ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
English

৭ বিভাগে যাচ্ছে ইয়াং বাংলা টিম

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১০:০৪ এএম
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১০:০৫ এএম
৭ বিভাগে যাচ্ছে ইয়াং বাংলা টিম

অষ্টমবারের মতো ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ আয়োজন করতে যাচ্ছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তারুণ্যের প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা। বিগত বছরের ন্যায় এবারও ‘ইয়াং বাংলা’ টিম যাচ্ছে ৭ বিভাগে দেশ ও সমাজ পরিবর্তনে তরুণদের সাহসী অগ্রযাত্রার গল্প শুনতে। 

বিভাগগুলো হলো ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট।

গত ২৮ জুন থেকে আবেদন শুরু হয়েছে। যা চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। মানবিক কাজ, দেশ গঠন ও সমাজে অবদানের জন্য দেশের সেরা তরুণ-তরুণীদের সংগঠনগুলোকে স্বীকৃতি দিতে ২০১৫ সাল থেকে ‘জয় বাংলা অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করা হয়।

দেশের প্রান্তিক অঞ্চলগুলো থেকে সর্বাধিক সাড়া পাওয়ার লক্ষ্যেই এই ডিভিশনাল মিটগুলোর আয়োজন করে থাকে ইয়াং বাংলা টিম।

ডিভিশনাল মিট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইয়াং বাংলার ফেসবুকে পেইজে চোখ রাখার জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৭ জুলাই ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার স্কুলে (জেলা শিল্পকলা একাডেমি, পুরাতন ভবন) দুপুর থেকে ডিভিশনাল মিটের আয়োজন করা হবে। ময়মনসিংহ ডিভিশনের জেলাসমূহ ছাড়াও কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল থেকেও তরুণ সংগঠনগুলো এই ডিভিশনাল মিটে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

এ বছর ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের সংগঠন ৬টি ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারবে। আবেদনের বিষয়গুলো হলো সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, সৃজনশীল সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সুস্থতা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান, পরিবেশ ও জলবায়ু এবং উদ্ভাবন ও যোগাযোগ। ৬টি ক্যাটাগরি থেকে দুটি করে মোট ১২টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

এসব ক্যাটাগরির আওতাভুক্ত যে সংগঠনগুলো নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন, পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও বিনোদন, জ্ঞান ও সক্ষমতা বিকাশ, অতিদরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জরুরি সেবা দেওয়া নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, তারা জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে। 

অন্তত ১৮ মাস ধরে এসব সেবামূলক কাজে যুক্ত সংগঠন বা সংস্থা এতে আবেদন করতে পারবে। পুরস্কার পেতে আবেদনকারী সংগঠন বা সংস্থার বয়স অন্তত ২ বছর হতে হবে। এ ছাড়া সামাজিক সেবাদান, ক্যাম্পেইন ও কার্যক্রমের মাধ্যমে ভূমিকা রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক ক্লাবকেও আবেদন করতে আহ্বান জানিয়েছে ইয়াং বাংলা।

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল পিএইচপি শিপ ব্রেকিং এন্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল পিএইচপি শিপ ব্রেকিং এন্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
ছবি: খবরের কাগজ

পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেল পিএইচপি শিপ ব্রেকিং এন্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত থেকে এ পুরস্কার নেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবায় একুশে পদক পাওয়া আলহাজ্ব সূফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও পিএইচপি শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম রিংকু। 

উল্লেখ্য, এ বছর গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ৩০টি প্রতিষ্ঠান। পরিবেশবান্ধব কার্যপদ্ধতি, জ্বালানি দক্ষতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কর্মপরিবেশে উৎকর্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

এ বছরই গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, চামড়া, ওষুধ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, স্টিল, শিপ-ব্রেকিং, শিপ-বিল্ডিংসহ বিভিন্ন খাতের কোম্পানিগুলো পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। এই তালিকা বাংলাদেশের শিল্প খাতের বৈচিত্র্য তুলে ধরার পাশাপাশি পরিবেশগত দায়িত্ব পালনের গুরুত্বকেও স্পষ্ট করেছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও পরিবেশবান্ধব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পি এইচ পি শিপ ব্রেকিং এন্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (PHP SBRIL) একটি সুপরিচিত নাম। ২০০০ সালের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই টেকসই উন্নয়ন, শ্রমিক নিরাপত্তা, এবং পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে কাজ করে চলেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২৭৭ জন শ্রমিক কর্মরত আছে। এটি পিএইচপি ফ্যামিলির একটি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান। যার মূল দর্শন ‘সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি’। 

