ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান গণহত্যার বিচারে শেখ হাসিনাকে উপস্থিত রাখতে আইনি ব্যবস্থা

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ এএম
গণহত্যার বিচারে শেখ হাসিনাকে উপস্থিত রাখতে আইনি ব্যবস্থা
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নির্বিচারে গণহত্যার অভিযোগ আছে। তিনি নিপীড়ন-নির্যাতন করেছেন। বিচারের সময় শেখ হাসিনাকে হাজির করতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের (কেবিনেট) বৈঠক শুরু হয়। এ বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
 
কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ, অর্ডার বাতিলের আশঙ্কা 

সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘এখন দেশের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। এরই জেরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অর্ডার বাতিল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র আছে। তবে শ্রমিকদের কিছু ন্যায্য দাবিও আছে।’ 

তিনি বলেন, ‘যারা শ্রমিকদের উসকানি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনো শ্রমিক তার কারখানায় ভাঙচুর করেনি। তাহলে কারা এ কাজ করেছে? এরই মধ্যে বেকার যুবক সংঘ সংগঠনের নাম দিয়ে নেত্রকোনাতে ঝুটব্যবসাকে কেন্দ্র করে কিছু মানুষ শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়াচ্ছে। এরই মধ্যে ছাত্রলীগের একজনকে আটক করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপাতত শ্রমিকরা যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন এবং তাদের দাবিগুলো যাতে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি শ্রমিকদের অভিযোগ শুনে শ্রম অসন্তোষ নিরসন করতে সুপারিশ করবে। এই সুপারিশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ কমিটিতে কারখানার মালিক, শ্রমিকদের প্রতিনিধি এবং শ্রম আইন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আইনজীবীরা আছেন।’ 

বেতন দেওয়া হয়েছে

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আজ দেশের বড় একটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে আন্দোলন করেন। আমরা ছয়জন উপদেষ্টা বৈঠক করে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের বেতনের ব্যবস্থা করেছি। আশা করি এতে শ্রমিক অসন্তোষ দূর হবে। এতে করে ভবিষ্যতে শ্রমিকদের সঙ্গে সরকারের সুসম্পর্ক বাড়বে।’ 

সরকারি অর্থ নয়ছয় 

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আগের সরকারের সময়ে প্রতিটা মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি তহবিল গঠন করা হয়, যা বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করে রাখার কথা বলা হয়েছে। এসব অর্থের খোঁজ করতে গিয়ে আর পাওয়া যাচ্ছে না। আমার মন্ত্রণালয়ের এই এফডিআরের পরিমাণ সুদ-আসলসহ ৮৭৩ কোটি ৮১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এই অর্থ চাওয়া হলে ব্যাংক ২০৩৮ সালের আগের দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে। এভাবে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের অর্থ চাওয়া হলেও বিভিন্ন ব্যাংক থেকেও একই কথা বলা হচ্ছে। এসব অর্থের কী হয়েছে? নয়ছয় হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জনগণকে এসব জানাতে হবে। অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে এসব অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য একটা রোডম্যাপ করা হচ্ছে।’ 

২-৩ সপ্তাহের মধ্যে লোডশেডিং থাকবে না

সারা দেশে হওয়া লোডশেডিং কতদিনে ঠিক হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এ খাতের দেনা-পাওনাগুলো পরিশোধের কাজ চলছে। আশা করছি দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে লোডশেডিং থাকবে না।’ 

নতুন কমিশনের কার্যক্রম 

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সংস্কারের জন্য সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, সেগুলো তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারবে বলে আশা করছে সরকার। এর পর তা নিয়ে একপর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে যাবে সরকার। ওই সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার, সুনির্দিষ্ট কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংশোধনী এনে তারপর নির্বাচনের কথা ভাবছে সরকার।’

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এরশাদ সরকারের সঙ্গে এই সরকারের বড় পার্থক্য রয়েছে। এই সরকার একটি গণ-অভ্যুত্থানের ফসল। এই গণ-অভ্যুত্থানে দুটি শব্দ ছিল। একটি হলো বৈষম্যবিরোধী, আরেকটি হচ্ছে সংস্কার। এর উদ্দেশ্যই হচ্ছে একটি প্রকৃত গণতন্ত্রের দিকে দেশকে নিয়ে যাওয়া। যেহেতু এরশাদ সরকারের সঙ্গে এই সরকারের মৌলিক পার্থক্য আছে, তাই সেই সরকারের কর্মপদ্ধতি, কর্মপরিকল্পনা ও উদ্দেশ্যকে কোনোভাবেই মেলানো যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নিশ্চয়ই এত দিনে উপলব্ধি হয়েছে, যে এরশাদ সরকার যা করে যেতে পারেনি, তার ফল কী হয়েছে, এটি রাজনৈতিক দলগুলো দেখেছে। এর ফল কী হয়েছে, এটাও ৫ আগস্ট গোটা জাতি দেখেছে। কোনো রাজনৈতিক দল নিশ্চয় অজনপ্রিয় হয়ে আবার একই রকম ফলাফল দেখতে চাইবে না।’ 

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক 

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। তবে বিগত সময়ে যে মাথা নত করা সম্পর্ক ছিল তেমন সম্পর্ক না। বর্তমান সরকার ন্যায্যতা ও সম্মানের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চায়। এর জন্য আন্তর্জাতিক-কূটনৈতিক সব ধরনের আলোচনা করা হবে।’ 

