ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

বাজেটের পর অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ১১:৪৩ পিএম
বাজেটের পর অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশ: জিএম কাদের
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি

প্রস্তাবিত বাজেটের পর দেশ একটা বড় অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, এ বাজেটে বিশেষ কিছু নেই। বেকার সমস্যা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ডলারের অবমূল্যায়ন এসব উত্তরণে কোনো পদক্ষেপ নেই বাজেটে। গরিব মানুষের জন্য বাজেটে কিছু আছে বলেও মনে করেন না তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশের পর সংসদ থেকে বেরিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় জাপা চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক। এই বাজেট জনবান্ধব হতে পারে না। সাধারণ মানুষের স্বস্তির কোনো কারণ নেই। এই বাজেটে ঘাটতি থাকবে অনেক টাকা। আয়ের চেয়ে ব্যয় হবে বেশি। দেশি-বিদেশি ঋণ বাড়বে। ঋণ পরিশোধে নতুন করে ঋণের পথে হাঁটছে সরকার। করের বোঝা বাড়বে জনগণের ওপর। মানুষ কোনোভাবেই স্বস্তি পাবে না।

তিনি আরও বলেন, পরোক্ষ করের কারণে জনগণের মাথায় করের বোঝা বাড়বে। জনগণের মুক্তির উপায় নেই। পরিবেশের অভাবে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে না, এতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে না। মূল্যস্ফীতিতে প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। রিজার্ভ প্রতিদিন কমছে। দেশে অর্থনৈতিক সংকট চলছে।

বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতকে বলে অর্জনের, আমরা বলি লজ্জার খাত এটা। ক্যাপাসিটি পেমেন্টের মাধ্যমে ডলার চলে যাচ্ছে বাইরে। জ্বালানি নিরাপত্তা নেই। সাধারণ মানুষের স্বস্তির কোনো কারণ নেই। 

এ সময় জিএম কাদেরের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, লে. জে. (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, একেএম সেলিম ওসমান এমপি, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, মো. শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, মো. আশরাফুজ্জামান আশু এমপি, নুরুন্নাহার বেগম এমপি।

মব নিরসন ও প্রতিরোধে ঢাবির ৭১ শিক্ষকের বিবৃতি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:১২ পিএম
মব নিরসন ও প্রতিরোধে ঢাবির ৭১ শিক্ষকের বিবৃতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মব সন্ত্রাস নিরসন ও প্রতিরোধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগের ৭১ জন শিক্ষক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে ওই শিক্ষকরা রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলের কাছে সার্বিকভাবে আইনের সঠিক প্রয়োগ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও নাগরিক সমাজের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ও সুশাসন নিশ্চিত এবং গণমানুষের সামগ্রিক স্বার্থে অবিলম্বে এই ‘মব সন্ত্রাস’ নিরসনে কার্যকর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

বুধবার (৯ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওই আহ্বান জানানো হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত মবের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, বিগত কয়েক মাস থেকে বর্তমান অবধি দেশের বিভিন্ন স্থানে মব সন্ত্রাস থাবা বিস্তার করেছে এবং ক্রমশ তা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। এতে দেশের মানুষের জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। মবাক্রান্ত মানুষেরা শুধু যে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হচ্ছেন তাই নয়, বরং গণপিটুনির শিকার হয়ে অনেকেই ইতোমধ্যে মারা গেছেন, নারীরা তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন; এমনকি মবের শিকার হয়ে অনেক অবুঝ শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনও বিপর্যস্ত হয়েছে।’

মব নিয়ন্ত্রণে নিরসনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বললেও বাস্তবে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেই উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আইন-আদালত, গণমাধ্যম, ব্যবসা-কেন্দ্র, আবাসিক ভবন, ঐতিহাসিক স্থাপনা, ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন থেকে শুরু করে সামাজিক অনুষ্ঠানাদি পর্যন্ত মব সন্ত্রাসের কালো থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ বিষয়ে বিস্তারিত খবর ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মব নিরসনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বললেও বাস্তবে কোন কার্যকর ব্যবস্থা দৃশ্যমান হচ্ছে না এবং আগ্রাসী মবকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।’

এতে আরও বলা হয়, ‘কোনো কোনো দায়িত্বশীল মহল মবকে প্রেসার গ্রুপ বলে সংজ্ঞায়িত করায় পর্যায়ক্রমে মব সন্ত্রাস অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মব সংস্কৃতির রূপ পরিগ্রহ করছে এবং মব সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া ও বেসামাল হচ্ছে। দেশের মুক্তবুদ্ধি চর্চার সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমরা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় খুবই উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ ও বেদনাহত।’

‘কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হওয়া কাম্য কিন্তু কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে দেশটাকে মবের মুল্লুকে পরিণত করা কোনো স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে পারে না’, বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। 

