ঢাকা ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

স্বাস্থ্য খাতের স্থবিরতা নিরসনে ৭ দফা দাবি ড্যাবের

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
স্বাস্থ্য খাতের স্থবিরতা নিরসনে ৭ দফা দাবি ড্যাবের
স্বাস্থ্যখাতের স্থবিরতা নিরসনে ৭ দফা দাবি জানিয়ে প্রেস ক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। ছবি: খবরের কাগজ

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বেশ কিছুদিন ধরে চলা স্থবিরতা নিরসনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. রোবেদ আমিনের অপসারণসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

ন্যায্য দাবিগুলো মানা না হলে চিকিৎসক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামীতে আন্দোলন বিস্তৃত করা হবে বলেও হুঁশিয়ার দেন সংগঠনটির নেতারা।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে স্থবিরতা ও ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতাকারী পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসন এবং চিকিৎসক, কর্মকর্তাদের প্রতি বৈষম্য ও হয়রানির প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম। 

সংবাদ সম্মেলনে ডা. রোবেদ আমিনের পেশাগত অসংগতি ও দুর্নীতি তুলে ধরা হয়।

লিখিত বক্তব্য আবদুস সালাম বলেন, ‘চিকিৎসকরা এ দেশের সচেতন নাগরিক। এ দেশের ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসকদের আত্মত্যাগ, ৯০ এর গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের আত্মত্যাগ যেমন আন্দোলনকে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ দিয়েছিল তেমনি এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চিকিৎসক সমাজ ও মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। এতে ডা. সজীব সরকারসহ আটজন চিকিৎসক শহিদ হন।’

তিনি বলেন, ‘ড্যাবের চিকিৎসকসহ ভিন্নমত পোষণকারী সব চিকিৎসক কর্মকর্তা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের জুলুম, নির্যাতন, পদোন্নতি বঞ্চনা, বদলি হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় গত ১৬ বছর অবর্ণনীয় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। অনেকের চাকরিচ্যুত হয়েছেন, নির্যাতনের কারণে অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। তার পরও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ড্যাবের চিকিৎসকরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ড্যাব এই আন্দোলনের প্রতি নৈতিক সমর্থন দিয়ে এবং পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সারা দেশে আহত হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে চিকিৎসা, জরুরি অপারেশন ও পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে, যা এখনো চলমান রয়েছে।’

৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে ড্যাব শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানায় এবং স্বাস্থ্য খাতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। 

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু ফ্যাসিবাদের দোসর চিকিৎসকরা এখনো ঢাকা মেডিকেল, বিএসএমএমইউসহ সব স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে স্বপদে বহাল রয়েছে। আমরা চিকিৎসকরা আশা করেছিলাম, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ভঙ্গুর স্বাস্থ্য খাতকে পুনর্গঠন এবং দুর্নীতিবাজ চিকিৎসকদের অপসারণ এবং তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা চিকিৎসকরা আশা করেছিলাম, সৎ, যোগ্য, পরিশ্রমী ও বঞ্চিত চিকিৎসকদের যোগ্যতা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল, হাসপাতালের পরিচালক এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ পূরণ করে একটি আস্থাশীল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন। কিন্তু এক মাস পার হলেও তার কোনো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। বরং শান্তি মিছিলে অংশগ্রহণকারী, দুর্নীতিবাজ চিকিৎসকদের পদায়ন করার মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে।’

আবদুস সালাম আরও বলেন, ‘৩ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিরোধিতা করে ফ্যাসিবাদের দোসর চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারী বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক।’

স্বাস্থ্য খাতে স্থবিরতা ও সংকট নিরসনে ৭ দাবি হলো- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদের অযোগ্য দুর্নীতিবাজ ফ্যাসিবাদের দোসর ডা. রোবেদ আমীনসহ অন্য সুবিধাপ্রাপ্ত ও ফ্যাসিবাদের দোসর যাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ও অন্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে তাদের নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে হবে। 

আহত ছাত্র জনতাকে যারা চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেছে (বিএসএমএমইউ থেকে শুরু করে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান) তাদের তালিকা প্রণয়ন করে বিএমডিসিয়ের রেজিস্ট্রেশন বাতিল, শান্তি সমাবেশে যোগদানকারী ও ফ্যাসিবাদের দোসর সব চিকিৎসক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

