ঢাকা ২০ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

টুকু-পলক-জয় ফের রিমান্ডে

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১২:৪১ এএম
টুকু-পলক-জয় ফের রিমান্ডে
ছবি: সংগৃহীত

সদ্য বিলুপ্ত সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়সহ ছয়জনের ফের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

রবিবার (২৫ আগস্ট) তাদের আরও ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া অন্যরা হলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানম এই আদেশ দেন।

রাজধানীর লালবাগ থানা এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার তাদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আদেশ দেন আদালত।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৫ আগস্ট শামসুল হক, জুনাইদ আহমেদ পলক ও তানভীর হাসান সৈকতের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে পল্টনে এক রিকশাচালককে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আদালত ওই আদেশ দেন। আর গত ২১ আগস্ট এ মামলায় আহমদ হোসেন ও মোহাম্মদ সোহায়েলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২০ আগস্ট আরিফ খান জয়কে মোহাম্মদপুর থানা এলাকার মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীতে ট্রাকচালক সুজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাদেক খানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রবিবার তাকে আদালতে হাজির করে এই মামলায় রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। আবেদনে সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর আগে গত শনিবার মোহাম্মদপুরে ট্রাকচালক সুজন (২৫) হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সংস্কারের জন্য অনন্তকাল সময় দেওয়া যায় না: মতিউর রহমান চৌধুরী

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
সংস্কারের জন্য অনন্তকাল সময় দেওয়া যায় না: মতিউর রহমান চৌধুরী
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রতিযোগীদের সঙ্গে মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক  মতিউর রহমান চৌধুরী ও  ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

সংস্কারের জন্য অনন্তকাল সময় দেওয়া যায় না, তাই নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর এফডিসিতে গণতন্ত্র সুরক্ষায় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ছায়া সংসদে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। 

মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, সংবিধান পুনঃলিখন নয়, সংস্কার করা যেতে পারে। পুনঃলিখন করলে বিপদ হবে। ছাত্র-জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। তবে দেশে সেনা শাসন আসার কোনো শঙ্কা নেই। এখনকার যুগে সেনাশাসন সম্ভব নয়। সেনাশাসন হলে উন্নয়ন সহযোগিরা সহায়তা বন্ধ করে দেবে। আমেরিকা, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সেনা শাসনের বিপক্ষে। তবে বিপ্লব ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে। আর বাংলাদেশ ব্যর্থ হলে আমরা অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হব।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ইউনুসকে পাওয়ায় আমরা গর্বিত। তিনি একজন বিশ্বনন্দিত ভাল লোক। তবে প্রশাসন পরিচালনা করার জন্য আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। সংস্কারের জন্য অনন্তকাল সময় দেওয়া যায় না। নির্বাচন বিলম্ব হলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে। তাই নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই।

মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক বলেন, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার বিলম্ব হলে ফ্যাসিস্টরা আবার ফিরে আসার ঝুঁকি রয়েছে। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রাপ্তিতেও সংশয় রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে এবং স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে তা সম্ভব হয়েছে। 

