পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘কোটা আন্দোলনের নামে যারা রাজাকারের পক্ষে স্লোগানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে কিছু শিক্ষার্থী যখন আন্দোলন শুরু করে, তখন সেখানে বিএনপি-জামায়াত তাদের ‘প্ল্যান্টেড’ লোক ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। সে কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারের পক্ষে স্লোগান এসেছে। যারা এই আন্দোলন করছে, তারা দেশের সংবিধান মানতে চায় না। দেশের অনগ্রসর গোষ্ঠীকে রাষ্ট্রের কার্যক্রমে যুক্ত করার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি সংবিধানে আছে।”
এর আগে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে ক্ষমতা দখল করার সময় ক্ষমতায় ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু তারা বেগম জিয়াকে প্রথমে গ্রেপ্তার করেনি। গ্রেপ্তার করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। কারণ অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলনে শেখ হাসিনাই একমাত্র প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের সরকার ছিল বেসামরিক লেবাসে প্রকৃতপক্ষে সামরিক শাসক। আর যারা সেই সরকারের বিভিন্ন পদে আসীন হয়েছিলেন, তারা ছিলেন ভাড়াটিয়া। তারা সেনা-সমর্থিত সরকারের ভাড়া খাটতে গিয়েছিলেন। এ ধরনের অনেক লোক আছেন, যারা সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে বসে থাকেন, কখন ভাড়ায় খাটবেন।’