ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট শুরু

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০৭:৫৮ এএম
আপডেট: ২৯ মে ২০২৪, ০৮:০৩ এএম
তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট শুরু
ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন কয়েকজন ভোটার। খবরের কাগজ (ফাইল ফটো)

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।

এর মধ্যে সাত জেলার ১৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ইভিএম পদ্ধতিতে।

এ ধাপে ৫৬ পৌরসভার সাত হাজার ৪৫০টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন দুই কোটি ৮ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি ভোটার।

ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ করতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকাগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে ৩০০ প্লাটুন বিজিবি। এ ছাড়া মাঠে রয়েছেন র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দুই লাখ সদস্য।

দূরবর্তী এলাকার ৪১৪টি ভোট কেন্দ্রে গতকালই পৌঁছানো হয়েছে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম। আর বাকি সাত হাজার ৩৬টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার গেছে আজ ভোরে।

এ ধাপে ৮৭ উপজেলায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বী এক হাজার ১৯৬ জন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৯৯ জন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রথমে ১১২টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় তিনটি পদেই প্রার্থীরা বিনা ভোটে নির্বাচিত হন। পরে আইনি জটিলতায় যশোর সদর উপজেলা এবং প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর ১০৯ জেলায় ভোটের প্রস্তুতি নেয় ইসি। 

সবশেষ ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত দুদিনে স্থগিত হয় উপকূলীয় অঞ্চলের ১০ জেলার ২২ উপজেলার নির্বাচন।

তার মধ্যে সোমবার স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলো (১৯টি) হলো- বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা; খুলনার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা; বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী সদর, দুমকী, মির্জাগঞ্জ; ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া; বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা। 

আর গতকাল মঙ্গলবার স্থগিত হয় নেত্রকোনার খালিয়াজুরী এবং চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন। 

উপজেলা নির্বাচনে ভোটে  শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিটি কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৯ জন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আর দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনীর ২০ থেকে ২১ জন করে সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। 

পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে ওই সব এলাকায় রাত ১২টা থেকে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। 

নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালনে মাঠে রয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। আর অপরাধের বিচারকাজ পরিচালনা করছেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা। 

আগামী ৫ জুন, চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ৫৫ উপজেলায় ভোটের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা গত ২০ মে থেকে ভোটের মাঠের প্রচারে রয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এরইমধ্যে দুই ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপে দেশের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয় গত ৮ মে, ভোটের হার ছিল ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোট হয় গত ২১ মে। ভোটের হার ছিল ৩৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
 
অমিয়/

অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে এলেন ৩৫ প্রত্যাশীরা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পিএম
অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে এলেন ৩৫ প্রত্যাশীরা
ছবি : খবরের কাগজ

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ দাবিতে গতকাল শনিবার ‘শিক্ষার্থী সমাবেশ’ শেষে সাড়ে ৭ ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধ করে রাখেন ৩৫ প্রত্যাশীরা। দাবি পূরণে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষে রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত শাহবাগে ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা থাকলেও এবার সেটি থেকে সরে এসেছেন তারা। চলতি সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখের আগে ফের নতুন কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছেন তারা। শিগগিরই এ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা।

রবিবার রাতে খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের অন্যতম সংগঠক রাসেল আল মাহমুদ। 

তিনি বলেন, ‘আমরা জেনেছি সরকার আমাদের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বৈষম্যহীন কমিশন গঠনের মাধ্যমে আমাদের দাবিটির সুষ্ঠু সমাধান করা হবে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাই রাষ্ট্রপক্ষের প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে আপতত আমাদের যে অবস্থান কর্মসূচি ছিল, সেটি স্থগিত করা হয়েছে।’

নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে রাসেল বলেন, ‘আমরা ২২ সেপ্টেম্বরের আগে কর্মসূচি পালন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে কী কর্মসূচি পালন করব এবং সেটি কবে করা হবে, শিগগিরই তা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।’

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে: তাজুল ইসলাম

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে: তাজুল ইসলাম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবনের সামনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলছেন মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি : খবরের কাগজ

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। 

তিনি বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর অভিযোগের প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আইনগতভাবেই দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করব।’

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দায়িত্ব গ্রহণের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম ও বি এম সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

