ঢাকা ২২ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

রাখাইনে সংঘাত, বাংলাদেশের পথে রোহিঙ্গারা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পিএম
রাখাইনে সংঘাত, বাংলাদেশের পথে রোহিঙ্গারা
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আর্তনাত (ডানে), বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রোহিঙ্গাবাহী নৌকা (বামে)। ছবি: খবরের কাগজ

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী, আরাকান আর্মি এবং আরও একটি বিদ্রোহী সংগঠনের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। স্থলে আক্রমণের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ হারানো এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারে বিমান হামলাও চালাচ্ছে জান্তা। এ ঘটনার জেরে প্রাণ বাঁচাতে রাখাইনের মংডু থেকে আবারও বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে আসছে রোহিঙ্গারা।

জানা যায়, কৌশলে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ঢুকে পড়েছে হাজারের বেশি রোহিঙ্গা।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত থেকে থেকে রাখাইনে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাখাইনের মংডু টাউনশিপ এলাকায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মি ও আরও একটি সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনের মধ্যে সংঘাত চললেও সেটি বর্তমানে তীব্র হয়েছে। শনিবার থেকে মংডুর বিভিন্ন এলাকা থেকে থেমে থেমে মর্টারশেল, গ্রেনেড-বোমার বিস্ফোরণের শব্দ আসছে। রাখাইনে চলমান সংঘাতের মধ্যে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়লেও রোহিঙ্গাদের অনেকেই পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহে বাংলাদেশে ঢুকেছে প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গা। বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার চেষ্টায় রয়েছেন আরও প্রায় ৫০ হাজার।  ছয় মাস ধরে রাখাইন রাজ্যে সংঘাত চলছে। এখন সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে।

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর আরাফা বেগম খবরের কাগজকে বলেন, ‘মায়ানমারের রাখাইনে মর্টারশেল ও গ্রেনেড-বোমার বিস্ফোরণে এখানে ঘরবাড়ি কাঁপছে। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে মনে হয় ঘরের চালে বোমা এসে পড়ছে।’

রাখাইনের মংডু টাউনশিপের বিপরীতে (পশ্চিমে) চার কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদী পেরোলেই বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলা। টেকনাফের জনপ্রতিনিধিরা জানান, রাতের অন্ধকারে মংডু টাউনশিপের সুদাপাড়া, ফয়েজীপাড়া, সিকদারপাড়া ও নুরুল্লাপাড়া গ্রাম থেকে রোহিঙ্গারা নৌকা নিয়ে নাফ নদী অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছেন। বেশির ভাগ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকছেন জাদিমোরা, দমদমিয়া, কেরুনতলি, বরইতলি, নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ঘোলারচর, খুরেরমুখ, আলীর ডেইল, মহেষখালীয়াপাড়া, লম্বরী, তুলাতলি, রাজারছড়া, বাহারছড়া উপকূল দিয়ে। 

কেবল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতেই বাংলাদেশে ঢুকেছে চার শতাধিক রোহিঙ্গা। মংডুর উত্তরের প্যারাংপুরু ও দক্ষিণের ফাদংচা এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় রয়েছেন। রাখাইনের চলমান সংঘাতে সম্প্রতি তারা ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন।

টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিজিবি ও কোস্টগার্ডের চোখ ফাঁকি দিয়ে এরই মধ্যে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন। বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার জন্য রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছেন।’

দালালের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকছেন জানিয়ে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য নজির আহমদ বলেন, ‘গত কয়েক দিনে কেবল কেরনতলী সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি এসব রোহিঙ্গাকে পুনরায় মায়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছেন।’

শুক্রবার রাতে নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফের কেরনতলীর এক বাড়িতে আশ্রয় নেন ১৫ শিশু ও ৯ নারীসহ চারটি পরিবারের ৩০ জন রোহিঙ্গা। তাদের বাড়ি মংডু টাউনশিপের পাশের গ্রাম সুদাপাড়ায়। 

তাদের মধ্যে জাহেদা বেগম (৩৫) ও নুর জাহান (৪০) বলেন, ‘সাত-আট দিন ধরে মংডুতে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে উভয় পক্ষ শক্তিশালী গ্রেনেড-বোমা, মর্টারশেলের পাশাপাশি ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। যুদ্ধবিমান থেকেও বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তাতে অনেক মানুষ হতাহত হচ্ছেন।’

তারা বলেন, ‘যুদ্ধের মধ্যে অনেক রোহিঙ্গা বসতি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে তাই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে নৌকার অভাবে বাংলাদেশে ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে।’

এই রোহিঙ্গা দলের সাব্বির আহমদ বলেন, ‘নাফ নদী অতিক্রম করে টেকনাফে ঢুকতে তাদের (রোহিঙ্গাদের) কাছ থেকে মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন দালালরা।’

টেকনাফ বাসস্ট্যান্ডের শ্রমিক করিম উল্লাহ বলেন, ‘বাসস্টেশনে প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে মায়ানমার থেকে নতুন নতুন রোহিঙ্গা গাড়ি করে ক্যাম্পে চলে যাচ্ছেন।’

