ঢাকা ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫
English

টিআইবির বিবৃতি বিএফআইইউ ও দুদককে ঢেলে সাজানোর আহ্বান

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৩ পিএম
আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
বিএফআইইউ ও দুদককে ঢেলে সাজানোর আহ্বান

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ও তার স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরীর নামে যুক্তরাজ্যে বিপুল পরিমাণ অঘোষিত সম্পদের তথ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিনেও সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিষয়টি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে নেতৃত্বের পর্যায়ে দলীয়করণ ও অকার্যকরতার নজির হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ‘হলফনামায় প্রার্থী পরিচিতি’ শীর্ষক টিআইবির প্রতিবেদন ও ‘নো ইউর ক্যান্ডিডেট’ ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য এবং পরবর্তীতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ফলে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর যুক্তরাজ্যে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ ও চলমান ব্যবসা সম্পর্কে দেশবাসীর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত হয়েছে। সব তথ্য-প্রমাণ হাতে থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। সরকার পতনের পর ও বিএফআইইউ প্রধানের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে। যা ইতিবাচক বলে বিবেচিত হতে পারে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অর্থ পাচার ও অপ্রদর্শিত সম্পদ অর্জনের বিষয়টিকে প্রকারান্তরে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। আশঙ্কার ব্যাপার হলো দেশের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোকে দলীয় ব্যক্তিদের নিয়োগ, পদায়ন ও অনৈতিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে করায়ত্ত করে দুর্নীতি করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে যে, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিদেশে বিপুল অঘোষিত সম্পদ অর্জনের ঘটনা ‘হিমশৈলের চূড়ামাত্র’। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে প্রত্যাশিত নতুন বাংলাদেশে রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল পরিবর্তনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে এ সকল প্রতিষ্ঠানকে আপাদমস্তক ঢেলে সাজাতে হবে। অন্যথায় দুর্নীতিমুক্ত, সুশাসিত, গণতান্ত্রিক ও জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।’

রাজধানীতে বর্জ্য অপসারণে ২০২৬৭ পরিচ্ছন্নতাকর্মী

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
রাজধানীতে বর্জ্য অপসারণে ২০২৬৭ পরিচ্ছন্নতাকর্মী
রাজধানীতে কোরবানির পশুরহাটের বর্জ্য অপসারণ চলছে।ছবি :ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ

রাজধানীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এজন্য ২০ হাজার ২৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত রয়েছে।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দুই সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

দ্রুত ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বর্জ্য অপসারণে হটলাইন খোলা থাকবে এবং এজন্য প্রায় ১৩ লাখ ৯০ হাজার প্লাস্টিক, পলিব্যাগ ও বায়ো-ডিগ্রেডেবল ব্যাগ সরবরাহ করেছে দুই সিটি কর্তৃপক্ষ।

সিটি কর্পোরেশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঈদের দিন বিকেল ৩টায় বর্জ্য অপসারণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন দুই সিটির প্রশাসক।

কোরবানির ঈদে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে প্রায় সাত লাখ পশু কোরবানি হতে পারে। এসব পশু থেকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টন বর্জ্য হতে পারে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোরবানির পশুরহাটসমূহ এবং কোরবানি করা পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াগুলো সরেজমিনে তদারকির লক্ষ্যে ডিএসসিসির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি তদারকি পরিষদ গঠন করা হয়েছে। ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিবহণ বিভাগ ও যান্ত্রিক বিভাগের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

তিনি জানান, কোরবানির বর্জ্য ও সাধারণ বর্জ্য অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ২০৭টি ডাম্পট্রাক, ২০০টি মিনিট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কনটেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডার, ৫টি টায়ার ডোজার, ৯টি পানির গাড়ি, দুটি বুলডোজার, চারটি এক্সেভেটর, তিনটি গাড়িবাহী এয়ার কম্প্রেসার, দুটি ফর্ক লিফ্ট, তিনটি স্কিড লোডারসহ বিভিন্ন যানবাহন ও যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত হাতগাড়ি, বেলচা ও টুকরিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামাল ওয়ার্ড পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।

প্রশাসক জানান, এই সিটির ৩০ হাজার টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব জনবল ৫ হাজার ৯৫৩ জন, ৭৫টি ওয়ার্ডে নিয়োজিত প্রাথমিক বর্জ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানের ৪ হাজার ৭০০ জন এবং পশুর হাটের জন্য ১ হাজার ৮০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সর্বমোট প্রায় ১০ হাজার ২৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত থাকবে। পশুর হাটের বর্জ্য ও কোরবানি করা পশুর বর্জ্য অপসারণ এবং রাস্তা ধোয়ার জন্য ২২২ গ্যালন জীবাণুনাশক (স্যাভলন) ও ৪০ টন ব্লিচিং পাউডার বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী আরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে কোরবানিদাতাদের মধ্যে বিনামূল্যে ১ লাখ ৪০ হাজার বায়ো-ডিগ্রেডেবল ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। কোরবানির পশু বর্জ্য অপসারণের তথ্য জানতে ও জানাতে হটলাইন নম্বর চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। নম্বরগুলো হলো- ০১৭০৯-৯০০৮৮৮, ০২২২ ৩৩৮ ৬০১৪।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, কুরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং, প্রতিটি মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে নামাজের পরে ও জুমা’র খুতবার সময় কোরবানি পশু জবাই ও বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে মুসল্লিদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে এবার ঈদে প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হবে। এসব বর্জ্য দ্রুততার সঙ্গে অপসারণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১০ হাজার কর্মী তিন দিনব্যাপী নিয়োজিত থাকবে।

