ঢাকা ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিমানবন্দরে আটক হাছান মাহমুদ

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
বিমানবন্দরে আটক হাছান মাহমুদ
ড. হাছান মাহমুদ

বিদেশ যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। 

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দেশ ছাড়তে গিয়ে বিমানবন্দরে আটক হন তিনি। 

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে থাকা অবস্থায় হাছান মাহমুদকে বিমানবন্দরের কর্মীরা ঘিরে ফেলেন। তখন নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেন। 

বিমানবন্দরে কর্মরত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একজন কর্মী জানান, তিনি কোন দেশে যাচ্ছিলেন এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও জানা গেছে তার সার্ক ভিসা রয়েছে। সার্কভুক্ত যেকোনো একটি দেশে তার যাওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগে রবিবার রাতে হাছান মাহমুদের পরিবারের সদস্যরা ইকে ৫৮৬ নম্বর ফ্লাইটযোগে দেশত্যাগ করেন। তাদের গন্তব্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দর ছিল বলে জানা গেছে। 

বাড়ি ফেরার ব্যাকুলতায় টার্মিনালে ভিড়

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১১:৫৯ এএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
বাড়ি ফেরার ব্যাকুলতায় টার্মিনালে ভিড়
ঈদুল আজহা উপলক্ষে টঙ্গী রেলস্টেশনে জামালপুর কমিউটার ট্রেনে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ছবি: খবরের কাগজ

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শেষ কর্মদিবস ছিল বুধবার (৪ জুন)। তাই কোনোমতে অফিসে হাজিরা দিয়ে বা নির্ধারিত সময় পার করেই অনেকেই ছুটছিলেন গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে। কেউ আবার পরিবার নিয়ে ব্যাগ-লাগেজ গুছিয়ে রওনা দেন। 

বুধবার (৪ জুন) দুপুরের পর থেকেই রাজধানী ঢাকার সব সড়কেই দেখা যায় টার্মিনালমুখী মানুষের সরব পদচারণ।

এতে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ দেখা যায় রাজধানীর রেলওয়ে স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে। সবার মাঝেই ছিল গ্রামে যাওয়ার ব্যাকুলতা। বাসের টিকিট-সংকট, কষ্টকর ভ্রমণ, পথের ঝক্কিঝামেলা মাথায় থাকলেও মন-প্রাণ ছুটে চলে বাড়ির দিকে। 

সরেজমিন বুধবার রাজধানীর রেলওয়ে স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে (কমলাপুর) দেখা যায়, ঈদযাত্রার পঞ্চম দিনে রেলযাত্রায় বুধবার দিনভর ভুগিয়েছেন কালোবাজারিরা। আন্তনগর, মেইল, কমিউটার ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাত্রার টিকিট নিয়ে বুধবার এই সংঘবদ্ধ চক্র ছড়ি ঘুরিয়েছে যাত্রীদের ওপর। 

নিয়ম অনুযায়ী, ট্রেনের আসনসংখ্যার অনুপাতে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করতে পারে রেলওয়ে। কিন্তু যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপে আরও বেশি সংখ্যায় স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করতে বাধ্য হন কাউন্টারকর্মীরা। 

একপর্যায়ে সরেজমিন পরিদর্শনে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নির্দেশনা দেন টিকিট বিক্রির হার ২৫ শতাংশের মধ্যে রাখতে। এরপর স্ট্যান্ডিং টিকিট দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠলে যাত্রীরা কালোবাজারিদের খপ্পরে পড়েন। অনেকে আসনসহ টিকিট পেলেও রেলযাত্রার শুরুর সময় জানতে পারেন, তার টিকিট জাল। তাদের কেউ কেউ পরে রেলযাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হন। 

বুধবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা ছেড়ে যায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। সেই ট্রেনের যাত্রী ফখরুল ইসলাম স্ট্যান্ডিং টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন। তখন সাধারণ পোশাকে থাকা এক তরুণ এগিয়ে এসে তাকে উত্তরবঙ্গের কোনো রুটের টিকিট লাগবে কি না জিজ্ঞাসা করেন। পরে তার কাছে পাওয়া যায় রংপুরের টিকিট। স্ট্যান্ডিং টিকিটের দাম যেখানে ৪২০ টাকা নেওয়ার কথা, সেখানে ফখরুলকে কিনতে হয় ৭০০ টাকায়। 

ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করে খবরের কাগজকে বলেন, ‘এরা আসলে আগে থেকে টিকিট সব বুকিং দিয়ে রাখে। তারপর ট্রেন ছাড়ার ঠিক আগে আগে ওরা স্টেশনের কোনায় দাঁড়িয়ে থাকে। ওরা টের পেয়ে যায় কার টিকিট লাগবে। ঈদে বাড়ি যেতেই হবে, না হলে ব্ল্যাকার থেকে টিকিট কাটব, এমন প্রশ্নই আসে না।’

ফখরুলের মতো আরও অনেক যাত্রীই এদিন কালোবাজারিদের কবলে পড়েন। উপায়ান্তর না দেখে তারা অনেকে দ্বিগুণ বা আড়াই গুণ টাকা দিয়ে টিকিট নিয়ে রওনা হন বাড়ির পথে। অনেক যাত্রী আন্তনগর ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট না পেয়ে যান মেইল বা কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাটতে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ স্টেশনের যাত্রী এরশাদ হোসেন কাউন্টার থেকে টিকিট পাননি। পরে ব্ল্যাকারের কাছে টিকিট মেলে। তবে ১০৫ টাকার টিকিট তাকে কিনতে হয়েছে ২৫০ টাকায়। 

এ নিয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার রেলের টিকিটে কোনো কালোবাজারি হয়নি। কালোবাজারি অনেক কমে গেছে, বলতে গেলে এখন নেই।’ 

ঈদযাত্রায় ট্রেনের পাওয়ার কার বা খাবার গাড়িতে (বুফেকার) যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ থাকলেও বুধবার বেলা ৩টার দিকে রাজশাহীগামী সিল্ক সিটি এক্সপ্রেসে এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম ও রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন সরেজমিন এসে বেশ কয়েকজন যাত্রীকে বুফেকার থেকে নামিয়ে দেন। পরে তাদের শোভন শ্রেণির কামরায় পাঠানো হয়। ফাহিমুল ইসলাম স্বীকার করে নেন, রেলের কিছু অসাধু কর্মচারী বাড়তি টাকার লোভে বুফেকারে যাত্রী পরিবহন করছেন। এদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।

বাসে টিকিটে হাহাকার, অতিরিক্ত ভাড়ায় নাজেহাল যাত্রীরা

ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী ও ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ঈদযাত্রার শেষ পর্যায়েও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যার পর রাজধানীর কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল ও গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, হাতে ব্যাগ ও শিশুসন্তানদের নিয়ে টিকিটের জন্য এক কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টারে ছুটছেন যাত্রীরা। কিন্তু বাস কাউন্টারের স্টাফরা যাত্রীদের দিকে ঘুরেও তাকাচ্ছিলেন না। টিকিটের বিষয় প্রশ্ন করলে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকেন। কোনো ধরনের পাত্তাই দিচ্ছেন না যাত্রীদের। দু-একটি বাস এলেও সেখানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই, কারণ ওই সব যাত্রী আগে টিকিট কেটে রেখেছিলেন। এখন শুধু বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করছেন। যারা আগে টিকিট কাটেননি, তারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। 

সপরিবারে নাটোরে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে টেকনিক্যাল মোড়ের কাউন্টারে আসেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ। চারটি টিকিট দরকার তার। একাধিক কাউন্টারে ঘুরেও টিকিট না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। অভিযোগ করেন, বাসের স্টাফরা অতি চালাকি করছেন। তাদের পরিচিত দু-একজন এলেই ইশারা দিয়ে টিকিটের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। 

এদিকে বাসের কাউন্টারের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীরা বলছেন, বাড়তি টাকা দিলেই মিলছে টিকিট। এর আগে গতকাল বিকেলেও কল্যাণপুর ও গাবতলী গিয়ে দেখা যায়, ঈদে ঘরমুখী মানুষের বেশ চাপ। সড়কেও ছিল বাইকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের জটলা। অনেকেই পরিবারসহ ব্যাগ-লাগেজ নিয়ে ছুটছিলেন বাসস্ট্যান্ডের দিকে।

