ঢাকা ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

সাবেক এমপি সালাম মুর্শেদী ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২০ এএম
সাবেক এমপি সালাম মুর্শেদী ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার

সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সালাম মুর্শেদীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। 

আব্দুস সালাম মুর্শেদী খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ২০২২ সালে খুলনার ফুলতলা এলাকায় হামলা, আক্রমণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

এ ছাড়া রাজধানীর গুলশান থেকে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক।

তিনি বলেন, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

মায়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ঢাকার প্রতিবাদ

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
মায়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ঢাকার প্রতিবাদ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

মায়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে মো. উসমান (৬০) নামে এক বাংলাদেশি জেলে নিহতের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

উসমান কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরী দ্বীপের কোনা পাড়ার বাসিন্দা।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ঢাকার মায়ানমার দূতাবাসে পাঠানো একটি কূটনৈতিক নোটে সরকার এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেন্টমার্টিনের কাছে মাছ ধরার সময় ৫৮ জেলেসহ ছয়টি মাছ ধরার ট্রলার আটক করে মায়ানমার কর্তৃপক্ষ। পরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মায়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

কূটনৈতিক নোটে মায়ানমারকে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

একইসঙ্গে মায়ানমারকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানো এবং আর কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার জন্য স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ছয়টি ট্রলার নিয়ে সাগরের ওই এলাকায় সম্প্রতি মাছ ধরতে গিয়েছিলেন জেলেরা। প্রতি ট্রলারে ১০ থেকে ১২ জন করে জেলে ছিলেন। বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ট্রলারগুলো লক্ষ্য করে হঠাৎ গুলি ছোড়ে মায়ানমারের নৌবাহিনী। এতে দুটি ট্রলারের অন্তত চার জেলে আহত হন। একপর্যায়ে সেখানে মৃত্যু হয় ওসমানের। সূত্র: ইউএনবি

পপি/

চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু প্রায় ২০০

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৩ পিএম
আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম
চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু প্রায় ২০০
ডেঙ্গু আক্রান্তদের সেবা দিচ্ছেন নার্স। ছবি: খবরের কাগজ

ডেঙ্গুতে সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৮৩ জন। সবমিলিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯৯ জন। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৪০৫ জন।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩ জনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। তারা ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে বসবাস করতেন। এর আগে বুধবারও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ জন মারা যান। ওই দিন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৩৩ জন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ২৪৬ জন ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। এর বাইরে (সিটি করপোরেশন বাদে) ঢাকা বিভাগে ১৬৩ জন, বরিশাল বিভাগে ৬২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৯, রাজশাহী বিভাগে ২৭ জন, খুলনা বিভাগে ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২ জন ও রংপুর বিভাগে ৭ জন ভর্তি হয়েছেন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। এই সিটি করপোরেশনে ৮৭৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন সর্বোচ্চ ১০৬ জন। আর এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১৯৯ জনের মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসেই মারা যান ৮০ জন। আর চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে মৃত্যু হয় ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর।

গত বছর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের, যা দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু। ডেঙ্গু শনাক্তের পর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

আজ মহা-অষ্টমী

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৩ এএম
আজ মহা-অষ্টমী
আজ মহা অষ্টমী। ছবি: খবরের কাগজ

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মহা-অষ্টমী আজ শুক্রবার। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় রাজধানীসহ সারা দেশে ভক্ত ও পূজারীরা পূজা-অর্চনার মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করবেন। নতুন কাপড় পরে বাহারি সাজে মন্দিরে মন্দিরে দেবীকে পুষ্পাঞ্জলি দেবেন তারা। তবে অষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা। একই দিনে হবে সন্ধি পূজাও। বেলা ১১টায় রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মঠে অনুষ্ঠিত হবে এই কুমারী পূজা। কুমারী বালিকার মধ্যে বিশুদ্ধ নারীর রূপ কল্পনা করে তাকে দেবী জ্ঞানে পূজা করেন ভক্তরা। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত ১ থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা ব্রাহ্মণ বা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কুমারী নারীকে দেবী জ্ঞানে পূজা করা হয়।

গতকাল ছিল মহাসপ্তমী। সেদিন ভক্তরা দেবীর আরাধনায় পূজামণ্ডপগুলোতে দিনভর ভিড় জমান। গতকাল সকালে পূজার শুরুতেই দেবী দুর্গার প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান করান। এরপর করা হয় নবপত্রিকা স্থাপন। পূজা শেষে হাতের মুঠোয় ফুল, বেলপাতা নিয়ে ভক্তরা মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে এবারের পূজার প্রথম অঞ্জলি দেন দেবীর পায়ে। করজোড়ে কাতর কণ্ঠে জগজ্জননীর কাছে শান্তিময় বিশ্বের জন্য প্রার্থনা করেন ভক্তরা। ঢাকের বাদ্য, কাঁসর ঘণ্টা কিংবা শঙ্খধ্বনিতে দেবীর আরাধনা করেন তারা। অন্যদিকে বিকেল থেকেই রাজধানীর মন্দিরগুলোতে ভক্তদের ভিড় বাড়তে থাকে। ঢাক-কাঁসরের বাদ্য, ধূপের সুরভিত ধোঁয়া, আরতির নৃত্য, ভক্তিগীতি, ভক্তদের প্রণাম আর পরস্পরের প্রতি শুভেচ্ছা বিনিময়ে মন্দিরগুলো জমজমাট হয়ে ওঠে।

