ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

কে এই আজিজ মোহাম্মদ

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ১০:১৯ এএম
আপডেট: ১০ মে ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
কে এই আজিজ মোহাম্মদ
আজিজ মোহাম্মদ ভাই। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের রহস্যময় ব্যক্তিদের তালিকার প্রথমদিকেই যাদের নাম থাকবে তাদের একজন এই আজিজ মোহাম্মদ ভাই। যাকে নিয়ে আছে নানা গল্প, নানা রহস্য। আর এসব গল্পের বেশির ভাগই চলচ্চিত্র জগতের নারী ও হত্যাকেন্দ্রিক। এসব গল্পের কতটুকু সত্য আর কতটুকু মিথ্যা সে নিয়েও আছে নানা মত।

নামের সঙ্গে ‘ভাই’ শব্দটি থাকার কারণে অনেকেই মনে করেন গডফাদার বলেই তাকে ভাই বলা হয়। সাধারণত মাফিয়া ডন বা গডফাদারদের ভাই ডাকে তাদের অনুগতরা। কিন্তু আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের নামে ‘ভাই’ শব্দটি মূলত তাদের বংশের পদবি। তাদের পরিবারের সকলেরই নামের শেষে ভাই পদবি আছে। এমনকি নারীদের নামের সঙ্গেও ভাই আছে। তার পিতার নাম মোহাম্মদ ভাই। মায়ের নাম খাদিজা মোহাম্মদ ভাই।

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর তাদের পরিবার ভারতের গুজরাট থেকে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান বাংলাদেশে আসে। তাদের পরিবার মূলত পারস্য বংশোদ্ভূত। তারা ‘বাহাইয়ান’ সম্প্রদায়ের লোক। বাহাইয়ানকে সংক্ষেপে ‘বাহাই’ বলা হয়। উপমহাদেশের উচ্চারণে এই ‘বাহাই’ পরবর্তীতে ‘ভাই’ হয়ে যায়।

ধনাঢ্য এই পরিবার পুরান ঢাকায় বসবাস শুরু করে। ১৯৬২ সালে আজিজ মোহম্মদ ভাইয়ের জন্ম হয় আরমানিটোলায়। পারিবারিক সূত্রে আজিজ মোহাম্মদ ভাই নিজেও শুরু করেন ব্যবসা। দিনে দিনে বাড়তে থাকে তার অর্থ সম্পদ। অলিম্পিক ব্যাটারি, অলিম্পিক বলপেন, অলিম্পিক ব্রেড ও বিস্কুট, এমবি ফার্মাসিটিউক্যালস, এমবি ফিল্মস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। এ ছাড়া মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুরে রয়েছে তার হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসা। আবার মাদক কারবারির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে। তিনি সার্ক চেম্বারের আজীবন সদস্য। কথিত আছে, ভারতের আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

ব্যবসার পাশাপাশি ৯০’র দশকে আজিজ মোহাম্মদ ভাই এমবি ফিল্মসের ব্যানারে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসেন। চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা থেকে নাকি নায়িকাদের রূপের মোহে কিংবা কালো টাকা সাদা করতেই প্রযোজনায় আসেন- সেটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে এসেই নিজের আধিপত্য বিস্তার করে ফেললেন। পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী, মিডিয়া মালিক ও সাংবাদিকরা সমীহ করে চলতেন তাকে। ৫০টির মতো চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন আজিজ মোহাম্মদ। দেশের বিজ্ঞাপন জগতে গ্ল্যামার আনতেও তার ভূমিকা ছিল। নিজের প্রতিষ্ঠান অলিম্পিক ব্যাটারির ‘আলো আলো বেশি আলো’ বিজ্ঞাপনে মিতা নূরের ঝলমলে উপস্থিতি তখন বেশ নজর কেড়েছিল।

