সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য দেশের স্নাতক প্রকৌশলীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং, সেমিকন্ডাক্টর, বেসিক এআই এবং ভবিষ্যৎ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে যথাযথ টপ-আপ প্রশিক্ষণ প্রদান করে আগামী ১ দশকে ১০ হাজার বিশেষজ্ঞ তৈরি করা সম্ভব। দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্ব অর্থনীতির এই শিল্পের সম্ভাবনাটা আঁকড়ে ধরতে তারা সম্পদ হিসেবে কাজ করবে।’
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এমসিসিআইর গুলশান অফিসে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা (এমসিসিআই)-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘ডেভেলপিং দ্য সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেমিকন্ডাক্টর বা মাইক্রোচিপ ম্যানুফ্যাকচারিং খাত বর্তমানে সারা বিশ্বের ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তি খাতে দ্রুত ক্রমবর্ধমান শিল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। দেশের প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে তারা চিপের নকশা ও অ্যাসেম্বলিংয়ের কাজ করতে পারবেন। ফলে দেশের বিলিয়ন ডলার আয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের শিক্ষিত তরুণদের মাইক্রো চিপস ডিজাইনিং, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ডেটা অ্যানালেটিক্স, ক্লাউড কম্পিটিং প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলার জন্য হায়ার অ্যান্ড ট্রেনিং প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পের অধীনে ফ্রন্টিয়ার (অগ্রসর) টেকনোলজিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারত্ব করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করছি। ১০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বুয়েটের ক্যাম্পাসে একটা অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপন করা হবে।’
এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান-এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এম রোকনুজ্জামান, ক্যালিফোর্নিয়া ইএক্সো ইমেজিং ইনক ড. ইউসুফ হক (ভার্চুয়াল) এবং এমসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন করিম।