ঢাকা ২৮ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

স্বাক্ষর জাল করে ওয়াসার খনন ন্যক্কারজনক : তাপস

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম
স্বাক্ষর জাল করে ওয়াসার খনন ন্যক্কারজনক : তাপস
অনুষ্ঠানে কথা বলছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

স্বাক্ষর জাল করে বিনা অনুমতিতে ঢাকা ওয়াসার সড়ক খননকে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে ‘আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের শুভ উদ্বোধন এবং দোকানের চূড়ান্ত বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেয়র বলেন, ‘আজ আমরা লক্ষ্য করলাম, ওয়াসা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে বিনা অনুমতিতে সড়ক খনন করেছে। একটি সংস্থা কীভাবে আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলীর স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাগজ সৃষ্টির মাধ্যমে এ ধরনের কাজ করে? এটি খুবই ন্যক্কারজনক। এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে মার্কেট নির্মাণ সম্পন্ন ও ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিসহ অন্যদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় তা হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জন করেছে ডিএসসিসি।’

অপহরণের নাটক বাবার থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ এএম
বাবার থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা
ছবি: সংগৃহিত

অপহরণের নাটক সাজিয়ে আত্মগোপন করে বাবার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে ছেলেসহ দুজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণ নাটকের কথিত ভুক্তভোগী মো. মুছা শিকদার (২৮) ও তার সহযোগী মো. পারভেজকে (২০) ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ছনটেক এলাকা থেকে মুছা শিকদার নামে ওই যুবক নিখোঁজ হন বলে তার পরিবার জানতে পারে। পরে তার ভাই মাহাবুব আলম ২৬ অক্টোবর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি জিডি করেন। সেই হারানো জিডির ছায়া তদন্তে নেমে ডিবি পুলিশ রহস্য উদঘাটন করে মুছা ও তার সহযোগী পারভেজকে আটক করে। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, মুছা শিকদার নারায়ণগঞ্জে একটি শিপিং কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার ব্যক্তিগত ঋণ পরিশোধের জন্য কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন হলে কৌশলে বাবার কাছ থেকে সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি বের করেন। সেই অনুসারে মুছা নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণের নাটক সাজান। পরবর্তী সময়ে পূর্বপরিচিত পারভেজকে দিয়ে তার বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ মোটা অঙ্গের টাকা চাইতে থাকেন। এ ছাড়া টাকা না দিলে মুছাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ডিবি পুলিশ রহস্য উদঘাটন করেছে। আটক দুজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গুলিস্তানে হকারদের পাঁচ শতাধিক ভ্যান গাড়ি জব্দ

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১২ এএম
গুলিস্তানে হকারদের পাঁচ শতাধিক ভ্যান গাড়ি জব্দ
গুলিস্তানে হকারদের ভ্যান গাড়ি জব্দ করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর গুলিস্তানে শহিদ মতিউর পার্কে লুকিয়ে রাখা হকারদের পাঁচ শতাধিক ভ্যান গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এসব ভ্যান গাড়ির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এ সময় ওই এলাকায় সেনা বাহিনীর টহল দল ও থানা পুলিশের উপস্থিতি ছিল।

এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার খোন্দকার নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাস্তায় হকারদের ভ্যান গাড়ির দোকানের কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারে না। এ জন্য প্রতিদিনই অভিযান চালানো হচ্ছে। গুলিস্তানে অভিযানে এসে তাৎক্ষণিক ওই জাতীয় কোনো ভ্যান গাড়ি দেখা যাচ্ছিল না। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় হকাররা তাদের গাড়িগুলো শহিদ মতিউর পার্কের ভেতরে লুকিয়ে রাখেন। মূলত এর আগে অভিযানের খবর পেলে তারা একই কায়দায় এ কাজটি করেছেন। অভিযান দল চলে গেলেই হকাররা আবারও রাস্তায় চলে আসতেন। এই প্রেক্ষাপটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় এবার ওই সব ভ্যান গাড়ি রাখার স্থানেই অভিযান চালানো হয়েছে। ভ্যান গাড়িগুলো সিটি করপোরেশন বাজেয়াপ্ত করেছে।’

ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুল হাসান বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন বা লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি ও অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। তবে গত ২১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ‘ট্রাফিক পক্ষ’ ছিল। সেই ১৫ দিনে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সাড়ে ২৪ হাজার গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। যার মধ্যে অবৈধ গাড়ি পার্কিং, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রুট পারমিট ছাড়া গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি ছিল।’

ঋণ একটি মানবাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ এএম
ঋণ একটি মানবাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা
বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

ঋণ মানুষের অধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, ঋণ একটি মানবাধিকার। কারণ এটি মানুষের জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯-এর এক সাইডলাইন ইভেন্টে বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘ঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত না করে আপনি জীবিকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।’

সম্মেলনের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ড যৌথভাবে ‘এ গ্লোবাল কনভারসেশন: অ্যাকসেস টু ফাইন্যান্স ফর স্মল স্কেল ফার্মার্স’ শিরোনামের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। 

এতে নেদারল্যান্ডসের জলবায়ু দূত বোরবন-পারমার, ডাচ যুবরাজ জেইমি বার্নার্ডোও উপস্থিত ছিলেন। 

