সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া নৈশভোজ-পূর্ব আলোচনায় ডলার পরিস্থিতি, দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে সালমান এফ রহমানের গুলশানের বাড়িতে অনানুষ্ঠানিক এ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। আলোচনা ও নৈশভোজের পর্ব রাত ৮টায় শুরু হয়ে চলে প্রায় ১১টা পর্যন্ত।
নৈশভোজ-পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার টিমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা রাষ্ট্রীয় কোনো আয়োজন নয়। ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরকালে এ যাবৎ মোট চারবার তার বাড়িতে দাওয়াত খেয়েছেন।
তিনি বলেন, একেবারেই আড্ডাচ্ছলে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এখানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের কথা উঠে এসেছে। ডোনাল্ড লু বলেছেন ডলার সংকটের কারণে মার্কিন কোম্পানিগুলো ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছে না। তাদের আরও অনেক কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করতে চায়। জবাবে আমরা বলেছি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাই কমবেশি অবগত। আমরা চেষ্টা করছি ডলারের সরবরাহ বাড়াতে। এ লক্ষ্যে টাকার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি এতে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়বে।
সালমান এফ রহমান বলেন, নেপাল ও ভুটানে বিদ্যুৎ প্লান্টে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ যাচ্ছে। বাংলাদেশ ওই বিদ্যুৎ ক্রয়ে যুক্ত হোক এটা তারা চায়। এখানে তো তারা ব্যবসার উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ নিয়ে কথা বলেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ক্রয় বা চীন প্রশ্নে কোনো আলোচনা হয়নি।
নৈশভোজে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের বোর্ড সদস্য রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান এবং ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর চিফ অব স্টাফ নেইট হাফট, রাজনৈতিক ইউনিটের প্রধান সারাহ এল্ডরিস, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর আর্তুরো হাইন্স এবং পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথ্যু বেহ।