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সীমাহীন অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম, হামলা-মামলা, গুম-খুন করার চরম পরিণতিতে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মুখে এক কাপড়ে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে পতিত সরকারের প্রধান সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। বিগত সরকারের শাসনামলে অন্যায়, দুর্নীতি, দুঃশাসন প্রতিরোধের অংশ হিসেবে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু করেছে বর্তমান সরকার। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন হওয়া উচিৎ তা নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমি মনে করি এক-দেড় বছরের আগে নির্বাচন হলে বিদ্যমান ব্যবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য একটা যৌক্তিক সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া উচিত। তা না হলে ছাত্র-জনতা যে ম্যান্ডেট দিয়ে বর্তমান সরকারকে দায়িত্ব প্রদান করেছে, সেই কাঙ্খিত লক্ষ্য সরকার অর্জন করতে পারবে না। তবে অবশ্যই যতদ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দূরত্ব বাড়লে সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবে। সকল রাজনৈতিক দলকে খেয়াল রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা হলে স্বৈরাচারের পতনের সুফল বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশ মুক্তি পেলেও আমাদের মুক্তির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। আমি আর ডামি নির্বাচন যারা করেছে, দিনের ভোট রাতে নিয়েছে, শতভাগ ভোট কাস্ট করেছে, মৃত মানুষের ভোট দিয়েছে, নাবালক শিশুদের দিয়ে ভোট দেওয়ানো হয়েছে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। যারা দুর্নীতির লক্ষ্যে গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করেছে, আয়নাঘর সৃষ্টি করেছে, গুম-খুন হত্যার রাজনীতি করেছে তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত মুক্তির আন্দোলন শেষ হবে না। জুলাই আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের ন্যায্য বিচার না করা পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলবে। তাই পতিত সরকারের আমলে যেসব রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ছাত্র-জনতা হত্যায় মদদ দিয়েছে সেই দলগুলোর ভবিষ্যতে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার থাকবে কি-না তা জনগণ বিচার করবে। বিএনপি জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেদের মধ্যে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ না থাকে তাহলে আবারও স্বৈরাচারের দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠতে পারে। তবে নির্বাচনের রোডম্যাপসহ দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার যে সংলাপ শুরু হয়েছে তার মধ্যদিয়ে হয়তো আগামী নির্বাচন কবে হবে সে জল্পনা কল্পনার কিছুটা আভাস পাওয়া যাবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘রাষ্ট্র সংস্কারের পর জাতীয় নির্বাচন গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের পরাজিত করে কবি নজরুল সরকারি কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে তার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে সাহসী, সততা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। 

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, অধ্যাপক শিরিনা বীথি, সাংবাদিক রাসেল আহমেদ, সাংবাদিক মো. হুমায়ুন কবীর ও সাংবাদিক আমেনা আক্তার হীরা। 

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়। 

অমিয়/

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (৫ অক্টোবর) এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসে সুন্দর স্থান দান করুন।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতি একজন বিশিষ্ট জনসেবক ও একজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদকে হারালো।

বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা চিকিৎসক ও জনসেবক হিসেবে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দীর্ঘ ও বহুল সম্মানিত কর্মজীবনের কথা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী দেশের একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক হিসেবে কল্যাণ ও সুস্বাস্থ্যের বার্তা ছড়িয়েছেন। এক সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) তার উপস্থাপনায় প্রচারিত ‘আপনার ডাক্তার’ অনুষ্ঠানটি লাখ লাখ দর্শকের প্রিয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। এ অনুষ্ঠানটি তাকে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তিনি একই স্তরের একনিষ্ঠতা নিয়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন। পাঁচ বারের সংসদ সদস্য হিসাবে তিনি ৯০-এর দশকে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সংসদে তার বক্তৃতা সব মতের রাজনীতিবিদদের কাছে প্রশংসিত হয়েছিল।’
 
প্রধান উপদেষ্টা আশা করেন- তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব এই ক্ষতি বহন করার শক্তি সঞ্চয় করতে পারবেন।

তিনি জনগণকে তার জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়ার এবং ‘জনগণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার’ আহ্বান জানান।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত তিনটা ১০ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে দুই মেয়ে এবং নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

অমিয়/

পল্লী উন্নয়ন একাডেমির ৪ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
পল্লী উন্নয়ন একাডেমির ৪ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড
পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়া

পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়ার (আরডিএ) চার সদস্যের পরিচালনা বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

এই পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালযয়ের কৃষি বনায়ন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদার।

গত ১ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আনিচুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পল্লী উন্নয়ন একাডেমি আইন, ১৯৯০ এর ৫(১) এর (থ) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পল্লী উন্নয়ন একাডেমির এই পরিচালনা বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

বগুড়া জেলার শেরপুরে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য বিশেষায়িত। এই স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কৃষি, উদ্যানপালন, ফুলের চাষ, পশুপালন, হাঁস-মুরগি পালন ইত্যাদি গবেষণা ফলাফল প্রদর্শন করে থাকে। 