PHP SBRIL জাহাজ বিভাজন ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে একটি পরিবর্তনের পথিকৃৎ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির দৃষ্টিভঙ্গি হলো - ‘বিশ্বে টেকসই ও নিরাপদ শিপ রিসাইক্লিংয়ের পথপ্রদর্শক হওয়া। 

প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হংকং কনভেনশন ২০০৯ এবং আইএলওর শ্রম নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুসরণ করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ORE VITORIA (২০১৮) PHP SBRIL প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের Vale-এর "Ore Vitoria" নামক জাহাজ রিসাইক্লিং করে, যা HKC সার্টিফাইড 'Green Vessel' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এটি প্রদর্শন করে PHP-এর পরিবেশ এবং কর্মী সুরক্ষায় দায়বদ্ধতা। MV KAMO (2023) NYK, জাপানের বড় শিপিং কোম্পানি, সরাসরি PHP SBRIL-কে "MV KAMO" জাহাজ রিসাইক্লিং এর জন্য দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে NYK নিজস্ব তত্ত্বাবধানে PHP রিসাইক্লিং কার্যক্রম চালু করে এবং এটি বাংলাদেশের প্রথম সরাসরি জাপানি শিপ রিসাইক্লিং হিসেবে চিহ্নিত হয়। 

পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়া যেমন Asbestos ও Hazardous Waste Management, IHM (Inventory of Hazardous Materials. Containment System, Zero Discharge Policy এ সমস্ত বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিক নিরাপত্তা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন PHP SBRIL শ্রমিকদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রশিক্ষণের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান এবং বক্তব্য রাখেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ওমর মো. ইমরুল মহসিন। 

এদিক গার্মেন্টস খাত থেকে ঢাকা টেক্সটাইল লিমিটেড, ইকোটেক্স লিমিটেড, ফকির ফ্যাশন লিমিটেড, তারা সিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, আউকো টেক্স লিমিটেড এবং স্কয়ার ফ্যাশনস লিমিটেডকে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়ার জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়। 

এর পাশাপাশি টেক্সটাইল খাতে আকিজ টেক্সটাইল, পায়োনিয়ার ডেনিম, কেডিএস টেক্সটাইল মিলস এবং ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং মনোনীত হয়েছে টেকসই উৎপাদনের জন্য।

ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স খাত থেকে ট্রান্সকম ইলেকট্রনিক্স, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ নির্বাচিত হয়েছে।

খাদ্য ও পানীয় খাতে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এবং হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো লিমিটেড মনোনীত হয়েছে পরিবেশ সচেতন উৎপাদন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য।

চা শিল্প খাতে জেরিন টি গার্ডেন ও মির্জাপুর টি গার্ডেন মনোনীত হয়েছে। গাড়ি উৎপাদন খাত থেকে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ এবং অ্যাক্সেসরিজ ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ খাত থেকে অ্যাডজি ট্রিমস এবং চামড়া শিল্প খাত থেকে সুভিনিয়ার্স ফুটওয়্যার স্বীকৃতি পাচ্ছে টেকসই কার্যক্রমের জন্য।

পাট শিল্প থেকে কারুপণ্য রংপুর লিমিটেড এবং টাইলস খাত থেকে এক্স সিরামিকস মনোনীত হয়েছে। কসমেটিকস খাত থেকে রিমার্ক এইচবি লিমিটেড এবং স্কয়ার টয়লেটরিজ মনোনীত হয়েছে। ওষুধ শিল্প থেকে এফকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস এ তালিকায় রয়েছে।

শিপ ব্রেকিং খাত থেকে পিএইচপি শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ এবং কেআর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড মনোনীত হয়েছে, এবং শিপ বিল্ডিং খাত থেকে খুলনা শিপইয়ার্ড মনোনীত হয়েছে।

