ঢাকা ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

গণসংহতির তালিকা অভ্যুত্থানে মোহাম্মদপুর-আদাবরে প্রাণ হারিয়েছেন ২২ জন

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম
অভ্যুত্থানে মোহাম্মদপুর-আদাবরে প্রাণ হারিয়েছেন ২২ জন
মোহাম্মদপুরের বেঙ্গলী মিডিয়াম হাইস্কুলে স্মরণসভায় এই তালিকা প্রকাশ করে গণসংহতি আন্দোলন

জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকায় অন্তত ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ২২৭ জন এবং এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন দুইজন। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেঙ্গলী মিডিয়াম হাইস্কুলে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এই তালিকা প্রকাশ করে গণসংহতি আন্দোলন। ‘২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে মোহাম্মদপুর-আদাবর অঞ্চলে আহত-নিখোঁজ ও শহিদদের তালিকা প্রকাশ ও স্মরণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানা।

লিখিত বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের মোহাম্মদপুর-আদাবর থানার সংগঠক ফাইয়াজ ফিরোজ জানান, ’৬৯, ’৭১ এবং ’৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানের মতো মোহাম্মাদপুরের বাসিন্দারা ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানেও নিশ্চুপ-নিষ্ক্রিয় ছিলেন না। ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-জনতার যে প্রতিরোধ, তার মধ্যে মোহাম্মদপুর ছিল গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম একটি স্পট। এখানে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কারফিউ ভেঙে ছাত্র-জনতার ঢল নামে রাজপথে। বছিলা সড়ক থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে টাউন হল পর্যন্ত এবং রিং রোড থেকে শ্যামলী পর্যন্ত ছাত্র-জনতার ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ, র‌্যাব, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এমনকি পুলিশও আন্দোলন দমাতে হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়েছে।

আন্দোলনে হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করে ফাইয়াজ ফিরোজ বলেন, ‘আপনারা হয়তো ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখে থাকবেন, ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ ও সাবেক কমিশনার তারিকুজ্জামান রাজিব, ৩৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহীন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের এপিএস সরাসরি ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছিল।’

ফিরোজ জানান, নিরস্ত্র জনগণের ওপর এই গুলিবর্ষণ এবং সশস্ত্র হামলার ফলে মোহাম্মাদপুর, আদাবর এবং বেড়িবাঁধসংলগ্ন এলাকায় অনেক মানুষ আহত, নিহত এবং নিখোঁজ হন। তালিকাভুক্তির ফলে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ২২ জন নিহত, ২২৭ জন আহত এবং দুজন নিখোঁজ ব্যক্তির তালিকা করা হয়েছে। এই তালিকা ডিজিটালাইজেশনের কাজও চলছে। আগামী সপ্তাহে সাপোর্টিং ডকুমেন্টসসহ এই তালিকা সামারি করে স্বরাষ্ট্র এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ সময় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সাত দফা দাবিও তুলে ধরেন ফাইয়াজ ফিরোজ। দাবিগুলো হলো এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা; নিহতদের শহিদের মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া; নিখোঁজদের সন্ধান বের করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া; আহতদের রাষ্ট্রীয় খরচে যথাযথ সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা; রাষ্ট্রীয়ভাবে নিহত, নিখোঁজ এবং গুরুতর আহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া; শহিদদের স্মরণে মোহাম্মাদপুরের রাস্তাগুলোর নামকরণ করা; রাষ্ট্রীয় খরচে বেড়িবাঁধ তিন রাস্তার মোড়ে, মোহাম্মাদপুর বাসস্ট্যান্ডে, শিয়া মসজিদ মোড়ে এবং শ্যামলী মোড়ে শহিদদের নামের তালিকাসংবলিত স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা।

গণসংহতি আন্দোলনের মোহাম্মদপুর-আদাবর থানার আরেক সংগঠক হাসান আল মেহেদীর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, গণসংহতির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন, সদস্যসচিব মাহবুব উদ্দিন রতন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া। স্মরণসভায় গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা স্মৃতিচারণা করেন এবং আহতরা তাদের ওপর হামলার বর্ণনা দেন। 

সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২০ পিএম
সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

দুর্গাপূজা উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। 

ড. ইউনূস বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।’

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ আমাদের সবার। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশ সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।’ দেশের সব নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।

নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ
ড. শেখ আব্দুর রশিদ

নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে আগামী দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন ড. শেখ আব্দুর রশিদ। 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদটি জনপ্রশাসনে সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পদ।

