সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে কোন স্ট্যাটাসে রয়েছেন, তা জানা নেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনার সেখানে অবস্থানের বিষয়ে এখন পর্যন্ত দিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চায়নি ঢাকা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
শেখ হাসিনার ভারতে ৪৫ দিন অবস্থান হতে চলেছে। ঢাকা কি নয়াদিল্লির কাছে তার অবস্থানের স্ট্যাটাস জানতে চেয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেখুন, সবকিছুই আইন দিয়ে চলে না। অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক দিন থেকে আছে। তখন ৪৫ দিনের মধ্যেই কি তাদের সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছিল? হয়নি। এখন ভারত সরকার তাকে আশ্রয় দিয়েছে, তিনি সেখানেই আছেন। আমাদের সেভাবেই দেখতে হবে।’
ওনার অফিশিয়াল স্ট্যাটাস কী ঢাকা জানে- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘না, আমরা জানি না। যেটুকু বলেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সেটুকুই। আমি অফিশিয়ালি তাদের কিছু বলিনি।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আজ বৈঠক হয়েছে। তারা কাজ শুরু করবে। তাদের কোনো সহায়তার দরকার হলে আমরা সহায়তা দেব। তাদের কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করব না। তারা কোনো পাবলিসিটিও চায় না। এটা হলে তাদের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’