভীত হয়ে না যায় যে অবস্থা বুঝি খারাপ। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে মানুষকে সচেতন হতে হবে।’

১১ দফা নির্দেশনা বিষয়ে তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে, উপস্থিত অনিবার্য হলে সে ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করুন। শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে নিজেকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহার করুন। হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। ব্যবহৃত টিস্যু দ্রুত ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন। সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করবেন না। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন, কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। 

সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে নির্দেশনায় তিনি বলেন, জ্বর-কাশি এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত রোগীদের বাড়িতে অবস্থান করতে বলবেন। রোগীর নাক ও মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন। রোগীদের সেবাদানকারী ব্যক্তি সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। প্রয়োজন হলে কাছাকাছি হাসপাতাল, আইইডিসিআর কিংবা স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ নম্বরে যোগাযোগ করুন। 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রস্তুতি চলমান আছে বলে জানান অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস নির্ণয়ে আরটিপিসিআর, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট, ভ্যাকসিন, বিভিন্ন ব্যবস্থাপনার নির্দেশিকা, ওষুধ, অক্সিজেন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, আইসিইউ, কোভিড চিকিৎসা বিশেষায়িত্ব সুবিধাসংবলিত নির্দিষ্ট হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সেবাদানকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাসামগ্রী যেমন মাস্ক, পিপিই, ফেস শিল্ড ইত্যাদি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিট সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আশা করছি কিটের কোনো সমস্যা হবে না। দেশে ২৮ হাজার র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট এসেছে। ১০ হাজার আরটিপিসিআর অ্যান্টিজেন কিট আজকের (বুধবার) মধ্যে পাব। কালই (বৃহস্পতিবার) কিটসহ যাবতীয় জিনিসপত্র হাসপাতালগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হবে।’

হজযাত্রীদের জন্য জরুরি বার্তা বাংলাদেশ বিমানের

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১০:০২ পিএম
হজযাত্রীদের জন্য জরুরি বার্তা বাংলাদেশ বিমানের
ছবি: সংগৃহীত

হজযাত্রীদের জন্য জরুরি বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স। এতে, হজযাত্রীদের ফিরতি যাত্রাসহ যাবতীয় কার্যক্রমের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে বিমানের বিক্রয়কেন্দ্রে এবং অতি জরুরি প্রয়োজনে জেদ্দা বা মদিনার অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১১ জুন) বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবছর হজযাত্রীরা হজ পালন শেষে ফিরতি যাত্রা সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরবিচ্ছিন্ন করার জন্য মক্কা ও মদিনায় অস্থায়ী অফিস স্থাপন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মক্কা ও মদিনায় অস্থায়ী অফিস স্থাপনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

এতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি সৌদি আরবের ভিসা নীতিমালায় বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের নাগরিকদের জন্য সাময়িক ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যার ফলে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সৌদি ভিসা আবেদনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত তারা হাজীদের সেবায় দেশটিতে যেতে পারছেন না।’

হজযাত্রীদের ফিরতি যাত্রায় টিকিট পরিবর্তনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হজ এজেন্সি ও প্রতিনিধিদের নিম্নলিখিত ঠিকানায় অফিস চলাকালীন যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, অতি জরুরি প্রয়োজনে বিমান জেদ্দা সিটি অফিস বা বিমান মদিনা সিটি অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া ঠিকানা—
জেলা বিক্রয় অফিস, মতিঝিল, ঢাকা
বিমান ভবন
মতিঝিল, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮০২-২২৩৩৫৭০০২, +৮৮০১৭২৭৯৯০৯২২
ই-মেইল: [email protected]

জেলা বিক্রয় অফিস, চট্টগ্রাম
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, চট্টগ্রাম
বিমান ভবন, ১/২ সিডিএ এভিনিউ, পূর্ব নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম।
ই-মেইল: [email protected]
ফোন: +৮৮০১৭৭৭৭১৫৭০০
+৮৮০১৭৭৭৭১৫৭২৩
+৮৮০১৭৭৭৭১৫৭২৫

জেলা বিক্রয় অফিস, সিলেট
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সিলেট বিমান ভবন, মজুমদারি, এয়ারপোর্ট রোড, সিলেট।
ই-মেইল: [email protected]
ফোন: +৮৮০১৭৭৭৭১৫৭১০
+৮৮০১৭২৫২৩৫৬৬৪

সুমন/

সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে
ছবি: খবরের কাগজ

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনের উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা বুধবার (১১ জুন) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। জেলেরা আবার মাছ ধরা শুরু করতে পারবেন।

দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ ধরার জন্য মৎসজীবীরা এখন জাল ও নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত।

