কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্যদের গ্রেপ্তার না করে অপরাধীকে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বানকে উপহাস হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের ব্যানারে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘হত্যা, অবৈধ নাটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক মো. ইফতেখারুজ্জামান, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন ও আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুল উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও গুলি চালানো কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার না করে অপরাধী খুঁজে বেড়ানো এবং অপরাধীকে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান উপহাস বটে।’
সরকারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, নাশকতার ঘটনার সময় তা প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা সরকার নেয়নি৷ সরকারি বাহিনীগুলো কোনো কোনো ক্ষেত্রে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে গণমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা যায়। সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের এই ভূমিকার রহস্য উদ্ঘাটন এবং জনসমক্ষে তা প্রকাশ করা জরুরি।
সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন চলাকালে নাশকতামূলক তৎপরতার কারণে বেশ কিছু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব নাশকতার জন্য যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তবে এই অজুহাতে ভিন্নমতের কাউকে দমন-পীড়ন বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।
নাশকতার মামলা দায়ের করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষকে হয়রানির পাশাপাশি ‘গ্রেপ্তার বাণিজ্য’ শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
সংবাদ সম্মেলনে দেশের গুমোট ও সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষাঙ্গন নিরাপদ ও শিক্ষামুখী রাখতে সরকারের কাছে ১১ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
জয়ন্ত সাহা/অমিয়/