টেকনাফে আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মাইন উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ঢুকে পড়েছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা যেন ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে আশ্রয়শিবিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। অনুপ্রবেশের সময় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে নাফ নদী থেকে পুনরায় মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।’

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, ‘বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে নতুন করে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিচ্ছেন। তবে এ পর্যন্ত কত রোহিঙ্গা ঢুকেছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই।’

এর আগে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, নতুন করে মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আট হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ইউএই রেড ক্রিসেন্ট ও ইউএই এইডের

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ইউএই রেড ক্রিসেন্ট ও ইউএই এইডের
নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যাদুর্গতদের সহায়তা দিয়েছে ইউএই রেড ক্রিসেন্ট এবং ইউএই এইড। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ২০০-এরও বেশি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) রেড ক্রিসেন্ট এবং ইউএই এইড।

বন্যাদুর্গতদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে এই সময়োপযোগী উদ্যোগটি বাংলাদেশে অবস্থিত ইউএই দূতাবাসের অধীনস্ত ইউএই এইড অফিস থেকে সরাসরি সমন্বয় করা হয়। 

এ উদ্যোগের আওতায় প্রতিটি পরিবার ৫০ কেজি চাল, ১০ কেজি আলু, ৫ লিটার তেল, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি লবণ এবং প্রয়োজনীয় মসলার প্যাকেটসহ মোট ৭১ কেজি ওজনের ত্রাণ প্যাকেজ পেয়েছে। এই প্যাকেজটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাজানো হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ ইউএই রেড ক্রিসেন্ট ও ইউএই এইডের এই সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে দরকার কর্মপরিকল্পনা: পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০০ পিএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে দরকার কর্মপরিকল্পনা: পরিবেশ উপদেষ্টা
বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা দরকার বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা দরকার। ঢাকার জন্য একটি নগর দর্শন তৈরি করা জরুরি। শুধু মেগা প্রোজেক্ট করলেই হবে না, সবুজায়ন বাড়াতে হবে। উন্মুক্ত জায়গা, বসার স্থান, এবং তরুণদের খেলাধুলার সুযোগ থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর রাজউক অডিটরিয়ামে বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।

এবারের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’।

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ঢাকাকে সব মানুষের জন্য করতে হবে। উন্নত ও পরিবেশবান্ধব নগর গড়তে তরুণদের সম্পৃক্ত করা দরকার। তাদের সৃজনশীলতা নগরকে বাসযোগ্য করতে পারে। এজন্য রাজউকের কর্মকাণ্ডে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনায় বস্তিবাসী ও নদীভাঙা মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। 

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এবং অতিরিক্ত সচিব শাকিলা জেরিন আহমেদ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্মসচিব নায়লা আহমেদ।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষ্যে দুটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন।

অমিয়/

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫০ পিএম
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ
পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ ক্যাও সোয়ে মোয়ে। ছবি: বাসস

মায়ানমার থেকে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন। সাম্প্রতিক সময়ে সশস্ত্র সংঘাতের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যের নাগরিকদের বাংলাদেশে নতুন করে অনুপ্রবেশ ঘটছে। 

বাংলাদেশে নিযুক্ত মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ ক্যাও সোয়ে মোয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এর আগে রবিবার (৬ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় সশস্ত্র সংঘাত নিয়ন্ত্রণ এবং রাখাইন থেকে বাংলাদেশে বেসামরিক নাগরিক ও সশস্ত্র ব্যক্তিদের প্রবেশ ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে মায়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে দ্রুত, স্বেচ্ছায় এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

এর জবাবে মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত রাখাইন রাজ্যে দ্রুত শৃঙ্খলা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার সাথে সাথে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন শুরু করার আশ্বাস দেন।

উভয়পক্ষই দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য, শিপিং সংযোগ, জ্বালানি এবং কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনার কথা স্বীকার করেন।

বৈঠকে দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
 
রাষ্ট্রদূত নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র সচিবকে অভিনন্দন জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তার মেয়াদে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। 

পররাষ্ট্র সচিবও এই পদে তার নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান।

বাসস/অমিয়/

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৭ এএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২২ এএম
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর গ্রেপ্তার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক গ্রেপ্তারের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানান, সোমবার (৭ অক্টোবর) তাকে আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।

২০১৫ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পান নজিবুর রহমান৷ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নতুন মুখ্য সচিব করা হয়।

তিনি ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। কর্মজীবনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন।

সরকার পতনের আগে সাবেক এই আমলা ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ ব্যবস্থাপনায় গঠিত বোর্ড অব গভর্নসের চেয়ারম্যান ছিলেন।

অমিয়/

ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী আটক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৫ পিএম
ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী আটক
সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে আটক করেছে বিজিবি। ছবি : সংগৃহীত

অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে আটক করা হয় তাকে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিজিবি। বিজিবি জানায়, অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে আটক করা হয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এর আগে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নারায়ণ চন্দ্র। কিছুদিন পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছায়েদুল হকের মৃত্যু হলে তিনি ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

সালমান/