এদিকে বুধবার বিকেলে মহাখালী বাস টার্মিনালে দেখা যায় জামালপুরের বিনিময় পরিবহন, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়াগামী ইমাম পরিবহন, টাঙ্গাইলের নিরালা পরিবহনের সামনে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড়। তবে অভিযোগ করা হচ্ছিল- দেড় থেকে দুই গুণ বেশি ভাড়া রাখা হয়েছে। গতকাল বিকেলে মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘যদি অতিরিক্ত ভাড়া কেউ আদায় করে, তবে মালিক সমিতিকে জানাবেন বা আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন। জড়িতদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজধানীর ফকিরাপুল, আরামবাগের বাস কাউন্টারে সিলেট, খুলনাগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। র‌্যাব, পুলিশ ও বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা যতক্ষণ সক্রিয় ছিলেন, ঠিক ততক্ষণ টিকিট বিক্রিতে নির্ধারিত টাকা নেওয়া হচ্ছিল। তারা চলে গেলেই ইচ্ছামতো বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। 

বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, ‘নন-এসি বাসের ভাড়া, বিশেষ করে আমার পরিবহনে একটা টাকাও বাড়ানো হয়নি। বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়াই আমরা নিচ্ছি। তবে এসি বাসের ভাড়া একেক রকম। এসব গাড়ির ভাড়া তো মালিক সমিতিও নির্ধারণ করতে পারে না। বিআরটিএ এখনো এই ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়নি। বিআরটিএ যদি সবকিছুর সমন্বয় করে একটি ভাড়া নির্ধারণ করে দিত, তাহলে সেই ভাড়া রাখা হতো।’

সদরঘাটে ঘরমুখী মানুষের ভিড়

বুধবার বিকেলে রাজধানীর সদরঘাটে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সদরঘাট নৌ টার্মিনালের যুগ্ম পরিচালক মুহম্মদ মোবারক হোসেন জানান, গতকাল ৮০টি লঞ্চ সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন রুটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। 
কর্ণফুলী লঞ্চের স্টাফ তোহা আলম বলেন, ‘ঈদযাত্রা উপলক্ষে কেবিনের সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। অনেক যাত্রী কেবিনের টিকিট না পেয়ে শেষে ডেকে করে বাড়ি যাচ্ছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার লঞ্চের ঈদযাত্রা বেশ আনন্দময় হবে।’

মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ, যাত্রীরা বাড়ি যাচ্ছেন খোলা ট্রাকে

সড়কপথে ঈদযাত্রায় বুধবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ছিল প্রায় দ্বিগুণ। দেখা গেছে, গণপরিবহন না পেয়ে অনেক মানুষ খোলা ট্রাক কিংবা রাজধানী থেকে ফিরতে থাকা কোরবানির পশুবাহী গাড়িতে উঠেছেন। এই মহাসড়কে ঈদযাত্রায় বুধবার ভোগান্তি বাড়ে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনায়। যমুনা সেতুর সংযোগ সড়কে বুধবার ভোরে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনার পর যানজট তৈরি হয় এলেঙ্গা থেকে। তবে দুর্ঘটনায় পড়া গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার পর দুপুরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান যমুনা সেতুর পূর্ব থানার ওসি ফয়েজ আহমেদ। 

গজারিয়ার ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের (এসআই) মোহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ খবরের কাগজকে জানান, গতকাল ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে চট্টগ্রামমুখী লেনে গাড়ি চলেছে ধীরগতিতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সেই জট ছুটে যায়। তবে সন্ধ্যার পর মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে বাড়তি চাপ থাকার কথা জানান তিনি। 

বুধবার ঢাকা-আরিচা ও আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছালেহ আহমেদ বলেন, শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করায় সাভারে ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপ বাড়ে। ফলে সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ে। ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইলসহ বেশ কিছু জায়গায় যানবাহনের ধীরগতি থাকলেও কোথাও যানজট ছিল না।

প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন খবরের কাগজের নিজস্ব প্রতিবেদক জয়ন্ত সাহা, আরিফ সাওন, শেখ জাহাঙ্গীর আলম, জিয়াউদ্দিন রাজু, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও সাভার প্রতিনিধি।

জাতীয় ঈদগাহে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন: ডিএসসিসি প্রশাসক

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
জাতীয় ঈদগাহে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন: ডিএসসিসি প্রশাসক
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। ছবি: খবরের কাগজ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

