ঢাকা ৩ আশ্বিন ১৪৩১, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১৮ জেলায় চার শতাধিক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১২:১০ এএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১২:১২ এএম
১৮ জেলায় চার শতাধিক গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

নাটোরে বিএনপি-জামায়াতের ২২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ২২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন, জেলা জামায়াত আমির নূরুল ইসলাম এবং জজকোর্ট পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারদের মধ্যে জেলা শ্রমিকদলের প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সাজেদুর রহমান এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা জামাল উদ্দীন মন্ডল রয়েছেন। 

রংপুরে আরও ২৫ জন গ্রেপ্তার

গত সোমবার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত রংপুরে বিভিন্ন মামলায় ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন মামলার ওয়ারেটভুক্ত আসামিরা রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর উপপুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন। তিনি জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বরিশালে ৩৪ জন গ্রেপ্তার

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের চার থানায় পাঁচটি এবং জেলা পুলিশের বাকেরগঞ্জ থানায় ও বানারীপাড়া থানায় দুটিসহ মোট সাতটি মামলা করা হয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ হাজার আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় সোমবার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৩ জনকে এবং বাকেরগঞ্জ ও বানারীপাড়া থানাপুলিশ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের গতকাল সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

হবিগঞ্জে ১৫ জন গ্রেপ্তার 

হবিগঞ্জে নাশকতার মামলায় আরও ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে পাঁচ মামলায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

খুলনায় আরও ১৮ জন গ্রেপ্তার

খুলনায় নাশকতার মামলায় আরও ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত ছয় দিনে নাশকতার তিনটি মামলায় ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এ তথ্য জানায়। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন খুলনা মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির এসএম জাহাঙ্গীর আলম ও মহানগর যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক আরিফুজ্জামান সোহেল। পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান, যেকোনো অরাজকতা দমনে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

পঞ্চগড়ে ৮ জন গ্রেপ্তার

পঞ্চগড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলায় গত সোমবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই দুই মামলায় ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এদিকে ইন্টারনেটসেবা না থাকায় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে গতকালও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল।

ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার ৯৬ জন

ময়মনসিংহে গত সোমবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ময়মনসিংহ জেলায় ১৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মাসুম আহমেদ ভূঁঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন বলেন, কোঠা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এই রেঞ্জের আওতাধীন বিভিন্ন থানায় ৩৩টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ইতোমধ্যে ১৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জে ছাত্রদল নেতাসহ ২ জন গ্রেপ্তার

গোপালগঞ্জে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন গোপালগঞ্জ সদর পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজিদ খান ও বিএনপিকর্মী শফিক শরিফ। গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনিচুর রহমান ও কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঝিনাইদহে বিএনপি-শিবিরের নেতা-কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২৫

ঝিনাইদহে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে নাশকতা ও পুলিশের ওপর হামলা মামলায় ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছে ২১ জন বিএনপি ও শিবিরের নেতা-কর্মী। গত সোমবার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া খবরের কাগজকে এ তথ্য জানান। ঝিনাইদহে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে নাশকতা ও পুলিশের ওপর হামলা মামলায় নামসহ ৩৫০ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৬০০ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জে ৮ মামলায় ৮০ জন গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জে নাশকতার আট মামলায় ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বিভিন্ন সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলাগুলো করা হয়।

রাজশাহীতে সাত মামলায় শতাধিক গ্রেপ্তার

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় রাজশাহীতে সাত মামলায় শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম। গ্রেপ্তারদের মধ্যে অর্ধশতাধিক আসামি জামায়াত-বিএনপি ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী বলে দাবি করেছেন র‌্যাব-৫-এর অধিনায়ক ফিরোজ কবির।

মাদারীপুরে ৬৯ জন গ্রেপ্তার

মাদারীপুরে কোটা আন্দোলনের নামে সংঘর্ষ ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চারটি মামলা হয়। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার কর হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা এ তথ্য জানিয়েছেন।

