ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দায়িত্বে ফিরছে ট্রাফিক পুলিশ

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম
আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
দায়িত্বে ফিরছে ট্রাফিক পুলিশ
দায়িত্বে ফেরা ট্রাফিক পুলিশদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর ঢাকা মহানগর এলাকাসহ দেশের সব এলাকার সড়কে ফিরেছে ট্রাফিক পুলিশ। গত এক সপ্তাহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্মবিরতি পালন করে পুলিশ।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে ট্রাফিক পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করে।

রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন মোড়, কাকরাইল, মালিবাগ, শান্তিবাগ, শাহবাগ, আগারগাঁও, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট ও মহাখালী ঘুরে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। 

কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদেরও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে কাজ করতে দেখা গেছে।

পুলিশের কর্মবিরতির সময় শিক্ষার্থীদের দক্ষতা না থাকলেও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলস পরিশ্রম করেছে। রাজধানীর বেশির ভাগ স্থানে এখনো দায়িত্ব পালন করছেন আনসার ও শিক্ষার্থীরা।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট-

সৈয়দপুর (নীলফামারী): নীলফামারীর সৈয়দপুরে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সোমবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে কাজে যোগদান করেছেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদ মাহাফুজার আলম সৈয়দপুর ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) বলেন, ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা আজ থেকে স্বাভাবিক নিয়মে ট্রাফিকের কার্যক্রম শুরু করেছি।

শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে তিনি ছাত্র, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

লক্ষ্মীপুর: কর্মবিরতির পর লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন সড়কে কাজে যোগ দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। সকাল থেকে উত্তর তেমুহানী, দক্ষিণ তেমুহানী ও ঝুমুর মোড়সহ শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা যায় তাদের। এ ছাড়া জেলার ৫টি উপজেলায় প্রত্যেকটি সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা ও যানজট নিরসনে কাজ করছেন তারা।

ঝিনাইদহ: সাত দিন পর সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে ঝিনাইদহে কাজ শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ। জেলা শহরের পায়রা চত্বর, পোস্ট অফিস মোড়, আরাপপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ শুরু করেন। এতে স্বস্তি নেমেছে জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে।

ট্রাফিফ বিভাগ জানায়, জেলার ছয় উপজেলার ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা কাজ শুরু করেছেন। এতে তাদের সহযোগিতা করছে শিক্ষার্থীসহ রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা।

এদিকে কাজে ফেরায় পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষার্থীরা। সকালে পোস্ট অফিস মোড়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সে সময় তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন শিক্ষার্থীরা।

গাজীপুর: প্রায় ছয় দিন পর গাজীপুরের সড়কে ফিরেছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নগরীর ভোগরা বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, গাজীপুরা, জয়দেবপুর রেলক্রসিংসহ বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকেই গাজীপুর মহানগরের কিছু সড়কে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন তারা।

নওগাঁ: নওগাঁ জেলার ১১ টি থানা, বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়ি ও সড়কে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। 

সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে  দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন তারা। 

সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের মুক্তির মোড়ে ট্রাফিকের দ্বায়িত্বপালন তদারকিতে গেলে ছাত্র জনতা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। দ্বায়িত্বে ফেরায় সকল পুলিশ সদস্যদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। 

এ সময় নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) গাজিউর রহমান, ফৌজিয়া হাবীব, নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল হক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার রাশিদুল হক বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নওগাঁ জেলার কোথাও পুলিশের সঙ্গে কারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। কোন থানা আক্রান্তের ঘটনা ঘটেনি। ফলে সকল ফোর্স ও কর্মকর্তা নিজ নিজ কর্মস্থলেই ছিলেন। পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হচ্ছে।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, নিরাপত্তা ও পুলিশের অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে বলেন পুলিশ সুপার।

শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সড়কে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বিভিন্ন স্থানে হামলার ভয়ে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকেন পুলিশ সদস্যরা। নতুন সরকার দায়িত্ব নিলে ধাপে ধাপে আবারও দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন তারা।

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

শেখ হাসিনার নামে সারা দেশে ১৬৬টি মামলা

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
শেখ হাসিনার নামে সারা দেশে ১৬৬টি মামলা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার কয়েক দিন পর থেকে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ১৬৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৭টিই হত্যা মামলা। এসব হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত, রাজধানীর বিভিন্ন থানা এবং ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে মামলাগুলো দায়ের করেন আন্দোলন চলাকালে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা। 

মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়েছে। 

রবিবারও শেখ হাসিনার নামে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি মামলা হয়েছে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি চলাকালে গুলিতে ঢাকা টাইমস পত্রিকার সাংবাদিক মেহেদী হাসান নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালতে মেহেদী হাসানের বাবা মোশাররফ হোসেন এই মামলার আবেদন করেন। এ মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাবিবুর রহমান, হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকার। 

এ ছাড়া গতকাল পদ্মা সেতু থেকে ‘ঠুস’ করে ফেলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও নদীতে চুবিয়ে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলা করেন নগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি সৌরভ প্রিয় পাল। আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

এসব মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ, ছাত্রলীগের নেতা তানভীর হাসান সৈকত, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান প্রমুখ। 

আদালত ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক দুই মন্ত্রীসহ কয়েকজনকে এই মামলায় আসামি করা হয়। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক ডিএমপির ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়। গত ৫ আগস্ট রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডে পুলিশের গুলিতে নিহত রিহানের বাবা গোলাম রাজ্জাক এ মামলার আবেদন করেন। 

এ ছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাবেক তিন আইজিপিসহ ৮৮ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আসামির তালিকায় রয়েছেন সাবেক তিন আইজিপি, সাবেক দুই ডিএমপি কমিশনার ও র‍্যাবের সাবেক দুই ডিজি, এসবি সাবেক প্রধান ও সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া প্রমুখ। আসামির তালিকায় আছেন ১১ জন ডিআইজি ও ১৪ জন এসপি। তা ছাড়া ১৬ জন এডিসি, ৬ জন সহকারী কমিশনার (এসি) ১৩ জন ওসি, ৯ জন পুলিশ পরিদর্শক, ১৩ জন এসআই, ১ জন এএসআই ও ৩ জন পুলিশ কনস্টেবলকে মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর মধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ৩৭টি, সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের বিরুদ্ধে ৭টি, ডিবিপ্রধান হারুনের বিরুদ্ধে ৩৮টি এবং সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিআইজিডির জরিপ: সংস্কার সম্পন্ন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চায় ৮১ শতাংশ মানুষ

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
বিআইজিডির জরিপ: সংস্কার সম্পন্ন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চায় ৮১ শতাংশ মানুষ
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) একটি জরিপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে ৮৪ শতাংশ মানুষ মতামত দিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কার এ সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এ অবস্থায় দেশের শতকরা ৮১ ভাগ মানুষ চাইছে সংস্কার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করুক।

অন্যদিকে ১৩ শতাংশ মানুষ মনে করে অতিদ্রুত নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া উচিত। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) একটি জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ‘পালস সার্ভে-২০২৪: জনগণের মতামত অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক জরিপটি গত ২২ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে বিআইজিডির উদ্যোগে ‘অভ্যুত্থানের চল্লিশ দিন: মানুষ কী ভাবছে?’ শীর্ষক সভায় ইনস্টিটিউটের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মির্জা এম হাসান জরিপের তথ্যগুলো তুলে ধরেন।

জরিপের ফলাফল তুলে ধরার পর প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা ও উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক আসিফ মোহাম্মদ শাহান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য মামুন আব্দুল্লাহিল ও ভূঁইয়া আসাদুজ্জামান, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীন, বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন।

ওই জরিপে উঠে আসে, ৩৮ শতাংশ মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার তিন বছর বা তার বেশি সময় থাকা উচিত; ৯ শতাংশ দুই বছর; ৩৫ শতাংশ মানুষ এক বছর বা তার বেশি সময় থাকা উচিত। জরিপে অংশ নেওয়া ৭১ শতাংশ মানুষ মনে করে রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ সঠিক দিকে যাচ্ছে; অর্থনীতি সঠিক দিকে যাচ্ছে মনে করে ৬০ শতাংশ মানুষ। ৪০ শতাংশ মানুষ দেশের প্রধান সমস্যা অর্থনৈতিক (মুদ্রাস্ফীতি/ব্যবসায়িক অস্থিতিশীলতা), ১৫ শতাংশ বন্যা, ১৩ শতাংশ রাজনৈতিক অস্থিরতা আর ৭ শতাংশ ল অ্যান্ড অর্ডারের অবনতিকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