প্রশাসক বলেন, ‘ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জামাতের আয়োজন অনুপযুক্ত হলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

নামাজ আদায়কারী মুসল্লিদের জন্য নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সেবা ব্যবস্থা। যেমন- প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির জন্য বিশাল আয়োজনে ঈদ জামাতের আয়োজন, ভিআইপি ব্লকে একসঙ্গে ২৫০ জনের নামাজের ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন, অজু, পয়ঃনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির সুব্যবস্থা, মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা, পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান গেট, নারী মুসল্লির জন্য পৃথক ব্লকে নামাজের ব্যবস্থা ও পৃথক প্রবেশপথ।’ 

তিনি বলেন, ‘নগরবাসীর কোরবানির পশু কেনাবেচার সুবিধার্থে আটটি জায়গায় অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। এসব হাটে থাকবে- পরিচ্ছন্নতা কর্মী, পুলিশ ও এটিএম বুথ, পশু স্বাস্থ্য সেবার জন্য চিকিৎসক ও মেডিকেল টিম। হাট শেষ হওয়ার পরপরই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’ 

শাহজাহান বলেন, ‘কোরবানির পশুর বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের লক্ষ্যে ডিএসসিসির প্রায় ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ২০৭টি ডাম ট্রাক, ২০০টি মিনি ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ও যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা এবার ৩০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি রেখেছি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ৪০ হাজার বায়ো-ডিগ্রেডেবল ব্যাগ, ৪০ টন ব্লিচিং পাউডার ও ২২২ গ্যালন স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে। ঈদের জামায়াত, কোরবানি হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। 

কোরবানির হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নগর ভবনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। 

নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিতে এবং বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলে সহযোগিতা করতে। 

ব্রিফিংয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমানসহ সব বিভাগীয় প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জয়ন্ত/পপি/

পদায়নে ঘুষের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান শিক্ষা উপদেষ্টার

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১০:৪০ এএম
পদায়নে ঘুষের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান শিক্ষা উপদেষ্টার
সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারকে (সি আর আবরার) কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের জন্য এক কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। একথা তিনি সাংবাদিকদের নিজেই জানিয়েছেন। প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘নিজের ঢোল পেটাচ্ছি না। আমি প্রত্যাশা করি, আমার যারা সহকর্মী আছেন, তারা যেন এই নৈতিক অবস্থানটা নেন।’

বুধবার (৪ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

সি আর আবরার আরও জানান, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পদে নিয়োগের প্রয়োজনে আমরা একটি উপাচার্য নির্বাচনী প্যানেল তৈরি করেছি। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান এবং ইচ্ছুকদের আবেদনপত্র গ্রহণের মাধ্যমে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হবে। আমরা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং বিজ্ঞ অধ্যাপকদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেছি। আমি আশাবাদী, আপনাদের সবার সহযোগিতায় যদি যোগ্যতা এবং কম্পিটিশনের ভিত্তিতে ভিসি নিয়োগের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারি, তাহলে আমার যে স্বপ্ন, দেশে বসেই আগামী জেনারেশনকে বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার পথে এগিয়ে দিতে পারব।’  

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষকদের সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার সম্প্রতি ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড এবং ২০০ কোটি টাকার নগদ বরাদ্দ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সমস্যা নিরসনে এটি একটি বড় ধরনের পদক্ষেপ।’

পাঠ্যপুস্তক নিয়ে তিনি বলেন, ‘সামান্য ভুলসহও পাঠ্যবই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে আমার মন সায় দিচ্ছে না। সময় স্বল্পতার কারণে ২০২৬ সালের বই চলতি বছরের কারিকুলাম অনুযায়ী ছাপানো হবে এবং এতে যেসব সাধারণ ভুলভ্রান্তি আছে সেগুলো ঠিক করে আগামী বছরের শুরুতেই যাতে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই হাতে পায়, তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই যত কষ্টই হোক, বইগুলো যত্ন এবং দায়িত্বের সঙ্গে নির্ভুল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আশাবাদী, এনসিটিবি এই গুরুদায়িত্ব পালন করতে পারবে। ২০২৭ সাল থেকে পরিমার্জন করে মাধ্যমিকে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রথম বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে তা চালু করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন বা পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চালু করা হবে।’