এ ছাড়া স্টিল শিল্প থেকে বিএসআরএম স্টিলস এবং সিমেন্ট শিল্প থেকে সেভেন সার্কেল (বাংলাদেশ) লিমিটেড পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে।

ফারজানা লাবনী/

 

'প্রয়াস' এর জন্য দুটি স্কুলবাসের চাবি হস্তান্তর

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম
'প্রয়াস' এর জন্য দুটি স্কুলবাসের চাবি হস্তান্তর
ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির সৌজন্যে দেওয়া ওই বাস দুটির চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘প্রয়াস’ এর রাজশাহী ও সিলেট শাখার জন্য দুটি বাসের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির সৌজন্যে দেওয়া ওই বাস দুটির চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হয় বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়াস। প্রয়াসের শিশুদের নিরাপদ ও সুষ্ঠু যাতায়াত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়াসের রাজশাহী ও সিলেট শাখার জন্য ট্রাস্ট ব্যাংক দুটি স্কুলবাস দিয়েছে। ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির প্রতিনিধিদের হাতে বাস দুটি হস্তান্তর করেন। এ সময় ট্রাস্ট ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ও সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল, সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

আলমগীর/মেহেদী/

নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের সব বাহিনীর প্রধানরা আজকে নিশ্চিত করেছেন যে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের যত ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা দরকার হবে, সেটা আমরা দেব। নির্বাচন কমিশন জাতিকে একটা ভালো নির্বাচন উপহার দেবে, এটাই আমরা সবাই আশা করি।’

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা’ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকাটা শুধু বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না। যারা নির্বাচনে অংশ নেন, তাদের ওপরও কিন্তু নির্ভর করে। সেটা আপনারাও তাদের বলবেন।’

দিনের ভোট যখন রাতে হয়, সেই সময়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল, কিন্তু তারা কেন পদক্ষেপ নেয়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সে সময় তো আপনারাও মাঠে ছিলেন, কোনো কিছু বলেননি।’

সামনের নির্বাচনে রাতে ভোট যেন না হয়, পুলিশ কি সেটা নিশ্চিত করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা শুধু পুলিশ নয়, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ পোলিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার এদেরও কিন্তু একটা ভূমিকা থাকে।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু পুরো নির্বাচন নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের ওপর। দেশের সব বাহিনী কিন্তু তখন তাদের অধীনে কাজ করে।’ 

‘আজকের মিটিংয়ে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কোন কোন এরিয়াগুলোতে সমস্যা হতে পারে, সে বিষয়ে মাথায় রেখে আমরা কাজ করব,’ যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তারা কোনো কার্যক্রম করতে পারেনি। দলটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে।’

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যে মব জাস্টিস হয়েছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মবে জড়িতদের ফুটেজ দেখে আইনের আওতায় আনা হবে। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলেও ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আগে মবে যারা জড়িত, এমন কতজনের বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংখ্যা বলতে পারছি না, তবে অনেকের বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ সূত্র: ইউএনবি

সালমান/

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও মিলবে ব্রাকের অভিবাসী সহয়তা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও মিলবে ব্রাকের অভিবাসী সহয়তা
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কনফারেন্স হলে ব্রাকের অভিবাসী সহায়তার প্রচারে সমন্বয় সভা। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্রাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের বিদেশ-ফেরতদের জরুরি সেবা পাওয়া যাবে। দেশে আসামাত্রই বিমানবন্দর থেকে ব্রাকের অভিবাসী সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি প্রসারিত করতেই এই উদ্যোগ।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কনফারেন্স হলে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তপৃক্ষের সঙ্গে সমন্বয় সভা করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সভায় বলা হয়, দেশে ব্রাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে গত আট বছরে ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আরও অন্তত ১০ হাজার মানুষ সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি সাত হাজার ৭০০ জন বিদেশ-ফেরত মানুষ যেন দেশে আয় করতে পারেন, সেজন্য তাদেরকে ধাপে ধাপে আর্থিক সহায়তা করা হবে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমেদ। 

সিলেট জেলা প্রশাসনের প্রবাসীকল্যাণ শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা (সহকারী কমিশনার) পলি রাণী দেব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মূল বিষয়বস্তুর ওপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থান করেন ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল ইসলাম হাসান। 

