ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

মন্দায় রাষ্ট্রের বিপুল ক্ষতি হচ্ছে : সিপিডি

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
মন্দায় রাষ্ট্রের বিপুল ক্ষতি হচ্ছে : সিপিডি
ছবি : খবরের কাগজ

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশে চাহিদার তুলনায় ৪৬ শতাংশ উদ্বৃত্ত সক্ষমতা রয়েছে। বাড়তি এ সক্ষমতার জন্য ‘ক্যাপাসিটি চার্জ’ পরিশোধ করতে বাধ্যবাধকতা থাকায় রাষ্ট্রের বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। চলমান সামষ্টিক অর্থনীতির মন্দাজনিত পরিস্থিতিতে এ ধরনের বাড়তি অর্থ ব্যয় কেবলই অপচয়।

রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরে সিপিডি।

সিপিডি জানায়, দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ৩০ হাজার ৭৩৮ মেগাওয়াট। সেখানে বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে টাকা যাচ্ছে সরকারের তহবিল থেকে।

বক্তারা বলেন, সক্ষমতা চাহিদার তুলনায় বেশি থাকলেও দেশের মানুষ ঘরবাড়ি ও শিল্পে বিদ্যুৎ পায় না। অথচ বাড়তি সক্ষমতার জন্য অর্থ পরিশোধ করতে হয় সরকারকে। যে বিদ্যুৎ আমরা পাই না, তার জন্য রাষ্ট্রকে অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এ অর্থ জনগণের দেওয়া কর থেকে ব্যয় করা হয়। সুতরাং এ ধরনের চুক্তিসমূহ সংশোধন করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন না হলেও ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের জন্য বাড়তি খরচ (ক্যাপাসিটি চার্জ) বহন করছে সরকার। এই সক্ষমতা দেশের অর্থনীতির মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ উৎপাদন না করলেও দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে দিতে হয় ক্যাপাসিটি চার্জ। এই চার্জের নামে এখন হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে সরকারের তহবিল থেকে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম তার উপস্থাপনায় বলেন, দেশে এখন বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা ৩০ হাজার ৭৩৮ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ব্যবহার করা না গেলেও কেন উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে? 

তিনি বলেন, সরকার এখন যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করেছে, তা ২০৩০ সালেও প্রয়োজন হবে না। আজ থেকে ছয় বছরে চাহিদা দাঁড়াতে পারে ১৯ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। ২৫ শতাংশ রিজার্ভ ধরলে তখন ২৩ হাজার ২৫২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হলেই হয়।

গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, সক্ষমতা বাড়লেও এখনো দেশে হচ্ছে লোডশেডিং। গরমে গড়ে ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেটে লোডশেড করা হয়। বাজেটে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত নিয়ে স্পষ্ট কিছু নেই। সরকার এই খাত নিয়ে কী করবে, সে ব্যাপারেও অন্ধকারে সবাই। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য ও হামিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-গ্যাসের কথা বলে দাম বাড়ানো হলো, কিন্তু লোডশেডিং কমেনি। ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ডিজেল দিয়ে, সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস এনে কারখানা চালাতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়ে গেছে। অনেক কারখানা বন্ধ হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ না থাকায় দেশে বিনিয়োগ আসছে না। প্রায় ২৫ শতাংশ কমেছে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি। শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে ২২ শতাংশ। 

বাজেটের অধিকাংশ ব্যয় অনুন্নয়ন খাতে হয় দাবি করে তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য হাজার কোটি টাকা খরচ করে দামি গাড়ি কেনা হচ্ছে, যেখানে ভারতের মন্ত্রীরা নিজেদের দেশের গাড়িতে চড়েন। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মাত্র চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে এখন উৎপাদনক্ষমতা ২৮ হাজার মেগাওয়াট পার করেছে। এতে জিডিপি বেড়েছে। মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। কাজ করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হবে, তা সংশোধন হচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও হবে।

ভারতের বিনিয়োগ পলিসির কথা তুলে ধরে এ কে আজাদ বলেন, তাদের জমি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাবিসিডাইজড, পাঁচ বছরের জন্য কর্মীদের বেতন দেয় সরকার, বিনিয়োগ তো সে দেশেই হবে। তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না হলে কর্মসংস্থান হবে না। 