পৃথক ঘটনায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত ১৪ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় ১১টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভাব্য প্রধান অপরাধী দেশ থেকে পালিয়েছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যে আইনি প্রক্রিয়া, সেটা আমরা শুরু করব। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে ২০১৩ সালে। শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তার সময়ে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি যেহেতু বাংলাদেশের গণহত্যার প্রধান আসামি হবেন বলে আমরা মনে করছি বা অধিকাংশ মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে, সুতরাং এ প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে তাকে আইনগতভাবেই বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করব।’

অপর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে এভিডেন্স (তথ্য-প্রমাণ) সংগ্রহ করা। অপরাধটা গোটা বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের প্রায় সব জায়গায় সংঘটিত হয়েছে একই সঙ্গে। প্রতিটি জায়গায় একটি কমন ইনস্ট্রাকশন ছিল যে গুলি করে সব মেরে ফেলো। এ অপরাধের যে আলামতগুলো সংগ্রহ করা, সেগুলো কম্পাইল করা- এটা একটা চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আসামিরা এখনো সবাই পলাতক এবং প্রধান আসামিদের অনেকেই দেশ ত্যাগ করেছেন বা দেশত্যাগের চেষ্টায় আছেন। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসাটাও চ্যালেঞ্জ।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি হচ্ছে, যেহেতু এ ঘটনাগুলো খুবই তাজা, এই এভিডেন্সগুলো যারা অপরাধী আছেন, যারা আসামি হবেন এই মামলাগুলোতে, তারা কিন্তু এখনো বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় আছেন। অনেকে দায়িত্বেও আছেন। তারা এ আলামতগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করবেন। প্রথম প্রায়োরিটি হচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ড-গণহত্যার যে আলামত আছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এগুলো সংগ্রহ করে প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার হাতে নিয়ে আসা। যাতে ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে এই আলামতগুলো আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। ছাত্র-জনতাসহ ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন সব ধরনের আলামত ও তথ্য-প্রমাণ দ্রুততম সময়ে এই ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম কিংবা তদন্ত সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দেন।’ 

আরেক প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রে যখন গণহত্যার পর একটি স্বৈরশাসনের পতন হয়, ইতিহাসের পটপরিবর্তন হয়, তখন নির্যাতিত যেসব মানুষ, তারা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে যান। এই প্রতিশোধপরায়ণতার আগুন নেভানোর সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে উত্তম পন্থা হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রদান করা। যারা এই অপকর্ম ও অন্যায়গুলো করেছেন, যদি সঠিক বিচারের মাধ্যমে তাদের সাজা দেওয়া যায়, তাহলে মানুষ প্রতিশোধপ্রবণতা থেকে ফিরে আসে। বাংলাদেশের সমাজ যাতে বিভাজিত হয়ে না যায়, সে জন্য যারা ঠাণ্ডা মাথায় আমাদের নিরস্ত্র সন্তানদের হত্যা করেছেন, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এখন আমাদের প্রায়োরিটি হচ্ছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা। আমরা চাই এখানে ন্যায়পরায়ণ, সৎ ও সাহসী বিচারকদের নিয়োগ দেওয়া হোক। প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থায় যোগ্য মানুষেরা আসবেন এবং আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে এখানে সুষ্ঠু বিচার চাইব। এটা এমন একটা বিচার হবে, বিচারের পরে শহিদ পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, বাদীপক্ষসহ আসামিপক্ষও মনে করবে, তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা হয়েছে। এই আবহ নিশ্চিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমাদের চেষ্টা থাকবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় করে এ জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা।’ 

