দ্য মেট্রোপলিটান খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি ও খ্রিষ্টান ক্রেডিট ইউনিয়নের সমন্বয়কারী সংস্থা দ্য কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কাল্ব) নিয়ে সাবেক বোর্ড সদস্যরা নানা গুজব ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মনিপুরী পাড়ায় আর্চ বিশপ মাইকেল ভবনে কাল্ব ও দ্য মেট্রোপলিটান খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির বর্তমান কমিটির সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এই দুই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন বলেন, ‘হাউজিং সোসাইটির সব কার্যক্রম সমবায় আইন ও উপবিধি যথাযথভাবে মেনে বার্ষিক অডিট ও বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালিত হয়। এই প্রতিষ্ঠান কারও ব্যক্তিগত কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। সম্প্রতি প্রাক্তন একজন মন্ত্রীকে ঘিরে মিথ্যা-বানোয়াট-ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করা হয়। ওই ব্যক্তির কোনো অর্থ বা সম্পদ এই প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত রাখার কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের কোনো অবৈধ সম্পদও নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে এই দুই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন বলেন, আগের নির্বাহী বোর্ডের বেপরোয়া লুটপাটের কারণে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কাল্ব-এর মোট লোকসান ছিল ৩৮ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। পরের অর্থবছরে তা ৪৬ কোটি ৮৪ লাখ ৬১ হাজার টাকায় দাঁড়ায়। ওই অবস্থায় ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর বর্তমান কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। তখন কাল্বের মূলধন ছিল এক হাজার ৪০ কোটি টাকার বেশি। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে এক হাজার ২৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ সময় লোকসান কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র এক কোটি ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আগামী অর্থবছরের লোকসান কাটিয়ে সদস্যদের লভ্যাংশ দিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে বর্তমান কমিটি।
দ্য মেট্রোপলিটান খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি সম্পর্কে আগষ্টিন পিউরীফিকেশন বলেন, বর্তমান কমিটি হাউজিং সোসাইটির দায়িত্ব গ্রহণের সময় সম্পদ-পরিসম্পদ ছিল ২২২ কোটি টাকা। বর্তমানে তা এসে দাঁড়িয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকায়। সোসাইটির মূলধন দৃশ্যমান আয়মূলক প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে। ১২টি ফ্ল্যাট প্রকল্প থেকে এখন ২০৩টি ফ্ল্যাট প্রকল্পে উন্নীত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪০টি বিল্ডিং নির্মাণের পাশাপাশি আরও ১৯টি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ২৭৭ বিঘা জমি প্রকল্প থেকে এখন এক হাজার বিঘায় উন্নীত করা হয়েছে। ৭৭টি প্লট প্রকল্পকে বর্তমান কমিটি চার হাজার ৪৯০টি প্লটে রূপান্তরিত করেছে। এ ছাড়া সদস্যদের আবাসন ও আয়মূলক বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, সংগঠনের প্রধান কার্যালয় ‘কাল্ব টাওয়ার’ নির্মাণের জন্য ভাটারার মাদানী রোডে ১৩ দশমিক ৯৭৫ শতাংশ জমি কেনা হয়েছে। ঋণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাল্ব রিসোর্ট অ্যান্ড কনভেনশন হলকে লাভজনক করার পাশাপাশি আবাসন শিল্পে বিনিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে আবাসন প্রকল্পের উপযোগী জমি ক্রয় করা হয়েছে।
এ সময়ে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফাদার তপন ডি রোজারিও, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, হাউজিং সোসাইটির সেক্রেটারি মি. ইমানুয়েল বাপ্পী মন্ডল, কাল্বের সেক্রেটারি আতিকুল্লাহ সরকার।
জয়ন্ত সাহা/অমিয়/