ঢাকা ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিগগিরই গভর্নর ও বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ: অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
শিগগিরই গভর্নর ও বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ: অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা
অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

রবিবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। 

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখন গভর্নর নিয়োগের বিষয় নিয়ে আমরা চিন্তিত। এনবিআরের বিষয় ভিন্ন। এনবিআরের চেয়ারম্যান তো প্রশাসন থেকেই আসেন। গভর্নর ও সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিগগিরই নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান উপদেষ্টা।

গভর্নর নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন মানদণ্ড বিবেচনা করা হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গভর্নর না থাকলেও ডেপুটি গভর্নররা কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। পেমেন্ট সিস্টেমের জন্য তো গভর্নর প্রয়োজন হয় না।

ব্যাংক থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে সীমা আরোপ করা হয়েছে (দুই লাখ) এবং সেই সঙ্গে এটিএম বুথে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। সাংবাদিকেরা বলেন, এসব কারণে মানুষ বিপাকে পড়েছে। এ পরিস্থিতি কতদিন চলবে, এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, টাকা নেই, তা নয়। এটা করা হয়েছে নিরাপত্তাহীনতার কারণে। এটিএম বুথেও হামলা হয়েছে, সে জন্য শঙ্কা ছিল। অর্থসচিব বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে দেখবেন।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তো জানি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকাররা প্রতিদিন বড় ট্রাঙ্কে করে টাকা নিয়ে যান। কিন্তু এখন রাস্তা দিয়ে সেই টাকা পরিবহন করা বিপজ্জনক। সে জন্য এটা করা হয়েছে। পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’

বৈঠকে কর্মকর্তাদের কী বার্তা দেওয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করার কথা বলেছি। কোনো কিছু ফেলে রাখা যাবে না। সেই সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের কথা বলেছি।

প্রসঙ্গ ইসলামী ব্যাংক: ইসলামী ব্যাংক দখল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমি বলেছি কেউ আইনের বাইরে থাকবে না। যদি কেউ করে থাকে, তা হলে অবশ্যই দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে যে-ই হোক। আমি নিজেও একসময় ম্যাজিস্ট্রেট ছিলাম। এসব ধরপাকড় কম করিনি। যে করেছে, তাকে ধরা হবে। নো বডি ইজ আ্যালাউড। কিন্তু ঘটনা তো ঘটেছে। সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই জানে কারা ঘটিয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবো। দরকার হলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে যাব।’

কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন চলাচলের সময় বাড়ল ১ মাস

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন চলাচলের সময় বাড়ল ১ মাস
কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন চলাচলের সময় এক মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে৷

গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রী চাহিদার প্রেক্ষিতে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন চলাচলের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে৷

চলতি বছর ঈদুল ফিতরের আগে ৮ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার স্পেশাল যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে৷ যাত্রী চাহিদা থাকায় ঈদের পরে টানা ৫২দিন যাত্রী পরিবহন করে স্পেশাল ট্রেনটি৷ পরে ক্রু ও ইঞ্জিন সংকটের কারণ দেখিয়ে ৩০ মে থেকে সার্ভিসটি বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে। ঈদুল আজহার সময় ১২ জুন থেকে ঈদ স্পেশাল হিসেবে ট্রেনটি আবার চালু করা হয়।  

কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনে আসন সংখ্যা ৭৪৩টি। কোচ রয়েছে ১৬টি। স্ট্যান্ডিং টিকিট ছাড়া প্রতিদিন আয় এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৫০ টাকা। টিকিট বেশি বিক্রি হলে আয়ও বেড়ে যায়। এ রুটে যাত্রীদের চাহিদা রয়েছে বেশি। টিকিট বিক্রিও বেশি।  

জয়ন্ত সাহা/অমিয়/

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে গ্রেপ্তার
সাফি মোসাদ্দের খান জ্যোতি

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে সাফি মোসাদ্দের খান জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আশুলিয়া থানায় দায়ের করা একটি মামলায় সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে। 

অমিয়/

ডিএমপির দুই থানায় নতুন ওসি

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০২ পিএম
ডিএমপির দুই থানায় নতুন ওসি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী ও মুগদা থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপি জানায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগে কর্মরত নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক আহম্মেদকে যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ও লাইনওআরে কর্মরত নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক মো. সাজেদুর রহমানকে মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