অমিয়/

ডিবি কার্যালয়ে আয়নাঘর-ভাতের হোটেল থাকবে না: ডিবিপ্রধান

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
ডিবি কার্যালয়ে আয়নাঘর-ভাতের হোটেল থাকবে না: ডিবিপ্রধান
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক

ডিবি কার্যালয়ে আর কোনো আয়নাঘর বা ভাতের হোটেল থাকবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেসে’ তিনি এ কথা বলেন।

রেজাউল করিম মল্লিক, ‘ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা অফিসে আর কোনো আয়নাঘর থাকবে না। ডিবির কলঙ্কিত অধ্যায় শেষ করে সেটিকে পবিত্র করা হচ্ছে, যেখানে মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। এখানে কোনো নায়ক-নায়িকা বা সেলিব্রেটিদের সময় কাটানোর জায়গা হবে না। থাকবে না কোনো ভাতের হোটেল।’ 

তিনি বলেন, ‘আসামি যেই-ই হোক না কেনো সে ন্যায়বিচার পাবে। গ্রেপ্তার আসামিদেরও নির্যাতন করা হবে না। ডিবি অফিসের নাম শুনলে আর কেউ আতঙ্কিত হবে না। আমাদের শুধু অপরাধীরাই ভয় পাবে। আমি যতদিন ডিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করব ন্যায়নীতি, পেশাদারিত্ব ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব। যারা ভুক্তভোগী এবং অসহায় তাদের কথা শুনব। তাদেরকে কী রকম আইনগত সহযোগিতা দেওয়া যায় সেটি দেখব। ডিবিকে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। ডিবি অফিস হবে ভুক্তভোগীদের ভরসাস্থল।’

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ডিবি অফিসে কোনো রকম অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ডিবিতে চৌকস, দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিবিকে পুনর্গঠন করে ডিবির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে যা যা করণীয় সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশ্বস্ত করে বলতে পারি, সরকার আমাকে যতদিন রাখবেন ততদিন সার্বিকভাবে যে সব কাজ আইনানুগভাবে হওয়ার কথা আমি সেভাবেই করে যাব। সাধারণ মানুষ যেন সুবিচার পান, অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচতে পারেন সেটি নিশ্চিত করা হবে। এমনকি আমিও আইনের ঊর্ধ্বে নই। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ডিবির কোনো সদস্য যদি কোনো ধরনের অনৈতিক ও অপেশাদার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হন, তাদেরকেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।’

পুলিশ-সাংবাদিকদের সহযোদ্ধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারলে দেশে অন্যায়-অবিচার-দুর্নীতি অনেকাংশেই কমে যাবে। ডিবিকে জনগণের আস্থার জায়গা হিসেবে তৈরিতে আমি সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতা কামনা করছি।’

এদিকে সবাইকে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা দেশের মতো ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় এবং পূজা উৎসবে পুলিশের পাশাপাশি ডিবির টিম সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে।’

এ সময় নগরবাসীকেও সব আইন ও বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি। 

বক্তব্যের শুরুতে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। স্মরণ করেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আত্মদানকারী বীর শহিদদেরও।

গণঅভুত্থ্যানে শহিদ ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিহত ও আহত পুলিশ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি। 

রেজাউল করিম বলেন, ‘বিগত সময়ের উচ্চাভিলাষী ও অপেশাদার কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান এবং বিগত সরকারের পতনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়ে। এ ধরণের ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন পুলিশ বাহিনীকে আগে কখনো হতে হয়নি।’

‘মিট দ্য প্রেস’ এ ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার-দক্ষিণ) সৈয়দ হারুন অর রশীদ বিপিএমসহ সংশ্লিষ্ট উপপুলিশ কমিশনারা উপস্থিত ছিলেন।

খাজা/পপি/

সাবেক রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে বর্তমান রাষ্ট্রপতির শোক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৩ পিএম
সাবেক রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে বর্তমান রাষ্ট্রপতির শোক
সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শনিবার (৫ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এক শোকবার্তায় বলেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে ক্ষতি হলো তা অপূরণীয়।

ডা. বদরুদ্দোজার আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত সোয়া ৩টার দিকে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে জন্মগ্রহণ করেন চিকিৎসক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

পপি/অমিয়/