ঢাকা ২৮ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

সালমানের বাড়িতে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১২:৫৫ এএম
সালমানের বাড়িতে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক
ছবি : সংগৃহীত

সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া নৈশভোজ-পূর্ব আলোচনায় ডলার পরিস্থিতি, দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে সালমান এফ রহমানের গুলশানের বাড়িতে অনানুষ্ঠানিক এ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। আলোচনা ও নৈশভোজের পর্ব রাত ৮টায় শুরু হয়ে চলে প্রায় ১১টা পর্যন্ত। 

নৈশভোজ-পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার টিমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা রাষ্ট্রীয় কোনো আয়োজন নয়। ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরকালে এ যাবৎ মোট চারবার তার বাড়িতে দাওয়াত খেয়েছেন। 

তিনি বলেন, একেবারেই আড্ডাচ্ছলে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এখানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের কথা উঠে এসেছে। ডোনাল্ড লু বলেছেন ডলার সংকটের কারণে মার্কিন কোম্পানিগুলো ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছে না। তাদের আরও অনেক কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করতে চায়। জবাবে আমরা বলেছি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাই কমবেশি অবগত। আমরা চেষ্টা করছি ডলারের সরবরাহ বাড়াতে। এ লক্ষ্যে টাকার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি এতে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়বে। 

সালমান এফ রহমান বলেন, নেপাল ও ভুটানে বিদ্যুৎ প্লান্টে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ যাচ্ছে। বাংলাদেশ ওই বিদ্যুৎ ক্রয়ে যুক্ত হোক এটা তারা চায়। এখানে তো তারা ব্যবসার উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ নিয়ে কথা বলেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ক্রয় বা চীন প্রশ্নে কোনো আলোচনা হয়নি।

নৈশভোজে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের বোর্ড সদস্য রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান এবং ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর চিফ অব স্টাফ নেইট হাফট, রাজনৈতিক ইউনিটের প্রধান সারাহ এল্ডরিস, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর আর্তুরো হাইন্স এবং পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথ্যু বেহ।

উত্তরবঙ্গ ব্লকেডের হুঁশিয়ারি রংপুর-রাজশাহী থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ এএম
রংপুর-রাজশাহী থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি
আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারে উত্তরবঙ্গ থেকে উপদেষ্টা নিয়োগসহ তিন দফা দাবি তুলেছেন উত্তরবঙ্গের সাধারণ ছাত্র-জনতা। ছবি: সংগৃহিত

আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারে রংপুর-রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো থেকে উপদেষ্টা নিয়োগসহ তিন দফা দাবি তুলেছেন উত্তরবঙ্গের সাধারণ ছাত্র-জনতা। দাবি না মানলে উত্তরবঙ্গ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

 মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনে ৩ দফা দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।


সমাবেশে ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে যারাই সরকারে এসেছিল, তারাই উত্তরবঙ্গের মানুষকে বঞ্চিত করে শোষণ করেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ স্বাধীনের পর নতুন সরকার গঠনের পরও আমাদের সঙ্গে বৈষম্যের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, এটি আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি।’


ব্লকেডের হুঁশিয়ারি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ঢাবি শিক্ষার্থী মাহিন সরকার বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে কোনো উপদেষ্টা নেই। উত্তরবঙ্গের সন্তানরা কেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আসার সুযোগ পাবেন না? সচিবালয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে মাত্র ২ জন সচিব। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করেছি কিন্তু এর পরও বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। উপদেষ্টা নিয়োগে যারা বাড়াবাড়ি করছে, তাদের বলব যমুনা সেতু ব্লকেড দিয়ে পুরো উত্তরবঙ্গ ব্লক করে দেওয়া হবে। উপদেষ্টা পরিষদে যেভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, মনে হচ্ছে এটি যেন চিটাগং ক্লাবে পরিণত হয়েছে।’


আরেক সমন্বয়ক আবু সাইদ লিয়ন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তর থেকে বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে। আমরা শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকারের তিন ছাত্র উপদেষ্টার (আসিফ-নাহিদ-মাহফুজ) সঙ্গে বসব, সেখানে সমাধান না পেলে আমরা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার কাছে সাহায্য চাইব। আগামী তিন দিনের মধ্যে যদি কোনো সমাধান না পাই, আমরা উত্তরবঙ্গ ব্লকেডে চলে যাব।’