তদন্ত পর্যায়ে আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই অপরাধগুলোর মাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে তদন্তকালে আসামিদের গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন হবে। নিশ্চয়ই আমরা এই অপরাধীদের গ্রেপ্তার চাইব। আমাদের প্রথম চেষ্টা থাকবে, সম্ভাব্য অপরাধী বা আসামি যারা আছেন, তারা যাতে আদালতের জুরিসডিকশনের বাইরে চলে যেতে না পারেন, দেশত্যাগ না করতে পারেন, সেটা ঠেকানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করা। কে কত বড় পদে ছিলেন, আইন সেটা দেখবে না। আইনের চোখে সবাই সমান। যিনি অপরাধ করেছেন, অপরাধের গুরুত্ব হিসেবে আসামির সঙ্গে ডিল করা হবে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী হোক, আইজিপি হোক বা যত বড় ক্ষমতাধর মন্ত্রীই হোক, তারা যখন অপরাধের কাঠগড়ায় দাঁড়াবেন, আসামি হিসেবে দাঁড়াবেন, প্রত্যেকেই সমান আচরণ পাবেন। তাদের প্রতি কোনো জুলুমও করা হবে না, তাদের কোনো ছাড়ও দেওয়া হবে না।’

ট্রাইব্যুনালের আইন সংস্কারের প্রয়োজন আছে কি না- এমন প্রশ্নে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মাত্রই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমরা সরকারের সঙ্গে বসে এগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব।’

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য গত বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম। একই প্রজ্ঞাপনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুল ইসলামকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় প্রসিকিউটর, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিমকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায়, বি এম সুলতান মাহমুদকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় এবং আব্দুল্লাহ আল নোমানকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলা বিচারাধীন। গত ১৪ বছরে ৫৫টি মামলার রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এসব মামলায় ১৪৯ জনকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ৬ জনের। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা ৫ জন এবং একজন বিএনপির নেতা।

 

জাতীয় নাগরিক কমিটি ঘোষণা, আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ পিএম
জাতীয় নাগরিক কমিটি ঘোষণা, আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করে। ছবি : মাসুদ মিলন

দেশের রাজনীতিতে নতুন বন্দোবস্ত নির্ধারণ করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির উদ্যোগে ৫৫ সদস্যের নাগরিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন সামান্তা শারমিন।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে মুখপাত্র সামান্তা বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করছে। এ কমিটির সদস্য সংখ্যা আরও বাড়বে। শিগগিরই সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। তৃণমূল পর্যন্ত এ কমিটির বিস্তৃতি ঘটানোর মাধ্যমে আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাব।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য সব দলের লোক নিয়ে এটি করেছি। শিগগিরই আমাদের সদস্যদের নিয়ে বেশ কিছু সেল গঠন করা হবে। এই কমিটি এখনো পূর্ণাঙ্গ নয়। কমিটি বর্ধিত করা হবে। এটিকে আমরা গ্রামপর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চাই।’

এদিকে মুখপাত্র সামান্তা শারমিনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সংহতি ও প্রতিরোধের চেতনা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার শক্তি। এই নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীকে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে পূর্ণ বিজয় অর্জন করতে হবে। গণহত্যাকারীদের যথাযথ বিচার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন, জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল নীতিনির্ধারণ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পূর্বশর্ত।’

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজপথে নেমে আসা জনতাকে সংগঠিত করা, ৮ আগস্টে গঠিত সরকারকে যুগপৎ সহযোগিতা করা এবং জবাবদিহির আওতায় আনা, তদুপরি জনস্বার্থের পক্ষে নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে আমরা নাগরিক দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করছি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা। ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এবি পার্টিতে যোগ দেন এবং সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সমাজসেবা সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন তিনি।

অন্যদিকে আখতার হোসেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক। তিনিসহ কিছু শিক্ষার্থী নিয়ে ২০২৩ সালে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি’ নামে একটি ছাত্রসংগঠনের ঘোষণা দেন। এর আগে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। 

কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী এবং নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের নেতা হিসেবে পরিচিত।

৫২ জন সদস্য: ৫২ জনকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তারা হলেন আরিফুল ইসলাম আদীব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার চৌধুরী, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদি, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রাসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশীদ দিয়া, প্রাঞ্জল কস্তা, মঈনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুযাইফা ইবনে ওমর, শ্রবণা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা, সানজিদা রহমান তুলি, আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক মৃ, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, মো. আজহার উদ্দিন অনিক, মো. মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস এম শাহরিয়ার, মানজুর-আল-মতিন, প্রীতম দাশ, তাজনূভা জাবীন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক উস সালেহীন, তাহসীন রিয়াজ, হাসান আলী খান, মো. আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান, আতিক মুজাহিদ, তানজিল মাহমুদ, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল, মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, এস এম সুজা, মো. আরিফুর রাহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির ও আকরাম হুসেইন।

