ঢাকা ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে: তাজুল ইসলাম

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে: তাজুল ইসলাম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবনের সামনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলছেন মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি : খবরের কাগজ

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। 

তিনি বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর অভিযোগের প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আইনগতভাবেই দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করব।’

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দায়িত্ব গ্রহণের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম ও বি এম সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

পৃথক ঘটনায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত ১৪ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় ১১টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভাব্য প্রধান অপরাধী দেশ থেকে পালিয়েছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যে আইনি প্রক্রিয়া, সেটা আমরা শুরু করব। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে ২০১৩ সালে। শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তার সময়ে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি যেহেতু বাংলাদেশের গণহত্যার প্রধান আসামি হবেন বলে আমরা মনে করছি বা অধিকাংশ মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে, সুতরাং এ প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে তাকে আইনগতভাবেই বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করব।’

অপর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে এভিডেন্স (তথ্য-প্রমাণ) সংগ্রহ করা। অপরাধটা গোটা বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের প্রায় সব জায়গায় সংঘটিত হয়েছে একই সঙ্গে। প্রতিটি জায়গায় একটি কমন ইনস্ট্রাকশন ছিল যে গুলি করে সব মেরে ফেলো। এ অপরাধের যে আলামতগুলো সংগ্রহ করা, সেগুলো কম্পাইল করা- এটা একটা চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আসামিরা এখনো সবাই পলাতক এবং প্রধান আসামিদের অনেকেই দেশ ত্যাগ করেছেন বা দেশত্যাগের চেষ্টায় আছেন। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসাটাও চ্যালেঞ্জ।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি হচ্ছে, যেহেতু এ ঘটনাগুলো খুবই তাজা, এই এভিডেন্সগুলো যারা অপরাধী আছেন, যারা আসামি হবেন এই মামলাগুলোতে, তারা কিন্তু এখনো বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় আছেন। অনেকে দায়িত্বেও আছেন। তারা এ আলামতগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করবেন। প্রথম প্রায়োরিটি হচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ড-গণহত্যার যে আলামত আছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এগুলো সংগ্রহ করে প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার হাতে নিয়ে আসা। যাতে ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে এই আলামতগুলো আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। ছাত্র-জনতাসহ ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন সব ধরনের আলামত ও তথ্য-প্রমাণ দ্রুততম সময়ে এই ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম কিংবা তদন্ত সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দেন।’ 

আরেক প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রে যখন গণহত্যার পর একটি স্বৈরশাসনের পতন হয়, ইতিহাসের পটপরিবর্তন হয়, তখন নির্যাতিত যেসব মানুষ, তারা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে যান। এই প্রতিশোধপরায়ণতার আগুন নেভানোর সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে উত্তম পন্থা হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রদান করা। যারা এই অপকর্ম ও অন্যায়গুলো করেছেন, যদি সঠিক বিচারের মাধ্যমে তাদের সাজা দেওয়া যায়, তাহলে মানুষ প্রতিশোধপ্রবণতা থেকে ফিরে আসে। বাংলাদেশের সমাজ যাতে বিভাজিত হয়ে না যায়, সে জন্য যারা ঠাণ্ডা মাথায় আমাদের নিরস্ত্র সন্তানদের হত্যা করেছেন, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এখন আমাদের প্রায়োরিটি হচ্ছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা। আমরা চাই এখানে ন্যায়পরায়ণ, সৎ ও সাহসী বিচারকদের নিয়োগ দেওয়া হোক। প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থায় যোগ্য মানুষেরা আসবেন এবং আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে এখানে সুষ্ঠু বিচার চাইব। এটা এমন একটা বিচার হবে, বিচারের পরে শহিদ পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, বাদীপক্ষসহ আসামিপক্ষও মনে করবে, তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা হয়েছে। এই আবহ নিশ্চিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমাদের চেষ্টা থাকবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় করে এ জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা।’ 

তদন্ত পর্যায়ে আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই অপরাধগুলোর মাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে তদন্তকালে আসামিদের গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন হবে। নিশ্চয়ই আমরা এই অপরাধীদের গ্রেপ্তার চাইব। আমাদের প্রথম চেষ্টা থাকবে, সম্ভাব্য অপরাধী বা আসামি যারা আছেন, তারা যাতে আদালতের জুরিসডিকশনের বাইরে চলে যেতে না পারেন, দেশত্যাগ না করতে পারেন, সেটা ঠেকানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করা। কে কত বড় পদে ছিলেন, আইন সেটা দেখবে না। আইনের চোখে সবাই সমান। যিনি অপরাধ করেছেন, অপরাধের গুরুত্ব হিসেবে আসামির সঙ্গে ডিল করা হবে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী হোক, আইজিপি হোক বা যত বড় ক্ষমতাধর মন্ত্রীই হোক, তারা যখন অপরাধের কাঠগড়ায় দাঁড়াবেন, আসামি হিসেবে দাঁড়াবেন, প্রত্যেকেই সমান আচরণ পাবেন। তাদের প্রতি কোনো জুলুমও করা হবে না, তাদের কোনো ছাড়ও দেওয়া হবে না।’

ট্রাইব্যুনালের আইন সংস্কারের প্রয়োজন আছে কি না- এমন প্রশ্নে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মাত্রই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমরা সরকারের সঙ্গে বসে এগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব।’