ডাচ যুবরাজ আলোকপাত করেন- যে কিভাবে ক্রেডিট, বীমা, বিনিয়োগ, গবেষণা এবং অর্থ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। তিনি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ কৃষকের এখন এই সহায়তার প্রয়োজনীতার ওপর জোর দেন। 

আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইভন পিন্টো বলেন, কৃষকদের ঋণ পাওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ধানের উৎপাদন বেড়েছে। 

ডাচ উদ্যোক্তা উন্নয়ন ব্যাংক এফএমও-এর পরিচালক জোরিম শ্রেভেন, ঋণ অধিকারের বিষয়ে প্রসারিত নৈতিক সমর্থনের জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি জনগণের জানার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত।

ফারহানা হক রহমান বলেন, বর্তমানে ৫৫০ মিলিয়ন ক্ষুদ্র পরিবারের কৃষক সারা বিশ্বে দুই বিলিয়ন মানুষকে খাওয়াচ্ছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, একজন কৃষককে ঋণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে তিনি উদ্যোক্তা হতে পারেন। ‘প্রতিটি ব্যবসার জন্য অর্থ এবং বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়।’

তিনি বলেন, ‘একজন কৃষক শুধু ফসল ফলায় না, বাজারে বিক্রিও করে। যদি তাকে ঋণের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তিনি অন্য কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনতে এবং তার জীবনকে উন্নত করার জন্য বিক্রি করতে পারতেন।’  

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশগুলোকে গ্রামীণ ব্যাংকের মডেল অনুসরণ করে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজানো উচিত, যাতে কৃষকদের জন্য ঋণ সহজলভ্য করা যায়, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী। ‘প্রতিটি দেশে একটি সামাজিক ব্যবসা ব্যাংকিং আইন থাকা উচিত।’

তিনি প্রশংসা করে বলেন যে বর্তমানে সারা বিশ্বের অন্তত ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয় একটি কোর্স হিসাবে সামাজিক ব্যবসা শেখাচ্ছে।

বাসস/অমিয়/

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাযজ্ঞে (অ্যাট্রোসিটি) জড়িত থাকার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেনসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।এ ছাড়া অসংখ্য হত্যাকাণ্ড ও গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক ও মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছেন প্রসিকিউটররা।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর)  প্রসিকিউশনের করা পৃথক দুটি আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে কিছুদিন আগেই জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাবন্দি আছেন।
 
এ ব্যাপারে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল যে একজন তরুণকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যখন তার সহকর্মী নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন সে স্বাভাবিক অবস্থায় বেঁচে ছিল, তার পায়ে আঘাত ছিল সামান্য, সেই ছেলেটিকে কাছে গিয়ে বুকে গুলি করে হত্যা নিশ্চিত এবং লাশটিও নানাভাবে বিকৃত করে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি জাকির হোসেনসহ একদল পুলিশ।

এ ঘটনায় জাকির হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট চারজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেই চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।’

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘হয়রানির শিকার হতে পারে ভেবে পুলিশ বাহিনী নানাভাবে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করছে। কোনো নির্দোষ পুলিশ কর্মকর্তাকে হয়রানি করা হবে না। যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তারা কেউ ছাড় পাবেন না।’
 
দ্বিতীয় আবেদন প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক সেনাবাহিনী থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ এসেছে। অসংখ্য হত্যাকাণ্ড এবং গুমের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। তাকে এক দিনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল, ট্রাইব্যুনাল এই আবেদনও মঞ্জুর করেছেন।’

বন্দরের আয়ের ১ শতাংশ ‘মাশুল’ চায় চসিক

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ এএম
বন্দরের আয়ের ১ শতাংশ ‘মাশুল’ চায় চসিক
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) উন্নয়নে বন্দরের আয়ের এক শতাংশ ‘নগর উন্নয়ন মাশুল’ চান মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টাইগার পাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে নগরীর স্বার্থে এ মাশুল নির্ধারণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

মেয়র বলেন, 'চসিক নগরীতে যেসব রাস্তা বানায় তা বন্দরের পণ্য পরিবহনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। বন্দরের ভারী গাড়িতে এ সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা মেরামত করতে চসিকের রাজস্ব আয়ের বড় অংশ চলে যায়। বন্দরকে সচল রাখতে ভাল সড়ক নির্মাণে চসিকের অনেক অর্থের প্রয়োজন। বন্দর যদি আয়ের এক শতাংশ চসিককে দেয় তাহলে চসিক অবকাঠামো খাতে আরও ভূমিকা রাখতে পারবে যা বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের রাজস্ব আয়ে ভূমিকা রাখবে।'

তিনি বলেন, 'শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ চসিকের যে ব্যাপক কার্যক্রম তা কেবল হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অল্প কিছু খাতের আয় দিয়ে করা সম্ভব নয়। এ জন্য বন্দরসহ বিভিন্ন খাত থেকে আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।'

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, 'পলিথিন কর্ণফুলী নদীর নাব্যতার জন্য বড় হুমকি। কর্ণফুলীকে বাঁচাতে চসিককে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন।' 

সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।

এস এম ইফতেখারুল/জোবাইদা/