কমিটিতে ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির ও আইনজীবী মতিন: এই নাগরিক কমিটিতে স্থান পেয়েছেন ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির। তিনি এ কমিটিতে ৫৪ নম্বরে রয়েছেন। এ ছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন। তিনি এই কমিটির ৩৪ নম্বর সদস্য।

প্রাথমিক কাজ: এ সময় আহ্বায়ক কমিটির প্রাথমিক কাজ ঘোষণা করা হয়। সেগুলো হলো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত করা। ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ। রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা ও জবাবদিহির পরিসর তৈরি। 

বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে আলোচনা, মতবিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা। দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা। জনস্বার্থের পক্ষে নীতিনির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিনির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণ-আলোচনার আয়োজন করা।

 

একপক্ষ যাওয়ার পর আরেকপক্ষ চাঁদাবাজি শুরু করেছে : হাসনাত আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
একপক্ষ যাওয়ার পর আরেকপক্ষ চাঁদাবাজি শুরু করেছে : হাসনাত আবদুল্লাহ
চট্টগ্রাম মহানগরের লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি : মোহাম্মদ হানিফ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘একপক্ষ চলে যাওয়ার পর আরেকপক্ষ এসে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি শুরু করেছে। তাদের সাবধান করে দিতে চাই। দুর্নীতিবাজরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন। তাদেরও সতর্ক করতে চাই। আমাদের আন্দোলন অসাম্যের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে, সিন্ডিকেট, অনিয়ম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে। বিগত ১৬ বছর যারা দুর্নীতি করেছেন, এখন আরেকটি দলের ছত্রছায়ায় এসে যদি দুর্নীতি করার চেষ্টা করেন, ছাত্র-জনতা আপনাদের ছাড়বে না। ছাত্র-জনতার এ আন্দোলনে কামার, কুলি, দিনমজুরসহ শিক্ষিত সমাজও ছিল।’

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরের লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সবাইকে হাতে হাত রেখে কাজ করতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কার হলেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

পুলিশদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশদের সহযোগিতা করতে চাই। সব পুলিশ কিন্তু ডিবি হারুন বা বেনজির নয়। সুতরাং পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করব এবং রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’

এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা।

এ সময় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমরা দেখেছি, যখন বিপ্লব দরকার তখন আমরা এক হয়ে যাই। যেমন ৪৭-এর দেশভাগ, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে আমরা এক হয়ে গিয়েছিলাম। ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্টের আগে আমাদের মাঝে কোনো ধরনের বিভেদ, বিভাজন ছিল না। যখন রাষ্ট্র সংস্কারের ও পুনর্গঠনের প্রশ্ন এসেছে, তখনই বিভাজন তৈরি হয়েছে। আমরা শুনি, সবাই বলে, ‘আমরা ক্ষমতায় এলে এটা করব, ওটা করব।’ কিন্তু সবার বলা উচিত, ক্ষমতায় এলেও দেশের স্বার্থে কাজ করব, ক্ষমতায় না এলেও দেশের স্বার্থে কাজ করব।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঠিক করবে আগামীর বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হবে। রাষ্ট্র সংস্কার কাজে আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা যদি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে সুন্দর করে সাজাতে পারি, তা হলে তার ধারাবাহিকতায় পুরো বাংলাদেশকে সাজাতে পারব। যদি ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক দল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তা হলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিহিত করব।’

মতবিনিময় সভায় অতিদ্রুত উপাচার্য নিয়োগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থিতিশীলতা ফেরানোর দাবি জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা হয়।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারির সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারির সিদ্ধান্ত
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদন্ত কমিশন। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সব গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়েছে, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার বেলা ১১টায় কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর গুলশানে তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে ওই সভা হয়। কমিশনের সব সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। কমিশনের কার্যক্রম সরকারি ছুটি ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত যথারীতি পরিচালিত হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, সরকার, পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্যের হাতে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিশন অব ইনকোয়ারি গঠন করেছে।

গুমের ঘটনা তদন্তে গত ২৭ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে কমিশন গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ৫ সদস্যের এই কমিশনের প্রধান মনোনীত হয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।