সমাবেশে ঢাবিসহ রাজধানীর অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় তিন দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো, সুষম উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের দুই বিভাগ থেকে কমপক্ষে ২ জন করে ৪ জন উপদেষ্টা নিয়োগ করতে হবে; সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমলা ও কর্মকর্তা নিয়োগে আঞ্চলিক বৈষম্য করা যাবে না। সেই সঙ্গে প্রত্যেক উপদেষ্টার কার্যক্রমের অগ্রগতি সাপ্তাহিক জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে; বিতর্কিত ও জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে না, এমন কোনো উপদেষ্টাকে অন্তর্বর্তী সরকারে রাখা যাবে না ও পলিসি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।


প্রসঙ্গত, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। এই ২৪ জনের মধ্যে ১৪ জনের বাড়িই চট্টগ্রাম বিভাগে।

অপহরণের নাটক বাবার থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ এএম
বাবার থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা
ছবি: সংগৃহিত

অপহরণের নাটক সাজিয়ে আত্মগোপন করে বাবার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে ছেলেসহ দুজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণ নাটকের কথিত ভুক্তভোগী মো. মুছা শিকদার (২৮) ও তার সহযোগী মো. পারভেজকে (২০) ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ছনটেক এলাকা থেকে মুছা শিকদার নামে ওই যুবক নিখোঁজ হন বলে তার পরিবার জানতে পারে। পরে তার ভাই মাহাবুব আলম ২৬ অক্টোবর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি জিডি করেন। সেই হারানো জিডির ছায়া তদন্তে নেমে ডিবি পুলিশ রহস্য উদঘাটন করে মুছা ও তার সহযোগী পারভেজকে আটক করে। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, মুছা শিকদার নারায়ণগঞ্জে একটি শিপিং কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার ব্যক্তিগত ঋণ পরিশোধের জন্য কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন হলে কৌশলে বাবার কাছ থেকে সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি বের করেন। সেই অনুসারে মুছা নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণের নাটক সাজান। পরবর্তী সময়ে পূর্বপরিচিত পারভেজকে দিয়ে তার বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ মোটা অঙ্গের টাকা চাইতে থাকেন। এ ছাড়া টাকা না দিলে মুছাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ডিবি পুলিশ রহস্য উদঘাটন করেছে। আটক দুজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গুলিস্তানে হকারদের ৫ শতাধিক ভ্যানগাড়ি জব্দ

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১২ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ এএম
গুলিস্তানে হকারদের ৫ শতাধিক ভ্যানগাড়ি জব্দ
গুলিস্তানে হকারদের ভ্যান গাড়ি জব্দ করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর গুলিস্তানে শহিদ মতিউর পার্কে লুকিয়ে রাখা হকারদের পাঁচ শতাধিক ভ্যানগাড়ি জব্দ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এসব ভ্যান গাড়ির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এ সময় ওই এলাকায় সেনা বাহিনীর টহল দল ও থানা পুলিশের উপস্থিতি ছিল।

এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার খোন্দকার নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাস্তায় হকারদের ভ্যানগাড়ির দোকানের কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারে না। এ জন্য প্রতিদিনই অভিযান চালানো হচ্ছে। গুলিস্তানে অভিযানে এসে তাৎক্ষণিক ওই জাতীয় কোনো ভ্যানগাড়ি দেখা যাচ্ছিল না। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় হকাররা তাদের গাড়িগুলো শহিদ মতিউর পার্কের ভেতরে লুকিয়ে রাখেন। মূলত এর আগে অভিযানের খবর পেলে তারা একই কায়দায় এ কাজটি করেছেন। অভিযান দল চলে গেলেই হকাররা আবারও রাস্তায় চলে আসতেন। এই প্রেক্ষাপটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় এবার ওই সব ভ্যানগাড়ি রাখার স্থানেই অভিযান চালানো হয়েছে। ভ্যানগাড়িগুলো সিটি করপোরেশন বাজেয়াপ্ত করেছে।’

ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুল হাসান বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন বা লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি ও অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। তবে গত ২১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ‘ট্রাফিক পক্ষ’ ছিল। সেই ১৫ দিনে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সাড়ে ২৪ হাজার গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। যার মধ্যে অবৈধ গাড়ি পার্কিং, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রুট পারমিট ছাড়া গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি ছিল।’