চট্টগ্রামে জমেছে দুর্গোৎসব
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঢাকের বাদ্যের সঙ্গে উলুধ্বনি, শঙ্খনাদ আর কাঁসর ঘণ্টা বাজানোর মধ্য দিয়ে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা জমে উঠেছে চট্টগ্রামে। গতকাল সকালে দেবী দুর্গার চক্ষুদান, নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গুণীজন সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন ছিল কিছু মণ্ডপে। 

এবারের দুর্গাপূজায় নানা শঙ্কার আশঙ্কা করা হলেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শুরু হয়েছে উৎসব। সরেজমিনে চট্টগ্রামের প্রধান পূজামণ্ডপ আন্দরকিল্লার জেএম সেন হলে গেলে গতকাল দুপুর ২টায় দেখা যায়, পূজার্থীদের ভিড়। মণ্ডপের আশপাশ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনা করা হয়েছে। প্রবেশ পথ ও বের হওয়ার পথ আলাদা করা হয়েছে। এ মণ্ডপে মেটাল ডিটেক্টর গেট স্থাপন করা হয়েছে। মণ্ডপের ভেতরে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। আনসার বাহিনীও দায়িত্বে রয়েছে। এ ছাড়া এ মণ্ডপ থেকে বের হওয়ার সময় সড়কে র‌্যাবের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ জেএম সেন হল পূজা মণ্ডপটি নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা। এভাবে চট্টগ্রামের জেলা ও উপজেলায় প্রত্যেকটি মণ্ডপের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন শিগগিরই চালু

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০০ এএম
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন শিগগিরই চালু
ছবি: সংগৃহীত

মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন শিগগিরই চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রো ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রউফ। 

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রতিটি প্যারামিটারের সিস্টেম সন্তোষজনক হওয়ায় শিগগিরই মেট্রোরেলের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

আবদুর রউফ বলেন, ‘আমরা মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। সবকিছুই সন্তোষজনক। প্রতিটি প্যারামিটারের সিস্টেম ঠিক আছে। মিরপুর-১০ স্টেশন দিয়ে দুটি ট্রেন চলাচলের জন্য নিয়োজিত ছিল, যা সন্তোষজনক দেখা গেছে। ট্রেনগুলো চলাচলের সময় একটি কারিগরি দল উপস্থিত থেকে পরীক্ষা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় মিরপুর-১০ স্টেশনটি দ্রুত মেরামত করা হয়েছে। আমরা সফলভাবে স্টেশনটি পুনরায় চালু করার জন্য আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রতিস্থাপনের চূড়ান্ত পরীক্ষা চালিয়েছি। স্টেশনের যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রতিস্থাপনের খরচ কাজীপাড়া স্টেশনের চেয়ে বেশি হবে, কারণ এটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

মেট্রোরেলের বিবরণ অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা স্টেশনের টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ সবকিছু ভাঙচুর করে। ফলে কর্তৃপক্ষ ৩৭ দিন ধরে দুটি স্টেশন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। গত ২৫ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলেও ক্ষতিগ্রস্ত ওই দুটি স্টেশন বন্ধ ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ কাজীপাড়া স্টেশনটি স্বল্প খরচে মেরামত করে ২০ সেপ্টেম্বর পুনরায় চালু করে। খবর বাসসের।

প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৫ পিএম
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩১ পিএম
প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ
রাজধানীর ১৯ হেয়ার রোডস্থ প্রধান বিচারপতির বাসভবন। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২৫তম (বর্তমান) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের উদ্যোগে ১৯ হেয়ার রোডস্থ ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন’কে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।  

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় গণ-অভ্যুত্থানে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান প্রধান বিচারপতি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাটি স্থায়ীরূপে সংরক্ষণের মাধ্যমে ভবনটির সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটির সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুরাকীর্তি আইন-১৯৬৮ এর বিধান প্রয়োগের মাধ্যমে বাসভবনটির মালিকানা ও ব্যবহার স্বত্ব বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অনুকূলে অক্ষুণ্ন রেখে দৃষ্টিনন্দন ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাটি সংরক্ষণ করা হলে স্থাপনাটি জনমানসে একটি জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই স্থাপনার সমৃদ্ধ ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হবে। 

এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সভাকক্ষে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাবিনা আলমসহ ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রি ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ঐতিহাসিক এই স্থাপনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিবেচনায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ৬ অক্টোবর পত্র প্রেরণ করা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯ হেয়ার রোডস্থ প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে নবগঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী ঢাকাতে স্থানান্তরিত হলে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য যে সব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল তার মধ্যে ১৯ হেয়ার রোডস্থ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন অন্যতম। ১৯০৮ সালে নির্মিত অনন্য এ স্থাপনার নির্মাণশৈলীতে মোগল ও ইউরোপীয় ধ্রুপদি স্থাপত্য রীতির মিশ্রণ পরিলক্ষিত হয়। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার পর ভবনটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলেও ১৯৫০-এর দশকের শুরু থেকে ভবনটি প্রধান বিচারপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শতবর্ষী এ স্থাপনাটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষিত হলে তা ভবনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এর ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট স্থাপনাটির  গুরুত্ব ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।