বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তিনি গণভবন থেকে দেশ ছাড়ার পরই জাতীয় সংসদ ভবনে ব্যাপক লুটপাট হয়। সেই ঘটনায় জাতীয় সংসদ থেকে দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত মিলে ৯০ লাখ টাকা খোয়া গেছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
সংসদ সচিবালয় জানায়, দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত মিলে আনুমানিক ৯০ লাখ টাকার হদিস নেই।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর সংসদ সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব (অতিরিক্ত সচিব, কমিটি সাপোর্ট উইং) জেবুন্নেসা করিম সভাপতিত্বে সংসদ ভবনের সার্বিক পরিস্থিতি অবহিতকরণ সম্পর্কিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জাতীয় সংসদ ভবনের বিভিন্ন অনুবিভাগ প্রধানরা অংশ নেন এবং নিজ নিজ অনুবিভাগের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তারা জরুরি ভিত্তিতে কিছু মেরামত কাজ করানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া নগদ টাকা ফেরতের লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় অবহিতকরণ সভায়। এ সময় বিভিন্ন অনুবিভাগপ্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সংসদ ভবনের বিভিন্ন কার্যালয়, অধিশাখা ও শাখার হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের তালিকা প্রস্তুত করে স্ব স্ব অনুবিভাগপ্রধানের কাছে দাখিলেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়। সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন (মানিক মিয়া ও নাখাল পাড়া), পুরাতন এমপি হোস্টেল, মন্ত্রী হোস্টেল, সচিব হোস্টেল ও সংসদ ভবন আবাসিক এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা এবং উপরোক্ত এলাকার ভাঙা, হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নিমিত্ত ৩টি কমিটি গঠিত হয়।
কমিটিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্তূপ করা মালামাল সরেজমিনে পরিদর্শন করে শপথকক্ষে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সংসদ ভবনে ক্ষতিগ্রস্ত কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ইন্টারনেট সংযোগ, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, লাইন ও সেটগুলো জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানায় সংসদ সচিবালয়।
এলিস/সালমান/