তিনি জানান, এবার ঈদে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে ২২৪টি ডাম্পট্রাক, ৩৮১টি পিকাপ, ২৪টি পে-লোডারসহ অন্যান্য যান-যন্ত্রপাতি সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।

বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ১২ লাখ ৫০ হাজার পলিব্যাগ, আড়াই হাজার বস্তা ব্লিচিং, চার হাজার ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ এজাজ জানান, আমিন বাজার ল্যান্ডফিলে কোরবানির বর্জ্য ডাম্পিংয়ের জন্য আলাদা প্লাটফর্ম রেডি রাখা হয়েছে এবং পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দুটি পরিখা খনন করা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।

তিনি জানান, প্রথমে কোরবানির বর্জ্য সংগ্রহ করে এসটিএসে আনা হবে এবং এসটিএস থেকে বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশনে (আমিন বাজার ল্যান্ডফিল) ডাম্প করা হবে।

ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানান, কোরবানির পশুর বর্জ্য তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ এবং কোরবানির পশুরহাটগুলো দ্রুত পরিষ্কারের লক্ষ্যে ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের পরবর্তী দুই দিন নিরবচ্ছিন্নভাবে বর্জ্য অপসারণের জন্য বর্জ্যবাহী ড্রাম্পট্রাক বা ট্রাক, ভারী যান-যন্ত্রপাতি, পানির গাড়ি, বেসরকারি এবং ভাড়ার পিকআপ নিয়োজিত থাকবে।

কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণে প্লট-২৩-২৬, সড়ক-৪৬, গুলশান-২, নগর ভবনে অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর : +৮৮০২৫৫০৫২০৮৪, ১৬১০৬। সূত্র: বাসস

অমিয়/

চট্টগ্রামে ঈদের প্রধান জামাতে ত্যাগ ও মহিমার বন্ধন

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ১০:৫০ এএম
চট্টগ্রামে ঈদের প্রধান জামাতে ত্যাগ ও মহিমার বন্ধন
জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় নগরের ওয়াসা এলাকায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৭ জুন) সকালে কোরবানির ত্যাগ ও মহিমার বন্ধনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে কোলাকুলি করেন সবাই।

জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।  

প্রধান জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব সৈয়দ আলাউদ্দিন আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরী। 

দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন এই মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ আহমদুল হক। 

জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ঈদের জামাতের মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও সবার সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।

মোনাজাত শেষে বুকে বুক মিলিয়ে হৃদয়ের উষ্ণতায় প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হন সবাই। মুসল্লিরা পরস্পর কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন।

সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন স্থানে আরও ৯টি ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়। ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় এসব মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এগুলো হলো- লালদীঘির পাড় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং সাগরিকা এলাকার মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ। 

এছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়।

জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নামাজ আদায় করেন।

নামাজ শেষে তিনি বলেন, পবিত্র কোরবানির ত্যাগ ও মহিমায় সকলে জীবন প্রতিষ্টিত হোক। এ কোরবানির উসিলায় সবার জীবনে নেমে আসুক সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি।

তিনি বলেন, বিকাল ৫টা থেকে সিটি করপোরেশনে পরিষ্কার অভিযান চালানো হবে। কেউ যেন যত্রতত্র পশুর বর্জ্য না ফেলেন। সবাই সুন্দর ও ক্লিন সিটির জন্য সহযোগিতা করবেন।

জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে ৪০ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। নিরাপত্তায় সিসিটিভি ও প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন।

নামাজে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

অমিয়/

দেশের মঙ্গলে সবার দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ১০:০২ এএম
দেশের মঙ্গলে সবার দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে দেশের মঙ্গলে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

শনিবার (৭ জুন) হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করেন তিনি। 

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ নামাজ আদায় করেন।

খুতবার পর মোনাজাত শেষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

পরে তিন উপদেষ্টার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। 

এরপর তিনি বলেন, ‘সবাইকে আজকে একসঙ্গে ঈদের জামাতে পেলাম। সবাইকে ঈদ মোবারক জানালাম। সবাই এ পবিত্র দিনে দেশের মঙ্গলের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।’

জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শেষ হয় সকাল ৭টা ৪২ মিনিটে।

অমিয়/

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ০৮:২৪ এএম
আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫, ০৯:০৮ এএম
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৭ জুন) হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শেষ হয় সকাল ৭টা ৪২ মিনিটে।

এতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের মানুষ নামাজ আদায় করেন।

নামাজ শেষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান প্রধান উপদেষ্টা।

এই জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক।

ঈদ মানেই আনন্দ। এ আনন্দ ব্যক্তিকেন্দ্রিক না হয়ে সর্বজনীন করার বার্তা দিয়েছেন মহান সৃষ্টিকর্তা। আর ঈদুল আজহা মানেই ত্যাগের উৎসর্গ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানি করে তার মনের পরিশুদ্ধিতা অর্জন করবেন।

অমিয়/

বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ০৮:১২ এএম
বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ঈদের প্রথম জামাতে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। ছবি: ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৭ জুন) সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সকাল ৬টা থেকেই বায়তুল মোকাররমে ঢল নামে মুসল্লিদের। সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নেওয়ার জন্য দলবেঁধে বায়তুল মোকাররমে প্রবেশ করেন তারা।

মুসল্লিরা জানান, সকালের জামাতে নামাজ শেষে পশু কোরবানি করবেন তারা।

মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং অনুগ্রহ লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করে থাকেন।

প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় ৯টায়, চতুর্থ সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সবশেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
 
অমিয়/