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমলেও দেশে সুবিধা মিলছে না। কারণ ডলারের দাম বেশি। আজ প্রাইমারি এনার্জি থাকলে বিদ্যুৎ খাতের যেসব বিষয় নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে তা হতো না।

অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, সবার আগে একটি আধুনিক জ্বালানি নীতিমালা প্রয়োজন। তা না করে শুধু জোড়াতালি দিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ জন্য একের পর এক মাস্টারপ্ল্যান ফেল করছে। বিদ্যুৎ খাতের বিশেষ বিধান বাতিল করতে হবে। টেন্ডার ছাড়া প্রকল্প নেওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক দাম পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো ১২-১৩ টাকায় সৌরবিদ্যুতের চুক্তি হচ্ছে। যেটা ৮-৯ টাকায় করা সম্ভব দরপ্রক্রিয়ায় গেলে। 

ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) পুরোপুরি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের নামে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি সমন্বয় করা হয়েছে। বিপিসির দুর্নীতি প্রমাণিত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সরকার বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা ছাড়াই বিদ্যুৎ কিনছে। আবার কমিশনকে পাশ কাটিয়ে গণশুনানি ছাড়াই নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করছে।

প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩০ এএম
প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পদ্ধতি কী হবে তা নির্ধারণে আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
 
এ বিষয়ে সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম সোমবার জানিয়েছেন, রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ‘ভোটিং সিস্টেম উন্নয়ন’ সংক্রান্ত এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
 
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এই বৈঠকে পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং ও প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতির স্বচ্ছতা, ডিজাইন, নিরাপত্তা, মান ও আইনি চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
 
এরই মধ্যে বিএনপিসহ ২৩টি নিবন্ধিত দল এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিসহ ৩টি অনিবন্ধিত দল, গণমাধ্যমের সম্পাদক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ১০০ জনের বেশি বিশিষ্টজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
 
এর আগে গত ৮ এপ্রিল এমআইএসটি, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে এ নিয়ে একটি বৈঠক করেছে সংস্থাটি। সেই বৈঠকের পর একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়, যাদের দায়িত্ব ছিল অনলাইন ভোট, প্রক্সি ভোট ও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ওপর বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করা।
 
ওই কমিটির প্রতিবেদন তিনটির ওপরই অংশীজনরা আলোচনা করবেন। এরপর প্রবাসীদের ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
 
এলিস/সুমন

হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করলেন ধর্ম উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করলেন ধর্ম উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন হজ ফ্লাইট-২০২৫ উদ্বোধন করেছেন।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫ সালের (হিজরি ১৪৪৬) হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর ধর্ম উপদেষ্টা হজযাত্রীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি হজযাত্রীদেরকে সৌদি আরবের আইনকানুন মেনে চলা এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এ দেশের হজযাত্রীরা যাতে যৌক্তিক খরচে হজব্রত পালন করতে পারে সে বিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি। হাজীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে সকল প্রক্রিয়া কীভাবে আরো সহজ করা যায় সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে উপদেষ্টা আশা ব্যক্ত করেন।

আজ দিবাগত রাত ২ টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশি হজযাত্রী বহনকারী প্রথম বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

সৌদি আরবের জাতীয় ক্যারিয়ার সাউদিয়ার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে এবছরের হজ ফ্লাইট। প্রথম ফ্লাইটিতে (এসভি ৩৮০৩) পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য ঢাকা ত্যাগ করবে ৩৯৮ জন হজযাত্রী।

প্রথম দিনে মোট ১০টি ফ্লাইটে ৪ হাজার ১৮০ জন হজযাত্রী সৌদি যাবেন। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট সৌদি আরবের জেদ্দায় কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং দুটি ফ্লাইট মদিনায় প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে  হজ ফ্লাইট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন  হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম।

