বর্তমান সমাজে অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যসহ বিভিন্ন রকমের যে বৈষম্য রয়েছে সবক্ষেত্র থেকে তা দূর করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল পৌনে ১০টার দিকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
এ সময় ঢাকা থেকে আগত তাদের সঙ্গী, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দসহ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে পরিদর্শন বইয়ে নবনিযুক্ত এই দুই উপদেষ্টা স্বাক্ষর শেষে সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘আন্দোলনটা বৈষম্যবিরোধী, এখনও আমাদের সমাজে অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য; বিভিন্ন রকম বৈষম্য রয়ে গেছে। সবক্ষেত্রেই বৈষম্য দূর হোক এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমার মন্ত্রণালয়ে আমি কি করব তার এখনও সিদ্ধান্ত নিই নি। আমি মিটিংয়ে বসিনি। বসে সিদ্ধান্ত নিব। আমি জাতির কাছে, সবার কাছে আপনাদের সহযোগিতা ও সদিচ্ছা চাই।’
শিক্ষার্থীরা আর কত সময় সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলেই শিক্ষার্থীরাও ফিরে যাবে।’
তবে পাঠক্রমের কারিকুলামের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘আমরা উপদেষ্টারা জানি আমাদের কি মহান দায়িত্ব। যারা এক-দুই মাসে এই আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন তাদের এক্সপক্টেশনটা যাতে আমরা পূরণ করতে পারি। তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায় এবং এটা করার উদ্দেশ্য একটাই এদেশের প্রতিজনের অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে, প্রতিজনের নিরাপত্তা দিতে হবে, প্রতিজনেই যাতে আর্থিক স্বচ্ছল হয়ে এই দেশটাকে উন্নত করতে পারে।’
এর আগে সকাল সোয়া সাতটায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানান নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এ সময় হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা তার সঙ্গে উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ইমতিয়াজ উল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/