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য গত বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম। একই প্রজ্ঞাপনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুল ইসলামকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় প্রসিকিউটর, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিমকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায়, বি এম সুলতান মাহমুদকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় এবং আব্দুল্লাহ আল নোমানকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলা বিচারাধীন। গত ১৪ বছরে ৫৫টি মামলার রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এসব মামলায় ১৪৯ জনকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ৬ জনের। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা ৫ জন এবং একজন বিএনপির নেতা।

 

সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২০ পিএম
সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

দুর্গাপূজা উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। 

ড. ইউনূস বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।’

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ আমাদের সবার। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশ সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।’ দেশের সব নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।

নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ
ড. শেখ আব্দুর রশিদ

নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে আগামী দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন ড. শেখ আব্দুর রশিদ। 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদটি জনপ্রশাসনে সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পদ।

অবসরে থাকা ড. শেখ আব্দুর রশিদকে গত ১৭ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। অবসর থেকে চুক্তিতে প্রশাসনে ফিরে আসার দুই মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন তিনি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী ড. শেখ আব্দুর রশিদকে যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ১৪ অক্টোবর ২০২৪ অথবা যোগদানের তারিখ হতে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে এবং জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।’

প্রসঙ্গত, বর্তমানে মাহবুব হোসেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তিনি বাংলাদেশের ২৪তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। গত বছরের ১৩ অক্টোবর মাহবুব হোসেনের অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তখন অবসরে না পাঠিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তাকে আরও এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছিল। সেই হিসেবে আগামী ১৩ অক্টোবর তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কর্মদিবস হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবারই (১০ অক্টোবর) তার শেষ কর্মদিবস। এর আগেই নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিয়োগ দিল অন্তর্বর্তী সরকার।

গণপরিবহন খাতে যাত্রী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
গণপরিবহন খাতে যাত্রী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সব প্রতিষ্ঠানে যাত্রী প্রতিনিধি হিসেবে অংশীজন হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গণপরিবহনের আইন ও বিধি-বিধান তৈরি, ভাড়া নির্ধারণ, গণপরিবহনে যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চায় সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সড়ক পরিবহন, সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বৈঠকে সংগঠনের নেতারা স্মারকলিপি পেশ করে এই দাবি করেন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সড়ক পথে সব প্রকল্প, বাস ভাড়া নির্ধারণ ও সড়ক নিরাপত্তার নানা পদক্ষেপে বাসমালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক সংগঠন ও সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব সময়। এতে করে পরিবহন খাতে নির্লজ্জ দলীয়করণ, চাঁদাবাজি, ধান্ধাবাজি, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা চরম আকার ধারণ করেছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি ফোরামে যাত্রী সংগঠন তথা জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানাই।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এখন থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সব বৈষম্য দূর করা হবে। যাত্রী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে। তিনি মন্ত্রণালয়ের সংস্কার কার্যক্রমে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহযোগিতা কামনা করেন।’ 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতি উপদেষ্টা ও এফবিসিসিআই সাবেক পরিচালক আবদুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতিরসহ সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন ও প্রচার সম্পাদক মাহামুদুল হাসান রাসেল প্রমুখ।

শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে কোথায় আছেন, তা সরকার নিশ্চিত হতে পারেনি।’

‘শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করেছেন’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “আপনারা সবাই যেমন দেখেছেন (সোশ্যাল মিডিয়াতে), আমরাও দেখেছি, ‘যে তিনি সম্ভবত আজমানে আছেন।’ তবে আমরা দিল্লি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে খোঁজখবর নিয়েছি। কিন্তু কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চত করেনি।” 

শেখ হাসিনাকে অন্য দেশে পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চাপ দিয়েছিল কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা হোসেন বলেন, ‘এই প্রশ্নটি যুক্তরাষ্ট্রকে করাই ভালো।’

ভ্রমণ পাস নিয়ে অন্য দেশের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সদস্যদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সাম্প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভ্রমণ পাস শুধুমাত্র বাংলাদেশে ফিরে আসার জন্য, অন্য দেশে ভ্রমণের জন্য নয়। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বাংলাদেশে ফেরার জন্য বিশেষভাবে ভ্রমণ পাস ইস্যু করা হয়।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের ফেরত আনার প্রয়োজন হলে, আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে আনা হতে পারে।’

মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার মাঠে অস্থায়ী আদালত, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার মাঠে অস্থায়ী আদালত, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর বকশিবাজারে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার মাঠে ও ভবনে অস্থায়ী আদালতের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে কারা অধিদপ্তরে স্বারকলিপি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা একটি বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তাদের দাবি এই অস্থায়ী আদালতের কারণে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা হয়। তারা মাঠে খেলাধুলা করতে পারে না। বিষয়টি পুলিশ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার জানালেও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। 

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে ঢাকার সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের কাছে আদালত অন্যত্র স্থান্তান্তরের জন্য একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন। তারা স্মারকলিপিতে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পরে তারা সেখান থেকে শান্তিপূর্ণভাবে চলে যান। 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চকবাজার থানার ওসি মো. রেজাউল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা কারা মহাপরিদর্শকে স্বারকলিপি দিয়ে চলে যায়। 

আল-আমীন/এমএ/