সভা সমন্বয়কের বক্তব্যে শরিফুল হাসান বলেন, ‘ঢাকা, চট্টগ্রামের পাশাপাশি সিলেটে ও বিদেশ-ফেরতদের পাশে আমরা আছি। ব্র্যাক গত আট বছরে ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে বিমানবন্দরে জরুরি সহায়তা দিয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতায় মনে করি বিদেশ-ফেরতদের সহায়তায় বিমানবন্দরে একটি কাঠামো বা এসওপি থাকা উচিত। যেখানে কার কী কাজ উল্লেখ থাকবে। আর শুধু জরুরি সহায়তা নয়, বিদেশ-ফেরতদের কাউন্সেলিং ও অর্থ সহায়তাও করছি আমরা।

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ-ফেরতদের জরুরি সেবা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সিলেট বিমানবন্দরে ব্রাকের জরুরি সেবা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করবে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক, ইমিগ্রেশন, অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক), জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, এপিবিএন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরসহ কর্মরত সকল সংস্থা। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের জরুরি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রতিনিয়ত সহায়তা করে আসছে বলেই আমরা বিদেশ-ফেরত অভিবাসীদের জরুরি সহায়তা প্রদান করতে পেরেছি। এই সহায়তা বিস্তৃত করতে ব্রাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামে প্রত্যাশা-২ নামে একটি প্রকল্পও বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পে অন্তত ১০ হাজার মানুষ বিমানবন্দরে সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি সাত হাজার ৭০০ জন বিদেশ-ফেরত মানুষ যেন ফের দেশে আয় করতে পারেন, সে জন্য তাদেরকে ধাপে ধাপে আর্থিক সহায়তা করা হবে। সিলেটে যে কারো জরুরি সহায়তার প্রয়োজন হলে ব্রাক তার পাশে থাকবে।

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, সেবা মানে মানবিকতা। প্রবাসীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে সবাইকে। আমরা এই কাজটা সবসময় করার চেষ্টা করি। অভিবাসনপ্রবণ জেলা হওয়ায় বিদেশ থেকে ফেরত আসার তালিকায়ও সিলেটের অনেক মানুষ আছেন। ঢাকার পাশাপাশি যেহেতু সিলেটেও অনেক ফ্লাইট আসে, তাই অনেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েই ফেরত আসেন। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এখানে বিদেশ-ফেরতদের নানা জরুরি সহায়তা দিচ্ছে। বিমানবন্দরে কর্মরত সবাই এই তথ্য জানলে আরও বেশি মানুষ এই সেবা পাবেন। সমন্বিতভাবে কাজ করলে আরও বেশি মানুষকে সহায়তা করা যাবে বলে আমরা মনে করি।

বিশেষ অতিথি সিলেট জেলা প্রশাসনের প্রবাসীকল্যাণ শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা (সহকারী কমিশনার) পলি রাণী দেব বলেন, প্রবাসীদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আরও আন্তরিক হতে হবে। পাশাপাশি তারা যেন রেমিট্যান্স-বিনিয়োগের বিষয়ে সচেতন থাকেন সেটা নিশ্চিত করতে শুধু অভিবাসীদেরকেই না, তাদের পরিবারকেও আমাদের সচেতন করে তুলতে হবে।

মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপনের পর যৌথসভায় শরিফুল হাসানের সমন্বয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়।

আলোচনায় অংশ নেন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা রিয়াজ আহমেদ, উপ-পরিচালক (ফায়ার) আবু মোহাম্মদ ওমর শরীফ, সিলেট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক নাজমুস সাকিব, সিলেট মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আসিফ আজিজ, সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ নাহিদ নিয়াজ ও খবরের কাগজের সিলেট ব্যুরোপ্রধান উজ্জ্বল মেহেদী।

সমন্বয় সভায় ওসমানী বিমানবন্দরে কর্মরত সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কসহ সরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ ব্র্যাক মাইগ্রেশন কর্মসূচির প্রধান কার্যালয় ও সিলেটের মাইগ্রেশন অ্যান্ড রিইন্টিগ্রেশন সাপোর্ট সেন্টারে কর্মরত ব্র্যাকের বিভিন্ন প্রোগ্রামের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অমিয়/