বিআইজিডির জরিপের ফলাফল অনুযায়ী দেশের ৭২ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ মনে করে সাধারণ সময়ের তুলনায় আগস্ট মাসে অপরাধ বাড়েনি, ২৫ শতাংশ মনে করে সাধারণ সময়ের তুলনায় অপরাধ বেড়েছে; আগস্ট মাসে সাধারণ সময়ের তুলনায় সহিংসতা বাড়েনি মনে করে ৭৫ শতাংশ মানুষ, বিপরীতে ২৩ শতাংশ সহিংসতা বেড়েছে মনে করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে ৮৪ শতাংশ মানুষ মতামত দিয়েছে; বিপক্ষে মত দিয়েছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করাকে সমর্থন করে ৮১ শতাংশ মানুষ; সমর্থন করে না ১৪ শতাংশ মানুষ। 

আলোচনায় অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশন দলনিরপেক্ষ হতে হবে। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য আইন আছে, যেটা ২০২২ সালে করা। এর মাধ্যমে সরকার যাকে চায়, তারাই কমিশনার হন। তারা হন অনুগ্রহদুষ্ট অথবা পক্ষপাতদুষ্ট; এভাবে হয়ে আসছে। এরা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন। তিনি বলেন, ‘এখনো দাপ্তরিকভাবে কমিশন হয়নি, তবে আমাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় কিছু ভাবনা জানাচ্ছি। কমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে। এই কমিটি হবে ইনক্লুসিভ। এতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দল, তৃতীয় বৃহত্তম দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, তরুণ প্রতিনিধি, নারীদের প্রতিনিধি থাকতে পারে।’

বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, ‘এর আগেও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে সেটি রাজনৈতিক দলগুলো অনুসরণ করেনি। ফলে আমরা সংস্কার করছি। কিন্তু এটি যদি ফলাফল না দেয়, তাহলে লাভ নেই। তাই কমিশন গঠন হলে আমরা অনেকের মতামত নেব। এর মাধ্যমে সংস্কার সুপারিশকে আমরা প্রতিনিধিত্বমূলক করতে চেষ্টা করব।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেটি ১/১১-এর পরে বাস্তবায়ন হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। কাজেই সংস্কার বললেই হবে না, সেটি আলোর মুখ দেখতে হবে। আমরা পরিবর্তন চাচ্ছি, তবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে কি না, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। সংস্কারের পাশাপাশি যারা অন্যায় করেছেন, নির্বাচনি অপরাধ করেছেন, বিচার হতে হবে। অন্যায় করে পার পেয়ে গেলে হবে না।’

জরিপে দেশের ৬৪ জেলার ৪ হাজার ৭৭৩ জনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৬৩ জনের জরিপ করা হয়েছে, যা মোট নমুনার ৪৯ শতাংশ। এর মধ্যে নারী-পুরুষের অনুপাত ৪৩:৫৭। উত্তরদাতাদের ৬৭ শতাংশ গ্রামের এবং ৩৩ শতাংশ শহরের বাসিন্দা। বিআইজিডির পূর্বের চারটি ভিন্ন গবেষণা থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- এশিয়া ফাউন্ডেশন ও বিআইজিডি সার্ভে-২০২৪, ইয়ুথ সার্ভে-২০২১, মাদ্রাসা সার্ভে-২০২০ এবং ছাত্র পোল-২০২৪। এতে সমাজের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের নানা পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ইলিশ ও সার চোরাচালান প্রতিরোধের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম
ইলিশ ও সার চোরাচালান প্রতিরোধের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নাবিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

নৌপথে ইলিশ ও সার চোরাচালান প্রতিরোধে কোস্টগার্ডকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ডের সদর দপ্তরে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নাবিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, নিজস্ব চাহিদা বিবেচনায় সরকার এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি করছে না। তাছাড়া বিদ্যমান ডলার সংকটের মধ্যেও সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ সার আমদানির মাধ্যমে সারের জোগান অব্যাহত রেখেছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী দেশসমূহে ইলিশ ও সারের চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে। তাই কোস্টগার্ডের মূল দায়িত্বের অংশ হিসেবে সমুদ্র ও নৌপথে ইলিশ ও সারসহ বিভিন্ন পণ্যের চোরাচালান বন্ধ করতে হবে। 

তিরি আরও বলেন, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর মধ্যে নৈতিকতার ক্ষেত্রে স্খলন দেখা দিলেও কেবলমাত্র কোস্টগার্ড নৈতিকতা বিচ্যুত হয়নি এবং অর্পিত দায়িত্বের ক্ষেত্রে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। সেজন্য তাদেরকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
 
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী প্রমুখ।

আল-আমিন/অমিয়/

মামলার তদন্ত সাপেক্ষে আসামি গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
মামলার তদন্ত সাপেক্ষে আসামি গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