অতি দ্রুত বৈষম্যের শিকার পদোন্নতিযোগ্য সব চিকিৎসক ও কর্মচারীকে ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি দিয়ে বৈষম্য দূর করতে হবে এবং বঞ্চিত, দক্ষ, যোগ্য কর্মকর্তাদের পদায়ন করে স্বাস্থ্য প্রশাসন ঢেলে সাজাতে হবে। 

বিগত দীর্ঘ ১৬ বছর সময়ে স্বাস্থ্য খাতে যত দুর্নীতি হয়েছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। 

মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইনস্টিটিউটগুলো, নার্সিং কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অতিদ্রুত স্বৈরাচারের দোসরদের সরিয়ে বৈষম্যের শিকার চিকিৎসকদের পদায়ন করতে হবে। 

প্রতিবাদকারী যেসব চিকিৎসকদের হয়রানিমূলক বদলি করা হয়েছে সেই আদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং ভবিষ্যতেও কোনোভাবেই হয়রানিমূলক বদলি করা যাবে না। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ও চিকিৎসাসেবার গুণগতমান উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেল কমিটি দ্রুত বাতিল করে চিকিৎসক সমাজের প্রতিনিধিত্ব রেখে কমিটি পুনঃগঠনের জোর দাবি জানানো হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, ‘যারা রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। মাথাব্যথা হলে তো মাথা কেটে ফেলা যায় না। রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে আমরা। তবে আমরা কলুষিত রাজনীতি কখনোই চাই না। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত। সেজন্য স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টার পদত্যাগ আমরা চাই না। যদি কেউ স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নেন আমরা তার বিরুদ্ধে। আমরা বিশ্বাস করি সরকার আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবেন এবং স্বাস্থ্য খাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিশ্চিত করবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. এম এ সেলিম, সহসভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসান, যুগ্ম মহাসচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. আবদুল কেনান, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. সাইফুদ্দিন ঝিন্টু, দপ্তর সম্পাদক ডা. এরফান আহমেদ সোহেল, ডা. নিউটন, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, ডা. জাভেদ হোসেন, এম এ কামাল, ডা. রন্জু, ফারুক, ডা. মাসুদ রানা, ডা. এস এম মাসুম বিল্লাহ, ডা. ফরিদ উদ্দিন, ডা. ওহীদুজ্জামান ইমন, ডা. সৌরভ, ডা. শামসুল, ডা. আতিক, ডা. এ এস এম রাকিবুল ইসলাম আকাশ প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩
প্রতীকী ছবি

প্রায় এক বছরের ব্যবধানে দেশে করোনাভাইরাসে আবারও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও তিনজন।

বুধবার (৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও তিনজন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনে। এদিকে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৩৯ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এ নিয়ে করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ জনে।

দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয়।

পপি/

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ধীরগতি রাস্তায় যাত্রী তোলার কারনে

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ধীরগতি রাস্তায় যাত্রী তোলার কারনে
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদযাত্রায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলার কারনে এই ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকেই মহাসড়কটি চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহগামী প্রায় ২৭ কিলোমিটার এলাকায় স্টপেজগুলোতে ধীরগতি দেখা দিয়েছে।

বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা বলছেন, যাত্রী উঠানোর জন্য বাসগুলো দীর্ঘ সময় এস্ স্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকে। এই কারণে যান চলাচলে ধীরগতি।

ময়মনসিংহগামী আলম এশিয়া বাসের চালক মমিনুল বলেন, চান্দনা চৌরাস্তা থেকে যাত্রী নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পরপরই প্রথমে সালনায় যানজটে আটকে যাই। এরপর পোড়াবাড়ি, রাজেন্দ্রপুর, হোতাপাড়া, বাঘেরবাজার, ভবানীপুর, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি, মাওনা পল্লীবিদ্যুৎ মোড়, রঙ্গিলা বাজার এলাকায় যে বাস স্টপেজগুলো রয়েছে তার সব জায়গাতেই ধীরগতি ছিল। দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন পরিবহনের বাস মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে। এ কারণেই পেছনের গাড়িগুলো আটকে যাচ্ছে। আর এতেই ভোগান্তি হচ্ছে অন্যদের।

আরেক চালক সোহাগ জানান, সারা বছর যে সব মিনিবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্বল্প দুরত্বে চলাচল করে তারা ঈদের সময় দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন করে থাকে। তারা যে যেভাবে পারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী তুলছে। আর এতেই মহাসড়কের যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়াও বাস স্টপেজগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে।

পলাশ/অমিয়/

ঈদযাত্রা অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ২ উপদেষ্টার ভিন্ন বক্তব্য

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ২ উপদেষ্টার ভিন্ন বক্তব্য
ছবি: খবরের কাগজ

এবারের ঈদুল আজহায় যাত্রীবাহী বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়নি।

একইদিন সকালে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ঈদযাত্রায় বেশ কয়েকটি বাস কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবারের ঈদে রাস্তাঘাটের অবস্থা বেশ ভালো। টিকিটে বাড়তি ভাড়া রাখা হচ্ছে এমন অভিযোগ কেউ করেননি। আমিও দেখলাম, কোনো কাউন্টারে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে না কেউ।

ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোনো অভিযোগ থাকলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বাস মালিক সমিতিকে জানানোর অনুরোধ জানান তিনি।

সড়কে যানজট পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখন বৃষ্টি-বাদলের সময়। এ সময় সড়কে কিছুটা যানজট হয়। এতে অনেক বাস ঢাকায় ফেরার পথে সাভার, আশুলিয়া এলাকায় জ্যামে পড়ছে। তাই অনেকে দীর্ঘ সময় কাউন্টারে এসে বসে থাকছেন। তবে যানজটের অজুহাতে কেউ পরিবহনের কৃত্রিম সংকট তৈরি যেন করতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে৷

তিনি জানান, সড়কপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তৎপর রয়েছে।

অন্যদিকে, সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে পরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ব্রিফিং করেন সড়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি এ সময় বলেন, ঈদযাত্রায় বেশ কয়েকটি পরিবহন কোম্পানি যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। আমরা প্রমাণ পেয়ে তাৎক্ষণিক যাত্রীদের সেই অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিয়েছি।

বৃহস্পতিবার সকালে লাল-সবুজ পরিবহনকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে৷ ঈদযাত্রায় বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ঢিলেঢালা কার্যক্রম নিয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক উপদেষ্টা বলেন- আমি নির্দেশনা দিয়েছি, আজ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কড়া নজরদারি করবেন। টিকিটে বাড়তি ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই।

জয়ন্ত সাহা/অমিয়/

টঙ্গীতে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৩৫

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
টঙ্গীতে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৩৫
ছবি: খবরের কাগজ

গাজীপুরের টঙ্গীতে দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়েছে চালকসহ অন্তত ৩৫ জন।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেরাগআলী এলাকায় বিআরটিএ লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিস ও ট্রাফিক পুলিশসূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে আসা সোনিয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা নবাব সরকার পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই বাসের চালক, নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। পরে দুই বাস চালককে গুরুতর অবস্থায় টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

টঙ্গী জোনের টিআই মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, দুটি বাসের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই বাসের চালকই গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পলাশ প্রধান/অমিয়/

চন্দ্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচলে ধীরগতি

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৫:১১ পিএম
চন্দ্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচলে ধীরগতি
ছবি: খবরের কাগজ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকার ঈদযাত্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচলে ধীরগতি রয়েছে। ঢাকা থেকে গাড়িগুলো বের হয়ে এখানে রাস্তায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষমান থাকায় এ ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পােহাতে হচ্ছে।

গাজীপুরে দুই হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত বিভিন্ন ধরনের শিল্পকারখানা রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ১৫৪টি পোশাককারখানা। এসব কারখানায় কাজ করেন কয়েক লাখ শ্রমিক। গতকাল বুধবার কয়েক ধাপে কারখানা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি ঘোষণা করায় ওই সব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে গাজীপুর ছাড়ছেন। 

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাজধানী ও গাজীপুর থেকে বের হওয়ার পথ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। 

গতকাল অধিকাংশ কারখানা এবং আজ বৃহস্পতিবার বাকি কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করায় মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ গতকালের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে।

ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকাতুল আলম বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

এ ছাড়াও যাত্রীদের নিরাপত্তা ও ছিনতাই রোধে পুলিশের আলাদা টিম কাজ করছে বলে তিনি জানান।

এদিকে কাঙ্খিত গাড়ি না পেয়ে খোলা ট্রাক, পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পানে ছুটছেন মানুষ।

পলাশ প্রধান/অমিয়/