ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

পাঁচ শীর্ষ ব্যবসায়ীর রাজস্ব ফাঁকি খতিয়ে দেখা হচ্ছে

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১০:০৭ এএম
আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
পাঁচ শীর্ষ ব্যবসায়ীর রাজস্ব ফাঁকি খতিয়ে দেখা হচ্ছে

দেশের শীর্ষ পাঁচ ব্যবসায়ী এবং তাদের সব প্রতিষ্ঠানের কর, ভ্যাট ও শুল্ক ফাঁকির তদন্তে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)।

তদন্তের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সঞ্চয় অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গতকাল এনবিআর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান এবং বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তাদের প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব পরিশোধসংক্রান্ত সব তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া গেলে ধারাবাহিকভাবে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আয়কর আইন, ২০২৩ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর আওতায় রাজস্ব উদ্ধারের পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সিআইসি বিভিন্ন সংবাদ পর্যালোচনা ও সুনির্দিষ্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য কর ফাঁকিবাজদের তালিকা করেছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী সন্দেহভাজন এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির বিশেষ অনুসন্ধান শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ পাঁচ ব্যবসায়ী ও তাদের প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকির তদন্ত করা হবে।’

এর আগে গত বুধবার এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান সিআইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে এই পাঁচটি শিল্পগোষ্ঠীর গত কয়েক বছরের আয়কর, ভ্যাট, কাস্টমস-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে কর ফাঁকির তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া এসব গোষ্ঠীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের আমদানি-রপ্তানি পর্যালোচনা করতেও বলা হয়েছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রীসহ অনেকের ব্যাংক হিসাব জব্দ ও তলব করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি ও তাদের পরিবার এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকির তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

এরই মধ্যে এনবিআরে নামে-বেনামে ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান এবং বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, রাজস্ব ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তারা আমলে এনে বিস্তারিত তদন্ত করছেন। 

ওরিয়ন গ্রুপের ওবায়দুল করিমের নামে এনবিআরে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন ওবায়দুল করিম। গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী (মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) ফ্লাইওভার নির্মাণে ওরিয়ন গ্রুপ বিনিয়োগ দেখিয়েছে ১০০ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্পের ব্যাংক হিসাবে মাত্র ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯০ টাকা দেখানো হয়েছে। ১০০ কোটি টাকার বাকি অর্থ বিভিন্ন খাতে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে খরচ দেখানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ওরিয়নের চেয়ারম্যান আমদানি-রপ্তানিতে ভুয়া তথ্য দেখিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। 

নাসা গ্রুপের নজরুল ইসলাম এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যানও ছিলেন। তার নামে এনবিআরে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, নজরুল ইসলাম পদ-পদবির ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে আমদানি-রপ্তানির আড়ালে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। ঋণ দেওয়া-নেওয়াসহ নানা ক্ষেত্রে করেছেন গুরুতর অনিয়ম। যার ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে বিভিন্ন ব্যাংকের কয়েকটি প্রতিবেদনেও। বিশেষ প্রভাব খাটিয়ে বহু জমি দখলে নিয়েছেন। নজরুল ইসলাম রাতারাতি আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে যান। তিনি প্রায় প্রতিবছরই গ্রাহকের (নাসা গ্রুপ) ঋণসীমার অতিরিক্ত বিতরণ করেছেন এবং আমদানির তুলনায় রপ্তানি কম দেখিয়েছেন। নাসা গ্রুপের চেক, পে-অর্ডার বা নগদ অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা অন্যান্য ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করা হয়েছে। এসব অর্থ কোথায় ও কী উদ্দেশ্যে গ্রহণ এবং কোন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। নাসা গ্রুপের নামে ব্যাংকিং সেক্টরের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, জালিয়াতি, অর্থ পাচারসংক্রান্তসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। 

এনবিআরের অভিযোগে বলা হয়েছে, সামিটের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সুবিধা নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। নামমাত্র রাজস্ব পরিশোধ করেছেন। প্রভাব খাটিয়ে এনবিআর থেকে তার এবং তার প্রতিষ্ঠানের রাজস্বসংক্রান্ত ফাইল খতিয়ে দেখা স্থগিত করে রেখেছেন। স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড ১৯৯৭ সালে উপাদনে আসে। ২০০১ সালে সামিটের তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৩৩ মেগাওয়াট। বিগত সরকার এবারে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিপিডিবির সঙ্গে একের পর এক বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তিতে আবদ্ধ হতে থাকে কোম্পানিটি। প্রথমে কুইক রেন্টাল, পরে আইপিপি স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে থাকে সামিট পাওয়ার। বিশেষ করে গত এক দশকে বেসরকারি খাত থেকে বিপিডিবির বিদ্যুৎ কেনায় সামিট পাওয়ারই প্রাধান্য পেয়েছে। নিয়মবহির্ভূত সুবিধা, ব্যাংকঋণ এবং ভর্তুকি নেওয়া ছিল প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত বিষয়। সিঙ্গাপুরে ব্যবসা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।

এনবিআরে জমা পড়া আবেদনপত্রে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ আছে। সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ছাপা হয়। তার ভিত্তিতেই এনবিআর থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার কোটি টাকা লোপাট, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচারের অভিযোগও করা হয়েছে। 