কারিগরি শিক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে বেকারত্ব দূর করার ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষার একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, কারিগরি শিক্ষাকার্যক্রম প্রণয়ন এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যক্তি খাতের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, গ্লাস ও সিরামিক, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন এবং বিশিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় করণীয় চিহ্নিত করতে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, গবেষক, প্রাইভেট সেক্টরের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কর্মশালা করা হয়েছে । এখানে কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রম এবং দেশ ও বিদেশের শ্রমবাজারে কীভাবে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কারিগরি শিক্ষায় দীক্ষিত মানবসম্পদ অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে অংশীদারদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ‘২০২৭ সালে যাতে ষষ্ঠ শ্রেণি নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসে, সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।’ 

বাংলাদেশ-মায়ানমার সম্মত হলে করিডরে সহায়তা দেবে জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ১০:১৭ এএম
বাংলাদেশ-মায়ানমার সম্মত হলে করিডরে সহায়তা দেবে জাতিসংঘ
গোয়েন লুইস

রাখাইনের জন্য মানবিক করিডর দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমার সম্মত হলে এবং এ-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পন্ন হলে সে ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে পারে জাতিসংঘ। 

বুধবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস।

গোয়েন লুইস বলেন, মানবিক করিডর একটি আনুষ্ঠানিক ও আইনি বিষয়। এ ক্ষেত্রে দুটি সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ সরকার ও মায়ানমার সরকার এবং প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট অন্য পক্ষের আনুষ্ঠানিক সম্মতি থাকতে হবে। যদি এখানে কোনো চুক্তি হয়, তবে জাতিসংঘ সহায়তা করতে পারে। আমি যতদূর জানি, এই ধরনের চুক্তি এখন পর্যন্ত হয়নি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য করিডর নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা উঠেছিল। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জাতিসংঘ জড়িত নয়।

তিনি আরও বলেন, করিডর দুই সরকারের বিষয়। রাখাইনে প্রবেশ করা খুব দুরূহ ব্যাপার। সেখানে সংঘাত চলছে এবং পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মায়ানমার সরকারের সঙ্গে ইউএনডিপি এবং ইউএনএইচসিআরের মধ্যে সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি সমঝোতা ছিল। এটি চালু রয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে, যদিও সেখানে কিছু কর্মী রয়েছে এবং কিছু অংশীদার সেখানে কাজ করছে।

গোয়েন বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল যোগাড় করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গারা সম্মানজনকভাবে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি এখন ভালো নয়। তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের আন্তসীমান্ত সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেখানকার লোকদের সহায়তা করার জন্য যেকোনো উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। এ বিষয়ে জাতিসংঘ সহায়তা করবে। কিন্তু রাখাইনে এ ধরনের কোনো মানবিক করিডর নেই।

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:৩৭ এএম
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা
বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা

নতুন অধ্যাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। 

বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। 

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। আর মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। 
ফারুক-ই-আজম বলেন, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কাউকে বাতিল করা হয়নি। শুধু সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। যিনি যে সুবিধা পাচ্ছেন, তিনি সেই সুবিধা পাবেন। শুধু যারা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, তারা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হবেন। অন্যরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’।

মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়েছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ  প্রকাশিত হয়।

এসব সংবাদে যে তথ্য দেওয়া হয় তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ তার ফেসবুট স্ট্যাটাসে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার বক্তব্য উল্লেখ করে জানিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, যারা পরিচালনা করেছেন, তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। 

উপদেষ্টা আরও জানিয়েছেন, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে।

এদিকে ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

গতকাল রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে উপ-প্রেস সচিব বলেন, যারা এখন থেকে ভুল সংবাদ প্রকাশ করবেন বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করবেন- যেগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের খেতাবসংক্রান্ত খবরটি ভুয়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।’ 

আজাদ মজুমদার আরও বলেন, যেসব গণমাধ্যম ভুল সংবাদ প্রচার করেছে, সরকার আশা করে তারা ভুলটা সংশোধন করবে। যেখানে তারা ভুল সংবাদটি ছাপিয়েছে, ঠিক একই জায়গায় তারা সংশোধনী ছেপে পাঠকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবে।