ঢাকা ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সংসদে রাশেদ খান মেনন আজিজ-বেনজিরের দুর্নীতির চিত্র হিমশৈলের ক্ষুদ্র উপরিভাগমাত্র

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
আজিজ-বেনজিরের দুর্নীতির চিত্র হিমশৈলের ক্ষুদ্র উপরিভাগমাত্র
ফাইল ছবি

প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান ও সাবেক পুলিশপ্রধানের দুর্নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, ‘সাবেক পুলিশপ্রধান (বেনজীর আহমেদ) ও সাবেক সেনাপ্রধানের (আজিজ আহমেদ) দুর্নীতির চিত্র হিমশৈলের ক্ষুদ্র উপরিভাগমাত্র, এ কথা এখন আর অস্বীকার করার উপায় নেই। এখনই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে দুর্নীতির এই বিস্তার রোধ করা না গেলে হিমশৈলের ধাক্কায় দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সলিলসমাধি হবে’।

সোমবার (২৪ জুন) সংসদ অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় ‘দুর্নীতির মচ্ছব’ বন্ধ করতে এখনই বিশেষ কমিশন গঠন, দুর্নীতিবাজদের অর্থসম্পদ বাজেয়াপ্ত করা এবং ঋণখেলাপি, অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করার দাবি জানান রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, বিএনপি আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচ-পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দেশ এখন সে কলঙ্ক থেকে মুক্ত হলেও এখনো শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছে। বরং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির যে চিত্র সম্প্রতি বেরিয়ে আসছে, তা দেশের ভাবমূর্তি কেবল নয়, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জনমনে অনাস্থা সৃষ্টি করছে। দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়শনের দেওয়া বিবৃতিরও সমালোচনা করেন এই প্রবীণ রাজনীতিক। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য, আমরা এখানে দেখলাম, পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন থেকে দুর্নীতির খবর প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকদের ধমক দেওয়া হয়েছে।’ 

ঝালকাঠির সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে মেনন বলেন, এই দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বর্ণ-মাদক চোরাচালানি ও অপরাধজগতের যে চিত্র বেরিয়ে আসছে, তাতে সংসদ সদস্য ও সংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখে সরকারকে আত্মসমালোচনার পরামর্শও দেন তিনি।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তার পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি কোথায় গেল, আমরা জানি না। তিস্তার পানি চুক্তি না করে এই সহযোগিতা গাছের গোড়া কেটে ওপর দিয়ে পানি ঢালার শামিল। এই সফরে গঙ্গা চুক্তির নবায়নের কথা এসেছে। কিন্তু গঙ্গার পানিপ্রবাহ বৃদ্ধির জন্য সংকোশ নদী থেকে খাল কেটে গঙ্গার পানিপ্রবাহ বৃদ্ধির যে বিষয়টি ছিল, তা ৩০ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি; বরং এখন ফারাক্কার ওপরে আরেকটি ব্যারেজ তৈরির কথা এসেছে। তিস্তা নিয়ে যেন আমরা ভূ-রাজনীতির দ্বৈরথের শিকার না হই। প্রয়োজনে পদ্মা সেতুর মতো নিজেদের অর্থায়নে তিস্তা কর্তৃপক্ষ গঠন করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পরামর্শও দেন তিনি। 

কালো টাকা সাদা করা প্রসঙ্গে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘নিষ্ঠুর অলিগার্কিরা দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। লুটের টাকাকে যখন সাদা করার জন্য সৎ উপায়ে অর্জিত অর্থের চেয়ে অর্ধেক কর দিয়ে সাদা করার প্রস্তাব করা হয়, তখন সেটা সততার জন্য তিরস্কার ও অসততার জন্য পুরস্কারের শামিল হয়ে দাঁড়ায়। এ সম্পর্কে যেসব যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তা কেবল অসারই নয়, এ প্রসঙ্গে সরকারের অতীত অবস্থানের বিপরীত। খালেদা জিয়ার জন্য যেটা অনৈতিক, বর্তমানেও সেটা অনৈতিক।’ বলেও মন্তব্য করেন রাশেদ খান মেনন। 