বেড়েছে মুরগির দাম, মৌসুমেও নাগালের বাইরে ইলিশ

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
বেড়েছে মুরগির দাম, মৌসুমেও নাগালের বাইরে ইলিশ
ছবি: সংগৃহীত

দুই দিন আগেও ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা। গতকাল সোমবার তা ১৭০ টাকায় ঠেকেছে। সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে। ২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। মৌসুম শুরু হলেও ইলিশ মাছও উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। বোরো ধান উঠলেও বেশি দরেই কিনতে হচ্ছে চাল। মিলমালিকরা চালের দাম বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ খুচরা বিক্রেতারা। 

সোমবার (২৩ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে। 

ব্রয়লার মুরগি দুই দিন আগেও ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। সোমবার কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের ব্রয়লার হাউসের স্বত্বাধিকারী শিবলী মাহমুদসহ অন্য খুচরা বিক্রেতারা খবরের কাগজকে বলেন, ঈদের পর মুরগির চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কম ছিল। কিন্তু গতকাল থেকে মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। এ জন্য দামও বেড়ে গেছে। ব্রয়লার ১৭০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ দাম বাড়ল কেন? এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘কখন বাড়বে, কখন কমবে বলা মুশকিল।’ তবে আগের মতোই দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি ও ডিমের ডজন ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে আকারভেদে চাষের রুই, কাতলা মাছের কেজি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৮০০, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০ এবং কাঁচকি মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মৌসুম শুরু হলেও বাজারে ইলিশ অতি চড়া দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। ওজনে এক কেজি হলে ২ হাজার ২০০ টাকা, কম হলে ২ হাজার  টাকা পিস বিক্রি হচ্ছিল ইলিশ। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশও ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। ফলে জাতীয় মাছটি মধ্যবিত্তের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। টাউন হল বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা রহিম আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘মৌসুম শুরু হলেও নদীতে আগের মতো ইলিশ পাওয়া যায় না। সরবরাহ খুবই কম। এ জন্যই দাম বেশি।’  

সবজির দামও বাড়ছে
ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রাজধানীর চিত্র আবার আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। সেই সঙ্গে সবজির দামও কিছুটা বেড়ে গেছে। গতকাল বাজারে দেখা যায়, বেগুন কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে লম্বা ও গোল বেগুনি রঙেরটা ১০০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০, করলা, পটোল, ঝিঙে, ধুন্দল, ঢ্যাঁড়স ৫০ থেকে ৬০, শসা ৫০ থেকে ১০০, কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। কাঁকরোলের দাম কিছুটা কমে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা সবুর আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘বর্ষাকালে অনেক ফসলি জমি ডুবে গেছে। কাজেই আর কম দামে সবজি মিলবে না।’ 

বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, আগের মতোই পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, দেশি আদা ১২০ থেকে ১৩০, আমদানি করা আদা ১৮০ থেকে ২২০, দেশি রসুন ১৪০ থেকে ১৬০, আমদানি করা রসুন ১৮০ থেকে ২২০ ও আলুর কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়।  

বেশি দরে চাল বিক্রি
সারা দেশে বোরো ধান ওঠায় ঈদের আগে চিকন তথা মিনিকেট চালের দাম কমে। কিন্তু ঈদের পর মনজুর, রশিদ, সাগর কোম্পানি মিনিকেটের বস্তায় ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এর ফলে আগে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন বাজারে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মোজাম্মেল কোম্পানির চাল আরও বেশি ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আটাশ চালের দামও বেড়ে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মোটা চাল আগের মতোই ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি মার্কেটের খুচরা চাল বিক্রেতা মো. শওকত আলী, টাউন হল বাজারের নোয়াখালী স্টোরের ইউসুফসহ অন্য খুচরা চাল বিক্রেতারা বলেন, ‘ঈদের পর মিলমালিকরা চিকন চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বাড়িয়েছেন। এ জন্য আমাদেরও বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা লাভ বেশি না করলেও বদনাম হচ্ছে। এটা সরকারকে দেখা দরকার।’