জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন ‘উগ্রবাদীদের’ হামলার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তার ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি।
আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আয়েশা হোসেন শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নিরাপত্তা চান।
বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক আনোয়ার ৫ আগস্ট বিকেলে উত্তরা থেকে শাহবাগ অভিমুখে রওয়ানা দিলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হন।
বিবৃতিতে আয়েশা হোসেন বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় আসার পর ৪০ বছরের কাছাকাছি বয়সী এক ব্যক্তি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের কাছে এসে বলেন, ‘আপনাকে চিনতে পেরেছি, আপনি সেই প্রফেসর যে ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। আপনাকে টিভিতে দেখেছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওই ব্যক্তি আনোয়ার হোসেনকে বিমানবন্দরের উল্টো দিকের একটি সরু গলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আরও বেশ কয়েকজন উত্তেজিত লোক চারপাশে জড়ো হয়ে ‘নারায়ে তাকবির’ বলতে থাকেন। আনোয়ার হোসেন জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং তার গলা কেটে ফেলা হবে বলে উল্লেখ করেন একজন। উত্তেজিত ব্যক্তিরা বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তার ওপর হামলা করেন। পরিবারের লোকজন তখন আনোয়ার হোসেনকে হামলা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি আরও দুজন এসে হামলাকারীদের বাধা দেন। পরে সেখান থেকে আনোয়ার হোসেনকে বিমানবন্দরে থাকা সেনা ব্যারিকেডের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির ম্যুরালসহ সুপ্রিম কোর্টে থেমিসের ভাস্কর্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবন পুড়িয়ে ফেলা একটি অশুভ ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয় ।
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনসহ যারা হামলার শিকার হয়েছেন এবং ঝুঁকিতে আছেন, তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ চেয়েছেন আয়েশা হোসেন।