তিনি বলেন, সেই অলিগার্কির স্বার্থ রক্ষার্থে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা যায়নি। দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, ব্যাংকিং খাতে লুট ও নৈরাজ্য, খেলাপি ঋণের বিশাল পাহাড় দেশের অর্থনীতিকে ভঙ্গুর অবস্থায় উপনীত করেছে’।  

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি ইনস্টিটিউশনের তথ্য অনুযায়ী বছরে ৭ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে কানাডার বেগমপাড়ায়, মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোমে, সিঙ্গাপুর, দুবাইয়ের আধুনিক শপিং মল, রিয়েল এস্টেট ও হুন্ডি ব্যবসায়। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে ‘ব্যাংক কমিশন’ গঠন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরের অর্থমন্ত্রী তাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন। আর এখন ব্যাংক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তুঘলকি কাণ্ড করছে। 

সরকারি দলের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম মামলা–জট নিরসনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। ঝিনাইদহ-৩ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন মিয়াজী বলেন, তার নির্বাচনি এলাকা সীমান্তবর্তী। তারকাঁটাবিহীন প্রায় ১৭ কিলোমিটার সীমান্ত দিয়ে সোনা চোরাচালান, নারী-শিশু পাচার ও মাদকদ্রব্যের চোরাচালানের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। এসব তৎপরতা বন্ধে তিনি জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনীকে সমন্বয় করে একটি স্পেশাল টাস্কফোর্স গঠন এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারে প্রতি আহ্বান জানান। 

এলিস/এমএ/

জাতীয় ঈদগাহে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন: ডিএসসিসি প্রশাসক

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
জাতীয় ঈদগাহে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন: ডিএসসিসি প্রশাসক
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। ছবি: খবরের কাগজ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

প্রশাসক বলেন, ‘ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জামাতের আয়োজন অনুপযুক্ত হলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

নামাজ আদায়কারী মুসল্লিদের জন্য নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সেবা ব্যবস্থা। যেমন- প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির জন্য বিশাল আয়োজনে ঈদ জামাতের আয়োজন, ভিআইপি ব্লকে একসঙ্গে ২৫০ জনের নামাজের ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন, অজু, পয়ঃনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির সুব্যবস্থা, মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা, পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান গেট, নারী মুসল্লির জন্য পৃথক ব্লকে নামাজের ব্যবস্থা ও পৃথক প্রবেশপথ।’ 

তিনি বলেন, ‘নগরবাসীর কোরবানির পশু কেনাবেচার সুবিধার্থে আটটি জায়গায় অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। এসব হাটে থাকবে- পরিচ্ছন্নতা কর্মী, পুলিশ ও এটিএম বুথ, পশু স্বাস্থ্য সেবার জন্য চিকিৎসক ও মেডিকেল টিম। হাট শেষ হওয়ার পরপরই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’ 

শাহজাহান বলেন, ‘কোরবানির পশুর বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের লক্ষ্যে ডিএসসিসির প্রায় ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ২০৭টি ডাম ট্রাক, ২০০টি মিনি ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ও যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা এবার ৩০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি রেখেছি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ৪০ হাজার বায়ো-ডিগ্রেডেবল ব্যাগ, ৪০ টন ব্লিচিং পাউডার ও ২২২ গ্যালন স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে। ঈদের জামায়াত, কোরবানি হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। 

কোরবানির হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নগর ভবনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। 

নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিতে এবং বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলে সহযোগিতা করতে। 

ব্রিফিংয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমানসহ সব বিভাগীয় প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জয়ন্ত/পপি/

পদায়নে ঘুষের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান শিক্ষা উপদেষ্টার

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১০:৪০ এএম
পদায়নে ঘুষের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান শিক্ষা উপদেষ্টার
সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারকে (সি আর আবরার) কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের জন্য এক কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। একথা তিনি সাংবাদিকদের নিজেই জানিয়েছেন। প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘নিজের ঢোল পেটাচ্ছি না। আমি প্রত্যাশা করি, আমার যারা সহকর্মী আছেন, তারা যেন এই নৈতিক অবস্থানটা নেন।’

বুধবার (৪ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

সি আর আবরার আরও জানান, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পদে নিয়োগের প্রয়োজনে আমরা একটি উপাচার্য নির্বাচনী প্যানেল তৈরি করেছি। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান এবং ইচ্ছুকদের আবেদনপত্র গ্রহণের মাধ্যমে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হবে। আমরা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং বিজ্ঞ অধ্যাপকদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেছি। আমি আশাবাদী, আপনাদের সবার সহযোগিতায় যদি যোগ্যতা এবং কম্পিটিশনের ভিত্তিতে ভিসি নিয়োগের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারি, তাহলে আমার যে স্বপ্ন, দেশে বসেই আগামী জেনারেশনকে বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার পথে এগিয়ে দিতে পারব।’  

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষকদের সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার সম্প্রতি ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড এবং ২০০ কোটি টাকার নগদ বরাদ্দ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সমস্যা নিরসনে এটি একটি বড় ধরনের পদক্ষেপ।’

পাঠ্যপুস্তক নিয়ে তিনি বলেন, ‘সামান্য ভুলসহও পাঠ্যবই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে আমার মন সায় দিচ্ছে না। সময় স্বল্পতার কারণে ২০২৬ সালের বই চলতি বছরের কারিকুলাম অনুযায়ী ছাপানো হবে এবং এতে যেসব সাধারণ ভুলভ্রান্তি আছে সেগুলো ঠিক করে আগামী বছরের শুরুতেই যাতে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই হাতে পায়, তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই যত কষ্টই হোক, বইগুলো যত্ন এবং দায়িত্বের সঙ্গে নির্ভুল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আশাবাদী, এনসিটিবি এই গুরুদায়িত্ব পালন করতে পারবে। ২০২৭ সাল থেকে পরিমার্জন করে মাধ্যমিকে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রথম বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে তা চালু করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন বা পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চালু করা হবে।’

কারিগরি শিক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে বেকারত্ব দূর করার ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষার একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, কারিগরি শিক্ষাকার্যক্রম প্রণয়ন এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যক্তি খাতের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, গ্লাস ও সিরামিক, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন এবং বিশিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় করণীয় চিহ্নিত করতে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, গবেষক, প্রাইভেট সেক্টরের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কর্মশালা করা হয়েছে । এখানে কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রম এবং দেশ ও বিদেশের শ্রমবাজারে কীভাবে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কারিগরি শিক্ষায় দীক্ষিত মানবসম্পদ অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে অংশীদারদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ‘২০২৭ সালে যাতে ষষ্ঠ শ্রেণি নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসে, সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।’ 

বাংলাদেশ-মায়ানমার সম্মত হলে করিডরে সহায়তা দেবে জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ১০:১৭ এএম
বাংলাদেশ-মায়ানমার সম্মত হলে করিডরে সহায়তা দেবে জাতিসংঘ
গোয়েন লুইস

রাখাইনের জন্য মানবিক করিডর দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমার সম্মত হলে এবং এ-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পন্ন হলে সে ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে পারে জাতিসংঘ। 

বুধবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস।

গোয়েন লুইস বলেন, মানবিক করিডর একটি আনুষ্ঠানিক ও আইনি বিষয়। এ ক্ষেত্রে দুটি সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ সরকার ও মায়ানমার সরকার এবং প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট অন্য পক্ষের আনুষ্ঠানিক সম্মতি থাকতে হবে। যদি এখানে কোনো চুক্তি হয়, তবে জাতিসংঘ সহায়তা করতে পারে। আমি যতদূর জানি, এই ধরনের চুক্তি এখন পর্যন্ত হয়নি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য করিডর নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা উঠেছিল। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জাতিসংঘ জড়িত নয়।

তিনি আরও বলেন, করিডর দুই সরকারের বিষয়। রাখাইনে প্রবেশ করা খুব দুরূহ ব্যাপার। সেখানে সংঘাত চলছে এবং পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মায়ানমার সরকারের সঙ্গে ইউএনডিপি এবং ইউএনএইচসিআরের মধ্যে সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি সমঝোতা ছিল। এটি চালু রয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে, যদিও সেখানে কিছু কর্মী রয়েছে এবং কিছু অংশীদার সেখানে কাজ করছে।

গোয়েন বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল যোগাড় করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গারা সম্মানজনকভাবে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি এখন ভালো নয়। তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের আন্তসীমান্ত সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেখানকার লোকদের সহায়তা করার জন্য যেকোনো উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। এ বিষয়ে জাতিসংঘ সহায়তা করবে। কিন্তু রাখাইনে এ ধরনের কোনো মানবিক করিডর নেই।

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:৩৭ এএম
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা
বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা

নতুন অধ্যাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। 

বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। 

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। আর মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। 
ফারুক-ই-আজম বলেন, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কাউকে বাতিল করা হয়নি। শুধু সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। যিনি যে সুবিধা পাচ্ছেন, তিনি সেই সুবিধা পাবেন। শুধু যারা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, তারা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হবেন। অন্যরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’।

মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়েছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ  প্রকাশিত হয়।

এসব সংবাদে যে তথ্য দেওয়া হয় তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ তার ফেসবুট স্ট্যাটাসে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার বক্তব্য উল্লেখ করে জানিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, যারা পরিচালনা করেছেন, তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। 

উপদেষ্টা আরও জানিয়েছেন, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে।

এদিকে ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

গতকাল রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে উপ-প্রেস সচিব বলেন, যারা এখন থেকে ভুল সংবাদ প্রকাশ করবেন বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করবেন- যেগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের খেতাবসংক্রান্ত খবরটি ভুয়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।’ 

আজাদ মজুমদার আরও বলেন, যেসব গণমাধ্যম ভুল সংবাদ প্রচার করেছে, সরকার আশা করে তারা ভুলটা সংশোধন করবে। যেখানে তারা ভুল সংবাদটি ছাপিয়েছে, ঠিক একই জায়গায় তারা সংশোধনী ছেপে পাঠকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে অধ্যাদেশ

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:০৫ এএম
মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে অধ্যাদেশ
খবরের কাগজ ইনফোগ্রাফ

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার বা মুজিবনগর সরকারের সব মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে সরকার।

গত মঙ্গলবার রাতে নতুন এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিদ্যমান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০২২-এর সংশোধনী অধ্যাদেশ জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

অধ্যাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ এই দুই শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়সের যাদের বয়স ছিল এবং যারা মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে-গঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত হবেন। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার ও দখলদার সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছেন তারাও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এই দেশীয় সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, তৎকালীন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন- এমন বেসামরিক নাগরিকরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

এ ছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) স্বীকৃত অন্যান্য বাহিনী, নৌ-কমান্ডো, কিলো ফোর্স, আনসার সদস্যদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে সংশোধিত অধ্যাদেশে। একই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), পুলিশ বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের বীর মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করা হয়েছে।

তা ছাড়া সংজ্ঞা অংশের (ক)-তে হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীরা যেসব নারীকে নির্যাতন করেছে (বীরাঙ্গনা) তাদের সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

সংশোধিত অধ্যাদেশে উপধারা (খ) অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের সময় আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফিল্ড হাসপাতালে যেসব ডাক্তার, নার্স, ও চিকিৎসা-সহকারীরা চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন তাদের সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

সংজ্ঞা অংশের ১২ উপধারাতে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাদের সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, তৎকালীন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

একই অংশের ১৪ নম্বরে বলা হয়েছে, মুজিবনগর সরকারের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য।

এই অংশের ১৫ নম্বরে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের ভেতরে এবং বিদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপ্ত করা, মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করা, দ্রুত স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য সংগঠকের ভূমিকা পালন, বিশ্ব জনমত গঠন, কূটনৈতিক সমর্থন অর্জন এবং মনস্তাত্ত্বিক শক্তি অর্জনের প্রেক্ষাপটে যেসব নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন ও সহযোগিতা করেছেন তাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী বলা হয়েছে। 

তাদের মধ্যে বিদেশে অবস্থানকারী পেশাজীবী, মুজিবনগর সরকারের অধীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা দূত এবং এই সরকারের অধীন নিয়োগ দেওয়া ডাক্তার, নার্স বা অন্য সহকারী, যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী বলা হয়েছে। এ ছাড়া মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমএনএ (মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা এমপিএ (মেম্বার অব প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি) যারা গণপরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হয়েছিলেন তাদেরও সহযোগী বলা হয়েছে সংশোধিত অধ্যাদেশে। দেশে ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্বপালনকারী সব সাংবাদিক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকেও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এতে।