অবসরে থাকা ড. শেখ আব্দুর রশিদকে গত ১৭ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। অবসর থেকে চুক্তিতে প্রশাসনে ফিরে আসার দুই মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন তিনি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী ড. শেখ আব্দুর রশিদকে যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ১৪ অক্টোবর ২০২৪ অথবা যোগদানের তারিখ হতে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে এবং জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।’

প্রসঙ্গত, বর্তমানে মাহবুব হোসেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তিনি বাংলাদেশের ২৪তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। গত বছরের ১৩ অক্টোবর মাহবুব হোসেনের অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তখন অবসরে না পাঠিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তাকে আরও এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছিল। সেই হিসেবে আগামী ১৩ অক্টোবর তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কর্মদিবস হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবারই (১০ অক্টোবর) তার শেষ কর্মদিবস। এর আগেই নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিয়োগ দিল অন্তর্বর্তী সরকার।

গণপরিবহন খাতে যাত্রী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
গণপরিবহন খাতে যাত্রী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সব প্রতিষ্ঠানে যাত্রী প্রতিনিধি হিসেবে অংশীজন হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গণপরিবহনের আইন ও বিধি-বিধান তৈরি, ভাড়া নির্ধারণ, গণপরিবহনে যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চায় সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সড়ক পরিবহন, সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বৈঠকে সংগঠনের নেতারা স্মারকলিপি পেশ করে এই দাবি করেন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সড়ক পথে সব প্রকল্প, বাস ভাড়া নির্ধারণ ও সড়ক নিরাপত্তার নানা পদক্ষেপে বাসমালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক সংগঠন ও সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব সময়। এতে করে পরিবহন খাতে নির্লজ্জ দলীয়করণ, চাঁদাবাজি, ধান্ধাবাজি, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা চরম আকার ধারণ করেছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি ফোরামে যাত্রী সংগঠন তথা জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানাই।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এখন থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সব বৈষম্য দূর করা হবে। যাত্রী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে। তিনি মন্ত্রণালয়ের সংস্কার কার্যক্রমে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহযোগিতা কামনা করেন।’ 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতি উপদেষ্টা ও এফবিসিসিআই সাবেক পরিচালক আবদুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতিরসহ সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন ও প্রচার সম্পাদক মাহামুদুল হাসান রাসেল প্রমুখ।

শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে কোথায় আছেন, তা সরকার নিশ্চিত হতে পারেনি।’

‘শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করেছেন’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “আপনারা সবাই যেমন দেখেছেন (সোশ্যাল মিডিয়াতে), আমরাও দেখেছি, ‘যে তিনি সম্ভবত আজমানে আছেন।’ তবে আমরা দিল্লি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে খোঁজখবর নিয়েছি। কিন্তু কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চত করেনি।” 

শেখ হাসিনাকে অন্য দেশে পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চাপ দিয়েছিল কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা হোসেন বলেন, ‘এই প্রশ্নটি যুক্তরাষ্ট্রকে করাই ভালো।’

ভ্রমণ পাস নিয়ে অন্য দেশের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সদস্যদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সাম্প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভ্রমণ পাস শুধুমাত্র বাংলাদেশে ফিরে আসার জন্য, অন্য দেশে ভ্রমণের জন্য নয়। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বাংলাদেশে ফেরার জন্য বিশেষভাবে ভ্রমণ পাস ইস্যু করা হয়।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের ফেরত আনার প্রয়োজন হলে, আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে আনা হতে পারে।’

মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার মাঠে অস্থায়ী আদালত, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার মাঠে অস্থায়ী আদালত, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর বকশিবাজারে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার মাঠে ও ভবনে অস্থায়ী আদালতের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে কারা অধিদপ্তরে স্বারকলিপি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা একটি বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তাদের দাবি এই অস্থায়ী আদালতের কারণে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা হয়। তারা মাঠে খেলাধুলা করতে পারে না। বিষয়টি পুলিশ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার জানালেও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। 

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে ঢাকার সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের কাছে আদালত অন্যত্র স্থান্তান্তরের জন্য একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন। তারা স্মারকলিপিতে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পরে তারা সেখান থেকে শান্তিপূর্ণভাবে চলে যান। 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চকবাজার থানার ওসি মো. রেজাউল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা কারা মহাপরিদর্শকে স্বারকলিপি দিয়ে চলে যায়। 

আল-আমীন/এমএ/