রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীসহ চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) সকালে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
তারা হলেন মুগদার সুমি আক্তার (৩০), মিরপুরের রাজিয়া আক্তার (১৮), বিমানবন্দরে মো. ইব্রাহিম দিপু (২৭) ও বনানীর ইমরান হক (৫০)। গতকাল রবিবার রাতে পৃথক ঘটনায় তারা মারা যান।
মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আঙ্গুরা আক্তার সীমা জানান, রবিবার রাত দেড়টার দিকে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে সুমী আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমী পারিবারিক কলহে কীটনাশক (বিষ) পানে অসুস্থ হন বলে দাবি তার স্বজনদের। তারাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সুমী আইসিইউতে মারা যান। তিনি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরবংশী গ্রামের ইসমাঈলের মেয়ে। তার স্বামীর নাম ইব্রাহিম।
এদিকে একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালমা বেগম মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের সি-ব্লকের ১৭ নম্বর লেনের বাসা থেকে রাজিয়া আক্তার অন্তর (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেন।
ভিকটিমের স্বজনদের বরাত দিয়ে সালমা বেগম জানিয়েছেন, মেয়েটিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগা অবস্থায় পাওয়া যায়। রাজিয়া শেরপুর সদর উপজেলার রাজন আলীর মেয়ে।
অন্যদিকে একই দিন বিকেলে টয়েলেটে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থানার ইশান কলোনির পাশে সিভিল অ্যাভিয়েশন মাঠের দেয়ালের পশ্চিম পাশে বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে ছিলেন মো. ইব্রাহিম দীপু। পরে পথচারীরা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম দীপু। তিনি ঢাকার দক্ষিণখান আশকোনায় থাকতেন।
একই দিন রাত ১১টার দিকে বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফ হোসেন বনানী থেকে ইমরান হক সাজনের (৫০) লাশ উদ্ধার করেন। মৃতের স্বজনদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই বাসায় তিনি একাই থাকতেন। তার স্ত্রী, সন্তান বা স্বজনদের কেউ তার সঙ্গে থাকতেন না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এর আগে দুবার স্ট্রোক করেছিলেন। তার চাচা ফারুক রবিবার ফোনে না পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় বাসায় গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন। পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ঢামেক মর্গে পাঠায়।