এরশাদ সরকারের আমলে একবার তিনি গ্রেপ্তার হন। প্রচলিত আছে, এক নারী নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই এরশাদ তাকে গ্রেপ্তার করিয়েছিলেন। এরশাদ এক নারীকে পছন্দ করেন, একই নারীর প্রতি আকাঙ্ক্ষা ছিল আজিজ মোহাম্মদেরও। অবশ্য দ্রুতই প্রিন্স আব্দুল করিম আগা খানের সুপারিশে মুক্তি পান আজিজ মোহাম্মদ।

চলচ্চিত্র নায়িকাসহ বিভিন্ন নারীর সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদের সম্পর্ক নিয়ে নানা মুখরোচক গল্প ছড়াতে থাকে। একজন পত্রিকা সম্পাদককে হত্যার অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে; কিন্তু সেটাকে পরে হার্ট অ্যাটাক বলে প্রচার করা হয়। তবে তিনি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন ১৯৯৭ সালে। সে সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু সেটাকে আত্মহত্যা বলেই প্রচার করা হয়। যদিও সালমান শাহের পরিবার ও তার ভক্তদের ধারণা এটা হত্যাকাণ্ড। পারিপার্শ্বিক আলামতেও এটাকে হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হয়। আবার আজিজ মোহাম্মদের মতো সালমানের স্ত্রী সামিরার থাইল্যান্ড গিয়ে বসবাস সন্দেহকে বাড়িয়েই দেয়।

শোনা যায়, সালমান শাহ মারা যাওয়ার আগে একটি পার্টিতে সালমানের স্ত্রী সামিরাকে চুমু দিয়েছিলেন আজিজ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সকলের সামনে আজিজকে চড় মারেন সালমান শাহ। এটাকে মোটিভ হিসেবে ধরেন অনেকেই। যদিও হত্যাকাণ্ডের সময় থাইল্যান্ডে ছিলেন আজিজ। সালমান হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুবার জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় আজিজকে। কিন্তু কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে।

এর দুই বছর পর রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদিন টাওয়ারে অবস্থিত ‘ট্রাম্পস ক্লাব’-এ খুন করা হয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে। এ হত্যাকাণ্ডেও আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও তার পরিবারের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। সে সময় সোহেল চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে ছিল ঢাকার ডিশ ব্যবসা। এই ব্যবসা নিজেদের কব্জায় নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা।

তবে বারবারই প্রমাণের অভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছেন আজিজ। আজিজ মোহাম্মদ দাবি করার সুযোগ পেয়েছেন তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিডিয়াই তাকে ডন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে বারবার। ২০১২ সালে মাদক কারবারের অপরাধে আজিজের ভাতিজা, ইয়াবা সম্রাট বলে খ্যাত আমিন হুদার ৭৯ বছরের জেল হয়েছে।

বর্তমানে আজিজ মোহাম্মদ সপরিবারে সিঙ্গাপুর থাকেন। মাঝে মধ্যে থাইল্যান্ডেও থাকেন। সেখান থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করেন। আনন্দ ফুর্তি করে সময় কাটাতে পছন্দ করা এই লোককে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পার্টিতে, ক্লাবে নারীদের সঙ্গে ফুর্তিরত অবস্থায় দেখা যায়। তার স্ত্রী নওরিন মোহাম্মদ দেশে এসে ব্যবসা দেখেন। পরিবারে তার আছে ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে।

উল্লেখ্য, নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বাকি ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকী।

শেখ হাসিনার গাড়িচালকের ছেলে রুবেল গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম
শেখ হাসিনার গাড়িচালকের ছেলে রুবেল গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার মো. রুবেল আহমেদ

অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতে ‘ষড়যন্ত্র করার’ অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িচালকের ছেলে মো. রুবেল আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার রুবেল ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। তার বাবার নাম রাজ্জাক মাতব্বর। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মোহাম্মদপুরের বছিলা মেট্রো হাউজিং এলাকা থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা রুবেলকে আদাবর এলাকার নেতা-কর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।’ 

রুবেলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হচ্ছে জানিয়ে উপকমিশনার রানা বলেন, ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী মামলাও হতে পারে।’

গত ৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনার গাড়িচালকের ছেলের বিরুদ্ধে প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের একটি পোস্ট দেন। যেখানে রুবেলকে নিয়ে একটি ‘বিশেষ’ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের কথা জানিয়েছেন তিনি। রুবেলকে গ্রেপ্তারের পরও তার কর্মকাণ্ড নিয়ে একই কথা জানিয়েছে পুলিশ।

সাবেক মন্ত্রী রেজাউল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
সাবেক মন্ত্রী রেজাউল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

অবৈধ উপায়ে প্রায় ১২ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় রেজাউল করিমের ১২টি অ্যাকাউন্টে প্রায় ৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, তিনি মন্ত্রী থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে ৮ কোটি ৮৬ লাখ ১১ হাজার ৪২৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার নিজ নামে ১২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন রয়েছে।

অন্য মামলায় রেজাউল করিমের স্ত্রী ফিরোজা পারভীন আক্তারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় শ ম রেজাউল করিমকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। 

 

 

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ৩৩ ডিসিকে ওএসডি

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ৩৩ ডিসিকে ওএসডি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক ছয়টি প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এর মধ্যে পাঁচটি প্রজ্ঞাপনে প্রতিটিতে ছয়জন করে এবং আরেকটিতে তিনজন কর্মকর্তাকে ওএসডি করার কথা জানানো হয়েছে। তারা সবাই ২০১৮ সালের নির্বাচনে রির্টানিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর যেসব এসপি ও ইউনিট প্রধানরা বিপিএম-পিপিএম পদক পেয়েছিল তাও বাতিল করা হয়েছে। একই কারণে এর আগে ওএসডি করা হয় ১২ ডিসিকে।

তবে এসডির কারণ প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়নি। জানানো হয়েছে, জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।

ওএসডি করা কর্মকর্তাদের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন

বন্ধ হয়ে গেল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
বন্ধ হয়ে গেল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেল দিনাজপুরের পার্বতীপুরে কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। চার দিনের ব্যবধানে চালু থাকা দুটি ইউনিটের বয়লারের পাইপে ছিদ্র (লিকেজ) দেখা দেয়। এতে একটি গত শনিবার এবং অপরটি গতকাল মঙ্গলবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে অপর একটি ইউনিট থেকে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক।

জানা গেছে, বড়পুকুরিয়ার কয়লা ব্যবহার করে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে আসছে। তিনটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিট মিলে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ২৫০ মেগাওয়াট। ৩ নম্বর ইউনিট ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাসম্পন্ন।

এর মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। সচল ছিল ১ নম্বর ও ৩ নম্বর ইউনিট। এই দুই ইউনিট থেকে প্রায় ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হতো। তবে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গত শনিবার ৩ নম্বর ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। চালু ছিল শুধু ১ নম্বর ইউনিট। সেই ইউনিটে বয়লারে ছিদ্র হওয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। এতে উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের শঙ্কা রয়েছে। 

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রথম ইউনিটের বয়লারের টিউব ফেটে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। প্রায় ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বয়লারটি ঠাণ্ডা হলে মেরামতকাজ শুরু হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উৎপাদনে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।’ রমজানের আগেই ৩ নম্বর ইউনিটও চালু করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।

বেবিচক চেয়ারম্যানের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
বেবিচক চেয়ারম্যানের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান অ্যায়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেবিচক সদর দপ্তরে এসে এই সাক্ষাৎ সংঘটিত হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেবিচকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ ছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, বিভিন্ন বিমানবন্দরের উন্নয়নমূলক কাজ, নতুন ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা, বাংলাদেশে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় তাদের মধ্যে।

অ্যাভিয়েশন খাতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনার বিষয়টিও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।