মামলার তদন্ত সাপেক্ষে আসামি ধরা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। ঢাকায় পুলিশ হত্যা, থানায় অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলা হবে। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ক্রিমিনাল ইভেন্ট কখনো তামাদি হয় না। পুলিশ হত্যা এবং থানার লুটপাটের ঘটনায়ও মামলা হবে।’ গণহারে মামলা ও এজাহারে সাংবাদিকদের নাম দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এজাহারে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার করতে হবে বিষয়টা এ রকম না। সামষ্টিক তদন্ত করে তারপর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে সব মামলায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশের ১৭৭টি যানবাহন ও অনেক স্থাপনা ক্ষতি হয়েছে। সেসব ঠিক করার কাজ চলছে। দুই-এক সপ্তাহের ভেতরে সব থানা স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবে। ট্রাফিকব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ এখন গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছে। ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হবে। এ ছাড়া ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ আরও সক্রিয় হবে। পুলিশের টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’ 

পুলিশের মনোবল চাঙ্গা করতে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দাবি নিয়ে লোকজন রাস্তায় নেমে অবরোধ করে যানজট সৃষ্টি করছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা প্রধান সড়কে উঠে যাচ্ছে। পুলিশ এসব নিয়ে কাজ করছে। রাস্তা ও ফুটপাত হকারমুক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।’

ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ডিএমপির পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক এমপি সাদেক খান ও ফারুকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম
সাবেক এমপি সাদেক খান ও ফারুকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান
সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান ও গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। ছবি: খবরের কাগজ

অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান ও পাবনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই ধরনের অভিযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মুনাজ আহমেদ নুরের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের নিয়মিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের দেওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে কমিশন এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবরের কাগজকে জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম। 

দুদকের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, সংসদ সদস্য থাকার সময় সাদেক খান ক্ষমতার অপব্যবহার ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি অবৈধ উপায়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, সাদেক খান মুরগি মার্কেট, সাদেক খান শুঁটকি মার্কেট, সাদেক খান ইট মার্কেট, সাদেক খান বালি মার্কেট, সাদেক খান বস্তি ও পেট্রলপাম্পের মালিক হয়েছেন। মোহাম্মদপুর এলাকায় হিন্দু সম্পত্তি দখল করে তিনি এসব স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। তার দাখিল করা নির্বাচনি হলফনামায় নিজ নামে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকার অকৃষি জমি ও যৌথ নামে ১ কোটি ৩১ লাখ ৫২ হাজার টাকার জমি দেখিয়েছেন। তিনি ৫০ শতাংশ অংশীদার, ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকার অ্যাপার্টমেন্ট, বাড়ি, ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার পরিবহন ও অন্যান্য সম্পদ দেখিয়েছেন। স্ত্রীর নামে ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার গাড়ি, ১ কোটি ১২ লাখ ৩ হাজার টাকা মূল্যের জমি ও অন্যান্য সম্পদ দেখিয়েছেন। হলফনামায় মোট ৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং জমিসহ দুটি একক বাড়ি ও একটি যৌথ বাড়ি, যার মূল্য সাড়ে ৫ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। তবে হলফনামার বাইরেও সাদেক খান, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য উঠেছে দুদকের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।

পাবনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় মোট সম্পদ দেখিয়েছিলেন ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সম্পদ দেখিয়েছেন ৭ কোটি ৫৬ লাখ ১২ হাজার ৫৬৮ টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্থিতি ৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮৩ টাকা। শেয়ার কেনা ৪ লাখ ৯০ টাকার। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ৩ কোটি টাকা। বাস-ট্রাক ও মোটরগাড়ি কেনা ৭৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৫ টাকা। হলফনামার বাইরে দুদকের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে গোলাম ফারুক খন্দকারের নামে দেশ-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, অধ্যাপক মুনাজ দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৯ সালের মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন ডাটা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস প্রোগ্রাম বিভাগ চালু হওয়ার আগেই প্রতিষ্ঠানটি ডাটা ল্যাব স্থাপন করে। ওই ডাটা ল্যাব স্থাপনে ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৬৪ হাজার ২০২ টাকা খরচ দেখানো হয়। যদিও ল্যাব স্থাপনে মানা হয়নি কোনো নীতিমালা। নিয়মের তোয়াক্কা না করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে ডাটা সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প সঠিকভাবে প্রাক-মূল্যায়ন না করে জেভি অব বিএমআইটি সলিউশনস লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেওয়ার জন্য আই থিসিক্সটি বাংলাদেশ লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়, যা বিধিবহির্ভূত।