সিলেটে ১০ মামলায় গ্রেপ্তার ১১০

কোটাবিরোধী আন্দোলনে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করায় সিলেটে এ পর্যন্ত ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান বলেন, আমাদের পাঠানটুলা পুলিশবক্সে আগুন দিয়েছে ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। আমাদের প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্দরবাজার এলাকায় সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যে ১০টি মামলায় করেছি।

চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় ৬২৭ জন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় নগরের বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলায় অন্তত ৩ হাজার ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আসামিদের বেশির ভাগই অজ্ঞাত। এসব মামলায় নগরের ১৬টি থানায় গত এক সপ্তাহে ৩২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর জেলায় ১১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলা ও নগরে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬২৭ জন। নগরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র কাজী তারেক আজিজ। জেলায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ উদ্দিন। জানা গেছে, গ্রেপ্তাররা বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী।

জামালপুরে ২২ জন গ্রেপ্তার

জামালপুরে সহিংসতার ঘটনায় ৯টি মামলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীসহ ১৪৪৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪৪ জনের নামে ও অজ্ঞাত ১২০৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন ও জেলা জামায়াতের নেতা হারুন অর রশিদও রয়েছেন। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২ জনকে।

ফেনীতে বিএনপি-জামায়াতের ৬৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার 

ফেনীতে পুলিশের দায়ের করা নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৬৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। গত শনিবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফেনী মডেল থানাসূত্রে জানা যায়, পুলিশের দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ ও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

কক্সবাজারে গ্রেপ্তার ২৮ জন

কক্সবাজারে শহর আওয়ামী লীগ নেতা আমীর উদ্দিন বাদী হয়ে সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় ১৯৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে আরও তিনটি মামলা করে পুলিশ। মোট চার মামলায় এ পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান।

কিশোরগঞ্জে পুলিশের তিন মামলায় গ্রেপ্তার ৪৯

নাশকতার ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর, ভৈরব ও পাকুন্দিয়া এই তিন থানায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৩১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১ হাজার ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। জেলাজুড়ে অভিযান চালিয়ে গতকাল বিকেল পর্যন্ত ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সাবেক ২ এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২১ পিএম
সাবেক ২ এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত
দুর্নীতি দমন কমিশন

অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খানের (দিলীপ) অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদক উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাবেক দুই সংসদ সদস্যের দুর্নীতি বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। 

সূত্র জানায়, বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজ নামে বরিশালের আগরপুর রোড, রূপাতলী, জাগুয়া, দক্ষিণ আলেকান্দায়, ঢাকার নলটোনা, বরগুনার পাথরঘাটায় মোট ১ কোটি ৫১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৩ টাকার অকৃষি জমি রয়েছে। বরগুনার কাঁঠালতলী, মাদারতলী, রায়হানপুর, গহরপুর, চরলাঠিমারা মৌজাসহ বিভিন্ন এলাকায় ৫৮ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের কৃষি জমি রয়েছে। তার নিজ নামে ব্যবসার পুঁজি রয়েছে ১৫ কোটি ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৪০ টাকা এবং ৪৬ লাখ টাকার অন্যান্য বিনিয়োগ রয়েছে। নিজ নামে ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো, মাইক্রো বাস, টয়োটা প্রিমিও কারসহ ৩টি গাড়ি, স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ও নগদ ১৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৪০ টাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুদকে গোয়েন্দা ইউনিট। 

এদিকে নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান (দিলিপ) দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। ২০২৩-২৪ করবর্ষে স্ত্রীর নামে ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৮০০ টাকা ও নিজ নামে ৮ কোটি ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৩৭ টাকাসহ মোট ৮ কোটি ৬২ লাখ ২৮ হাজার ৬৩৭ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। যার মধ্যে নিজ নামে নগদ ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৫ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা অর্থ ৪ কোটি ৫২ লাখ ৯২ হাজার ৯৮৫ টাকা। সঞ্চয়পত্র ২ কোটি ২০ লাখ টাকা, নিজ নামে ৫ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে ১টি এলিয়ন গাড়ি, নিজ নামে ল্যান্ডক্রুজার, ডাম্পট্রাক, কার ও জাহাজ রয়েছে। দেশে-বিদেশে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। 