এর আগে সরকার ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিনের জন্য দেশের সমুদ্রে সব ধরণের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার ফেব্রুয়ারিতে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এ বছর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আগের ৬৫ দিনের পরিবর্তে ৫৮ দিন দেওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ও অন্যান্য প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিকভাবে সব ধরণের মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, গলদা চিংড়ি এবং অন্যান্য ক্রাস্টেসিয়ান মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, বহু বছর ধরে চলমান ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার ফলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের রেকর্ড ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়কালে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবের কারণে ওই দেশগুলোর জেলেরা বাংলাদেশের মাছ আহরণের সুযোগ নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, মৎস্য ব্যবসায়ীদের সংগঠন ও মৎসজীবীরা নিষেধাজ্ঞার সময়কালে আরও সমন্বিত পদ্ধতির দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘তাদের দাবির প্রেক্ষিতে, মৎস্য বিভাগ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং অন্যান্য অংশীদারদের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

কমিটি ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ এই সময়টি বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মাছের প্রজননের সময়। সূত্র: ইউএনবি

সুমন/

১৭ বছর পর ইতিহাসের সুন্দর নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১২:৩০ এএম
১৭ বছর পর ইতিহাসের সুন্দর নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ওই ভোটের জন্য দেশের জনগণ প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (১১ জুন) লন্ডনের প্রভাবশালী নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, ‘১৭ বছর পর আমরা একটি সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজনের দ্বারপ্রান্তে। এটি হবে আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম কেবল একটি নতুন সরকার গঠনের জন্য রক্ত দেয়নি, তারা চেয়েছে একটি নতুন বাংলাদেশ। এই নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে একটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক কমিশন গঠন করেছি। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সামনে এগোচ্ছি। এখন আমাদের মূল দায়িত্ব হলো সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তোলা।’

সংলাপে আরেক প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা এখন অপেক্ষায় আছি ‘জুলাই সনদের’। এই সনদটি পুরো জাতির সামনে জুলাই মাসের সনদ হিসেবে তুলে ধরা হবে।’ 

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচারের পর দলটি নিষিদ্ধ হওয়া, না হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো সদস্য জাতির কাছে ক্ষমা চাননি, যারা গণহত্যা ঘটিয়েছেন এবং এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিচার শেষ হওয়ার আগে আমরা জনগণের নিরাপত্তার জন্য আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করেছি।’

আগামীতে নির্বাচিত সরকারে থাকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস দুই হাত নেড়ে বলেন নো ওয়ে, নো ওয়ে।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সদস্যই এমনটা করবেন না। আমাদের দায়িত্ব হলো- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ভালোভাবে সম্পন্ন করা এবং জনগণকে খুশি করা। নির্বাচন শেষে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। আমরা নির্বাচনটা যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে চাই। এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘যদি নির্বাচনে ভুল হয়, তাহলে এই বিষয়টার আর সমাধান হবে না।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে ড. ইউনূস বলেন, ‘সাত বছর আগে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছে। তাদের অনেকে পাঁচ মাস থেকে শুরু করে ৫ বছর বা ৭ বছর বয়সীও ছিল। তারা সবাই আজ যুবক বা কিশোর। এখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বিভিন্ন কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে তাদের ভরণপোষণ দেবে কারা। তাদের তো থাকার নির্দিষ্ট সময়ও নেই। বিষয়টি নিয়ে তার সরকার গুরুত্বসহকারে কাজ করছে।’ 

চ্যাথাম হাউস সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে পাসপোর্ট প্রাপ্তির সুবিধাসহ তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আগে পাসপোর্টসহ বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে ‘মাধ্যম’ প্রয়োজন হতো। যার মাধ্যমে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হতো। এখন সরকারি বিভিন্ন সেবা অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে, যাতে সবাই সহজেই সেবা নিতে পারেন।’

বক্তব্যের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা একটি ভুল সভ্যতার অংশ হয়ে গেছি, আমরা নিজেরাই একটি আত্মবিধ্বংসী সভ্যতা গড়ে তুলেছি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আমাদের দরকার নতুন করে সভ্যতা গড়ে তোলা। এর জন্য দরকার কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা, বেকারত্ব দূর করা এবং ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়া। এটার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা কোনো শিক্ষা বা জ্ঞানের বিষয় নয়।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, গবেষক এবং গণমাধ্যমকর্মীরা। 

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গাসংকট, পাচার হওয়া বাংলাদেশি সম্পদ উদ্ধার, সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোনাথন পাওয়েলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার লন্ডনের একটি হোটেলে আয়োজিত বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। ড. ইউনূস রোহিঙ্গাসংকট মোকাবিলায় আসন্ন জাতিসংঘ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের সক্রিয় সমর্থন কামনা করেন এবং দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর মায়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনে ভূমিকা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হয়েছে, যা রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। ড. ইউনূস পাচার করা এই অর্থ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।’

বৈঠকে জোনাথন পাওয়েল বাংলাদেশের এই সংকটকালে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অব্যাহত সমর্থনের প্রস্তাব দেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত, বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে ইতিবাচক অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসার বিষয়েও আলোচনা হয়।