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও সচিব নাসরীন জাহান, বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আবদুল আজিজ ফাহাদ এম. আল ইব্রাহিম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভূইয়া, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার ও মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে দুজন যাত্রী হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এবছরের সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে হজ কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এ বছর তিনটি এয়ারলাইন্স ২৩২টি প্রাক-হজ ফ্লাইটের মাধ্যমে এ দেশের হজযাত্রী পরিবহণ করবে। বাংলাদেশ বিমান ১১৮ টি প্রাক্-হজ ফ্লাইটে ৪৪ হাজার ৩০৭ জন, সাউদিয়া ৮০টি ফ্লাইটে ৩২ হাজার ৭৪০ জন ও ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইটে ১৩ হাজার ৬৫ জন হজযাত্রী পরিবহণ করবে।  ৩১ মে প্রাক-হজ ফ্লাইট শেষ হবে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন সরকারি মাধ্যমে এবং বেসরকারি মাধ্যমে ৮১ হাজার ৯০০ জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, এ বছর হাজীদের জন্য যোগাযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন দরকারি ফিচার সম্বলিত একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এছাড়া তাদেরকে হজ প্রিপেইড কার্ড ও মোবাইল সিম রোমিং সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। 

সূত্র: বাসস

সিফাত/

যেসব অঞ্চলে মঙ্গলবার কালবৈশাখী হতে পারে

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০২ পিএম
যেসব অঞ্চলে মঙ্গলবার কালবৈশাখী হতে পারে
কালবৈশাখীতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গাছপালা ভেঙ্গে সোমাবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এক ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। ছবি: বাদল সাহা

ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা সামান্য কমতে পারে।

সুমন/

দেশে জঙ্গি নেই এ নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না: আইজিপি

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম
দেশে জঙ্গি নেই এ নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না: আইজিপি
ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল ইসলাম বলেছেন, দেশে কোনো জঙ্গি নেই কেউ এ নিশ্চয়তা দিতে পারে না। অনেকেই এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন, কারা ভোগ করেছেন, জেএমবির কথা তো আমরা শুনেছি, তবে আমরা সজাগ আছি, এদের রুখে দেওয়ার সক্ষমতা আছে। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ সংস্কার কমিশন নিয়ে আমরা আশান্বিত ছিলাম, তাদের পরামর্শও দিয়েছিলাম। কমিশন যেসব সুপারিশ করেছে। তবে আমাদের স্বতন্ত্র করার দাবি ছিলো, আশা করি এটা করা হবে।  

পুলিশের কাছে অন্যায় কোনো আবদার না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পুলিশের কাছে অন্যায় আবদার না করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান রইলো। পাশাপাশি পুলিশের ওপর আস্থা রাখুন। আস্থাহীনতার কারণে মব হচ্ছে। এই মবের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ব্রিফিংয়ে জুলাই-আগস্টের ঘটনায় পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের ফেরানোর প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ইন্টারপোলকে রিকোয়েস্ট করতে পারি ফেরত পাঠাতে, ইন্টারপোল সবদেশে রেড নোটিশ পাঠায়।  

এসময় ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিরীহ লোককে হয়রানি না করার নির্দেশনা দেওয়া আছে।  

জুলাইয়ের গণ অভ্যুত্থানে কতজন পুলিশ কর্মকর্তা গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি জানান তদন্তের পুরো প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি বলা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আট মাস হয়ে হয়েছে তদন্ত শেষ হয়নি বেশিরভাগ মামলার, তাড়াহুড়ো করতে গেলে ন্যায়বিচার দিতে পারব না।

সিফাত/

লাইসেন্স পেল স্টারলিংক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
লাইসেন্স পেল স্টারলিংক
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) এই লাইসেন্স অনুমোদন করেন তিনি।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ২৫ মার্চ ‘নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিস অপারেটর ইন বাংলাদেশ শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। ওই গাইডলাইনের আওতায় স্টারলিংক সার্ভিস বাংলাদেশ  নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিস অপারেটর লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রযোজ্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদন করা লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলঙ্কার পরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করল।

এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশের নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওর বাওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেইসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান। এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।’

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলো মধ্যে একটা প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘ্ন ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত। উপরন্তু এই ফাইবার নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ  টেলকো গ্রেডের নয়। বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে। সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, যার ধারণ ক্ষমতা খুবই সীমিত। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি আছে, তাতেও সমস্যা আছে। হাইওয়ে মোবিলিটি কভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে।

তিনি জানান, স্টারলিংক বাংলাদেশের মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটা বান্ডেলভিত্তিক গতানুগতিক ইন্টারনেট সেবাদান ব্যবস্থা ডিজিটাল সার্ভিস কেন্দ্রিক নতুন রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্টার্লিংকের সার্ভিসের ফলে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের সূচনা হবে। প্রতিযোগিতা বাড়বে, শহর কিংবা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হবে।

সূত্র: ইউএনবি

সিফাত/