ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেলেন সেনা কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ পিএম
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেলেন সেনা কর্মকর্তারা
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেলেন সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। ছবি : ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ

আগামী দুই মাস সারা দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন্ড কর্মকর্তাদের এই ক্ষমতা দিয়ে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই সিদ্ধান্ত আজ থেকে কার্যকর হয়েছে। আগামী দুই মাস (৬০ দিন) এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এই ক্ষমতা অর্পণ করা হলো বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮-এর ১২ (১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অধিক্ষেত্রে ও সময়কালে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।’ সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধির, ১৮৯৮’-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রুর সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে রাতে খবরের কাগজকে বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’ 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনো সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে যৌথ অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে সাফল্য পাওয়া গেছে এই যৌথ অভিযানে। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও মাদক। এ ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্ত্রাসীদের। ২০০৭ সালে এক-এগারোর সরকারের সময় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এরপর ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার আলোচনা উঠলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। 

৯ সদস্যের সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৫ পিএম
৯ সদস্যের সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (খবরের কাগজ গ্রাফিকস)

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক আলী রীয়াজকে প্রধান করে ৯ সদস্যের সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সোমবার (৭ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। পরে প্রজ্ঞাপনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের (সদস্য), বার-অ্যাট-ল ইমরান সিদ্দিকী (সদস্য), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক (সদস্য), সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া (সদস্য), বার-অ্যাট-ল এম মঈন আলম ফিরোজী (সদস্য), লেখক ফিরোজ আহমেদ (সদস্য), লেখক ও মানবাধিকারকর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ (সদস্য), শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. মাহফুজ আলম (সদস্য)।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে দেশের বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে এ কমিশন গঠন করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, গতকাল ৬ অক্টোবর থেকে সংবিধান সংস্কার কমিশন কার্যক্রম শুরু করে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের (৩ মাস) মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাজে হস্তান্তর করবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সরকার কমিশন কার্যালয় নির্ধারণ করবে। কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার নির্ধারিত পদমর্যাদা, বেতন/সম্মানি ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে কমিশনপ্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে, তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।

সালমান/

ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২১৮

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২১৮
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে (খবরের কাগজ গ্রাফিকস)

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২১৮ জন ডেঙ্গু রোগী।

সোমবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৮৮ জনের। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৭ হাজার ৮০৮ জন। কয়েক দিন ধরে দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা কমে এলেও সংক্রমণ না কমায় সব জায়গায় অ্যালার্ট জারি করেছে সরকার।

সোমবার মারা যাওয়া দুজনের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। হাসপাতালে ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১০২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২১, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৫৪, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৫৬, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৬৯, খুলনা বিভাগে ৯১ জন রয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৬৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২১, রংপুর বিভাগে ৩৪ এবং সিলেট বিভাগে ২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। 

সোমবার সারা দেশে ১ হাজার ৪৪০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। আর এ বছর মোট ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ হাজার ২৪১ জন রোগী।

অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন : উপদেষ্টা নাহিদ

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন : উপদেষ্টা নাহিদ
অনুষ্ঠানে কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ছবি : খবরের কাগজ

সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে গঠন করা হবে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সংবাদমাধ্যমের সংস্কার: কেন? কীভাবে?’ শীর্ষক এক মুক্ত আলোচনায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। 

সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডসহ বেতনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে দাসসুলভ আচরণের সুযোগ নেই। সাংবাদিকরা কেন পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারেন না, সেসব বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে পেশাদারিত্বের সংস্কৃতি অনুপস্থিত। অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কাজ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান গণমাধ্যমের জন্য বড় কেস স্টাডি। এই অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের কী ভূমিকা ছিল তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। আন্দোলনের সময় মাঠ পর্যায়ে অনেক সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করলেও মিডিয়া হাউস পলিসির কারণে সেসব সংবাদ প্রকাশ করেনি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ইলেকট্রনিক মিডিয়া আন্দোলনের পক্ষে কোনো তথ্যই প্রচার করেনি। ওই সময় ইলেকট্রনিক মিডিয়া কী প্রচার করেছে, তা দেশের মানুষ জানে। এই অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিরোধও দেখা যায়নি।’

মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি অভিহিত করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি তরুণদের এই পেশায় আগ্রহী করে তুলতে হবে।’ এ সময় তিনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সংস্কারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।

মুক্ত আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী প্রমুখ। মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক জিমি আমির।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৩০ কর্মকর্তাকে বদলি

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৯ পিএম
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৩০ কর্মকর্তাকে বদলি
বাংলাদেশ পুলিশ (খবরের কাগজ গ্রাফিকস)

বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৩০ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের বদলি করা হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন উপসচিব আবু সাঈদ। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বদলি হওয়া কর্মকর্তারা হলেন সিআইডির ডিআইজি মোল্লা নজরুল ইসলামকে পুলিশ একাডেমি সারদায়, নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আসাদ উল্লাহ চৌধুরীকে পুলিশের বিশেষ শাখা এসবিতে, অতিরিক্ত ডিআইজি আলমগীর কবীরকে পুলিশ একাডেমি সারদায়, শিল্প-পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি এ এ মাসুদকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার খুলনায়, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলামকে পুলিশ সদর দপ্তরে, সিআইডির পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে রংপুর রেঞ্জে, ডিএমপির ডিসি নাবিদ কামাল শৈবালকে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জে, ডিএমপির ডিসি জিয়াউল আহসান তালুকদারকে ট্যুরিস্ট পুলিশে, সিআইডির এসপি খন্দকার শামীমা ইয়াসমিনকে পুলিশ সদর দপ্তরসহ মোট ৩০ জনকে বদলি করা হয়েছে। 

সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৬ জন

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম
সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৬ জন
সড়ক দুর্ঘটনা (খবরের কাগজ গ্রাফিকস)

গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ৩৯২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪২৬ জন নিহত হয়েছেন। আর ৮১৩ জন আহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা (১৬৪টি), যা মোট দুর্ঘটনার ৪১ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ তথ্য পাঠায়।

সেপ্টেম্ববে নানা দুর্ঘটনায় ৯৭ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এই সময়ে আটটি নৌ-দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন। ১৭টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬২টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৪৪টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪৭টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৩৪টি শহরের সড়কে এবং ৫টি অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী ১৭৯ জন, বাসের যাত্রী ২৫ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ২২ জন, প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস আরোহী ২৪ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৬৩ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু) ৬ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ১০ জন নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ১০টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উল্লেখযোগ্য। 

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ‘পেশাগত সুযোগ-সুবিধা, বিশেষ করে নিয়োগপত্র, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকার কারণে বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের অধিকাংশ চালক শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। তারা সব সময় অস্বাভাবিক আচরণ করেন এবং বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালান। ফলে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হন। এ জন্য পরিবহন শ্রমিকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি। মোট কথা, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার করে প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’