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকা অনুদান

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ পিএম
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকা অনুদান
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার তহবিল থেকে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ ১০০ কোটি টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার অনুদানের কথা জানান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। শহিদ মুগ্ধের যমজ ভাই স্নিগ্ধ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে আন্দোলনে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। আন্দোলন দমনে কঠোর হয় গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকার। সেই আন্দোলনে যেসব মানুষ শহিদ হয়েছেন এবং যারা গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।”

তিনি আরও বলেন, ‘এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সাতটি উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর মধ্যে একটি উদ্যোগ হচ্ছে, আন্দোলনে অংশ নিয়ে যারা আহত হয়ে অর্থসংকটে ভুগছেন এবং যারা নিহত হয়েছেন– তাদের জরুরি আর্থিক সহায়তা, এককালীন একটি ভাতা ও মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। এটা এই সপ্তাহেই আমরা শুরু করব।’

ফাউন্ডেশনের প্রতি সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ সরকারের পক্ষ থেকে চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। মানুষের কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা যারা দেশে বিদেশে আছেন এই ফাউন্ডেশনে অনুদান দেবেন।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এরই মধ্যে সরকারি বেসরকারি সব হাসপাতালে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আহতদের ফ্রি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে আমরা হাসপাতালগুলোর সঙ্গে কাজ করছি। একই সঙ্গে এরই মধ্যে যেসব আহত আন্দোলনকারী নিজেদের অর্থ ব্যয় করেছেন চিকিৎসার জন্য সেসব অর্থ তাদের ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা আহত এবং নিহত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনেও কাজ করছি।’

‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর সভাপতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সেক্রেটারি আন্দোলনে শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। এ ছাড়া কাজী ওয়াকার আহমেদ কোষাধ্যক্ষ, উপদেষ্টাদের মধ্যে আছেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নূরজাহান বেগম ও শারমিন মুর্শিদ। এতে আরও ১৪ জন সাধারণ সদস্য রয়েছেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল ফাউন্ডেশনের সদস্যরা বৈঠকে বসবেন। পরবর্তী করণীয় ঠিক করে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সহযোগিতা করার কাজ শুরু করা হবে।’



বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পিএম
বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্য ঋণ-সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক এ প্রতিশ্রুতি দেন। 

তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে তার সংস্থা বাংলাদেশের জন্য ২০০  কোটি মার্কিন ডলারের নতুন অর্থায়ন করতে পারবে। এই অর্থ অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন, বন্যা মোকাবিলা, দূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বায়ুর মান বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সহায়তা করা হবে।’

জরুরিভাবে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে- এমন ক্ষেত্রে সহায়তা করা হবে উল্লেখ করে আবদৌলায়ে সেক বলেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব এবং যতটা সম্ভব আপনাদের সহায়তা করতে চাই।’

নতুন ঋণ-সহায়তার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটি সরকারের চলমান প্রকল্পে অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলারের তহবিল পুনর্বিন্যাসের কথা বলেছে।

বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান জানান, অতিরিক্ত ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক এবারের অর্থবছরে বাংলাদেশকে সহজ শর্তের ঋণ এবং মঞ্জুরি মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার দেবে, যার মাধ্যমে বিদ্যমান প্রকল্পগুলোর তহবিল পুনর্বিন্যাসও করা হবে।

সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন তরুণ সম্প্রদায় এবং দেশটির জন্য ‘মহৎ কাজ’ হবে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান বলেন, প্রতিবছর যে ২০ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন, তারাও এর সুফল পাবেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরক্টেরকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘১৫ বছরের অপশাসন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আমরা যে নতুন যাত্রার সূচনা করেছি, তাকে এগিয়ে নিতে এবং সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাংকের ঋণ তহবিলগুলোর শর্তে নমনীয় হতে হবে।’