একই আদেশে মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক সোহরাব মিয়াকে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগে বদলি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই বদলি করা হয়।

রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাব

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ এএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাব
সফর রাজ হোসেন, শাহদীন মালিক (উপরে। শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ,বদিউল আলম মজুমদার (নিচে)।

রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের প্রত্যয় ব্যক্ত করে গত মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে। সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে সমাজের সব স্তরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্র পরিচালনার উপায় খুঁজতে সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সংস্কারের প্রস্তাবনা তৈরির জন্য পৃথক ৬টি কমিশন গঠন করা হয়েছে।

এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান হয়েছেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হয়েছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হয়েছেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে খবরের কাগজ। এর মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা আগামী সপ্তাহের শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবেন এবং দেশের সার্বিক সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা প্রবর্তন, নির্বাচনব্যবস্থা প্রণয়ন, সর্বস্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাবনা দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে।

উন্নত দেশের মতো পুলিশের প্রস্তাবই দেব: সফর রাজ হোসেন, সাবেক সচিব

আমি তো এখনো কোনো চিঠি পাইনি। এখনো কমিটির কার্যপ্রণালি বা টার্মস অব রেফারেন্স- কমিটিকে কী করতে হবে, কমিটিতে কারা থাকবেন, একচুয়ালি সরকার কী চায় এবং কমিটির অন্য সদস্য কারা হবেন সে সম্পর্কে এখনো অফিশিয়ালি কোনো কাগজপত্র পাইনি। আমরা ভাবব যে, আমাদের পুলিশ উন্নত দেশের মতো হবে। সে জন্যই আমরা হয়তো স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাব করব।

তবে রাজনৈতিকভাবে পুলিশকে ব্যবহার ঠেকানোর বিষয়টি হয়তো আমরা পুরোটা প্রস্তাবনায় আনতে পারব না। কারণ পুলিশের ওপর  সরকারের রাজনৈতিক যে নিয়ন্ত্রণ, সেটা বোধহয় আমার টার্মস অব রেফারেন্সের মধ্যে আসবে না। সেটা হয়তো সংবিধান নিয়ে যারা কাজ করছেন (সংবিধান সংস্কার কমিশন) তারা ঠিক করতে পারেন যে, কীভাবে সরকারের সেন্ট্রালাইজ ক্ষমতাকে ডিসেন্ট্রালাইজ করা যায়।

বর্তমানে যে সংবিধান আছে, এ সংবিধান অনুযায়ী যা হবে সে রকমই চলবে। সংবিধান সংস্কার করলে তখন সে ব্যাপারটা আলাদা কিছু হবে। নির্বাহী ক্ষমতা কীভাবে ব্যবহার করা হবে সেটা তো সংবিধান বা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। আমরা হয়তো পুলিশের অর্গানোগ্রাম নিয়ে কাজ করব। আর হয়তো পুলিশ রিলেটেড যেসব আইন আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করব।

আমার টিমে আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে নেওয়া হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে দেখা করব। আমরা হয়তো আগামী ১ অক্টোবর কমিশনের প্রথম বৈঠকে বসব। সেই বৈঠকে কর্মপরিকল্পনা ও একটি রূপরেখা তৈরি করব।

আনুষ্ঠানিক চিঠি পেলে কাজের চৌহদ্দি বোঝা যাবে: শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি

আমার কাজটা কী? তা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানি না। খবরের কাগজ এবং টেলিভিশনে দেখেছি মাত্র। আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পেলে এবং কমিশনে আর যারা থাকছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে করণীয় ঠিক করা যাবে। তা ছাড়া আনুষ্ঠানিক চিঠি থেকেও হয়তো কাজের চৌহদ্দি সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।

দায়িত্ব পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে বসেও সুপারিশমালা প্রস্তুতের কাজ এগিয়ে নেওয়া যাবে। আমি বিচার বিভাগে ছিলাম। আইনজীবী ছিলাম। পরে বিচারক হয়েছি। হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলাম, সর্বশেষ আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলাম। আমার ওপর যদি দায়িত্ব এসে থাকে, তাহলে নিম্ন আদালতের ব্যাপারে আরও খোঁজখবর নেব। কারণ এখন নিম্ন আদালতের সব খবর বলতে পারব না। সব মিলে সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সুপারিশ করা যাবে।