ঋণ একটি মানবাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ এএম
ঋণ একটি মানবাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা
বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

ঋণ মানুষের অধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, ঋণ একটি মানবাধিকার। কারণ এটি মানুষের জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯-এর এক সাইডলাইন ইভেন্টে বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘ঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত না করে আপনি জীবিকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।’

সম্মেলনের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ড যৌথভাবে ‘এ গ্লোবাল কনভারসেশন: অ্যাকসেস টু ফাইন্যান্স ফর স্মল স্কেল ফার্মার্স’ শিরোনামের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। 

এতে নেদারল্যান্ডসের জলবায়ু দূত বোরবন-পারমার, ডাচ যুবরাজ জেইমি বার্নার্ডোও উপস্থিত ছিলেন। 

ডাচ যুবরাজ আলোকপাত করেন- যে কিভাবে ক্রেডিট, বীমা, বিনিয়োগ, গবেষণা এবং অর্থ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। তিনি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ কৃষকের এখন এই সহায়তার প্রয়োজনীতার ওপর জোর দেন। 

আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইভন পিন্টো বলেন, কৃষকদের ঋণ পাওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ধানের উৎপাদন বেড়েছে। 

ডাচ উদ্যোক্তা উন্নয়ন ব্যাংক এফএমও-এর পরিচালক জোরিম শ্রেভেন, ঋণ অধিকারের বিষয়ে প্রসারিত নৈতিক সমর্থনের জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি জনগণের জানার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত।

ফারহানা হক রহমান বলেন, বর্তমানে ৫৫০ মিলিয়ন ক্ষুদ্র পরিবারের কৃষক সারা বিশ্বে দুই বিলিয়ন মানুষকে খাওয়াচ্ছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, একজন কৃষককে ঋণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে তিনি উদ্যোক্তা হতে পারেন। ‘প্রতিটি ব্যবসার জন্য অর্থ এবং বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়।’

তিনি বলেন, ‘একজন কৃষক শুধু ফসল ফলায় না, বাজারে বিক্রিও করে। যদি তাকে ঋণের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তিনি অন্য কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনতে এবং তার জীবনকে উন্নত করার জন্য বিক্রি করতে পারতেন।’  

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশগুলোকে গ্রামীণ ব্যাংকের মডেল অনুসরণ করে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজানো উচিত, যাতে কৃষকদের জন্য ঋণ সহজলভ্য করা যায়, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী। ‘প্রতিটি দেশে একটি সামাজিক ব্যবসা ব্যাংকিং আইন থাকা উচিত।’

তিনি প্রশংসা করে বলেন যে বর্তমানে সারা বিশ্বের অন্তত ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয় একটি কোর্স হিসাবে সামাজিক ব্যবসা শেখাচ্ছে।

বাসস/অমিয়/

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাযজ্ঞে (অ্যাট্রোসিটি) জড়িত থাকার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেনসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।এ ছাড়া অসংখ্য হত্যাকাণ্ড ও গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক ও মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছেন প্রসিকিউটররা।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর)  প্রসিকিউশনের করা পৃথক দুটি আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে কিছুদিন আগেই জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাবন্দি আছেন।
 
এ ব্যাপারে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল যে একজন তরুণকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যখন তার সহকর্মী নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন সে স্বাভাবিক অবস্থায় বেঁচে ছিল, তার পায়ে আঘাত ছিল সামান্য, সেই ছেলেটিকে কাছে গিয়ে বুকে গুলি করে হত্যা নিশ্চিত এবং লাশটিও নানাভাবে বিকৃত করে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি জাকির হোসেনসহ একদল পুলিশ।

এ ঘটনায় জাকির হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট চারজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেই চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।’

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘হয়রানির শিকার হতে পারে ভেবে পুলিশ বাহিনী নানাভাবে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করছে। কোনো নির্দোষ পুলিশ কর্মকর্তাকে হয়রানি করা হবে না। যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তারা কেউ ছাড় পাবেন না।’
 
দ্বিতীয় আবেদন প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক সেনাবাহিনী থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ এসেছে। অসংখ্য হত্যাকাণ্ড এবং গুমের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। তাকে এক দিনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল, ট্রাইব্যুনাল এই আবেদনও মঞ্জুর করেছেন।’