ট্রাফিকব্যবস্থার উন্নতি 

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পুলিশ কাজে ফিরেছে। তাদের মনোবল ফিরে আসছে। ট্রাফিকব্যবস্থার উন্নতি আনতে প্রতিদিনই অভিযান চলছে। আজকেও বিমানবন্দর এলাকাতে আভিযান চালানো হয়েছে। আশা করছি ট্রাফিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’ 

ফাউন্ডেশন গঠন 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ও শহিদদের পরিবারের জন্য আর্থিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা করতে ফাউন্ডশনের কাজ শেষের দিকে এমন তথ্য জানিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ফাউন্ডশনের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই ফাউন্ডশনের প্রধান হিসেবে থাকছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কোষাধ্যক্ষ কাজী ওয়াকার, দপ্তর সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সদস্য আমি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ মোট ২১ জনকে রাখা হয়েছে।’

সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২০ পিএম
সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

দুর্গাপূজা উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। 

ড. ইউনূস বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।’

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ আমাদের সবার। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশ সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।’ দেশের সব নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।

নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ
ড. শেখ আব্দুর রশিদ

নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে আগামী দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন ড. শেখ আব্দুর রশিদ। 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদটি জনপ্রশাসনে সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পদ।

অবসরে থাকা ড. শেখ আব্দুর রশিদকে গত ১৭ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। অবসর থেকে চুক্তিতে প্রশাসনে ফিরে আসার দুই মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন তিনি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী ড. শেখ আব্দুর রশিদকে যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ১৪ অক্টোবর ২০২৪ অথবা যোগদানের তারিখ হতে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে এবং জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।’

প্রসঙ্গত, বর্তমানে মাহবুব হোসেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তিনি বাংলাদেশের ২৪তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। গত বছরের ১৩ অক্টোবর মাহবুব হোসেনের অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তখন অবসরে না পাঠিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তাকে আরও এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছিল। সেই হিসেবে আগামী ১৩ অক্টোবর তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কর্মদিবস হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবারই (১০ অক্টোবর) তার শেষ কর্মদিবস। এর আগেই নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিয়োগ দিল অন্তর্বর্তী সরকার।

গণপরিবহন খাতে যাত্রী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
গণপরিবহন খাতে যাত্রী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সব প্রতিষ্ঠানে যাত্রী প্রতিনিধি হিসেবে অংশীজন হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গণপরিবহনের আইন ও বিধি-বিধান তৈরি, ভাড়া নির্ধারণ, গণপরিবহনে যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চায় সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সড়ক পরিবহন, সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বৈঠকে সংগঠনের নেতারা স্মারকলিপি পেশ করে এই দাবি করেন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সড়ক পথে সব প্রকল্প, বাস ভাড়া নির্ধারণ ও সড়ক নিরাপত্তার নানা পদক্ষেপে বাসমালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক সংগঠন ও সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব সময়। এতে করে পরিবহন খাতে নির্লজ্জ দলীয়করণ, চাঁদাবাজি, ধান্ধাবাজি, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা চরম আকার ধারণ করেছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি ফোরামে যাত্রী সংগঠন তথা জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানাই।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এখন থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সব বৈষম্য দূর করা হবে। যাত্রী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে। তিনি মন্ত্রণালয়ের সংস্কার কার্যক্রমে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহযোগিতা কামনা করেন।’ 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতি উপদেষ্টা ও এফবিসিসিআই সাবেক পরিচালক আবদুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতিরসহ সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন ও প্রচার সম্পাদক মাহামুদুল হাসান রাসেল প্রমুখ।

শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে কোথায় আছেন, তা সরকার নিশ্চিত হতে পারেনি।’

‘শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করেছেন’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “আপনারা সবাই যেমন দেখেছেন (সোশ্যাল মিডিয়াতে), আমরাও দেখেছি, ‘যে তিনি সম্ভবত আজমানে আছেন।’ তবে আমরা দিল্লি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে খোঁজখবর নিয়েছি। কিন্তু কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চত করেনি।” 

শেখ হাসিনাকে অন্য দেশে পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চাপ দিয়েছিল কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা হোসেন বলেন, ‘এই প্রশ্নটি যুক্তরাষ্ট্রকে করাই ভালো।’

ভ্রমণ পাস নিয়ে অন্য দেশের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সদস্যদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সাম্প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভ্রমণ পাস শুধুমাত্র বাংলাদেশে ফিরে আসার জন্য, অন্য দেশে ভ্রমণের জন্য নয়। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বাংলাদেশে ফেরার জন্য বিশেষভাবে ভ্রমণ পাস ইস্যু করা হয়।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের ফেরত আনার প্রয়োজন হলে, আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে আনা হতে পারে।’

মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার মাঠে অস্থায়ী আদালত, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার মাঠে অস্থায়ী আদালত, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর বকশিবাজারে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার মাঠে ও ভবনে অস্থায়ী আদালতের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে কারা অধিদপ্তরে স্বারকলিপি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা একটি বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তাদের দাবি এই অস্থায়ী আদালতের কারণে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা হয়। তারা মাঠে খেলাধুলা করতে পারে না। বিষয়টি পুলিশ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার জানালেও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। 

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে ঢাকার সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের কাছে আদালত অন্যত্র স্থান্তান্তরের জন্য একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন। তারা স্মারকলিপিতে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পরে তারা সেখান থেকে শান্তিপূর্ণভাবে চলে যান। 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চকবাজার থানার ওসি মো. রেজাউল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা কারা মহাপরিদর্শকে স্বারকলিপি দিয়ে চলে যায়। 

আল-আমীন/এমএ/