গত দেড় দশকে বিচার বিভাগের পরিস্থিতি এখন এন্ডলেস গেমের মতো হয়ে গেছে। যে যা খুশি তা করেছে। আমি ‘সঠিক’ শব্দটা ব্যবহার করতে চাই। সঠিক বিচার কি হয়েছে? হয়নি। কারণ যিনি বিচার করেছেন, তিনি চাপে ছিলেন। যিনি বিচার করাচ্ছেন, তিনি নিজের মতো করিয়েছেন। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তো চাকরি করেছে, খেয়েছে, ঘুমিয়েছে, পেট ভরেছে! ওই সময়ের বিচারের কথা না বলাই ভালো।

বিচারকরা যেন শিরদাঁড়া সোজা করে বিচার করতে পারেন সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করব। বিচারকদের কারও কাছে যেন হাত পাততে না হয়, বিচারকদের ছেলেমেয়ে অসুস্থ হলে কর্মস্থলে থাকা বিচারককে বাড়ির কথা যেন চিন্তা করতে না হয়। ছেলেমেয়ের পড়াশোনার জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে না হয়।

যখন ওকালতিতে ঢুকি, সত্তরের দশকের শুরুর দিকে, তখন থেকেই আমাদের চিন্তাভাবনায় আছে বিচার বিভাগ সরকারের অধীনে থাকলে কখনো সুষ্ঠু বিচার হবে না। এটা পরিষ্কার কথা। এ বিষয়ে মতামত থাকবে আমার।

আইনের একই বই মামলার পক্ষের লোক, বিপক্ষের লোক এবং বিচারক সবাই পড়েন। পরে একটা রায় দেন বিচারক। তবে ভিন্নমত হয় কেন? এখানেই স্বাধীনতা।

সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করার পরিকল্পনা: বদিউল আলম মজুমদার, সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)

নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার করার জন্য আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিশন গঠন করার পর এর কার্যপ্রণালি ঠিক করা হবে। আমাদের তিন মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। আমরা ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করব।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার করার মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার জন্য করণীয় নির্ধারণ প্রধান কাজ। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করবে। একই সঙ্গে নির্বাচন পদ্ধতিকেও পরিশীলিত করতে হবে।

পাশাপাশি নিজেদের আচরণ, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল আচরণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতিরও উন্নতি ঘটাতে হবে।

নির্বাচনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

কার্যপরিধি অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করা হবে: শাহদীন মালিক, বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিজ্ঞপ্তি, দিকনির্দেশনা, কার্যপরিধি এখনো দেওয়া হয়নি। সরকার এ নিয়ে আমাকে কিছুই বলেনি। আমার সঙ্গে কয়জন সদস্য থাকবে, কিছুই জানি না। আর এ তো আমার একার নির্বাহী সিদ্ধান্ত না, সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এটা করতে হবে।

আগে সরকার থেকে যোগাযোগ করা হোক, কার্যপরিধি বলা হোক, কয়জন সদস্য থাকবে, এটা না হলে এই অবস্থায় আমার চিন্তার কোনো স্কোপ (সুযোগ) নেই।

আমি একটা বললাম কিন্তু সরকার অন্য জিনিস চায়, তাহলে প্রথম দিন থেকে সরকারের মুখোমুখি হয়ে তো কোনো লাভ নেই। আমি আগে জেনে নিই, তারপর জানাব।

যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ঢাকায়

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২২ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ঢাকায়
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারির ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানকে স্বাগত জানাচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুক্তরাষ্ট্র উইং-এর পরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারির ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান তিন দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি ঢাকা পৌঁছালে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুক্তরাষ্ট্র উইং-এর পরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।

ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের অন্যদের মধ্যে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু আজ দুপুরে ঢাকায় আসবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো প্রতিনিধিদলের প্রথম সফর। 

এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আগামীকাল রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

পরে প্রতিনিধিদলটি পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সভায় অংশ নেবেন। 

একইদিন বিকেলে প্রতিনিধিদলের প্রধান নেইম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

অমিয়/