এনবিআরে জমা হওয়া আবেদনপত্রে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলমকে ভূমিদস্যু হিসেবে উল্লেখ করে ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। শাহ আলম দেশের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংক থেকে নামমাত্র জামানত রেখে নেওয়া ঋণের বেশির ভাগ অর্থ দুবাই, সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, লন্ডন, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন। ১৯৮৮-৮৯ সালের দিকে শাহ আলম জোয়ার সাহারা মৌজায় প্লট আকারে জমি বেচাকেনা শুরু করেন। এসব জমি জোর করে দখলে নেন বলেও অভিযোগ আছে। এ ছাড়া শাহ আলম ভয়ভীতি দেখিয়ে পিংক সিটি আবাসন প্রকল্প, ভাইয়া গ্রুপের হাউজিং প্রকল্প, মোহাম্মদীয়া হাউজিং, রিলায়েন্স হাউজিং, পারটেক্স হাউজিংসহ ১৫-২০টি হাউজিং কোম্পানির জায়গা দখল করে নিয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। বহু মানুষের টাকা মেরে দিয়ে তাদের পথে বসিয়েছেন। তিনি আমদানি-রপ্তানিতে জাল কাগজপত্র দেখিয়ে হাজার কোটি টাকা ফাঁকি দিয়ে অর্থ পাচার করেছেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শনিবার

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শনিবার
ছবি: বাসস

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি)।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

কমিশনের সদস্য সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজ, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান বৈঠকে অংশ নেবেন।

এই কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস। কমিশন নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের কার্যক্রমসহ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপের সুপারিশ করবে।

এই কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারিত হবে বলেও জানানো হয়েছে।

সূত্র: ইউএনবি

সিফাত/

অপারেশন ডেভিল হান্ট: সারা দেশে গ্রেপ্তার ১৪৫৭

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
অপারেশন ডেভিল হান্ট: সারা দেশে গ্রেপ্তার ১৪৫৭
প্রতীকী ছবি

অপারেশন ডেভিল হান্টে ২৪ ঘণ্টায় ৫০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টের ৯৪৮ জনসহ মোট ১ হাজার ৪৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় একটি একনলা বন্দুক, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি কার্তুজ, ১০টি রামদা, একটি চাইনিজ ছুরি, একটি দেশীয় তৈরি কাঠের বাটযুক্ত ছুরি, দুইটি চাইনিজ চাপাতি, একটি চাইনিজ কুড়াল, তিনটি কাঠের বাটযুক্ত দা, চারটি ধামা ও দেশীয় তৈরি কাঠের বাটযুক্ত কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে।

সুমন/ 


 
 
 

 

ড. ইউনূসকে ডি.লিট ডিগ্রি দেবে চবি

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম
ড. ইউনূসকে ডি.লিট ডিগ্রি দেবে চবি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি.লিট) ডিগ্রি দেওয়া হবে। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপাচার্য বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে। অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি. লিট. সম্মাননার মধ্য দিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।’ 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার বলেন, ‘‘আমি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যমুনায় সাক্ষাৎ করেছি। দুইজন সিন্ডিকেট সদস্য এবং দুইজন উপ-উপাচার্য আমার সঙ্গে ছিলেন। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে কিছুই চাইনি। আমরা সেখানে গিয়ে শুধু একটা কথাই বলেছি তা হলো, ‘আপনাকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসে নিয়ে যেতে চাই এবং সেখানে একটি সমাবর্তনের মাধ্যমে আপনাকে ডি. লিট সম্মাননা দিতে চাই।’’

তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কথা শুনে খুশি হয়েছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ওনার একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। তিনি আমাদের কথায় রাজি হয়েছেন। আমরা দুই ধরনের সমাবর্তনের কথা উনাকে জানিয়েছিলাম। একটি প্রধান উপদেষ্টাকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে। আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে সমাবর্তন হয় সেটা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে সমাবর্তনটি হয়, সেটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘তিনি রাজি হয়েছেন, আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। এ বিষয়ে বেশ কিছু কমিটিও তৈরি করা হয়েছে।’ 

সুমন/

যেমন থাকবে শনিবারের আবহাওয়া

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
যেমন থাকবে শনিবারের আবহাওয়া
ছবি: খবরের কাগজ

সারা দেশে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ ছাড়া শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, বর্ধিত ৫ দিনের পরে সারা দেশে তাপমাত্রা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

সুমন/

শেখ হাসিনার বিচার না করলে মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না: ড. ইউনূস

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
শেখ হাসিনার বিচার না করলে মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না: ড. ইউনূস
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

‘ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিচার করতে না পারলে মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।

ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের জন্য দুবাই সফরে থাকা প্রধান উপদেষ্টা গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শাস্তি এড়ানোর সুযোগ দেওয় হবে না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তাদের আইনের মুখোমুখি করা হবে।’

শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘তার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অনেক প্রমাণ আছে। এ ছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেখানেও তার বিভিন্ন অপরাধের তথ্য রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যা করেছেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটি প্রমাণ। শেখ হাসিনা ও তার আমলের সব অপরাধের তথ্য নথিভুক্ত করেছে জাতিসংঘ।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। আর এটা না করলে বাংলাদেশের জনগণ আমাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) ক্ষমা করবে না। ইতোমধ্যে আমরা আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এটি অব্যাহত থাকবে। তাকে (শেখ হাসিনা) আমরা আইনের আওতায় আনব। আর এটা হতেই হবে।’

সিফাত/