বিবৃতির শেষাংশে রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলের কাছে সার্বিকভাবে আইনের সঠিক প্রয়োগ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও নাগরিক সমাজের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং দেশের গণমানুষের সামগ্রিক স্বার্থে অবিলম্বে এই মব সন্ত্রাস নিরসনে কার্যকর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকরা হলেন- অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম (রফিক শাহরিয়ার), অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ, অধ্যাপক ড. জামিলা এ চৌধুরী, শবনম আযীম, অধ্যাপক ড. আবু সারা শামসুর রউফ, অধ্যাপক ড. সমীর কুমার শীল, অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিত, অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. ময়না তালুকদার, অধ্যাপক ড. আকসাদুল আলম, অধ্যাপক ড. সঞ্চিতা গুহ, অধ্যাপক ড. সুরাইয়া আক্তার, অধ্যাপক ড. জাভীদ ইকবাল বাঙালী, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, অধ্যাপক ড. বিল্লাল হোসেন, অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমল হোসেন ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক ড. মামুন আল মোস্তফা, অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. সুব্রত সাহা, ড. নীলিমা আকতার, অধ্যাপক ড. লিটন কুমার সাহা, অধ্যাপক আবু হোসেন মুহাম্মদ আহসান, অধ্যাপক ড. জি এম গোলজার হোসেন, অধ্যাপক ড. মো: আব্দুর রহিম, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ড. রাফিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো: আকরাম হোসেন, অধ্যাপক ড. এ. টি. এম. সামছুজ্জোহা, অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন, অধ্যাপক ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এ.কে.এম খাদেমুল হক, ড. কায়সার আহমেদ রকী, ড. নাইমা নিগার, সামশাদ নওরীন, ড. এম এল পলাশ, ড. মুহাম্মদ মাইনউদ্দিন মোল্লা, মো: রাকিবুল হাসান, ড. ইসরাত জাহান, ড. মো. হাসান ফারুক, ড. মো. নাসির উদ্দিন, ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান, ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন, মো. কামরুল হাসান, ড. সিদ্ধার্থ দে, মাহমুদুর রহমান, ড. মো. মাহফুজুর রহমান খান, ড. মো. রায়হান সরকার, তৌহিদ হোসেন, ড. মোহাম্মদ ইউসুফ, ড. আবদুল্লাহ আল মারুফ, ড. মো. জহিরুল ইসলাম, মো. ইব্রাহীম মিয়া, ড. আরশাদুল হাসান, ড. মো. বেলাল হোসেন, ড. আব্দুল কাদের মহিউদ্দিন, ড. মির শরিফুল ইসলাম, আহমাদ হাসান চৌধুরী, ড. মোহাইমিনুল আদীব, মো. ইমরান হোসেন, মোহাম্মদ সোহেল রানা, মো. নাইমুল ইসলাম, ড. মো. মতিয়ার রহমান, মাহমুদুল হাসান ও অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান খান।

আরিফ জাওয়াদ/সুমন/

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য ডিসেম্বরের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (৯ জুলাই) রাত ৮টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যদের আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে। 

তিনি আরও জানান, নির্বাচনে ১৮-৩২ বছর বয়সী ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ রাখা যায় কি না, সে বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এ সময় নির্বাচন সংক্রান্ত আরও কিছু প্রস্তুতির কথা জানান উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে হওয়া কিছু অগ্রগতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতদ্রুত সম্ভব আয়োজনের তাগিদ দিয়ে আসছে বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল।

এমন দাবির প্রেক্ষিতে ড. ইউনূস বরাবরই বলে এসেছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এরইমধ্যে গত ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে, এমন বক্তব্য আসে। তারপর থেকেই দেশের রাজনীতির মাঠে কিছুটা নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

 

 

সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রেস উইং

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রেস উইং
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অগ্রগতি জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

বুধবার (৯ জুলাই) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। 

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত আছেন।

এর আগে, সংবাদ সম্মেলন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে হওয়া কিছু অগ্রগতি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে।

সালমান/

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় সংসদ ভবন এলাকায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সম্মেলন কক্ষে কমিশনের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর মধ্যে আশু করণীয় বিষয়গুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তারা মতবিনিময় করেন।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ যোগ দেন। 

সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

এলিস/

আলী রীয়াজের সঙ্গে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৭ পিএম
আলী রীয়াজের সঙ্গে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে কমিশন সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংহ। বুধবার (৯ জুলাই) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে দেশটির পলিটিক্যাল কাউন্সিলর মারকাস ডেভিস এবং কাউন্সিলর ও হেড অব কো-অপারেশন স্টিফেন উইভার উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপ, জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রচেষ্টা এবং জাতীয় সনদ প্রণয়নের অগ্রগতির বিষয়ে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। তিনি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এ ক্ষেত্রে কানাডার আগ্রহকে স্বাগত জানান।

আলোচনায় কানাডাযর প্রতিনিধিদল কমিশনের উদ্দেশ্যের প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন। তারা অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ এবং জাতীয় ঐক্য বৃদ্ধির উদ্যোগের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি, ভবিষ্যতেও কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা ও সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন।

এলিস/মাহফুজ