তিনি এই বহুপক্ষীয় ঋণ প্রদানকারী সংস্থাকে উদ্দেশ করে আরও বলেন, ‘আমাদের ধ্বংসাবশেষ থেকে নতুন কাঠামো তৈরি করতে হচ্ছে। আমাদের এখন বড় ধাক্কা দেওয়ার প্রয়োজন এবং ছাত্রদের যে স্বপ্ন রয়েছে তা পূরণে মনোযোগ দিতে হবে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি আপনাদের বলব আমাদের সাহায্য করুন। আমাদের টিমের অংশীদার হোন।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার শাসন আমলে দুর্নীতিবাজরা অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে কয়েক বিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন। পাচার হওয়া এসব অর্থ ফিরিয়ে আনতে তিনি বিশ্বব্যাংককে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।

বিশ্বব্যাংকের কাছে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার মতো প্রযুক্তি রয়েছে উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশে দুর্নীতিকে শূন্যের পর্যায়ে নামিয়ে আনতে দক্ষতার প্রয়োজন।

বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সহায়তা করতে সম্মত হন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাহায্য করতে পারলে খুশি হব।’

আবদৌলায়ে সেক জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের শহিদদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি ঢাকার দেয়ালে তরুণদের আঁকা বর্ণিল গ্রাফিতি ও ম্যুরাল দেখে মুগ্ধ হয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘৩০ বছরের চাকরিজীবনে অন্য কোথাও এমন দেখিনি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্রদের ক্ষমতায়ন করতে হবে।’

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৭২

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ পিএম
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৭২
ডেঙ্গু

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৮৭২ জন। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১১৩ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ২১৩ জন।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ গত রবিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৬৭ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৯১, খুলনা বিভাগে ১০ জন রয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

শেখ হাসিনার নামে সারা দেশে ১৮১ মামলা

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ পিএম
শেখ হাসিনার নামে সারা দেশে ১৮১ মামলা
শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এর কয়েক দিন পর থেকে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ১৮১টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৬০টিই হত্যা মামলা। হত্যা মামলাগুলোতে শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত, রাজধানীর বিভিন্ন থানা এবং ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে মামলাগুলো করেছেন আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারের স্বজনরা।

মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়েছে।

এসব মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ, ছাত্রলীগের নেতা তানভীর হাসান সৈকত, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান প্রমুখ।

এ ছাড়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক তিন আইজিপিসহ ৮৮ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আসামির তালিকায় রয়েছেন সাবেক তিন আইজিপি, সাবেক দুই ডিএমপি কমিশনার ও র‍্যাবের সাবেক দুই ডিজি, এসবি সাবেক প্রধান ও সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া প্রমুখ। আসামি করা হয়েছে ১১ জন ডিআইজি ও ১৪ জন এসপিকেও। তা ছাড়া ১৬ জন এডিসি, ৬ জন সহকারী কমিশনার (এসি) ১৩ জন ওসি, ৯ জন পুলিশ পরিদর্শক, ১৩ জন এসআই, ১ জন এএসআই ও ৩ জন পুলিশ কনস্টেবলকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর মধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ৩৭টি, সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের বিরুদ্ধে ৭টি, ডিবিপ্রধান হারুনের বিরুদ্ধে ৩৮টি এবং সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

এদিকে মঙ্গলবারও শেখ হাসিনার নামে চারটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনটি হত্যা মামলা হয়। আদালত মামলার বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং আবেদনগুলো সংশ্লিষ্ট যাত্রাবাড়ী ও মিরপুর মডেল থানার পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। অন্য মামলাটি করেছেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে আহত মো. জাহাঙ্গীর নামে এক ভুক্তভোগী। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলাটি করেন তিনি।